![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিনকাল বড্ড ভালো কাটছে ।লংগদু নামক বান্দরবানের এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশুদ্ধ আবহাওয়া আমার প্রায় বুড়ো শরীর চাঙা করে দিয়েছে ।সকালে উপজাতি বাচ্চাদের দলবেধেঁ স্কুলে যাওয়া দেখে সকাল শুরু হয় আমার ।রাজউকের এক পদস্থ কর্মকর্তা ছিলাম ।কি করে এখানে এলাম?
সে এক লম্বা কাহিনী ।অফিসের কাজের চাপে ব্যস্থ থাকতাম সারাদিন আর রাতের প্রায় বেশ কিছু অংশ ।হাইক্লাস লোকদের সাথে সস্ত্রীক পার্টিতে যেতাম ।অথচ আমার যেটুকু বিত্ত থাকার কথা ছিল তা আমার ছিলনা ।কারন আমি ঘুষকে ঘৃনা করি ।নারীজাতির ওপরে ওঠার প্রাকৃতিক লোভ বাধ্য করে আমার স্ত্রীকে আমার বিত্তবান কলিগদের বিছানায় যেতে ।কাজের হাসফাঁসে হয়তো আমি খেয়ালই করতাম না বিছানায় বউয়ের উপস্থিতি ।হয়তো তখন দুই উরুর মাঝে কোলবালিশই হত আমার শেষ সম্বল ।কিন্তু যেদিন মাতাল অবস্থায় ছেড়াখোড়াঁ শাড়িতে আমার বউকে বাড়িতে ড্রপ করে দিতে এলো অফিসেরই এক জুনিয়র তখনই আমার চেতনা হলো ।কিচ্ছু বললাম না ।
আমার মেয়ে শিপ্রা ।ছোটবেলায় কি সুন্দর টুকটুক করে বেনি দুলিয়ে স্কুলে যেত ।আমার কোলে বসে ছড়া শোনাতো ।সেও নাকি এখন ইয়াবা খেয়ে টাল হয়ে থাকে বন্ধুদের সাথে ।মেয়ের এমন বখে যাওয়াতেও আমি নিশ্চুপ রইলাম ।
ছোট ছেলে শিহাব ।আদরের খনি চাদেঁর টুকরা মনি ।আমার কোলে উঠলেই হিসু করে দিতো ।এখন নিয়মিত আমার পকেট কাটে। টাকা নেয়ার সময় ধরে ফেলেছিলাম ।রক্তচক্ষু মেলে যেভাবে তাকালো তাতে আমার জান উড়ে গেলো ।কোন টেরোরিস্ট গ্রুপে নাকি জয়েন করেছে ।পুলিশ এসে সেদিন রেইড মেরে পাইপগান ,রামদা ,দেশি পিস্তল উদ্ধার করলো তার রুম থেকে আমার বাসায় ।মোটা টাকায় তাকে ছাড়িয়ে আনলাম ।কোন উচ্চবাচ্য করলাম না এটা নিয়ে ।
সব কিছু ঠিকই চলছিল (মনে হয়! ) ।সমস্যা হলো সেদিন থেকে যেদিন আমার স্ত্রী একটা চিনামাটির বাটি ছুড়েঁ আমার মাথা ফাটালো ঘুষ না খাবার অপরাধে ।আমার মত আকাইম্যা মিনসে নাকি আর হয়না ।তাকে বিএমডব্লিউতে চড়াতে পারিনা,র্যাডিসনে লাল পানি খাওয়াতে পারিনা ব্লা ব্লা ।চুপচাপ খাওয়ার টেবিল থেকে উঠে চলে গেলাম ।
পরেরদিন সন্ধ্যেয় শিপ্রা এসে শাসিয়ে গেল দুইদিনের মধ্যে তার ইয়াবা কেনার জন্য তিরিশ হাজার টাকা না দিলে সে এক বস্তির রংবাজের সাথে পালিয়ে যাবে ।আমার ফ্যামিলি স্ট্যাটাস নিয়েও ভাবতে বললো ।
ছেলেটা তেমন কিছু চায়না মুখ ফুটে ।আমার অফিসিয়াল পাওয়ার খাটিয়ে তার অবৈধ জিনিসপাতিগুলোর লাইসেন্স করে দিতে বললো ।নাহলে আমার কি হবে তাও গুছিয়ে বললো । আপনজনদের এহেন কান্ড দেখে বিপর্যস্ত আমি ঠিক করে ফেললাম আপন সিদ্ধান্ত ।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
তারপরের রাতে কলাবাগান থেকে শ্যামলীর বাস কাউন্টার থেকে টিকেট কেটে সোজা বান্দরবান চলে এলাম পালিয়ে সবার অগোচরে
(খুন টুন করতে ইচ্ছা করছিল না)
©somewhere in net ltd.