নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সংস্কৃতির ভাঙ্গা সেতু, রাজনৈতিক সচেতনতা, দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ, মার্ক্সবাদ, যুক্তিবাদ, সংশয়বাদ, নস্টালজিয়া, সৃষ্টিশীলতা, মোহীনের ঘোড়াগুলি।

সংশয়বাদী হেমলক

ঘূর্ণয়মান অস্থিরতা

সংশয়বাদী হেমলক › বিস্তারিত পোস্টঃ

নভেম্বর সমূহ, ২০১৫

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৪

১.

এই সব রৌদ্র প্রখর দুপুর গুলো
যেন শুধু দুপুর নয়,
এরা মেলানকোলি মাখা বিকেলের মা!!!
এই সব ম্রিয়মাণ বিকেল গুলো
যেন শুধু বিকেল নয়,
এরা সংবেদনহীন সান্ধ্য মুহূর্ত সমূহের পূর্বসূরি।

অক্টোবরে অক্টোপাসের মত ঘিরে ধরে
আতঙ্ক,
শঙ্কার ফেনিল বুদ্বুদ পেরিয়ে-
কালো রঙা ব্যাগের আড়ালে এগিয়ে আসে
চকচকে মৃত্যু।

কি বিপদেই না ফেলে দেয় এই সব বিকেল গুলো,
সুখী নাগরিক ঘর-কান্না ছেড়ে
সাময়িক দুখী দুখী খোলস পরে নিতে হয়!!!!

তিন তালা থেকে গড়িয়ে পড়ে উষ্ণ মানব-রক্ত,
কার্নিশে চিৎকার জমে হয়ে ওঠে কুয়াশা।
আজিজ মার্কেটের মাকড়সার জালে জড়িয়ে যায়
সন্ত্রাস,
রক্ত নেমে আসে রাজপথে-
তবুও,
স্বাভাবিক যানজটে স্বাভাবিক গদ্য।
আর,
রাঙা রক্ত জমে হিম হওয়ার পরে
তুমি পরে নাও টকটকে লাল টিপ।

/আতঙ্ক, আজিজ মার্কেট ও নির্বিকারত্ব/

৩.

নিবিড় সবুজে একাকার চরাচরের বুক ফেটে বেরিয়েছে
পাখির চোখের মত স্বচ্ছ এক নিটোল পুকুর।
ডুরে নীল শাড়ি পরা এক অষ্টাদশী,
শামুকের মতন সমদ্রুতিতে এগিয়ে যাচ্ছে ঐ বৃত্তাকার জ্যামিতির দিকে।
বহু দিন ধরে কোমর জড়িয়ে থাকা এক পেতলের কলসের মসৃণ গলায়
সোনালী আঁশ পরিয়ে নেবার পর,
ঐ বন্ধনের বাকি টুকুতে নিজেকে আটকিয়ে নেয়, উজ্জয়িনী।
তারপর, অতি প্রাচীন ধীরতায় এগিয়ে যায়
ক্রান্তি বিন্দুর দিকে।


পাখিদের বৈকালীন গৃহ-কাতর উচ্ছ্বাস সমূহ থামবার পর,
তাদের কণ্ঠের যৌনতা সমূহ নির্বাপিত হওয়ার পর,
প্রেমিক পাখিদের এক-চিলতে হৃদয় সমূহ তাদের সঙ্গিনীদের ওষ্ঠাগত হওয়ার কালে,
অড়হর বনের অতিপ্রাকৃত ছায়াদের সঙ্গে মৃগাঙ্কের মিলন মুহূর্তে,
উজ্জয়িনী নিরাসক্ত ভঙ্গিমায় মিলিয়ে যায় পুকুরের কেন্দ্রের দিকে।

ব্যস্ত নাগরিক হৃদয় এড়িয়ে,
এক টুকরো দীর্ঘশ্বাস ফুটে বের হওয়ার মতন-
পুকুরের সমস্ত জল মাত্র একটি বারের জন্য কেঁপে ওঠে,
তাদের নিয়ত ধ্যান মগ্নতা থেকে।


হ্যা, এই অষ্টাদশীই আমার বাঙলাদেশ-
আমার দাঁড়িয়ে থাকবার জমিন।

/আসুন একটা মৃত্যু দৃশ্য কল্পনা করি/

০.

পেট ভরা খিদে নিয়ে দুপুর বেলায় যখন মিছিল গুলো নামে,
তখন রৌদ্রের নামে শপথ নেয় ওরা।
বিচ্ছিন্ন মানুষের ঘনীভবনে গাঢ় হয় মিছিল,
মিছিল- শহরের উজ্জ্বল বেদনার নাম।
এলোকেশী সুপর্নার চুলের মত
সর্বনাশা এই মিছিল,
ঘাই দিতে দিতে এগিয়ে চলে
প্রতিটি রাজপথ-
প্রতিটি মানুষের নিস্তরঙ্গতা।


মিছিলের প্রথম প্রস্থচ্ছেদে থাকে মিছিলের মুখ,
-মিছিলের যুবরাজেরা।
বন্ধুগণ,
আসুন এবার তাকানো যাক মিছিলের হৃদয়ের দিকে-
মিছিলের বুকের ঐ জায়গা থেকেই
দমকের পর দমক উঠতে থাকে শ্লোগানের......
হ্যা, বন্ধুগণ
শ্লোগানই মিছিলের হৃৎপিণ্ড।
শিরদাঁড়া দিয়ে শীতল স্রোত নামার মতন,
এই সব শীতল শ্লোগান ছোবল বসায় শোষনের কেন্দ্রে-
নৈঃশব্দের পাড় ভাঙ্গার সাথে সাথে ভেঙ্গে পড়ে অন্যায্য বসতি।
মিছিলের শেষ পরিচ্ছেদে খেলা করে নানা চোরা স্রোত-
সংসারী ও সংসার-দ্রোহী,
প্রেমিক ও কামুক,
বিদ্রোহী ও বিশ্বাসঘাতক......

আকাশের শরীর থেকে তারা খসবার মতন,
প্রায়শই মিছিলের অবয়ব থেকেও খসে পড়ে তার কারিগররা-
তার যুবরাজরা।
মাঝে মাঝে দম হারায় তার হৃৎপিণ্ড......

তবুও আশা রাখি,
তবুও আশা রাখতেই-
মিছিলই একদিন হয়ে উঠবে সমাজের প্রকট কন্ঠ,
সমাজের জ্বালামুখ।

/মিছিলের রূপ/

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২৪

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: ভাই লিখেছেন তো অনেক কষ্ট করে, পড়লামও কষ্ট করে, কিন্তু কিছুই বুঝতে পারলাম না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.