নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সন্ধ্যা প্রদীপ

আমার সমস্ত চেতনা যদি শব্দে তুলে ধরতে পারতাম

সন্ধ্যা প্রদীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিটিয়ে মানুষ মারার জাস্টিফিকেশন!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩

এদেশে অনেক কিছুই সম্ভব।বর্তমান এলোমেলো সয়য়ে যা সম্ভব না বলে মনে করতাম তাও সম্ভব হতে দেখেছি।তবে মানুষকে কয়েক ঘন্টা ধরে পিটিয়ে মারাকে ইনিয়েবিনিয়ে জাস্টিফাই করা যায় এটা ভাবিনি।তাও মেরেছে কারা?
একদল শিক্ষার্থী। যাদের শিক্ষাঙ্গন আলোকিত করে রাখার কথা।তারপর আলোর দ্বীপ নিয়ে বের হয়ে যাওয়ার কথা দেশটাকে আলোকিত করতে।সেই শিক্ষার্থীরাই এখন মানুষকে ধীরেধীরে সময় নিয়ে পিটিয়ে মারে!মাঝখানে বসিয়ে ভাত খাওয়ায়।তারপর আবারও মারে!

যে সকল অনুজ তাদের অগ্রজকে ছাত্র অবস্থায় দেখে নি তারা তাকে পিটিয়ে মারে অবলীলায়! মারে আর ভিডিও করে।সেই ভিডিও ছড়িয়ে দিতে বুক কাঁপেনা তাদের।অগ্রজ রাজনীতি করতো তাই তাকে মেরে ফেলাটা দোষের না।এদেশে কুকুর বিড়াল বন্য প্রানী পিটিয়ে মারলেও আইনের আওতায় আসতে হয় আজকাল। তবে মানুষ মারাটা মনেহয় জায়েজ!
সন্ত্রাসীরা যখন মানুষ মারে তখন বুকে এতটা ধাক্কা লাগে না,কারন তারা মনুষ্যত্ব বহু আগেই বিকিয়ে দিয়েছে।তাদের বাবা নেই,মা নেই,বন্ধু নেই।খুনের ট্রেনিং তাদের নেয়া আছে,বুকে পাষাণ বাঁধা আছে।তার পক্ষে ক্রাইম করা কঠিন নয় কিন্ত সাধারণ ঘরের সাধারণ ছেলেরা কিভাবে এসব করে?তাও এত ধীরেধীরে সময় নিয়ে,ঠান্ডা মাথায়?

আর আমাদের মত মানুষেরা কিভাবে এসবকে জাস্টিফাই করে?যে দেশে ঠান্ডা মাথার খুনকে ক্রাইম বলে মনে করা হয়না সেদেশের ভবিষ্যত বলে কিছু আছে কিনা বুঝতে পারিনা।

তফাজ্জল লোকটার তৃপ্তি করে ভাত খাওয়ার দৃশ্যটা সহ্য হচ্ছে না।
ঘুমাতে গেলে চোখে ভাসছে।স্থির হতে পারছি না।চারপাশে এত পিশাচ নিয়ে কিভাবে আমরা বেঁচে আছি?

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০২

আরইউ বলেছেন:



ঠিক বলেছেন, সন্ধ্যা!

বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন সুরে এই হত্যা জায়েজের চেষ্টা দেখা যাচ্ছে অনেকের মাঝে। আগেও হতো, এখনো হচ্ছে বলে বেড়াচ্ছেন দেখলাম এক্সম্যান। ঢাবিয়ান, যিনি লীগ ব্লগারদের হিট লিস্ট বানিয়েছিলেন, উনি আবার এর ভেতর রাজনীতি খুঁজছেন আগে। এসব লোকজনের ভয়ঙকর অমানুষ চেহারটা লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও কুৎসিত মুখটা ঠিকই বেড়িয়ে আসে।

ভালো থাকুন!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫০

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: যে দলেরই সমর্থন কেউ করুন এই ধরনের আচরণগুলোকে যারা জায়েজ মনে করেন তারা মানুষের শ্রেনীতে পরে না।জাবির ছেলেটি যখন এক্টিভলি রাজনীতি করতো তার কোনো অধ্যায়ের ফলে মানুষ তাকে এভাবে পেটাতো তখন মব জাস্টিস কথাটি প্রযোজ্য হতো। যারা তার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারা কি খুনটা করেছে?মোটেও না।খুন করেছে অন্যরা।কেন করেছে?কারন ভেবেছে এখন একে মারলে কেউ মাইন্ড করবে না!
এখানে তেলাপোকা মারার কথা হচ্ছে না।হচ্ছে মানুষ মারার কথা! কি কনসেপ্ট নিয়ে বাস করছে আজকের জেনারেশন!
ভাবতে পারেন কি অবলীলায় এরা শিক্ষকদের অপমান করছে,চোর সন্দেহে পিটিয়ে মারছে।আর বয়স্ক কিছু নির্বোধ হাতে তালি দিচ্ছে,বাহবা দিচ্ছে।

কারন মারবে এরা,মরবে এরা।ফাঁসি হবে এদের।ভবিষ্যৎ নষ্ট হবে এদের আর বুড়ো শেয়ালগুলোর চেয়ার শক্ত হবে।ক্ষমতা পোক্ত হবে।এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ছাত্রদের একটু উষ্কে দিলেই হবে।

এখন প্রতিটি বাবামায়ের উচিত নিজের সন্তানকে ঘরে তালা দিয়ে বন্ধ করে রাখা কিছু দিনের জন্য।কারন সেদিন দূরে নয় যেদিন বাবা মা নিজের সন্তানের কাছে চড় আর জুতার মালা পাবে।যাদের বয়স কম তাদের যা শেখানো হয় তারা তাই শেখে।যেদিকে উৎসাহ দেয়া হয় সেদিকেই তারা যায়।এদেরকে যা ইচ্ছা তাই ভাবে ব্যবহার করা, বাজে কাজে খুন খারাবিতে উৎসাহ দেয়া চলতে থাকলে দেশের কেউই নিরাপদ থাকতে পারবে না।এইসব নির্বোধ জাস্টিফিকেশান করা লোকগুলোও নয়।কারন দাবানল,টর্নেডো বা সাইক্লোনকে কেউ কন্ট্রোল করতে পারে না।

আপনার জন্য শুভকামনা।

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১৮

আজব লিংকন বলেছেন: স্তম্ভিত হয়ে যাই... যখন একজন খুনি বলে, আবেগে মেরে ফেলছি।
কই থেকে এরা এমন অনুপ্রেরণা পায়!
ধিক্কার।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:২৭

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: অসুস্থ মানসিকতা। অসুস্থতার চর্চা।মানবিকতা, মনুষ্যত্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আগে পরিবার থেকে শেখানো হওয়ার কথা।এই সেম কথা খুনি ছেলেগুলো কি বাবা-মা এর সামনে বলতে পারবে যে আবেগে মাইরা ফালাইছি!

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২১

মিরোরডডল বলেছেন:





যা হচ্ছে এটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য না।
যত দ্রুত সম্ভব এগুলো থামানো উচিত।

মানুষের মনুষ্যত্ব কোথায়! বিবেক কোথায়!
সব কি বিসর্জন দিয়েছে!!!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:২৩

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: বিদেশি মুভিতে সাইকো কিলারদের এসব করতে দেখেছি কিন্ত সাধারণ ছাত্ররা এগুলো কিভাবে করে?
আবরারকে যেভাবে মেরেছে,তার আগে জাবির জুবায়ের ভাইকে যারা মেরেছে তাদের পলিটিক্যাল পরিচয় ছিলো।ব্যাক আপ আছে বলে তাদের পক্ষে যা ইচ্ছা করা সম্ভব তা তারা ভেবেছিলো। আরও অনেক বাজে উদাহরণ আছে এধরণের ।আবরারের খুনিরা কিন্ত বাঁচতে পারেনি।
এদেরও সর্বোচ্চ সাজা হওয়া উচিত। তোফাজ্জল নামের মানুষটির ভাত খাওয়ার দৃশ্য সারাটা জীবন মনে থাকবে।

৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৩৬

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: যারা এ ধরনের কাজ করছে তারা মানুষরূপী ভয়ংকর পশু, সমাজ তথা দেশ এদের থেকে মুক্ত হওয়া জরুরী। এই ধরনের খুনী, গুণ্ডাদের ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা উচিত।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১৩

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: হ্যাঁ এদের সর্বোচ্চ সাজা হওয়া দরকার। এরা ক্রিমিনাল। এদের আসেপাশে বাস করা নিরাপদ নয়।
আর এ ধরনের জিনিস ফ্যাশনে পরিনত হতে দেয়া হবে সবচেয়ে বড় সর্বনাশ। এত কম বয়সে এগুলো করা শিখলো কিভাবে এটাই ভাবলে অবাক হই।

৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৭

কামাল১৮ বলেছেন: তারা কোমলমতি,না খাইয়ে মারে নাই।আল্লাহ তার মৃত্যু এই ভাবেই লিখেছিলে।তাকে কেউ দায়ী করে না।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৮

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: বেশ ছোট বেলায় এমন একটা কথা নিয়ে খুব ট্রল হতে দেখেছিলাম-
কথাটা হচ্ছে-- আল্লাহর মাল আল্লাহ নিয়েছে

৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

প্রহররাজা বলেছেন: সরকারের কাছে এই খুনের মামলার চেয়ে লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা বেশী গুরুত্বপূর্ণ, তাই তেমন কিছু হবে না, জামিনে বেড়িয়ে আসবে। স্ক্রিনশট নিয়ে রাখেন।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৬

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: অবস্থা দেখে সেটাই মনে হচ্ছে।এদেশে বিচারহীনতা কালচারে পরিনত হয়ে গেছে।
তবে সাধারণ ছাত্রদের কাছে এমন বর্বর নিষ্ঠুর আচরণ আশা করা যায় না।এখানে কিন্ত বিষয়টি হিট অফ দ্যা মোমেন্ট বলে পাড় পাওয়া যাবে না।হিট অফ দ্যা মোমেন্ট হলে কাওকে গুলি করা যায়,চড় বা লাথি দেয়া যায় বা জনগন ছুটে গিয়ে এক সাথে এটাক করে।কয়েক ঘন্টা ধরে পিটিয়ে মারা যায় কিভাবে?

৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে হত্যায় জড়িত প্রত্যেককে কঠিন শাস্তি দিতে হবে। এগুলি অমার্জনীয় অপরাধ।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫৩

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: রাজশাহীতেও হলো কিছুদিন আগে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.