![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সে আমারে ঠারে ঠারে ইশারায় কয়, এই চান্দের রাইতে তোমার হইছে গো সময়... ঘর ছাড়িয়া বাইর হও, ধর আমার হাত- তোমার জন্য আনছি গো আইজ চান্দেরও দাওয়াত...
ছাত্রজীবনে কোচিং সেন্টারের সাথে জড়িত ছিলাম। সে কারণে এই জমজমাট ব্যবসাটি সম্পর্কে কিছু অভিজ্ঞতার কথা বলতে চাই।
কোচিং সেন্টার ব্যবসা মূলত দুই প্রকার।
প্রথম প্রকার হল, একাডেমিক কোচিং অর্থাৎ সারা বছরের জন্য কোচিং- একেবারে ১ম শ্রেণী থেকে শুরু করে ডিগ্রী পর্যন্ত।
দ্বিতীয় প্রকারটি হল স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং।
একাডেমিক কোচিংয়ের উত্থানের কারণ শহর ও গ্রামাঞ্চল তথা মফস্বল এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন। শহরাঞ্চলে বিশেষ করে ঢাকা শহরের স্কুল, কলেজগুলোতে যথেষ্ঠ সংখ্যক অভিজ্ঞ শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও তাঁরা ক্লাসে তেমন কিছুই পড়ান না। এটা সেটা করে ক্লাসের সময়টুকু পার করে দেন। আবার এই শিক্ষকই নিজের বাসায় বা কোচিং সেন্টারে ঠিকঠাক পড়িয়ে ভাল শিক্ষক (আসলে প্রাইভেট শিক্ষক) হিসেবে নাম কামান। অপরদিকে গ্রামাঞ্চলের স্কুল কলেজগুলোতে ভাল শিক্ষক না থাকা, কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার পরিবেশ না থাকায় শিক্ষার্থীরা কোচিং সেন্টার বা প্রাইভেট পড়তে বাধ্য হয়।
এই প্রকার কোচিং সেন্টার এবং প্রাইভেট ব্যাচে পড়ানোর সংস্কৃতির কারণে এখন গরীব বা নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানদের সঠিক শিক্ষালাভের পথ কঠিন হয়ে গেছে। কোচিং সেন্টার বা প্রাইভেটে শিক্ষকের কাছে অঢেল টাকা ঢালতে না পারলে শুধু মেধার জোরে খুব কম শিক্ষার্থীই ভাল ফলাফল করতে পারছে।
সরকার যদি শক্ত হাতে এই ধরণের কোচিং সেন্টার ব্যবসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ যদি ক্লাসে তাদের শিক্ষকরা গুরুত্ব সহকারে পড়াচ্ছে কিনা সেটা তদারকি শুরু করেন এবং অন্যথায় হলে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তাহলে এই ধরণের কোচিং ব্যবসা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। আমার দেখা এমন কিছু কোচিং মালিক বা পরিচালক আছেন যারা গাইড বই বা সমাধান বই দেখে ক্লাসে গিয়ে পড়ান। অবিশ্বাস্য হলেও এমন 'শিক্ষক'দের কারো কারো মাসিক আয় ৫-১০ লাখ টাকা!
দ্বিতীয় প্রকার অর্থাৎ ভর্তি কোচিং বিষয়টি আসলে এক ধরণের ধাপ্পাবাজি! সানরাইজে ইঞ্জিনিয়ারিং কোচিং করতে গিয়ে দেখেছি, জটিল কিছু বিষয় লেকচার শীটে ঢুকিয়ে দিয়ে শিক্ষার্থীদের মনে ভয় সৃষ্টি করা ছাড়া আর কোন কিছু করা কোচিং সেন্টারের পক্ষে সম্ভব হয় না! যারা দেশের বিভিন্ন ভাল প্রতিষ্ঠানের ভর্তির সুযোগ পায় তারা আসলে নিজের চেষ্টা ও সাধনাতেই সেটা লাভ করে। তার পিছনে আকাশ কিংবা পাতাল কোচিং সেন্টারের কোন অবদান নেই। আকাশে ভর্তি হলেও সে 'চান্স' পেত, পাতালে ভর্তি হলেও পেত। মাঝখান থেকে কিছু টাকা অযথা পানিতে ফেলা হয়!
তারপরও কেন প্রতিবছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি কোচিং করে- এটার কারণটা খুব সহজ! শিক্ষার্থী যে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবে তাদের পরীক্ষা পদ্ধতি ও পরীক্ষার সিলেবাস তথা বিষয়বস্তু সম্পর্কে অস্পষ্টতা! এটা দূর করার জন্য প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি পরীক্ষার বিষয়বস্তু ও পদ্ধতি সম্পর্কে একটি পরিপূর্ণ নির্দেশিকা প্রকাশ করে তাহলে শিক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকদের অযথা উৎকন্ঠায় থাকতে হয় না। জানি, প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই ভর্তি নির্দেশিকা প্রকাশ করে, কিন্তু সেটা মোটেও পরিপূর্ণ দিক নির্দেশনা দেয় না। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে এক ধরণের ধোয়াশা থেকে যায়। শিক্ষার্থীদের হাজার হাজার টাকা খরচ করে কোচিং করা, গাইড বই কেনা ইত্যাদি সমস্যার সমাধান হয়ে যায় যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ উদ্যোগে ভর্তি পরীক্ষার জন্য একটা পরিপূর্ণ 'গাইড' তথা নির্দেশিকা প্রকাশ করে এবং নির্ধারিত মূল্যে সেটা বিক্রি করে।
শেষ কথা হল, কোচিং সেন্টার ব্যবসা এবং শিক্ষকদের প্রাইভেট ব্যাচে পড়ানোর সংস্কৃতি সরকার ইচ্ছে করলেই বন্ধ করতে পারে। সেজন্য সরকার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর আন্তরিক উদ্যোগই যথেষ্ঠ।
তবে, আমার মত যারা ছাত্রজীবনে হাত খরচ তথা পকেট খরচ চালানোর জন্য টিউশনি করে তাদেরকে এই উদ্যোগের বাইরে রাখার আহবান জানাচ্ছি।
২৫ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৫২
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: হা হা হা, এখন তো জজ সাহেবদের স্বর্ণযুগ চলছে!
২| ২৫ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৩০
উণ্মাদ তন্ময় বলেছেন: এই ব্যাপারে সম্ভবত কাজ চলতাছে। ঐ দিন আমাদের কলেজে "শিক্ষার মানোন্ন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টা" থেকে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে যে এইচ এস সি পরীক্ষার পর এক সপ্তাহের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করার ব্যাপারে কার মত কী? সব পোলা মানা কইরা দিছে (আমিও
)। এ ছাড়া প্রথম শ্রেণী, ষষ্ঠ শ্রেণী ও কলেজে ভর্তির ব্যাপারেও মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে।
২৫ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:০০
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: কাজ হলেই ভাল!
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৩২
টিভি পাগলা বলেছেন: স্কুলে অতিরিক্ত বিদগুটে আরবী শিক্ষা(
(, দরকার আছে কি?
ভিকারুন্নেসা আর আইডিয়াল
, ছাত্রছাত্রীরা এক অসুস্হ প্রতিযোগীতায় ব্যস্ত।
এই দুইটা পোস্ট দেখতে পারেন, সচিত্র বলা আছে।
২৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৪৪
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: পড়েছি। ধন্যবাদ।
৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১০:২৭
নিঃসঙ্গ নির্বাসন বলেছেন: জটিল কিছু বিষয় লেকচার শীটে ঢুকিয়ে দিয়ে শিক্ষার্থীদের মনে ভয় সৃষ্টি করা ছাড়া আর কোন কিছু করা কোচিং সেন্টারের পক্ষে সম্ভব হয় না!
ভর্তি কোচিং এ শুধু একটাই উপকার হয়। মডেল টেস্ট।
২৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৪৩
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: মডেল টেস্ট কিন্তু নিজেই নিজের নেয়া যায়। এমনকি একটি পূর্ণাঙ্গ ভর্তি নির্দেশিকাতে সম্ভাব্য প্রশ্নোত্তরের ধারণাও থাকতে পারে।
আপনাকে ধন্যবাদ।
৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:১৩
যাযাবর অভিধান বলেছেন: "দ্বিতীয় প্রকার অর্থাৎ ভর্তি কোচিং বিষয়টি আসলে এক ধরণের ধাপ্পাবাজি! "... পুরোটাই ধাপ্পাবাজি...
৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১২:২৫
বিলুপ্ত বৃশ্চিক বলেছেন: জীবনে একটা ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।সেটা হল অ্যাডমিশানের ২ মাস আগে থেকে কোচিং সেন্টারের লেকচারশীট পড়া পুরোপুরি বাদ দিয়ে মূল বই পড়েছি।তা না হলে হলফ করে বলতে পারি বুয়েটের মুখ দেখা কোনদিন সম্ভব হত না।এই কোচিং যে কতবড় ধাপ্পাবাজি সেটা বুঝেছি বুয়েটে ভর্তি হওয়ার পর যখন ওখানে কিছুদিন ক্লাস নিয়েছি।সেখানে আমাদেরকে শেখানো হত কিভাবে যে লেকচার শীটের যে টপিকগুলো ছাত্রছাত্রীদের মাথায় একেবারেই ঢোকার মত নয় সেগুলো তাদের কিভাবে জোর করে গেলাতে হবে।সত্যি হল ঐ জিনিসগুলো তো আমরাই বুঝতাম না ঠিকমত, কারন আসলে ঐগুলো বুয়েটে ১ম সেমিস্টারের পড়ানো কোর্সগুলোর টপিক।তাহলে স্টুডেন্টরা শিখবে কি ? আর ঐগুলো অ্যাডমিশন টেস্টে আসার মত প্রশ্নই না।সবই ব্যবসা আর একপ্রকারের প্রতারনা।আজ বুয়েটে যে পরীক্ষা পেছানো নিয়ে এত গলা ফাটান অনেকে এইটার পেছনেও এই কোচিং ব্যবসায়ীদের অবদান খুব কম না।
৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৪২
দূর্যোধন বলেছেন: হুট কৈরা কোচিং নিয়া পর্লেন যে !!!!
কেমনাছেন ??
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:২৩
চেম্বার জজ বলেছেন: লেখা ভাল লেগেছে।
দুই মাস "চোপা বন্ধ" থাকার পর আজ ২য় মন্তব্য করছি।