নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সন্ধ্যা প্রদীপ

আমার সমস্ত চেতনা যদি শব্দে তুলে ধরতে পারতাম

সন্ধ্যা প্রদীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি (আসেননি বেঁচে গেছেন)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০০



বলছিলাম 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি' এর কথা।আসেননি ভালই হয়েছে।আসলে না জানি কি না কি খেতে হতো!

হালের ওয়েব সিরিজ 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেনি' রিলিজ হওয়ার আগে থেকেই বেশ একটা চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল।সেই সুযোগে রকমারি ডট কমও এই সিরিজের দুইটি বই বিক্রি করে বেশ মুনাফা লুটে নিচ্ছে।তো সিরিজটি রিলিজ হলো।নানা লোকের নানা মত আসতে থাকলো মিডিয়ায়।কেউ বলে জঘন্য হয়েছে,কেউ বলে বেশ ভালো। আমি বরবর মূল বই পড়তে বেশি আগ্রহী থাকি তাই রকমারির ডিসকাউন্ট এর ফাঁদে পা দিলাম।পর পর সিরিজের দুইটি বই শেষ করে ওয়েব সিরিজ দেখতে বসলাম।সব শেষ করে বিচিত্র অনুভূতি নিয়ে তব্দা মেরে বসে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকলো না।ভাবছিলাম রিভিউ লিখি।মাঝে কয়দিন সময় পাইনি।আজ অলস দুপুরে ভাবছি রিভিউটা লিখেই ফেলা যাক।আগেই বলে দিচ্ছি অনেক স্পয়লার আছে।

প্রথমেই বলে নিই মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন এর লেখা রবীন্দ্রনাথ ট্রায়োলজির প্রথম বই বাতিঘর প্রকাশনী থেকে ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।বইটির নাম ছিল- রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি। পরেরটি ২০১৮ তে 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো আসেননি'।সিরিজের শেষ বই 'রবীন্দ্রনাথ এখানে এসেছিলেন' প্রকাশিত হওয়ার কথা আছে ২০২১ সালে।

নাজিমউদ্দীন সাহেবের বইগুলি স্টুডেন্ট লাইফে দেখতাম কিন্ত দামের কারনে ছুঁতে পারতাম না।তাই এটাই আমার প্রথম পড়া।ভদ্রলোক ভালই লেখেন।তবে বইগুলো পড়তে গিয়ে বার বার মনে হয়েছে কিছু যেন মিসিং। অন্য বইগুলো পড়লে বুঝতে পারতাম এটাই তার স্টাইল নাকি এই পার্টিকুলার সিরিজএ এই সমস্যা।সেবার মৌলিক বা অনুবাদ বইগুলোতে যেমন জমজমাট ব্যাপার থাকে তা এই বইগুলোতে পেলাম না।সেবা প্রকাশনী সবসময়ই সেরা!

তো কাহিনীতে আসা যাক।কাহিনি জমাট বেঁধেছে মফস্বল শহরে অদ্ভুত নামের এক রেস্টুরেন্ট এবং তার রহস্যময়ী মালকিনকে ঘিরে।রেস্টুরেন্টের নাম- রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি। শুধু নামই নয় এখানকার খাবারগুলোও চমৎকার। মালকিন মুশকান জুবেরী এখানকার জমিদারের নাতবউ ও বর্তমান উত্তরাধিকারী। মুশকান একজন ডাক্তার। তিনি শুধু মালকিনই নন তিনি শেফও বটে।তার হাতেই তৈরি হয় চমৎকার এ খাবারগুলো যার স্বাদে মোহিত হয়ে এলাকা তো বটেই,দূর দূরান্ত থেকে লোক খেতে আসে।

নূরে সফা একজন ডিবি অফিসার যিনি সাংবাদিকের ছদ্দবেশে সুন্দরপুরে এসে অবস্থান নেন এবং ধীরেধীরে কাহিনির জট খুলতে থাকে।কাহিনিতে রহস্যময়তা আর টুইস্ট ভালই ছিল।তবে ছিলনা জমজমাট বর্ননা।আর কি যেখানে খুব ডিটেইলস বর্ণনা দেয়া দরকার সেখানে নেই কিন্ত আপাত তুচ্ছ জায়গায় বেশি বেশি বর্ণনা রয়েছে।যা বেশ বিরক্তি সৃষ্টি করেছে।যে খাবারের এত নামডাক তার বর্ণনা ভালো করে দেয়াই হয়নি।শেষ অব্দি জানা যায়না কেন খাবারগুলো এত স্পেশাল। এমনকি পরের বইটাতেও এই বিখ্যাত খাবারের বিষয়গুলো একেবারেই এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।আমার মনে হয়েছে লেখকের খাবার বিষয়ে জ্ঞান খুব কম আছে এবং তিনি ভোজন রসিক নন।সবটাই যখন বানানো গল্প তখন খাবারের বিষয়গুলো কি কল্পনা করা যেত না?হুমায়ুন আহমেদ তার লেখায় সিম্পল খাবারের যে বর্ণনা দিতেন বা রেসিপি দিতেন তাতে মুগ্ধ হয়ে ফলো করতে গিয়ে কতোবার যে বেকুব হয়েছে উৎসাহী পাঠক তা তিনি নিজেই উল্লেখ করেছেন।অন্যান্য বিখ্যাত লেখকেরা খাবারের বর্ণনা তার স্বাদের বর্ননা এমনভাবে করেন যাতে লেখার অক্ষর থেকে স্বাদ পাঠকের মস্তিষ্কের কোষে চলে যায়।এদিক থেকে রবীন্দ্রনাথ সিরিজ ফেইল।

এরপর আসি কাহিনির সবচেয়ে সেনসিটিভ অংশে।৭০ এর দিকে আন্দিজের প্লেনক্রাশের ঘটনা হয়ত অনেকেই জানে।এই ঘটনা নিয়ে বই আছে,মুভিও আছে।অনেক ছোটবেলায় টিভিতে একটা মুভি হচ্ছিল তার নাম ছিল 'এলাইভ'।বাবা দেখছিলেন তবে আমাকে দেখতে দেননি শুধু কিছু জিনিস বাদ দিয়ে গল্পটা শুনিয়েছিলেন ।একটু বড় হয়ে একটা বই হাতে পেলাম,নাম আন্দিজে বন্দী।সেবা প্রকাশনীর এই বইটি এখনো আমার সংগ্রহে আছে।আবিষ্কার করলাম গল্পটি সত্য ঘটনা নিয়ে নির্মিত এবং এই ঘটনা নিয়ে তৈরি মুভিটির নামই এলাইভ।ভয়ানক ঘটনা,ভয়ানক বই,ভয়ানক মুভি!

ক্যানিবালিজম এই জগতে নতুন নয়।অনেক জংলী মানব প্রজাতিই শুধু নয় সভ্য জগতেও এর প্র‍্যাক্টিস ছিল।প্যানাসিয়া বা সর্বরোগের ঔষধ হিসাবে মানুষের মমির গুড়া সমগ্র ইউরোপে ব্যবহার করা হতো।কবরচোররা শতশত মামিকৃত মৃতদেহ তুলে ইউরোপে বিক্রি করত।মিশর থেকে মমি সাপ্লাই বন্ধ হয়ে গেলে অসাধু ব্যবসায়ীরা তাজা মৃতদেহ প্রক্রিয়াজাত করে নকল মামিয়া(Mummia) তৈরি করে বিক্রি করত।আমার কাছে ক্যানিবালিজম একই সাথে গা শিউরে ওঠা এবং ঘিনঘিনে ব্যাপার।আন্দিজের বিরান পরিবেশে বেঁচে যাওয়া অভিযাত্রীরা তাদের মৃত সহযাত্রীদের খেয়ে বেঁচে ছিলেন ব্যাপারটা খুবই অমানবিক।মানুষ যখন এমন কিছু ঘটাতে বাধ্য হয় তখন দারুনভাবে মানবিক বিপর্যয় ঘটে।এই ঘটনাগুলো ভুলে যাওয়াই ভাল এবং ঘটনার শিকার লোকগুলোকে তা ভুলতে দেয়াই ভাল।এসব জিনিসের চর্চা এবং ছড়িয়ে পড়া মোটেও ভাল কিছু নিয়ে আসে না।রানা প্লাজার নিচে চাপা পড়ে জীবিত উদ্ধার পাওয়া মানুষের ব্যাপারেও এমন কথা রটেছিল।

রবীন্দ্রনাথ সিরিজের প্রথম বইটিতে আন্দিজের ঘটনার উল্লেখ আছে।বলা হয়েছে মুশকান সেই বেঁচে যাওয়া সহযাত্রীদের একজন।রহস্যময় কারনে তার বয়স বাড়েনি। কাহিনি যে বলা হয়েছে তাই না,আন্দিজের অরিজিনাল ছবি এডিট করে সেখানে মুসকানের ছবি বসিয়ে ছাপা হয়েছে বইয়ের পাতায়।আমি হতবাক হয়ে ভাবি লেখক কেন এটি করতে গেলেন!তিনি কি কোনো আইনি জটিলতায় পড়বেন না এই কারনে?হৃদয়বিদারক একটা ঘটনাকে নিয়ে এমন মনগড়া কাহিনি লেখাই তো যথেষ্ট অবিবেচনার কাজ।কল্পিত লেখাকে সত্যি প্রমাণিত করার জন্য এভিডেন্স টেম্পারিং করার দরকার কি ছিল?

২য় বইয়ে অর্ধেক খালি আজেবাজে আলোচনা।তারপর আসল কাহিনি আর টুইস্টের পর টুইস্ট।প্রথমে বলা হলো মুশকান মানব দেহের কোনো একটা অঙ্গ কয়েকবার খাওয়ার পর লক্ষ্য করে তার বয়েস বাড়ছে না।পরে সে এডিক্টেড হয়ে যায়।তাই আসল বয়স ৭০ এর ঘরে হলেও তাকে দেখতে লাগে তরুণীর মতো।রেস্টুরেন্ট দেয়ার পর প্রায় পাঁচজন এদিকে খেতে আসার পর নিখোঁজ হয়ে যায়। সেই নিখোঁজের লিস্টে উচ্চপদস্থ লোকের ভাগনে আছে বলেই এব্যাপারে তদন্ত করতে আসেন ডিবি অফিসার নূরে ছফা।তারপর বলা হয় এই মুশকান আসলে আন্দিজের আসল মুশকানের মেয়ে। বয়স না বাড়ার কাহিনি ভুয়া।তারপর আবার বলা হয় আসলে ঘটনা সত্য।ঘটনা যে সত্য শুধু তাই না,মুসকানের সাথে মানব অঙ্গ খাওয়ার দোসর আরো কয়েকজন আছে।যাইহোক ২য় পর্বে কাহিনি কোলকাতা ঘুরে ফিরে এসেছে বাংলাদেশে,শেষ হয়েছে খুলনায় রবীন্দ্রনাথের আদিবাড়িতে।আমার বিশ্বাস শেষ পর্ব কুষ্টিয়া ঘুরে আবার কোলকাতায় ফিরবে।

যাইহোক প্রথম বইটি তুলনামূলক ভালো।সেখানে মুশকানকে রহস্যের মধ্যে রেখেই কাহিনি শেষ করা হয়েছে।২য় বইয়ে মুশকান গা শিউরে ওঠা সব কাজকর্ম করে।তাকে লোভী আর ভয়ংকর হিসাবে দেখানো হয়েছে।শেষ বইটি না আসলে মনে হচ্ছে পুরো ব্যাপারটা বোঝা যাবে না।এক্ষেত্রে লেখক রহস্য তৈরীতে সাকসেসফুল।




এবার আসি জনাব সৃজিতের তৈরি ওয়েব সিরিজে।এত বড় নাম নেয়া কঠিন তাই নেটিজেনরা এটির নাম সংক্ষেপে রেখেছেন 'রেক্কা'।বইটিতে বর্ণনা ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও যে স্ট্যান্ডার্ড রয়েছে জনাব সৃজিত তার গুষ্টি উদ্ধার করে ছেড়েছেন।পুরো সিরিজেই রাতের দৃশ্যগুলো ঘোলা,রেস্টুরেন্টটির সেটাপ জঘন্য। হলদে আলোয় কিছুই ভালো করে দেখা যায় না।এই গুরুত্বপূর্ণ সেটগুলো এত অযত্ন করে বানানো হয়েছে যে শুরুর দিকে চরম বিরক্ত আর তাজ্জব হয়ে ছিলাম।তবে শকড হওয়ার আরো কিছু বাকি ছিল।জনাব সৃজিত আন্দিজের দৃশ্যগুলি এত দীর্ঘ আর বর্ণনামূলক করেছেন যা বইতেও ছিলনা।কয়েকজন মিলে মৃতদেহের পাঁজর কামড়াচ্ছে,নাড়িভুড়ি টেনে বের করে খাচ্ছে এমন সব দৃশ্য তিনি দেখিয়েছেন সিরিজে। তিনি হয়ত ভেবেছিলেন আমিষ নামক অসমীয়া ছবিটির মত কিছু একটা তৈরি করে ফেলবেন।তিনি এটা বোঝেননি যে বইটির সেই প্লটই নেই যা এটিকে আমিষের মত উচ্চস্তরে নিয়ে যেতে পারে।আমিষ দেখে আপনার ভাল লাগবে না,চিন্তা জগৎ ভীষন নাড়া খাবে আবার এটিকে আপনি পুরোপুরি খারাপ বলতেও দ্বিধা করবেন।

রঙ টার্ন নামক একটি ভয়ানক মুভি সিরিজ আছে।আমার বিশ্বাস এই টাইপ কন্টেন্ট খুব অল্প লোকই পছন্দ করে।সৃজিতের তৈরি দৃশ্যগুলো সেই টাইপ ফিল দিয়েছে।আমার মনে হয় এলাইভ,আন্দিজে বন্দী বা অন্যকিছু নিয়ে উনি সিরিজ তৈরির আগে স্টাডি করেন নি।করলে বুঝতে পারতেন আন্দিজের ঘটনা পিকনিক ছিলনা,নিতান্ত বাধ্যতামূলক ছিল।

এরপর আসি কাস্টিং এর কথায়।একমাত্র আতর আলিই এখানে ভাল অভিনয় করেছেন।রাহুল বোস সিটকে লাগা মমির মত মুখ করে এমন অভিনয় করলেন যাতে মনে হলো সৃজিত তার বউবাচ্চা কিডন্যাপ করে ব্ল্যাকমেইল এর মাধ্যমে অভিনয় করাচ্ছেন।মূল চরিত্রের কথা বলতে গেলে তো কান্না আসে।বাঁধন প্রমাণ করেছেন তিনি অভিনেত্রী নন।তিনি আরও প্রমাণ করেছেন চরিত্রের ভেতরে ঢোকা ব্যাপারটি তিনি মোটেও বোঝেন না এবং যেকোনো ভাল চরিত্রের বারোটা বাজানোর জন্য তাকে কাস্টিং করাই যথেষ্ট। মুশকানের ধীরস্থির,ম্যাচিউর, কনফিডেন্ট,ট্যালেন্ডেট,সুন্দরী কিন্ত ভয়ংকর চরিত্রটির সাথে তিনি একেবারেই জাস্টিস করেননি।তার আচরণ কখনো টিন এজার আবার কখনো স্লাট টাইপ!তার খোলামেলা প্রায় ব্লাউজহীন সাজগোজও ভাল লাগেনি।মেয়েরা যে কাপড়চোপড় পড়েও সুন্দর হতে পারে সেটি বোধহয় তিনি এবং পরিচালক দুজনেই বিশ্বাস করেন না।এছাড়াও প্রথম বইয়ে এবং সিরিজে শেষের দৃশ্যগুলো খুব জরুরি সেখানে তার অভিনয় দেখে মনে হচ্ছিল হয় সবাই খুব আন্ডার পেইড নয়ত পরিচালক সাহেব সেটে উপস্থিত ছিলেন না।আমার কাজিন অবশ্য ভিন্ন থিওরি দিয়েছে।তার ধারণা তখন সেটে মিথিলা আপা উপস্থিত ছিলেন তাই এই অবস্থা।

রবীন্দ্রনাথের সাথে মানুষখেকো ডাইনীর ব্যাপারটি একেবারেই খাপ খায়না।তবুও লেখক প্যাচ ঘোচ দিয়ে ব্যাপারটি লিখেছেন।পরিচালক সাহেব মনেহয় তা খুব সিরিয়াসলি নিয়েছেন।কারন পুরো সিরিজে একটু পরপর রবীন্দ্রসংগীত। গান আর আন্দিজের কাহিনি দিয়েই বেশিরভাগ শেষ হয়েছে।এসব না করে যদি মূল কাহিনী, রেস্টুরেন্ট আর মুশকানের অভিনয়ে জোর দেয়া হতো তবে সিরিজটা মন্দ হতো না।আমার রেটিং ২/১০

ভাব দেখে মনে হচ্ছে অনেকেই বাঙালিদের ক্যানিবালিজম এর সাথে ভাল করে পরিচিত করে দিতে চাইছে।আমি ভেবে পাইনা এর দরকারটা কি।এমন আনইথিকাল নেগেটিভ জিনিস ছড়িয়ে আদৌও কি লাভ আছে?ক্রিমিনাল,বিকৃতমনা, পাগল ছাগল কি দেশে কিছু কম আছে?আন্দিজের বেঁচে যাওয়া অভিযাত্রীরা এমনিতেই অনেক কষ্ট পেয়েছে।বেঁচে ফিরলেও তারা সামাজিকভাবে হেও হয়েছেন,জীবন কেটেছে দুঃসহ স্মৃতি বুকে নিয়ে।লেখক নাজিমউদ্দীন সাহেবকে জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছা করে উনি কি কাহিনিটা এই প্লটকে না জড়িয়ে লিখতে পারতেন না?তিনি যদি সেভাবে লিখতেন তাহলে থ্রিলারটি আমার কাছে আরও উপভোগ্য হতো।







ছবিঃইন্টারনেট

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪১

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: বেশ টানটান লেখা। একঘেয়ে বসে ছিলাম। লেখাটা পড়ে একঘেয়েমি কেটেছে খানিকটা ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৮

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ধন্যবাদ!

২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৩

জুন বলেছেন: আন্দিজের ঘটনাটি আমি পড়ি আমাদের বাসায় সংগ্রহে থাকা বিচিত্রা থেকে। ঘটনাটি পড়ার পর আমি বহুদিন একটি ঘোরের মাঝে ছিলাম । ভেবেছি সেই নান্দো পারাদোর কথা যে তাঁর বোনের মৃতদেহ খাবার অনুমতি দিয়ে আরেকজন সঙ্গীকে নীয়ে বের হয়েছিল সভ্য জগতের সন্ধানে । এত বেদনাদায়ক এবং কষ্টকর এক ঘটনার সাথে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মত এক জমিদার নন্দনের খাওয়া দাওয়ার কি তুলনা । উনিতো পঞ্চ না পঞ্চাশ ব্যাঞ্জন সাজিয়ে খেতে বসতেন । আমি হরিশংকর জলদাসের মৃনালীনি দেবীকে নিয়ে লেখা বইতে যতদুর মনে হয় পড়েছি। রবি বাবু দ্যু একটা পদ খেতেন বাকিগুলোতে আঙ্গুল ডুবিয়ে এটো করে দিতেন যাতে অন্য কেউ খেতে না পারে ।
ভালো লিখেছেন ঝিঝি পোকা ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৪

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: এই ঘটনা আমার মনে খুবই ভয়ংকর প্রভাব ফেলেছিল।এমন কিছু যে ঘটতে পারে তা ভাবিনি আগে।
এই বইয়ে নামে রবীন্দ্রনাথ থাকলেও রবি ঠাকুর এর সাথে কোনো সম্পর্ক নেই।মুশকান জুবেরী একজন রবীন্দ্রভক্ত সম্পর্ক এটুকুই।

ভদ্রলোকের এমন স্বভাব ছিল জানতাম না।
জমিদার মানুষ,কতই না খেয়ালী ছিলেন!
বিচিত্র নামের দিকে আকৃষ্ট হয়ে অনেকেই হয়ত উলটে পালটে দেখবে বইটি।কে জানে লেখক কেন এমন নাম বেছে নিলেন!

৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৬

জুন বলেছেন: স্যরি ঝি ঝি পোকা না, সন্ধ্যা প্রদীপ হবে :`>

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৫

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: :D

৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: পড়লাম- চমৎকার লিখেছেন।
এর আগেও সামুতে একজনের রিভিউ পড়েছিলাম, তিনি তবুও কিছু ছাড় দিয়েছিলেন-
আপনিতো একেবারে ধুয়ে দিলেন :)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৭

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: বইগুলো খুব আশা নিয়ে এক টানে পড়েছি--কিছু জায়গায় আশাহত হয়েছি কিছু জায়গায় রহস্য থেকে গিয়েছে।

তবে সিরিজ দেখে পুরো ফেডাপ!
এমন জিনিস বানাতে আছে?

৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৮

লর্ড ভ্যারিস বলেছেন: সিরিজ নিয়ে বলার কিছু নাই। এর আগেও "কন্টাক্ট" উপন্যাস থেকে সিরিজ বানানো হইছিলো। খুব আশা নিয়ে দেখতে বসছিলাম কিন্তু ১ম এপিসোড দেখার পর অখাদ্য মনে হওয়ার আর দেখার রুচি কুলায়নি। উপন্যাসের ফিলটাই নষ্ট করে ফেলছিলো । সে শিক্ষা থেকে "রবীন্দ্রনাথ" দেখার ইচ্ছাই কখনো করিনি। জানতাম এটাতেও কাহিনির বাজে অবস্থা করে ফেলবে। তাছাড়া ছবা বা আতর আলী চরিত্রে রাহুল বোস বা অনির্বানকে মানায় না বলেই মনে হইছে। আপনার কাছে অনির্বানকে আতর আলী চরিত্রে কিভাবে পছন্দ হইলো বুঝলাম না। উপন্যাসে আতর আলীকে যেভাবে কল্পনা করছি সেটাতে অনির্বানকে ঠিক মানায়না। তবে হৃত্বিককে হয়তো মানাইতো। আর ছফাকে যে বয়সী বা যেমন লুকের কল্পনা করা যায় তার থেকে রাহুলের বয়স বেশী, বেখাপ্পা মনে হয়। তবে যারা উপন্যাস পড়েননি তাদের কাছে "কন্ট্রাক্ট" "রবীন্দ্রনাথ" দুটাই বেশ ভালো লাগছে। তবে উপন্যাস যারা পড়ছে তাদের সিংহভাগের কাছেই অখাদ্য।
খাবারের ব্যাপারটায় যে ব্যর্থ বর্ণনা করার কথা বললেন, সেটা লেখক তো ইচ্ছা করেই রহস্য হিসেবে রাখছেন। কোনখানে পড়ুয়াদের কাছে ইঙ্গিত দিছেন যে মানুষের কোন অর্গ্যান খাবারে মিক্সড করার কারণে অন্যরকম স্বাদ আসে। খাবারের বর্ণনায় ব্যর্থতার কি আছে!
আর আপনার কাছে কেন মনে হইলো উপন্যাসে লেখক ক্যানিবালিজম লোকের কাছে পরিচয় করাইতে চাইলো বুঝলাম না সেটা। আর পরিচয় করাই দিলেই কি মানুষ ক্যানিবালিজমের চর্চা করা শুরু করে দেবে নাকি। এটা নেগেটিভ ভাবে নেওয়ার কিছু তো দেখিনা। আপনার এমনটা মনে হওয়ার কারণ বুঝলাম না ঠিক।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৬

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: নাজিমউদ্দীন সাহেবের বইগুলি আগে কখনো পড়া হয়নি।তার স্টাইল আমার কাছে অচেনা।
তবে আগাথা ক্রিস্টি, আর্থার কোনান ডয়েল,সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা পড়া থাকলে এই বইয়ের ঘাটতির জায়গাটা চোখে পড়বে।
সেবা প্রকাশনীর অনুবাদ,মাসুদ রানা বা তিন গোয়েন্দা সিরিজগুলোতে যে জমজমাট বর্ণনা থাকে তা মিস করেছি।
যে খাবার নিয়ে এত কিছু তা আসলে খেতে কেমন তার মারাত্মক বর্ণনা থাকবে না?

আপনার কথা সত্য।কাস্টিং খুবই বাজে।এই শত বাজের মাঝে শুধু একজনের অভিনয়কে কিছুটা ক্রেডিট দেয়া যায় সে হচ্ছে অনির্বাণ। দেখলেই বুঝবেন কথাটা সত্য কিনা।যদিও আমি ভেবেছিলাম হ্যাংলা পাতলা কেউ এই চরিত্র করবে।

আমি ক্যানিবালিজম ব্যাপারটা নিয়ে এই উপমহাদেশে কিছুটা আলোচনা দেখেছি।কিছু মুভি হয়েছে কয়েকবছরে।বেশ আলোচিতও হয়েছে সেগুলো। অসমীয়া সিনেমা আমিষ,মালায়ালাম সিনেমা বিরিয়ানি এবং এইবার ঈদে মুক্তি পাওয়া নাটক পুনর্জন্মতে ক্যানিবালিজম কন্টেন্ট আছে।রবীন্দ্রনাথ সিরিজটি সেই আগুনে ঘি এর মত।এটুকুই বলতে চেয়েছি।

ডার্ক কমেডি, ডার্ক রোমান্স, ডার্ক থ্রিলার বেশ ছড়িয়েছে আজকাল। পশ্চিমে এগুলা আগেও ছিল।তবে এই উপমহাদেশে বিগত কয়েক বছরে এসব ভালই ছড়াচ্ছে।

দেখুন মুক্তিযুদ্ধ বা বিশ্বযুদ্ধ ঐতিহাসিক সত্য।নাম না জানা অনেক মানুষ এবং অনেক বড় জায়গা নিয়ে হয়েছিল এসব।এগুলো নিয়ে মনগড়া হাজার হাজার সাহিত্য বা মুভি হয়েছে,হচ্ছে,হবে।কিন্ত আন্দিজের ঘটনা খুবই পার্টিকুলার,খুবই হৃদয়বিদারক।এটার কোনো চরিত্রকে মানুষখেকো ডাইনীর রূপ দেয়াটা কোথায় যেন বুকে লাগে।এমনকি এলাইভ মুভিতেও খাওয়ার দৃশ্য সেভাবে দেখায়নি।তবে জনাব সৃজিত এতে কল্পনার সব রঙ মিশিয়েছেন।ভাব দেখে মনে হয়েছে ব্যাপারটা খুবই মজার।

লাস্টলি জানলেই কেও কেউ চর্চা করবে কিনা তা বলতে পারব না তবে উৎসাহী বা আগ্রহী হতে পারে।লাশ গুম করার খুব ভাল উপায় এটা।যদি আশেপাশে এমন ঘটনা ভবিষ্যতে দেখেন তবে বুঝবেন ইফেক্ট হয়েছে।

৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৪

নিমো বলেছেন: হা হা হা! আপনার লেখার শিরোনাম পড়ে হাসতে হাসতে শেষ। সৃজিত বাবু এই লেখা পড়লে মুশকান জুবেরীর রান্নাও হজম হওয়ার সুযোগ থাকবে না।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৮

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: মুশকান জুবেরী যে কি দিয়ে কি রান্না করলো তাই জানতে পারলাম না।
আফসোস!

৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার ওয়েব প্রতিক্রিয়া ভালো লেগেছে। সম্ভবত এটাই আপনার কোনো পোস্টে আমার প্রথম আগমন।হেডলাইন দেখে পোস্টে এসে চোখ দাঁড়িয়ে গেল। খুব ভালো লিখেছেন। যেহেতু গোটা সিরিজ সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই কাজেই বড়তি মতামত ব্যক্ত করতে পারলাম না। তবে খাবারের নামের ব্যপারে লেখকের কম কথা বলাটা যেমন মনে ধরেছে। তেমনি ক্যানিবালিজমকে লেখকের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার বিষয়টি খুব লোমহর্ষক লাগলো। যদিও বিষয়টি ইতিপূর্বে পরিচিত।
সবমিলিয়ে বেশ ভালো একটি পোস্ট পড়লাম।++
পোস্টে লাইক।
শুভেচ্ছা জানবেন।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৪

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম!
সৃজিতবাবু নিজ মস্তিষ্কের সৃজনশীলতা দেখাতে গিয়ে প্রথমে সিরিজের বারোটা বাজিয়েছেন তারপর মনেহয় কোনো স্পটবয়ের কাছে ডিরেকশন ছেড়ে দিয়ে কোথাও ঘুরতে গিয়েছিলেন। লাস্ট দুইটা এপিসোড খুবই বিরক্তিকর! আর বাঁধন আপা এতটা নিরাশ করবে আমি ভাবিনি।

৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১৮

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: এত সুন্দর বিশ্লেষন।

কাহিনীর পোস্টমর্টেম একেই বলে।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৪

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইল।

৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দশে আপনি দুই দিয়েছেন। আমার মনে হয় ঠিকই দিয়েছেন। দশে পাঁচ বা তার বেশী কেউ দেবে বোলে আপনি কি মনে করেন?

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৮

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আমি বইটিকে হয়ত ছয় দিতাম।সিরিজকে দিতে পারলাম না কারন আসলেই খুব পচা লেগেছে।

বইয়ে ভাল রহস্য সিরিজ বানানোর সব উপকরণ আছে তবুও সৃজিত বাবু এমন করে কেন বানালেন তা জানিনা।
যারা বই পড়েনি তাদের কাছে ভাল লাগতেও পারে।সেক্ষেত্রে আরও বেশি রেটিং আসবে।
যার যার অভিরুচি এই আর কি!

১০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সেরা ভাই! সেরা!! বহুদিন পর অনেক ভালো একটা রিভিউ পড়লাম। আমি কিছুটা আশাবাদী ছিলাম শুধুমাত্র সৃজিতের কারনে। কিন্তু তিনি আমাকে প্রচন্ড হতাশ করেন বলা যায় রীতিমত অপমান করেছেন। অল্প কিছু অংশ দেখার পর আমি সিরিজটা রীতিমত ভয়েই দেখছি না। মুসকান চরিত্রে বাঁধনকে কেন এখানে কাস্ট করা হলো, আমার মাথায় ঢুকছে না। মনে হয়েছে, অতিরিক্ত যৌনাবেদনময়ী সাজতে গেছেন। সব মিলিয়ে হয়েছে কচুর ঘ্যাট।

আমি কোন ক্যারেক্টারাইজেশন নিয়েই হ্যাপি নই। খুবই পুয়র সিলেকশন।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩২

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: একদম সত্য কথা।
মুশকান আবেদনময়ী কিন্ত চিপ টাইপের না।
ভয়ংকর টাইপের সৌন্দর্য সেই সাথে কনফিডেন্স।
প্রথম দিকে তাও বা যা লাগছিল যেই না ডায়লগ দেয়ার সময় আসলো তখনি হলো সর্বনাশ।
রাহুল বোস একদমই ভালো অভিনয় করেননি। ছোটখাটো অভিনেতারাও কেমন যেন জোকারের মত অভিনয় করেছেন।

আমি কষ্ট করে পাঁচ নাম্বার পর্যন্ত দেখে ভেবেছিলাম আর দেখব না।কাজিন জোর করে দেখালো বাঁধনের সেরা অংশটুকু যেখানে সে রাহুলকে অরিগ্যানো দিয়ে মাখিয়ে খেয়ে নিতে চায়।এর চেয়েও যুগান্তকারী হচ্ছে মুশকানের পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য! যেখানে সে বাচ্চা মুরগীর মত লাফিয়ে লাফিয়ে বলে বাঁচাও বাঁচাও আর পিছনে লেজের ডগায় আগুন জ্বলার মত শাড়ির অস্বাভাবিক লম্বা আঁচলে আগুন জ্বলতে থাকে।ভাই এই অংশটা অবশ্যই দেখবেন।না দেখলে পুরাই মিস।

১১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩০

হু বলেছেন: অনেকদিন পর আপনি একটা বিস্তারিত রিভিও লিখলেন। পড়ে ভালো লাগল, এতো নেগিটিভ রিভিও দেখে এটা দেখার আর সাহস হয় নাই, অন্তত একটা খারাপ কিছু দেখলে এখন মনে হয় সময় অপচয় হয়েছে। আপনার লেখার বিশ্লেষণ ভালো লেগেছে। এবং এই রিভিও যদি নির্মাতারা পড়ে তাহলে- তারা সহ্য করতে পারবে না , হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারাও যেতে পারে।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩৮

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: হায় হায়!
ইহা কি বলিলেন ভ্রাতা!
সৃজিত বাবু যে শত পাঠক আর দর্শকের হৃদয় ভাঙ্গিয়া খান খান করিয়ে তাহাতে কিছু না?আর আমি কিঞ্চিৎ বলিলেই যত দোষ!
তাহলে ইউটিউবের রিভিউ দেখিয়া কি বলিবেন?

১২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:৫০

রোকসানা লেইস বলেছেন: এত বিকৃত বিষয় নিয়ে লেখা হয়েছে সে আবার বিখ্যাত পরিচালক সিরিজ বানিয়েছে! বই পড়া হয়নি দু একটা এপিসোড চোখে পরেছিল। ভালো লাগেনি।
হয়তো রবীন্দ্রনাথের নাম জুড়ে দেয়াই এর প্রচার।
ভালো রিভিউ।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৪

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: কয়েকটি বিষয় বাদ দিলে রহস্য উপন্যাস হিসাবে বইটা ভালই।
তবে ওয়েব সিরিজটা যাচ্ছে তাই।
হ্যাঁ নামটা খুবই আজব।নাম শুনলেই দেখতে ইচ্ছা করে ভেতরে কি আছে।

১৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৩৬

বিটপি বলেছেন: পরিচালকের মুসলিম বিদ্বেষ আমার নজরে এসেছেঃ
- কাহিনীর নায়ক প্রভাষ চন্দ (নূরে ছফা) হিন্দু কিন্তু ভিলেন মুশকান জুবেরি মুসলিম যে কিনা আবার ভয়ংকর ক্যানিবাল।
- উপন্যাস পড়ে আতর আলীকে একজন সুযোগ সন্ধানী মনে হয়েছে। এই ক্যারেক্টারের ইসলামী লেবাস দেবার কোন প্রয়োজনই ছিলনা।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৭

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: যতদূর জানি বইটির ইন্ডিয়ান ভার্সন আছে।
সিরিজে সেই ভার্সনের ক্যারেক্টর উল্লেখ করা হয়েছে।
মূল ভার্সনে সবাই মুসলিম। ঘটনার স্থান বাংলাদেশ।

আতর আলী পুলিশের ইনফরমার।সুযোগ সন্ধানী তো হবেই।

১৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩৫

অপু তানভীর বলেছেন: বই থেকে মুভি কিংবা সিরিজ বানানো মানেই হচ্ছে হতাশা । আগে যারা বইটা পড়বে তারা মুভি কিগনবা সিরিজ দেখে হতাশ হবেই । সিরিজ সম্পর্কে আপনার মনভাব পড়ে আমারও একই কথাই মনে হয়েছে । কিন্তু সিরিজ প্রকাশের পর থেকে সিরিজের প্রসংশাতে যেভাবে ভাসছে অনলাইন তাতে আমার মনে হয়েছিলো কেবল কি আমারই ভাল লাগে নি!!

তবে বইটা মোটামুটি ভালই লেগেছে আমার । বইটা আমি পড়েছিলাম একেবারে প্রথম দিকেই যখন প্রকাশ পায় ! আপনার কাছে প্রথমটা বেশি ভাল মনে হয়েছে আমার বরং উল্টো । দ্বিতীয় বইটাকে আমার বেশি ভাল মনে হয়েছে । প্রথম বইটাতে কিছুটা খাপছাড়া ভাব লক্ষ্য করলেও দ্বিতীয়টাকে আরও বেশি পরিপক্ষ মনে হয়েছে । সত্যিই বলতে কি প্রথম বইয়ের প্রথম কিছুটা অংশ পড়তে গিয়ে আমি খানিকটা বিরক্তই হয়ে উঠেছিলাম । পরে অবশ্য আস্তে ধীরে আগ্রহ ফিরে এসেছে ।

পোস্টে প্লাস !

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৮

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আমার মনেহয় প্রত্যাশা বেশি ছিল।দারুণ প্রচ্ছদ সেই সাথে সিরিজ নিয়ে মাতামাতি। রহস্যময়ী নারী আর তার রেস্টুরেন্ট!
আন্দিজের বিষয়টাকে লিংক করাটা আমার ভাল লাগেনি।সরাসরি ওখান থেকে ক্যারেক্টর না এনে এমন দেখানো যেত যে কেউ একজন ঐ সময়ে ঐ ঘটনা দেখে ইন্সপায়ারড হয়ে ক্যানিবাল হয়েছে।

এটা ছাড়া রহস্য উপন্যাস হিসাবে বইগুলো ভাল।
ব্রাম স্টোকারে লেখা ড্রাকুলা সারা পৃথিবীতে সারা জাগানো হরর উপন্যাস।এমনকি আজও এর আবেদন কমেনি একটুও।শুনেছি পেনসিলভেনিয়াতে আসলেই এই নামের এক কাউন্ট ছিলেন।তিনি নাকি খুবই নিষ্ঠুর প্রকৃতির মানুষ ছিলেন।
তার প্রাসাদও ছিল সেখানে।
উনার নাম ব্যবহার করে এমন হরর উপন্যাস লেখার কারনে নাকি তার বংশধররা মানহানীর মামলা করেছিল লেখকের বিরুদ্ধে।

লেখক যেভাবে অরিজিনাল ছবি এডিট করেছেন সেটা কতটা ঠিক কে জানে!

পরের উপন্যাসের মাঝামাঝি থেকে আমি আগ্রহী হয়েছি।শুরুর অর্ধেক খুবই কাটখোট্টা!

১৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১১

অপু তানভীর বলেছেন: প্লট নিয়ে গল্প লেখার ব্যাপারে আমার কোন অভিযোগ নেই । অনেকের কাছে মনে হতেই পারে একটা মর্মান্তিক ব্যাপারকে নিয়ে বই লেখা ঠিক কিনা, আমার কাছে এটা স্বাভাবিকই মনে হয়েছে । তবে হ্যা ছবিটা এডিট করে দেওয়ার পেছনে আমি কোন যুক্তিযুক্ত কারণ খুজে পাই নি । এমন কিছু করা আসলেই অপ্রয়োজনীয় ছিল ।

এই উপন্যাসে নামটা কিন্তু ইউনিক ব্যাপার । আমি তো বলবো বইয়ের এই সাফল্য এসেছে অনেকটাই এই নামের কারণে । এই বইয়ের নাম যদি অন্য রকম কিছু হত এতোটা পরিচিত পেত কিনা আমার সন্দেহ !

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০৮

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: নামটা আসলেই ইউনিক!
রবীন্দ্রনাথ আর ক্যানিবালিজম! ভাবাই যায়না

১৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫৬

রানার ব্লগ বলেছেন: বইটা পড়ে আমি বারবার থমকে গেছি, মনে হয়েছে কিছু একটা বাদ পরে গেছে বা, ল্কেহক তার চিন্তা হঠাত করে ঘুড়িয়ে অন্য কোন দিক নিয়ে গেছেন। পড়া শেষে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছি এই ভেবে যে যাক শেষ করতে পারলাম।

এইবার বলি সিরিজের ব্যাপারে অতি অখাদ্য !! পরিচালকের নামের সাথে মেকিং একদম বেমানান ছিলো । মোট কথা আমার ভালো লাগে নাই, বড্ড মেকি লেগেছে। সব থেকে বড় সমস্যা হলো বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট কে কোলকাতার প্রেক্ষাপটে দেখালে ঠিক মানায় না।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:১১

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: হ্যাঁ পরিচালক বোঝেনই নি ব্যাপারটা। উনি কোনো ডিপ স্টাডিও করেন নি।

লেখার ক্ষেত্রে আমারও মত পরিবর্তনের বিষয়টি মনে হয়েছে। শেষ পর্বে মুশকানের কি হয় দেখার অপেক্ষায় আছি।

১৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৩

ফাহমিদা বারী বলেছেন: বিস্তারিত রিভিউ। অনেক কিছু জানা গেল। সত্যি কথা বলতে, বইটা আমার বেশ ভালোই লেগেছিল। তবে সিরিজটা যেন তেন ভাবে নির্মিত। বইয়ের মজাটাকেও ধরতে পারেনি। সৃজিতকে কিছু মানুষ খুব আকাশে উঠায়। আমার কাছে ভালো লাগে না। নোংরামিকে খুব প্রাধান্য দেয়। আমাদের দেশেও একজন এমনধারা পরিচালক আছেন বা মাঝখানে কিছু নামডাক করতে শুরু করেছিলেন। সবকিছুতেই একটু 'ইয়ে' ঢুকিয়ে দিয়ে খুব বড় কিছু একটা দেখিয়ে ফেলেছেন এই ভাব আনতে চাইতেন। পর পর কিছু ফ্লপ খেয়ে এখন ঠান্ডা মেরে গেছেন। ভালো হইছে!

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:২৪

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: হ্যাঁ নোংরামিকেই প্রাধান্য দিয়েছেন সৃজিত।
মুশকানের ক্যারেক্টরই ধরতে পারেন নি।
উনি খালি ক্যানিবালিজম আর নায়িকার গ্ল্যামার দেখাতে চেয়েছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.