নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৌভিকের চিন্তাচর্চা

চারিদিকে দেখো চাহি হৃদয় প্রসারি

সৌভিক ঘোষাল

পেশায় সাহিত্যের শিক্ষক। মতাদর্শে মার্কসবাদী। কোলকাতার বাসিন্দা

সৌভিক ঘোষাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

হঠাৎ দেখে নেওয়া বেলুড় আর হ্যালেবিদের অবিশ্বাস্য স্থাপত্য ও ভাষ্কর্য

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:০২

যাচ্ছিলাম মাইশোর। হঠাৎ ট্রেনের মধ্যেই একটা বেড়ানোর গাইড বুক পড়তে পড়তে লাফিয়ে নামলাম ওপরের বাঙ্ক থেকে। নেমে যেতে হবে একটু পরেই। মাইশোরে না। বদলে গেল প্ল্যান। নামবো হাসান এ। এখান থেকে যাবো দুটো মন্দির দেখতে। বেলুড় আর হ্যালেবিদ। হঠাৎ এ কী হল? এক নিরীশ্বরবাদীর মন্দির দেখার জন্য এমন উঠল বাই তো হাসান নামি সিদ্ধান্ত? সঙ্গীরা বুঝলেন সেটা আরো ঘন্টা তিনেক পর। যখন হাসানে নেমে বাস ধরে পৌঁছানো গেল হ্যালেবিদ এর মন্দির চত্বরে।

ভারতের মন্দিরগুলোর অনেকগুলোই তার গায়ের ভাষ্কর্যের জন্য বিখ্যাত। উড়িষ্যার কোনারক, মদ্যপ্রদেশের খাজুরাহো, রাজস্থানের দিলওয়াড়ার মতোই তালিকায় উল্লেখ করতে হয় কর্ণাটকের বেলুড় হ্যালোবিদের কথা। পাথরের গায়ে সূক্ষ্ম কারুকাজ করা এই মন্দিরের দেওয়াল জুড়ে পরপর সার দেওয়া ভাষ্কর্যগুলি রামায়ণ মহাভারতের বিভিন্ন গল্পগাঁথা তুলে ধরেছে। মূর্তিকলা কী পরিমাণে জীবন্ত হতে পারে, কীভাবে শিল্পী তাঁর হাতের অতি মানবিক স্পর্শে পাথরের গায়ে সূক্ষতম কারুকর্মে শরীরের প্রতিটি প্রত্যঙ্গ নিখুঁততম অবয়বে, নিপুণ অলঙ্কারে সজ্জিত করে ফুটিয়ে তুলতে পারেন হ্যালোবিদ এর মতো মন্দির না দেখলে তা বিশ্বাস করা কঠিন। মন্দির চত্বরের পুরাতত্ত্ব বিভাগ জানালেন এই মন্দির তৈরি হয়েছিল দ্বাদশ শতকে। রাজা বিষ্ণুবর্ধন তখন এখানকার রাজা।

হ্যালেবিদের ১৬ কিমি দূরে রয়েছে এরকমই আর এক অনিন্দ্যসুন্দর মন্দির রয়েছে বেলুড়ে। এখানকার বিখ্যাত মন্দিরটি পরিচিত চেন্নাকেশব মন্দির নামে। ১১১৭ খ্রীষ্টাব্দে শুরু হওয়া এই মন্দিরটির নির্মাণকাজ শেষ হতে ১০৩ বছর সময় লেগেছিল বলে বলা হয় স্থানীয় লোককথায়। বিষ্ময়ের বিষয় এত বছর ধরে এই মন্দিরটি বিভিন্ন শিল্পীর হাতে তৈরি হলেও তার নির্মাণশৈলির মধ্যে আশ্চর্য ঐক্য খুঁজে পাওয়া যায়। বেলুড় আর হ্যালেবিদের মন্দির দুটি শুধু ভারতের নয়, সারা পৃথিবীর বিখ্যাত প্রাচীন ভাষ্কর্যকলার অন্যতম নিদর্শন হিসেবে প্রশংসিত হয়।

যারা এর ছবি দেখতে চান বা আরো বিশদে জানতে চান তাদের জন্য দুটো লিংক দেওয়া গেল। আমার নিজের তোলা ছবি আর ভিডিও পারলে পরে সংযুক্ত করে দেবো, এই মুহূর্তে হাতের কাছে নেই।

Click This Link

Click This Link

ছবির লিংক

Click This Link

Click This Link#hl=en&q=Chennakesava+Temple&tbm=isch

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৪

নাজ_সাদাত বলেছেন: হি হি বেশ তো। মন্দির আর রক্তপাত আরও রক্তপাত ছাড়া আছে কি এই পোড়া দেশ।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: এই পোষ্টের এরকম জবাব যিনি দেন তার সম্পর্কে অনেকেই বলতে চাইবে - 'আপনি অশিক্ষিত। ধর্মান্ধ। আপনার রুচিবোধও নিম্নমানের। আপনি আসূয়া প্রবণ। এক কথায় খুব কুরুচির মানুষ।'

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০০

নাজ_সাদাত বলেছেন: রক্তপাতের কথায় গায়ে জ্বালা ধরাতে পারে আপনার কিন্তু এটাই বাস্তবতা। হালের মুজাফফরপুরকে এড়িয়ে যাবেন কি করে। আপনাদের কাছে রুচিবোধও তার আছে যে নীরবে অত্যাচার মেনে নেবে যে হিন্দু-হিন্দি-হিন্দুস্থান তত্ত্ব মেনে নিয়ে পুজা করবে। আর না মানলেই রুচিবোধও নিম্নমানের হবে।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১৫

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: মুজফফরপুরের ঘটনা কি আপনি গিয়ে দেখে এসেছেন ? কে জানিয়েছে? কাতার বা ইরাণের কোনও দূরদর্শন ? না। ভারতের মেইন স্ট্রিম মিডিয়া। ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিজেপি কে একঘরে কি করে রাখতে চাইছে না এমনকী কংগ্রেস থেকে শুরু করে সব আঞ্চলিক দল? ব্যক্তিগতভাবে কমিউনিস্ট পার্টির এক সদস্য হিসেবে আমি বিজেপি আর এস এসের বিরুদ্ধে বরারবর প্রচারে সক্রিয় থেকেছি। থাকব। বিজেপি নিয়ে আমাদের পার্টির ধারাবাহিক স্টান্স আপনি দেখে নিন প্রতি সপ্তাহে প্রকাশিত এম এল আপটেড এ। লিংক দিলাম।
http://cpiml-lib.blogspot.in/

নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে এই নির্দিষ্ট লেখাটি দেখুন
http://cpiml-lib.blogspot.in/2013_09_01_archive.html

মনে হয় আপনার সঙ্গে ঠাণ্ডা মাথায় কিছু মত বিনিময় করা দরকার। আসলে আপনি পোড়া দেশে রক্তপাত ছাড়া আর কি আছে - এরকম মন্তব্য উত্তেজিত করার জন্য যথেষ্ট ছিল। রক্তপাত আছে, হয়েছে, হচ্ছে - সেটা বাস্তবতা। কিন্তু শুধু সেটাই যদি দেখেন, আমাদের লড়াইটা যদি অস্বীকার করেন, তাহলে গোটা দেশের এক খণ্ড চিত্রই আপনি হাজির করলেন। এর বিপরীতে আমাদের লড়াইটা মুছে দিলে কীভাবে আপনি আটকাবেন কমিউনাল ফ্যাসিজমকে।
আপনি মানবেন কিনা জানি না, ধর্মপ্রাণতা আর কমিউনাল ফ্যাসিজম কে পৃথক করা ও তার ভিত্তিতে কমিউনাল ফ্যাসিজমকে বিরোধ করাটা আমার যথেষ্ট গুরূতকপূর্ণ বলে মনে হয়। কমিউনাল ফ্যাসিজম হিন্দু, মুসলিম, ইহুদী, খ্রীষ্টান - নানা চেহারায় আসতে পারে। আমি নাস্তিক, হিন্দু পরিবারে জন্ম। ধরে নিলাম আপনি ভাবছেন আমি হিন্দুই। তা আমি নই। কিন্তু তর্কের খাতিরে কিছুক্ষণের জন্য সেটা স্বীকার করে যদি বলি হিন্দু বলে আমি হিন্দু ফাণ্ডামেন্টালিজমকে এড়িয়ে যাবো,বলবো এটা আসলে মুসলিম জেহাদের প্রতিক্রিয়া বা মুসলিম বলে আপনি বলবেন এটা আসলে মুসলিমদের ওপর হিন্দু ইহুদী খ্রীষ্টান চক্রের আগ্রাসনের স্বাভাবিক আউটকাম এবং মুসলিম ফাণ্ডালিজমের বিপদকে এড়িয়ে যাবেন, বা বুশের কোনও চ্যালা বলবেন যেহেতু ৯/১১ ঘটেছে, ৩৫০০ মানুষ মারা গেছে, তাই তার প্রতিক্রিয়ায় ইরাক বা আফগানিস্থান ঘটাটা ঠিক আছে, যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ মেরে ফেলা হয়েছে, কোটি কোটি মানুষের জীবন নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে - তাহলে প্রতিক্রিয়ার এই মতাদর্শই ক্রমশ ভারী হয়ে উঠবে। আর প্রতিক্রিয়ার মতাদর্শ গোধরার পর গুজরাট, বাবড়ির পর দাঙ্গা, ৯/১১ এর পর আফগানিস্থান ইরাক, আফগানিস্থান ইরাকের পর - আল কায়দা, জামাত, ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন, মুজাহিদিন কে দেখিয়ে আর এস এস, বজরং দল এর প্রেতনৃত্য, মোদির আগ্রাসন - এসব ক্রমান্বয়ে চলতেই থাকবে। সুস্থ রাজনীতির, সমাজনীতির জায়গায় থাকবে শুধু হিংসা আর প্রতিক্রিয়া।
এটা ঠিক কাশ্মীরে যখন ৮০ হাজার তরুণকে খুন বা তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়, করে ভারতের সেনাবাহিনী, তখন সেখানে প্রতিক্রিয়ার জেহাদ অত্যন্ত স্বাভাবিক বলে মনে হয়। আবার সেই জেহাদকে দেখিয়ে আবার দমন শুরু করা যায়। এখন গণতান্ত্রিক শান্তির শক্তি যদি এই পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে প্রতিক্রিয়ার সমস্ত, হ্যাঁ সমস্ত ধরণের শক্তির বিরুদ্ধে কথা বলে যেতে পারে স্পষ্ট ভাষায়, সমস্ত প্ররোচণাকে এড়িয়ে ন্যান্য কথাটা বলা যেতে পারে, তবেই দীর্ঘস্থায়ী এক লড়াইয়ের পর সাফল্য মিলতে পারে।
নাস্তিকতা নিয়ে, কমিউনিজম নিয়ে আপনার ভিন্নমত থাকতে পারে, আছে বলেই মনে হয় - সেটা থাকুক, কিন্তু এটা জানবেন আমরা কারোর ব্যক্তিগত বিশ্বাসে আঘাত করার পক্ষপাতী নই। সি পি এম বা ইত্যাদি শাসক কমিউনিস্টদের অসংখ্য ভুলের কথা তুলছি না, কিন্তু ভারতে কমিউনিস্টরাই কিন্তু সংখ্যালঘুরদের পক্ষে ধারাবাহিক কথা বলেছেন, সেটা তারা বলবেন। এজন্য তাদের ধর্মবিশ্বাসী হওয়ার দরকার হয় নি, হবেও না, তাতে সংখ্যালঘুদের পক্ষে, আগাসনের বিরুদ্ধে কথা বলার গতি রুদ্ধ হবে না।
তাই আপনাকে অনুরোধ শুধু রক্তপাত আর পোড়া দেশ দেখবেন না, তার উলটো দিকটাও দেখুন, নাহলে উলটো দিকের লড়াইটা মর্যাদা পায় না, আশা রাখার জায়গা পাওয়া যায় না।

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬

নাজ_সাদাত বলেছেন: আমি মুজাফফারপুর এ মুসলিম নিধন যজ্ঞ স্বচক্ষে দেখিনি তার মানে এই নয় মুজাফফরপুর শান্তির স্বর্গরাজ্য ছিল। বরং বাস্তব হল মুজাফফরপুর কিছুদিন আগে রামরাজ্যে পরিনত হয়েছিল। ভারতের সংবাদমাধ্যম আল্প কিছু ভাসা ভাসা বলেছিল বটে কিন্তু যারা ওখানে ত্রান নিয়ে গিয়াছিল তাঁদের বর্ণনা শুনে ওই হত্যাযজ্ঞের ভয়াবহতা উপলব্ধি করেছি। দেখুন কুম্ভীরাশ্রু আর সত্যিকারের কান্নার বেশ পার্থক্য আছে। ভারতের বেশীরভাগ রাজনৈতিক দল কুম্ভীরাশ্রু ফেলে মুসলিম নিধন প্রসঙ্গে। বাবু বজরঙ্গী বা মায়া কোডনানীর সাজা প্রসঙ্গে যে রায় এসেছে তা আমি কাউকে বলতে শুনিনি এটা হিন্দুত্ববাদী রায়। সকলে মুখে কুলুপ এঁটেছে এই ব্যাপারে। মুম্বাই হামলায় যত মানুষ মরেছিল তার থেকে বেশী মরেছে গুজরাটে, কিন্তু মুম্বাই-এ হামলাকারীর ফাঁসি হলেও গুজরাট এ মানুষ খুনের উৎসবের কুশীলবদের কিছুই হয়নি। এ ব্যাপারে সদর্থক প্রতিবাদ না হয়নি। প্রনব আজফাল গুরুর ফাঁসি দেওয়াতে যে ভূমিকা পালন করেছে তা পালন করেনি গুজরাট দাঙ্গাকারীদের সাজা নিশ্চিত করা প্রসঙ্গে। এর পর বলেন কি করে কংগ্রেস সাম্প্রদায়িক নয়। সুদূর অতীতে কংগ্রেসের ভুমিকা যদি দেখতে চান তা হলে অন্নদাশঙ্কর রায় এর লেখা 'ক্রান্তদর্শী' ও "জীবন ও যৌবন" বইদুটো পড়ে দেখতে পারেন।

অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি খ্যামটা নাচ এর আসরে সকলেই ঘোমটা টেনে বসে আছে মাত্র। ৩৪ বছর বাম শাসনে কি করে সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত স্কুলগুলতে সরস্বতী পুজা হয়েছিল আর কেনইবা তাতে অহিন্দুদের অংশগ্রহনে বাধ্য করা হয়ে থাকে। আপনাদের দল যে এর প্রতিবাদ করছে সেটাও আমি শুনিনি।

যেদিন দেখবো কাগজে আর মুখে খই না ফুটিয়ে সত্যিকারের বিরোধ করছে হত্যাকারীদের সঙ্গে সেদিন কুর্নিশ করব। আমি মনে করি ভারতে বাম বলে যারা পরিচিত তারা যদি হিন্দু সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে নিরপেক্ষ অবস্থান নিত তা হলে এটার উৎপাটন সম্ভব হত। একজন তিস্তা সিতলাবাদ যদি হিন্দুত্ববাদী রক্তলোলুপদের কাঁপিয়ে দিতে পারে তাহলে আপনারা পারছেন না কেন? প্রশ্নটা আপনার বিবেকের কাছেই রাখলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.