![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন অতি সাধারণ মানুষ । জীবনের ইচ্ছা বা স্বপ্নগুলো বা ভাবনাগুলো হয়তো বা কোনদিন বাস্তবে রূপান্তরিত করতে করতে পারবো তাই আমি ব্লগ লিখে আমার ইচ্ছা/স্বপ্নগুলো/ভাবনাগুলো প্রকাশ করি।
আজকের সমাজে পুরুষ এবং মহিলা সমান অধিকার/সম্মান চায় এবং তাই হওয়া উচিত।
কিন্তু আমাদের সমাজ ব্যবস্থা তা এখনো গড়ে উঠেনি। আজকের সমাজে এখনও একটি মেয়ে অন্যায় করলে সমাজের লোকেরা তা অন্য দৃষ্টিতে দেখে কিন্তু একটি ছেলে এক হাজার টা অন্যায় কাজ করলেও সমাজের লোকেরা তা অন্য দৃষ্টিতে দেখে না।
যেমনঃ
একটি মেয়ে রাস্তায় দাড়িয়ে ছেলেদের সাথে কথা বললে বা গোপনে মোবাইলে কথা বা ভুলক্রমে বিপথে চলে গেলে তা আমাদের সমাজের লোকেরা তা মহাভারত অশুদ্ধ হওয়া যাওয়ার মত মনে করে কিন্তু এদিকে ছেলেটা বিপথে বা খারাপ পথে চলে গেলে আমাদের সমাজের লোকের তা কানেই তোলে না।
একটি মেয়ে যখন বিপথে চলে যায় তখন তার পরিবারে এই মেয়েকে বিয়ে দিতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় কিন্তু এদিকে ছেলেদের ক্ষেত্রে দেখা যায় দুদিন পরেই অরেকটা বিয়ে করছে।
একটি মেয়ে যখন বিপথে চলে যায় তখন তার পরিবারকে খুব অপমানিত হতে হয় কিন্তু তা ছেলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
একটি মেয়ে আমাকে একদিন বলেছিলো” ছেলেরা হলো সোনার আংটি। যা বাকা হলেও তা দামি”। এই কথার মানে আজ ভাল ভাবে উপলব্ধি করছি।
আমার প্রশ্ন এখানেই মেয়েদের বিপথে চলে যাওয়ার পিছনে কারা দায়ি?
আমরা সবাই জানি মেয়ে বা ছেলেরা পরিবার এবং সমাজ থেকে ভাল মন্দ শিখে।.
১। পরিবারে সদস্যদের অসচেতনা এবং দায়িত্বহীনতা।
২।একটি মেয়ে ঘুম থেকে উঠেই টেলিভিশনে দেখে বিভিন্ন নাটক – সিনেমা। আর সিনেমা প্রধান অংশ হল প্রেম-ভালবাসা আরো অনেক কিছু ...............। আর তা দেখে তাদের মধ্যে একটা কৌতুহলের সৃষ্টি হয় এবং তারা বিপথে পা দেয়।
২।আরেকটা বিষয় পরিবারের বড়রা অনেকে অল্প বয়সি মেয়ে বা ছেলেরদের সামনে বসে মোবাইলে রোমান্টি আলাপ করেন আর এর জন্য অল্প বয়সের মেয়ে বা ছেলেরা বিপথে পা দেয়।
৩। আর অধুনিকতা (Smart phone, internet, computer) বদলতে আমাদের হাতের কাছেই ভাল-মন্দ। প্রকৃতির নিয়মটায় এমন যে “অধিকাংশ মানুষের ভাল চেয়ে খারাপের দিকেই বেশি আকর্ষণ।”
৪। অধুনিকতার বদলতে আজ অনেক মেয়েরা না বুঝে অনেক বিপদে পড়ে। কারণ বিভিন্ন রকম ভিডিও বা ছবির জন্য তারা বিপথে যেতে বাধ্য হয়।
এবার প্রশ্ন হল এর সমাধান কি?
১। সবার প্রথমেই সকলের বুঝা উচিত “আজকে যেই মেয়েটি আপনার চোখের সামনে দাঁড়িয়ে, সে কারো বোন, ভবিষ্যতে কারো না কারো জীবন সঙ্গী হবে, আবার আরেকটা বিষয় গুরুত্বপূর্ণ তা হল ভবিষ্যত মা জননী”। তাই সকলের উচিত মেয়েদের সম্মান করা।
২। ছেলে বা মেয়েকে নিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ঘুরতে যাওয়া যেমন বড় শিক্ষা প্রতিষ্টান, ...। যাতে তাদের মনে বড় হওয়ার স্বপ্ন জাগে।
৩।ছেলে বা মেয়েদের দিকে বাবা-মা, এবং বড় ভাই বোন সচেতন থাকা যে তারা সারাদিন কোথায় যাচ্ছে বা কি করছে। অনেক পরিবারই তার সন্তাদের উপর দায়িত্বশীল না। অরেকটা কথা মেয়েটা বিপথে যাওয়ার জন্য পরিবারের সদস্যই অনেকটা দায়ি কারণ অল্প বয়সের ছেলে বা মেয়েরা তার ভাল পথ বা খারাপ পথ বুঝে না। তাই আবারো বলছি তাদের শাসনের সাথে সাথে নিজেরাও বদলাতে হবে বা দায়িত্বশীল হতে হবে।
৩।ছেলেদের বা মেয়েদের সারাদিন টেলিভিশন দেখতে না দিয়ে খেলাধুলা বা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করানো বা গান বা নৃত্য বা অন্যান্য শিক্ষামুলক কাজে লিপ্ত করুণ।
৪। মোবাইল ব্যবহারে মেয়ে বা ছেলেদের প্রতি সচেতন হন।
৫। বাড়িতে খুব নিকট এবং ভাল বন্ধু ছাড়া অন্য কোন ছেলেদের বাড়িতে আসা যাওয়া কমাতে হবে।
৬। বাড়ি থেকে যখন কোন জায়গায় বেড়াতে যাওয়া হয় তখন মেয়েকে চোখে চোখে রাখা। কারণ এখান থেকে থেকেই তাদের বিপথে বেশি শুরু হয়।
৭। বাড়ির শিক্ষিক মেয়েদের জন্য মেয়ে শিক্ষেই ভাল।
সর্বপরি বলতে চাই এমন কিছু করতে হবে যেন মেয়েটি বা ছেলেটি মনে করে জীবন মানেই খেলাধুলা, বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ওংশ গ্রহণ করা, জীবনে বড় কিছু হয়ে সমাজের কাজে নিজে নিবেদিত করা।
বি. দ্র. উপরের কথা গুলো শুধু ১২ থেকে ১৯ বছরের মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তারপরও অনেকে বিপথে যায় কিন্তু তার জন্য সে নিজে দায়ি।
১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৫৭
সনেট০৬ বলেছেন: অসংখ্যক ধন্যবাদ
২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ২:১৬
সময়ের কাণ্ডারী বলেছেন: বিশ্লেষণধর্মী লেখা । ভাল লেগেছে ।
৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:১৮
অণুষ বলেছেন: ২ আর ৪ নম্বর কারনটাই বেশি ভয়াবহ।
৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৫২
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ভাল লিখেছেন। ধন্যবাদ
৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:০৯
বিজন রয় বলেছেন: বাহ! ভাল লিখেছেন।
+++++
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪৪
সুরাইয়া বীথি বলেছেন: পড়ে ভাল লাগল তন্মধ্যে ৬ নম্বর পয়েন্টি বেশি ভাল লাগল ! আসলে আমাদের সমাজের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন না হলে এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসাটা খুবই কঠিন ! ধন্যবাদ