![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্ষুদে চাকুরে , লড়াই করি জীবনের সাথে
সর্বত্র জিজ্ঞাসা ২৫ অক্টোবরের পরে কী হবে? অথচ দুই প্রধান দলের নেত্রীর বক্তৃতা-বিবৃতিতে শান্তি বজায় রাখার বিষয়টি একেবারেই গুরুত্ব পাচ্ছে না। দেশের মানুষ তাই শঙ্কিত। একতরফা নির্বাচনের উদ্যোগ কিংবা তা প্রতিহত করতে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি গঠনের ঘোষণার মধ্য দিয়ে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে দেশ এক অনিবার্য সংঘাতের দিকেই এগোচ্ছে।
একতরফা নির্বাচন কাম্য নয়। কারণ, তা সহিংস এবং প্রশ্নবিদ্ধ হতে বাধ্য। সে ক্ষেত্রে নতুন সংসদ ও সরকারও প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আবার নির্বাচন প্রতিহত করতে সর্বদলীয় কমিটি গঠন করা হলে তাতে অধিকতর সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে। তাই নির্বাচন হতে হবে অবাধ ও সুষ্ঠু এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। এর অর্থ হলো সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার যে নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন, তার পরিবেশ থাকতে হবে। আর তার মুখ্য দায় অবশ্যই সরকারকে নিতে হবে।
সামরিক শাসকেরা জনগণের ওপর জবরদস্তির নির্বাচন চাপিয়ে দিত। পরবর্তী সময়ে নির্বাচিত সরকারগুলোও সেই ধারা অনুসরণ করত, যে কারণে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণা জনপ্রিয় হয়েছিল। ক্ষমতাসীনেরা যখন সেই ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছে, তখন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের নিশ্চয়তাও তাদের দিতে হবে। সন্দেহ নেই যে প্রতিটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে বিরোধী দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছিল। ২০০৮ সালেও তা প্রমাণিত হয়েছিল। কে আছেন এটা দাবি করবেন যে বিএনপির অপেক্ষাকৃত পরিচ্ছন্ন নেতাদের অধীনে গত নির্বাচনটি হলেও তা গ্রহণযোগ্য হতো কিংবা তাতে প্রধান বিরোধী দল অংশ নিত।
২০০৮ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংবিধানের বিচ্যুতি ঘটেছিল। কিন্তু তাই বলে এমন যুক্তি প্রবল হয়নি যে সংবিধান বিচ্যুতির ফলে আওয়ামী লীগের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের গরিমা কালিমালিপ্ত হয়েছে। গণতন্ত্র মানে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নয়, গণতন্ত্র মানে সমঝোতা। বর্তমানে দেশে সংবিধান আছে। সমঝোতা নেই। নির্বাচনবিষয়ক নির্ভরযোগ্য জরিপ ও সংশ্লিষ্ট ধারণাগত সূচকগুলো স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে যে মানুষ প্রধান দলগুলোর অংশগ্রহণমূলক একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। আর এটা অর্জনে সরকার ও বিরোধী দলকে একটি সমঝোতায় আসতেই হবে। অথচ রাজনীতিতে এবারের পর্বে সংলাপের কোনো উদ্যোগই নেই।
ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা এ পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে একটি বৈঠকে বসতেও নির্দিষ্ট প্রস্তাব দেয়নি। অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকেও ছাড় দেওয়ার নির্দিষ্ট ইঙ্গিত নেই। সংকট ঘোচাতে বিদেশি বন্ধুদের হাল ছাড়া আর না-ছাড়ার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো রাজনৈতিক নেতৃত্বের শুভবুদ্ধির পরিচয় দেওয়া। সমঝোতার বদলে দুই নেত্রীর রীতিমতো যুদ্ধংদেহী মনোভাব একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
ঈদুল আজহার পরে কী ঘটবে, সেটা ভেবে মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত। আমরা আশা করব, জেদাজেদি বাদ দিয়ে জাতীয় নেতারা একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে যা যা করণীয়, তা-ই করবেন। লাখো শহীদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশকে খাদের কিনারে ঠেলে দেবেন ন
Click This Link
©somewhere in net ltd.