নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজনীতির ধারাপাত

সামান্য একজন চাকুরে, ঢাকায় ঠিকানাহীন, সংগ্রাম করছি জীবনের সাথে, বেচে থাকার জন্য ।

রাজনৈতিক মামা

ক্ষুদে চাকুরে , লড়াই করি জীবনের সাথে

রাজনৈতিক মামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জরিপের পটভূমি

১২ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৩১

নানা দাবিতে বিভিন্ন দল ও গোষ্ঠীর মুহুর্মুহু হরতাল ও অবরোধ এবং বিভিন্ন পক্ষের ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনায় গত কয়েক মাসে দেশে প্রবল অস্থিরতা ও সংশয় ছড়িয়ে পড়ে। এই পটভূমিতে প্রথম আলো একটি জনমত জরিপের উদ্যোগ নেয়। গত এপ্রিল মাসের ৯ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে পেশাদার জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ওআরজি-কোয়েস্ট এ জরিপ পরিচালনা করে।

অতীতে নানা নাগরিক ও রাষ্ট্রীয় প্রসঙ্গে প্রথম আলো জনমত জরিপ করেছে। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে থেকে সরকার, বিরোধী দল, রাষ্ট্রের পরিস্থিতি সম্পর্কে নাগরিকদের মতামত জানার জন্য প্রতিবছর নিয়মিত জরিপ পরিচালনা করে আসছে। বর্তমান জরিপটি সে ধারাবাহিকতারই অংশ।

একদিকে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে মানুষ ফুঁসে উঠলে জামায়াতে ইসলামী ও ধর্মপন্থী গোষ্ঠীগুলোর সহিংসতায় দেশ এই সময়ে পর্যুদস্ত হয়ে পড়ে। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় ঘোষণার পর তারা দেশের কয়েকটি অঞ্চল বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। প্রবল হিংসাত্মক ঘটনায় সারা দেশে প্রায় ৮০ জন লোকের প্রাণহানি ঘটে। অন্যদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন সম্পন্ন করার প্রধান বিরোধীদলীয় দাবির প্রতি সরকারের ভ্রুক্ষেপহীন অবস্থান রাজনীতিকে স্থবির করে দেয়। হরতাল, অবরোধ এবং এর পক্ষে-বিপক্ষে সরকার ও বিরোধী দলের উপর্যুপরি কর্মসূচিতে নাগরিক জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সেটিই ছিল প্রথম আলোর এই জরিপের প্রেক্ষাপট।

ওআরজি-কোয়েস্ট রিসার্চ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, দেশে সম্প্রতি রানা প্লাজার ধস ও হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধের মতো বড় দুটো ঘটনা ঘটে গেছে। কিন্তু এ জরিপের মাঠপর্যায়ের কাজ চলেছে এসব ঘটনার আগে, গত এপ্রিল মাসে। সে কারণে এসব ঘটনার কী প্রভাব মানুষের মনে পড়েছে, এই জরিপ থেকে তা পাওয়া যাবে না।

এবারের জনমত জরিপে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল তিন হাজার। জরিপের প্রান্তিক বিচ্যুতি ধরা হয়েছে কমবেশি ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

তিন হাজার উত্তরদাতার ওপর পরিচালিত এই জরিপে সারা দেশের মানুষের মত আদৌ কতটুকু প্রতিফলিত হতে পারে, এ প্রশ্নের জবাবে মঞ্জুরুল হক বলেন, এ ধরনের জনমত জরিপে বিচ্যুতির হার কমবেশি ৩ হলেই সাধারণত তা যথাযথ বলে ধরে নেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে ১,১০০ জন উত্তরদাতাই যথেষ্ট। যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে জনসংখ্যা ৩৪ কোটি হলেও সেখানে জাতীয়ভাবে প্রতিনিধিত্বশীল জরিপ তাই সাধারণত ১,১০০ জন উত্তরদাতার ওপরই চালানো হয়ে থাকে।

মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘পুরো দেশের সাতটি বিভাগকে শহর ও গ্রামে বিভক্ত করে প্রতিটি স্তর থেকে আমরা যথেষ্ট সংখ্যায় উত্তরদাতার মতামত নিতে চেয়েছি। সে কারণে আমরা আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য সে সংখ্যার চেয়ে প্রায় তিন গুণ মানুষের ওপর জরিপ চালিয়েছি। এই সংখ্যা ৫ বা ১০ হাজার হলেও জরিপের ফলাফলে তেমন কোনো তারতম্য হতো না।’

বাংলাদেশের জনবিন্যাস অনুযায়ী প্রতিনিধিত্বশীল অনুপাতে ও দৈবচয়ন নমুনায়নের ভিত্তিতে উত্তরদাতা বেছে নেওয়া হয়। দেশের সাতটি বিভাগের ৩০টি জেলার উত্তরদাতাদের মধ্যে ৭৫০ জন নগর ও ২,২৫০ জন গ্রামবাসী। নারী ও পুরুষের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১,৪৮৮ ও ১,৫১২।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্র বা সমাজের গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ নিয়ে জনমত বোঝার জন্য সরকার, রাজনৈতিক দল, প্রভাবশালী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও তথ্যমাধ্যম এ ধরনের জরিপ পরিচালনা করে থাকে। শুধু জরিপ পরিচালনা করেই যুক্তরাষ্ট্রের পিউ রিসার্চ সেন্টার বা গ্যালাপ প্রভাবশালী চিন্তাশালা বা থিংকট্যাংকে পরিণত হয়েছে। এসব জরিপ থেকে পাওয়া জনমতের ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশের সরকার, রাজনৈতিক দল বা প্রতিষ্ঠান তাদের নীতি, কর্মকৌশল ও কার্যক্রম পরিমার্জন বা পরিবর্তন করে থাকে।

আমরা জানি, বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও নানা সময়ে জনমত জরিপ করেছে এবং তার ভিত্তিতে তাদের কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছে। প্রথম আলোর জনমত জরিপের উদ্দেশ্য রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে সবাই কী ভাবছে, নীতিনির্ধারক, গবেষক-বিশ্লেষক ও পাঠকদের তা জানানোর চেষ্টা করা। দেশের মানুষের মনোভাব সম্পর্কে সবার মতামত গঠনে এবং নীতিনির্ধারকদের বিভিন্ন নীতি, পরিকল্পনা ও কর্মপন্থা প্রণয়নে এসব জরিপ হয়তো কিছুটা কাজে লাগবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.