![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন অতি সাধারণ মানুষ। নিজের সম্পর্কে বলবার মত তেমন কিছুই আমার নেই। আমি সর্বদা সত্যের সন্ধানে সময় কাটাতে ভালবাসি। আর ভালবাসি স্রষ্টা ও সৃষ্টিকে। প্রয়োজনে মানুষের পাশে থাকার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করি। অন্যকে ঠকানোর কথা ভাবতেই পারিনা। এ কালটাই যে সবকিছুর শেষ নয় তা বিশ্বাস করি।
আল-কোরআনের সূরা বাক্বারার: ২২৩ নং আয়াতটি উল্লেখ করে অনেকে স্ত্রীদের সাথে যথেচ্ছা ব্যবহারের পাঁয়তারা করে থাকেন।
তারা আয়াতটি খণ্ডিতভাবে এভাবে পেশ করেন- //কুরআনে কারীমের সূরা বাক্কারা ২২৩ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, "তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর।" //
এমনকি তারা দাবি করেন যে, কুরআনে কারীমের নির্দেশ আনুযায়ী নাকি কোনো ব্যক্তির জন্য তার স্ত্রীর পশ্চাদ্দেশে গমন করাতে কোন বাঁধা নেই- নাউযুবিল্লাহ। কারণ কুরআনে নাকি তাদের সাথে ইচ্ছেমতো ব্যবহার করতে বলা হয়েছে! তারা এটাও দাবি করেন যে, আল-কোরআন নয়, বরং শুধুমাত্র হাদিছ দ্বারাই স্ত্রীদের পশ্চাদ্দেশে গমন হারাম করা হয়েছে।
হায়! হায়! তার মানে কি তারা বলতে চাইছেন ও বিশ্বাস করেন যে, আল-কোরআন অসম্পূর্ণ!!?? আসলে তারা হয়ত জানেনই না যে শুধু বাহ্যিক চোখটাকে খোলা রাখলেই চলবে না, এর সাথে অন্তর্চক্ষু খোলা রেখে তবেই মহান আল্লাহর বাণী পাঠ ও বোঝার চেষ্টা করতে হয়? তা না হলে মহান স্রষ্টার বাণীকে এভাবে খাট করে শুধু গোনাহ কামাইয়ের পথই প্রশস্ত হবে এবং যা খুবই দুঃখজনক।
তারা যে আয়াতটি উল্লেখ করে এরূপ উদ্ভট দাবি করেন, তার আগের আয়াতটি কি একবারও তাদের নজরে আসেনি? এখানেই তো এর স্পষ্ট ইংগিত দেয়া আছে। যারা আক্কেলমন্দ এবং পবিত্র ও সরল অন্তরের মানুষ, তারা এতে ঠিকই বুঝে নেবেন। এবার আয়াতটির প্রতি মনোযোগ সহকারে লক্ষ্য করুন-
(০২:২২২) অনুবাদ- আর তারা তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েজ (ঋতু/ মাসিক) সম্পর্কে। বলে দাও, এটা (adhan = ailment, trouble, hurt) পীড়া/ অসুস্থতা/ যন্ত্রণা/ অস্বস্তি/ কষ্ট/ ক্ষতি। কাজেই তোমরা হায়েজ অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে, তখন গমন কর তাদের কাছে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন।
একই সাথে নিচে উল্লেখিত (০২:২২২) নং আয়াতটির সম্পূর্ণ অনুবাদটি দেয়া হলো-
(০২:২২৩) অনুবাদ- তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য কর্ষণকারী উর্বর শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যখন-যতো খুশি তোমাদের কর্ষণকারী উর্বর শস্য ক্ষেত্রে গমন কর। আর তোমাদের নিজেদের জন্য উৎপাদন (অগ্রীম/ আগামী দিনের ব্যবস্থা গ্রহণ) কর এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক। আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে, আল্লাহর সাথে তোমাদেরকে সাক্ষাত করতেই হবে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে দাও।
তাদের কাছে একটি প্রশ্ন- নারীদের হায়েজ/ ঋতু বা রক্তস্রাব কোন পথে হয় এবং কোন পথে তাদের সাথে মিলিত হলে নিজেদের জন্য (সন্তান) উৎপাদন কার সম্ভব?
এটি জানেন না, এমন কোন মানুষ আছে কি? যদি এমন কেউ থেকে থাকেন, তাহলে তাকে কোলের শিশুর সাথেই তুলনা করা চলে। পাগলের সাথে তুলনা করলাম না। কারণ অনেক পাগলও অন্তত এটা বোঝে। সুতরাং যারা না বোঝার ভান করবে, তাদের অন্তরে অবশ্যই কপটতা ও অশ্লীলতার প্রতি গুপ্ত আকাঙ্খা রয়েছে।
স্বাভাবিক অবস্থায় অর্থাৎ যখন স্ত্রীরা রজঃস্রাব মুক্ত ও পবিত্র অবস্থায় থাকবেন তখন স্বামী-স্ত্রীর মাঝে একান্ত মেলামেশা করার ব্যাপারে স্থান-কাল-পাত্র ভেদে মূলত কোন বাধ্যবাধকতা রাখা হয় নাই ঠিকই। কিন্তু তাই বলে যথেচ্ছা ব্যবহার কোরে তাদেরকে কষ্টকর পরিস্থিতিতে ফেলার কোন স্কোপও খোলা রাখা হয় নাই। যেহেতু হায়েজ অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাকতে আদেশ দেয়া হয়েছে, সুতরাং শুধু রজঃস্রাবের সময়ই নয়, স্বাভাবিক সময়েও রজঃস্রাবের পথ অর্থাৎ যোনিপথ ছাড়া অন্য কোন পথে এমনকি পশ্চাদ্দেশে গমন কারার পথও বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ যদি স্ত্রীদের পশ্চাদ্দেশে গমন কারার পথটি খোলা থাকত, তাহলে রজঃস্রাবের সময় অন্তত এই অপশনের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে মহান আল্লাহতায়ালা কাউকে ভয় কিংবা লজ্জা পেতেন না। তাছাড়া পশ্চাদ্দেশে (পায়ু পথে) গমনের মাধ্যমে তো সন্তান উৎপাদেনর শর্তটিও পূরণ হওয়া সম্ভব নয়।
রজঃস্রাবের সময় যোনিপথে রক্তক্ষরণের কারণে নারীরা বেশ অস্বস্তি বোধ করেন। আবার কারো কারো জন্য কষ্টকরও হতে পারে। তাই শুধু স্রী-সহবাসই নয়, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায় ততক্ষণ তাদের সাথে যৌন আকাঙ্খা সৃষ্টি হতে পারে এরূপ বেশি ঘেঁষাঘেঁষি করার ব্যাপারেও সাবধান থাকতে বলা হয়েছে। কারণ তাহলে হয়ত উত্তেজনা ও দুর্বলতা হেতু স্ত্রীদের সম্মুখ কিংবা পশ্চাদ্দেশে গমনের মত হারাম কামে লিপ্ত হয়ে তাদেরকে আরও কষ্টকর অবস্থায় ফেলার মত অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু মহান আল্লাহ তো এমনটি চান না। তাই তো এ সময় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার উপদেশই দেয়া হয়েছে। কিন্তু তাই বলে আবার অতিমাত্রায় রক্ষণশীল সেজে তাদেরকে অচ্ছুত ভেবে একবোরে দূরে ঠেলে দেয়া কিন্তু মোটেই ঠিক হবেনা্। বরং একসাথে বসে গল্পসল্প ও খাওয়া-দাওয়া করা, দৈনন্দিন কাজ, পড়াশুনা ও বেড়াতে যাওয়া ইত্যাদি কোন ব্যপারেই কোন বাধা নেই।
সুতরাং যারা অন্তর দিয়ে পবিত্র কোরআন পাঠ করেন, তাদের জন্য এর মাঝেই সকল প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই আছে। প্রয়োজন শুধু খুঁজে ও বুঝে নেয়ার মত একনিষ্ঠ ও পবিত্র প্রচেষ্টার। আর আল-কোরআনের এই নির্দেশকেই বিভিন্ন হাদিছে আরও খোলাসা করে তুলে ধরা হয়েছে যেন কামলিপ্সু ও সুযোগ সন্ধানী মানুষ সরল মনাদেরকে নয়-ছয় বুঝিয়ে দুষ্কর্মে লিপ্ত হতে না পারে।
এই বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত কয়েকটি প্রচলিত হাদিছ নিচে তুলে ধরা হলো-
"Do not have anal sex with women." (Reported by Ahmad, At-Tirmidhi, An-Nasa'i, and Ibn Majah.)
Khuzaymah Ibn Thabit (may Allah be pleased with him) also reported that the Messenger of Allah (peace and blessings be upon him) said: "Allah is not too shy to tell you the truth: Do not have sex with your wives in the anus." (Reported by Ahmad, 5/213.)
Ibn `Abbas (may Allah be pleased with him) narrated: "The Messenger of Allah (peace and blessings be upon him) said: "Allah will not look at a man who has anal sex with his wife." (Reported by Ibn Abi Shaybah, 3/529, and At-Tirmidhi classified it as an authentic hadith, 1165)
Further, it is reported that the Prophet (peace and blessing be upon him) referred to such an act as "minor sodomy". (Reported by Ahmad and An-Nasa'i)
However, it is allowed to caress the wife and stimulate her around the anus, without having sex in this area. It is reported that `Umar Ibn Al-Khattab (ay Allah be pleased with him) came one day to the Prophet and said, "O Messenger of Allah, I am ruined!" "What has ruined you?" asked the Prophet. He replied, "Last night I turned my wife over," meaning that he had had vaginal intercourse with her from the back. The Prophet (peace and blessings be upon him) did not say anything to him until the verse cited above was revealed. Then he told him, "[Make love with your wife] from the front or the back, but avoid the anus and intercourse during menstruation." (Reported by Ahmad and At-Tirmidhi)
যেহেতু পবিত্র কোরআনে স্ত্রী সহবাসের জন্য রজঃস্রাবের পথ ছাড়া অন্য কোন পথই খোলা রাখা হয় নাই। আবার হাদিছে পশ্চাদ্দেশে গমন করাকে স্পষ্ট ভাষায় নিষেধ করা হয়েছে, সমকামের সাথে তুলনা করা হয়েছে এবং যারা এরূপ অবৈধ কর্মে লিপ্ত তাদের প্রতি আল্লাহতায়ালা দৃষ্টিপাত করবেন না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সুতরাং যারা এরূপ অবৈধ কাজে লিপ্ত হয় এবং যারা এটিকে অবৈধ ভাবেনা তাদের পরিণতি খরাপ বৈ ভাল নয়।
সেইসাথে যারা এমনও মনে করেন যে, হাদিছ ছাড়া মহান স্রষ্টার প্রেরিত বিধান অচল কিংবা সম্পূর্ণ নয়। তারা কি বোঝেন না যে, এমনতর অবান্তর ও স্টুপিডটাইপ দাবি করা সত্যি অপমানকর ও পবিত্র কোরআনকে খাট করারই নামান্তর। যে মুসলিম জেনেবুঝে এমনটি ভাববে ও করবে তার নিস্তার নেই। আর যদি কেউ না বুঝে এমনটি করেন তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তওবা করে নেয়াই তার জন্য মঙ্গলজনক।
২০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০৮
সত্য৭৮৬ বলেছেন: জী, বিয়ে করা বউ হলেও পশ্চাদ্দেশ অর্থাৎ পায়ুপথে সহবাস করা এবং ঋতুকালে স্বাভাবিক সহবাস করাও হারাম।
২| ০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৬
মুদ্দাকির বলেছেন: ভালো +++
২০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১৩
সত্য৭৮৬ বলেছেন: মন্তব্য প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ-
৩| ১৯ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৭
পংবাড়ী বলেছেন: মানুষ কি কোরানের অনুমতি নিয়ে বিয়ে করে?
২০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১২
সত্য৭৮৬ বলেছেন: জী, মুসলিমেরা কোরআনের অনুমোদিত পন্থায় বিয়ে করে।
৪| ১৯ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যথেচ্ছা গমনের আয়াতের শানে নুযুলটা দিলে বিষয়টা আরো ক্লিয়ার হতো মনে হয়। আশা করি জানা আছে।
২০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১১
সত্য৭৮৬ বলেছেন: কেন? শানে নযুলে অন্য কোন মানে পেয়েছেন কি?
৫| ২৪ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫৩
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হুমম, আল্লাহ আমাদের সহীহ বুঝ দান করুন, আমিন।
২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:১০
সত্য৭৮৬ বলেছেন: আমিন--------
৬| ২৫ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৫১
কানা দাজ্জাল বলেছেন: আল্লাহ পাক আপনার এই ব্যাখ্যা বোঝার ক্ষমতা নাবোঝদার মধ্যে পূর্নরূপে দান করুক। আমিন।
যাযাক আল্লাহু খায়ির।
২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:০৬
সত্য৭৮৬ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ-
৭| ২৫ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৬
মাথা ঠান্ডা বলেছেন: কুরআন থেকে দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করলে আমরা অনেক কিছুই জানতে পারব। আপনাকে কষ্ট করে পোস্ট দেওযার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:০৮
সত্য৭৮৬ বলেছেন: না ভাই কষ্ট বলবেন না। এটা তো আমার কর্মেরই একটা বিশেষ অংশ- আপনাকেও ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৪
ঠোটকাটা মানুষ বলেছেন: পশ্চাতদেশ দিয়ে গমন করা হারাম । হারাম । হারাম । অনেকে ফতোয়া দিয়ে থাকেন যে পশ্চাদদেশ দিয়ে গমন করলে স্ত্রী হারাম হয়ে যাবে । তবে, অনেকেই উল্লিখিত আয়াতটির মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন । তবে, হারাম ।