নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আশা নিরাশার দোলনায় আপনাকে স্বাগতম

চরম নৈরাশ্যবাদী ও আশাবাদী দুটোর সংমিশ্রনে আমি সৈকত বলছিঃ সমস্যা ছুড়ে ফেলে ধূর ধূর জ্বালা বলে দেখইনা রুখে তুমি দাড়িয়ে,কেটে যাবে আধার,ছুড়ে ফেল সংস্কার দেখবে জীবন হাত বাড়িয়ে...............।।

আমি সৈকত বলছি

নিজেকে খুজে ফিরি সারাক্ষন।এই পৃথিবীর রাজ পথে,অলি গলি আর চোরা চিপা গলিতে খুজে ফিরি নিরন্তর।এ আমার আত্মার কথাঃ \"হারিয়ে খুজি নিজেকে\" নিজের মাঝেই খুজি নিজেকে।।খুব সাধারন একটা মানুষ,লিখতে ভালোবাসি বলেই লিখি অন্যের লিখা পড়তে ভালোবাসি বলেই পড়ি।ব্লগের সকল লেখকের প্রতি রইলো অজস্র শুভ কামনা ও অগ্রজদের জন্য রইলো স্পেশালি বিনম্র শ্রদ্ধা।♥ভালোবাসি সবাইকে♥

আমি সৈকত বলছি › বিস্তারিত পোস্টঃ

এবং আমি...... (১ম)

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০১



ইদানিং বারান্দায় যেতে আমার একধমই ভালো লাগেনা।
আগে আমার অলস সময়ের প্রায় বলতে গেলে পুরোটাই এই বারান্দায় কাটতো কিন্তু এখন....

আমার বারান্দাটির পাশেই একটি ৫তলা ভবন আছে।
ঐ ভবনের ৩তলার আমাদের পাশের ফ্ল্যাটটি প্রায় দীর্ঘদিন যাবত খালিই পড়ে আছে।
গত কিছুদিন আগে ঐ ফ্ল্যাটটিতে একটি ফ্যামিলি ভাড়া নিতে আসে।
ঐ ফ্যামিলির সাথে একটি মেয়েও আছে।
সেই মেয়েটি ইদানিং এপাশের এই বারান্দায় আসা শুরু করেছে রোজ।

তাতে অবশ্য আমার কোন সমস্যা নাই কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে মেয়েটার আমার দিকে তাকিয়ে থাকা।

মেয়েটির তাকিয়ে থাকার মাঝে কিছু একটা আছে যা আমি মেয়েটির দিকে না তাকিয়েও বুঝতে পারি।

যাইহোক আমি বারান্দায় যাওয়া অনেকাংশে কমিয়ে দিয়েছি,

আজ হঠাৎ বারান্দায় যেতে ইচ্ছে করলো।
গিয়ে আমার চেয়ারে বসলাম এবং যথারিতি একটা বই খুলে পড়তে শুরু করলাম।

বুদ্ধদেব গুহ'র কোয়েলের কাছে বইটা অসাধারন লাগছিলো।

হঠাৎ "এই যে" কথাটা শুনে চমকে উঠে তাকালাম পাশে মনে হলো যেন একেবারে আমার মুখের সামনে মুখটি।
বারান্দা দুটি পাশাপাশি হওয়াতে একধম সামনা সামনি বসে বা দাড়িয়ে কথা বলা যায়।

মেয়েটির মুখটার দিকে তাকিয়েই আমি অবাক হলাম।
কাগজের মত সুন্দর কোন স্পট নেই মুখে।

-শুনছেন???

আমি চমকে উঠলাম আবার ধ্যান ভাঙ্গার মত জেগে উঠে বললামঃ

-না.... ও নাহ...... হুম্ম বলুন।

মেয়েটি হেসে উঠলো।
হয়ত আমার কথার ধরন দেখে হাসলো।আচ্ছা আমার কথার স্টাইলটা কি হাস্যকর?
কি জানি ওটা আমার জানার দরকার নাই।আমি এমনই আর এমনই থাকতে চাই।হেসে উঠলাম ভেতরে ভেতরে কারন মেয়েটির হাসি খুবই সুন্দর।

আচ্ছা মেয়েরা কখন একটি ছেলের কার্যকলাপে হাসে??
যদি ছেলেটিকে মেয়েটির কোন কারনে জোকার মনে হয় আর যদি ছেলেটির কোন কিছু মেয়েটির ভালো লেগে যায়।

-কি ভাবছেন?

-উম্ম হুম্মম নাহ কিছু না তো :-)

-বই পড়ছিলেন বুঝি??

-হুম্মম।

-আপনি কি সব সময় বই পড়েন??

-না আসলে অবসর সময়ে বই পড়াটা আমার অভ্যাস।

-ওউ।
এখন কি বই পড়ছিলেন?

-ঐ তো ঐ যে বুদ্ধদেব গুহ স্যার এর "কোয়েলের কাছে"

-ওয়াও তাই নাকি??

-হুম্মম আচ্ছা ওয়াও কেন?

মেয়েটি আবার মুচকি হাসলো।
উফফফফ মেয়েটিকে হাসলে কি সুন্দর যে লাগে তা বলে বোঝানো যাবে না।

-এই বইটা তো দুই পর্বের তাই না??

-হুম্ম।

-আপনার কাছে কি দ্বিতীয় খন্ডটা আছে?

-হ্যাঁ আমি দ্বিতীয় খন্ডটাই পড়ছিলাম।

-আমি প্রথম খন্ড পড়েছিলাম দ্বিতীয় খন্ডটা পাইনাই।

-কি অদ্ভুত আমি প্রথম খন্ড পাইনাই তাই দ্বিতীয় খন্ড পড়ছি।

-ওহহ আচ্ছা তাহলে তো ভালোই।আমার থেকে আপনি নিয়ে পড়লেন আর আপনার থেকে আমি।

-হুম্মম আচ্ছা।

বাসার ভেতর থেকে মেয়েটির ডাক পড়লো।

মেয়েটি দ্রুত আমাকে আচ্ছা আমি যাই বলে চলে গেলো বাসার ভেতরে।

আমি কিছুক্ষন স্তব্ধ হয়ে ছিলাম।
তারপর আবার বই পড়ায় মনযোগ দিলাম।

একটু পর মেয়েটি আবার দৌড়ে এসে আমাকে বললোঃ

-এই যে শুনছেন??

আমি বই বন্ধ করে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বললামঃ

-হুম্মম বলুন..

-আপনাকে আজ কয়েকটা প্রশ্ন করার ছিলো তা তো আর হলো না কাল আপনি কি বারান্দায় আসবেন??
প্লিজ আসিয়েন...

কথা গুলো বলে মেয়েটি একটি দম নিলো অতঃপর আমার উত্তরের অপেক্ষা না করেই আবার বাসার ভেতর চলে গেলো....

(চলবে....)

(গল্পটি অনেকটা উপন্যাসের মত হবে মানে কত পর্বে শেষ করতে পারবো নিজেও বলতে পারছি না ধৈর্য্য হারাবেন না আশা রাখি।
এই প্রথম একটা পুর্নাঙ্গ গল্প লেখায় হাত দিয়েছি।)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩

নূসরাত তানজীন লুবনা বলেছেন: মাশাআল্লাহ !

২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ২:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



ঠিক আছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.