নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আজমল হক (আজম)

আজমল হক (আজম) › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফকির/ভিক্ষুক

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৭



ভিক্ষুক বা ফকির শব্দটির সাথে সকলেই পরিচিত । যা পড়া বা শোনা মাত্রই সকলের মনে একজন হতদরিদ্র মানুষ যার এক বেলা খাবারের যোগার নেই । মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে প্রতি বেলার অন্ন সংগ্রহ করতে হয় । এ রকম মানুষের ছবি ভেসে উঠে । এরাও ফকির বা ভিক্ষুক । তবে এখানে আমি ভিন্ন ধরনের ভিক্ষুকের পরিচয় তুলে ধরব ।



ভিক্ষুক কত প্রকার?



আমার মতে ভিক্ষুক দুই প্রকারঃ ১, অশিক্ষিত ভিক্ষুক ও



২, শিক্ষিত ভিক্ষুক ।



১,১ অশিক্ষিত ভিক্ষূকঃ



এরাই মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে জিবিকা অর্জন করে । যে যা দেয় তাই গ্রহন করে । অতিরিক্ত কিছু দাবি করে না । এদেরকে ভিক্ষা দিলে ধর্মীয় মতে অনেক কল্যান, ছওয়াব পাওয়া যায় । এদেরকে দান করলে ইসলামিক নিয়মে দান করনে ওয়ালার ধন বাড়বে । এদেরকে বেশি করে যাকাত দিবেন । আমরা বাংলাদেশের সকল সচ্ছল ব্যক্তি এদের দিকে সু-নজর দিলে তাদের অভাব পূর্ণ হয়ে যাবে । আমরা ধনীরা যদি আমাদের যাকাতকে যথাযথ শরিয়া নিয়মে দেই তাহলে এমন এক সময় আসবে যেখানে দেখা যাবে দান খয়রাত করার মত কোন অশিক্ষিত ভিক্ষুক আর খুজে পাওয়া যাবে না ।



২,১ শিক্ষিত ভিক্ষুকঃ



অশিক্ষিত ভিক্ষুককে সকলেই বুঝতে পারলেন । কিন্তু সকলের মনে আগ্রহ শিক্ষিত ভিক্ষুক আবার কে? অনেক শিক্ষিত লোক আবার মনোক্ষুন্ন হতে পারেন । তাই বিষয়টি ভালো করে পড়ার ও বুঝার জন্য অনুরোধ করছি ।



আসলে শিক্ষিত হয়ে বিভিন্ন বিপর্যয়ের কারনে মানুষ একে অপরের কাছে হাত বাড়াতে পারে । এ ধরনের শিক্ষিত ফকির ও ভাল । তাদেরকেও সাহায্যার্থে দেশ বাসির এগিয়ে আসাও কল্যান ও ছওয়াবের কাজ ।



অনেক শিক্ষিত লোক যাদের কোন সমস্যা নেই । তারা যদি জনগনের জন্য, সমাজের জন্য মানুষের কাছে হাত বাড়ায় তারাও ভাল । এ ধরনের কর্মকান্ডে সকল নাগরিকের শরিক হওয়া অত্যন্ত কল্যান ও ছওয়াবের কাজ ।



আরো অনেক ভালো শিক্ষিত লোক আছে যারা ব্যক্তির জন্য, সমাজের জন্য, দেশের জন্য, জনগণের জন্য ভালো । যাদের দারা সকলেরই কম বেশি উপকার হবে ।



ভালোর বর্ণনা আর বিস্তারিত লেখলাম না । যাহোক শিক্ষিত লোক মনোক্ষুন্ন হবেন না । আপনারা যে যে অবস্থানে আছেন সকলেই ভালো বুঝেন ।



দুধকে আমরা আদর্শ খাদ্য জানি । এই আদর্শের মধ্যে যদি এক বিন্দু টক মিশানো হয় । তার আসল রুপ বা আদর্শ গুন থাকে না ।



আমি এখন খারাপ শিক্ষিত ভিক্ষুক বা ফকির এর বিবরণ উল্লেখ করবো ।



আমরা শিক্ষিত লোক অনেকেই ব্যক্তিগত, বেসরকারি, সরকারি ইত্যাদি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকি । আমরা ব্যক্তিগত আয় বা বেতন যা পাই তা দিয়ে জীবিকা অর্জন করি ।



এমন অনেক লোক আছে যাদের ব্যয়ের চেয়ে আয় বেশি । তারপরও তারা ভিক্ষুক সেজে বসে থাকেন । তাদের অভাব যেন কোন দিনই পূর্ণ হচ্ছে না । এতক্ষণে আমি আকার ইঙ্গিতে যে খারাপ শিক্ষিত ভিক্ষুকের কথা বলছি তা অনেকে হয়তো অনুধাবন করতে পারছেন ।



আমি ঐ সমস্ত শিক্ষিত লোকের কথা বলছি যারা বিভিন্ন ধরনের কাজের বিনিময়ে অবৈধ ভাবে টাকা দাবি করে । অর্থাৎ ঘুষ চায় ।



ঘুষ নেয়া ও দেয়া উভয়ই অপরাধ । এ ধরনের কাজ থেকে আমরা বিরত থাকার চেষ্টা করবো ।



যারা ঘুষ নেয় তারা বলে অনেকে আমাকে ইচ্ছায় খুশি মনে দেয় ।



আসলে আপনি বাহ্যিক দৃষ্টি বলেন । অন্তর দৃষ্টিতে অনুধাবন করুন যে কাজের জন্য আপনাকে মাসিক বেতন দেয়া হয় সে কাজ কেউ ঘুষ দ্বারা করে নিয়ে খুশি হতে পারে কি ?



জরিপ করে দেখুন ঘুষ দিলে কেউ খুশি হয় এ রকম একজনও খুজে পাবেন না ।



বরং আপনার অগোচরে খারাপ মন্তব্য করে । যে অবৈধ ভাবে অর্থ সম্পদ অর্জন করবে তার মনে শান্তি থাকবে না । নানান ধরনের রোগ, শোক, টেনশন লেগেই থাকবে ।



এ ধরনের শিক্ষিত ভিক্ষুক কে ঘুষ বা ভিক্ষা দিলে কারোর কোন উপকার হবে না ।



অনেকে বলে আমরা অনেক ক্ষেত্রে পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে পড়ি ।

না দিয়ে পারি না ।



তাদের উদ্দেশে বলি-এ অবস্থায় দিলে আপনার কোন অপকার হবে না ।

যে নিবে তারই ক্ষতি হবে, তার মনের শান্তি দুরিভূত হবে, সে নানা ধরনের পেরেশানীর মধ্যে থাকবে ।



তবে যারা পরিস্থিতির স্বীকার এ রকম ক্ষেত্রে শুধু নিরবে সহ্য করলে হবে না । আপনার সামর্থ অনুযায়ী প্রতিহত করার চেষ্টা করতে হবে ।



সুযোগ বুঝে উচিৎ শিক্ষা দিতে হবে ।



আর এ কথা সকলেরই মনে রাখতে হবে ঘুষ নেয়া ও দেয়া উভয়ই অপরাধ ।



আমরা যারা ঘুষের আশায় থাকি সকলেই নিজের শান্তির জন্য, সমাজের শান্তির জন্য, দেশের শান্তির জন্য, সর্বোপরি জনগণের শান্তির জন্য তা পরিহার করার দৃঢ় অঙ্গিকার ব্যক্ত করি ।



অনুরুপ ভাবেঃ



শয়তান দুই প্রকার



১; ধর্ম বিরোধি শয়তানঃ



যার কাজ ধর্মের নির্দেশের বিপরীত করা ।



২; ভালো শয়তানঃ



যার কাজ ধর্মের নির্দেশে সংযোজন করা বা বিয়োজন করা অর্থাৎ বেদআত তৈরী করা ।



বর্তমানে ভালো শয়তানের প্রভাব বেশী । এর নির্দেশে সকলের সতর্ক থাকতে হবে । অনেকে বেখেয়ালী ভাবে এর ধোকায় পড়ে যায় ।



এই দুই প্রকার শয়তানই ক্ষতিকর ।



চোরও দুই প্রকার



১; অশিক্ষিত চোরঃ



যারা গোপনে মানুষের মালামাল চুরি করে ।



ধরা পড়লে ছাড় নাই গণ পিটানি মাফ নাই ।



২; শিক্ষীত চোরঃ



যারা সুকৌশলে বিভিন্ন পণ্যে ভেজাল করে বা কম বেশি করে । বিভিন্ন কর্মকান্ডে যা ব্যয় হয় তার চেয়ে হিসাবে বেশি দেখায় ।



এরা ধরা ছোয়ার বাইরে । দুই একজন ধরা পড়লেও আলোর কনার মত কোন ফাক দিয়ে বের হয়ে যায় অনেকে টের পায় না ।



এই দুই প্রকার চোরও জনগণের জন্য ক্ষতিকর ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
প্রেসক্লাব এলাকায় একটা পোস্টারে দেখলাম জনৈক রুহুল আমি বলছেন ফকিরের মর্যাদা ঘুষখোরদের চেয়ে এক ধাপ উপরে।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৯

আজমল হক (আজম) বলেছেন: জ্বী ! ফরিরের অভাব পূর্ণ হতে পারে ।
কিন্তু ঘুষ খোর শিক্ষিত ফকিরের মরার পরেও অভাব থাকে !!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.