![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“খুবই সাধারণ একটা ছেলে। আলাদা করে বলার কিছু নাই। আমার মাঝে বিশেষত্ব না খুঁজতে যাওয়া ই ভাল। অনেক বেশি বৃষ্টি বিলাসী আমি, বৃষ্টির জল এ সবকিছু ধুয়েমুছে শুদ্ধ কররার অভিপ্রায়। যে বৃষ্টি এলে ঝুম্ বৃষ্টিতে ভিজে যায়। আমার ধারণা বৃষ্টি এলে যদি না ভিজি আমরা,তাহলে বৃষ্টি খুব কষ্ট পায়।হৃদয় একলা করা নীল জোছনায় স্বপ্নকে আলোকিত করি। আমার বাসার পাশে একটা জল দিঘী ছিলও ,এখনও আছে। যেখানে সন্ধ্যা হলে আমি একা একা বসে থাকতাম , এলোমেলো ভাবনা নিয়ে। সবসময়ই সবাই কে হাসিখুশি রাখতে চাই... দেখতে চাই...সবার ভালবাসা পেতে চাই এবং সবার ভালবাসা পেয়ে আমি সত্যি অভীভূত !! জীবন নিয়ে আমার কোন আফসোস নেই। কিছু কষ্ট আছে , সেটা না থাকলে বোধোহয় সুখী হতে পারতাম না। আমি তাই বিশ্বাস করি।””
নিউজিল্যান্ডের এক নারীর অপঘাতে মৃত্যুর ঘটনা তদন্তকারী বিচারক আজ মঙ্গলবার বলেছেন, দৈনিক ১০ লিটার কোকাকোলা পানের আসক্তিই ওই নারীর মৃত্যুর জন্য দায়ী। বিচারক একই সঙ্গে কোকাকোলা পণ্যের গায়ে স্বাস্থ্য সতর্কতা এঁটে দিতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এএফপির বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, ৩০ বছর বয়সী আট সন্তানের মা নাতাশা হ্যারিস দক্ষিণ নিউজিল্যান্ডের ইনভারকারগিল এলাকায় বাস করতেন। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মারা যাওয়ার আগে কয়েক বছর ধরে নাতাশা প্রতিদিন যে প্রচুর পরিমাণ কোমল পানীয় পান করতেন, যা তাঁর মৃত্যু ডেকে এনেছে বলে জানিয়েছেন মৃত্যুর কারণ তদন্তকারী বিচারক ডেভিড ক্রেরার।
ডেভিড বলেন, নাতাশা হ্যারিস যেভাবে কোমল পানীয় পান করতেন, তা তাঁর শরীরে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করে এবং হূিপণ্ডের কম্পনকে অনিয়মিত করে দেয়। এটা শেষ পর্যন্ত তাঁর মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করে।
ডেভিড আরও বলেন, কোকাকোলা পান করা ছাড়া আর এমন কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি, যার জন্য নাতাশা এত কম বয়সে মারা যেতে পারেন।
নাতাশার মৃত্যুর ঘটনা তদন্তকারী এক রোগবিজ্ঞানী (প্যাথলজিস্ট) বলেছিলেন, নাতাশা অ্যালকোহল পান করতেন না, কিন্তু মরার আগে তাঁর যকৃত্ বেড়ে গিয়েছিল। পরীক্ষা করে দেখা গেছে, নাতাশার রক্তে চিনির পরিমাণ ছিল খুব বেশি কিন্তু পটাশিয়ামের পরিমাণ খুবই কম। এর ফলে নাতাশার হূদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছিল।
নাতাশার পরিবার জানিয়েছে, মৃত্যুর কিছু দিন আগে থেকে নাতাশা ‘বুক ধড়ফড়’ করার কথা বলতেন। ঘুম থেকে ওঠার পরই তিনি কোকাকোলা খেতে শুরু করতেন। তাঁর শাশুড়ি ভিভিয়েন হডকিন্সন বলেন, ‘যদি পানীয় ফুরিয়ে যেত, তবে সে পাগল হয়ে যেত। কখনো রাগে কাঁপত, কখনো চুপ হয়ে যেত, কখনো খুব রেগে যেত আবার কখনো চিত্কার চেঁচামেচি করত।’
নাতাশার পরিবার তদন্তকারী দলকে জানায়, নাতাশার সব দাঁত ক্ষয় হয়ে গিয়েছিল। অতিরিক্ত কোকাকোলা পান করার ফলে তাঁর এক সন্তান দাঁতের মারাত্মক সমস্যা নিয়ে জন্মায়। ওই সন্তানটির দাঁতে কোনো এনামেল ছিল না।
তদন্তকারী বিচারক ডেভিড ক্রেরার বলেন, নাতাশার পরিবার কখনো ভাবেনি, কোকাকোলা পান করার ফলে তাঁর ওইসব সমস্যা হয়েছিল। কারণ, কোকাকোলার বোতলের গায়ে কোনো সতর্কবার্তা দেওয়া ছিল না।
ডেভিড বলেন, কোকাকোলা কর্তৃপক্ষের উচিত, কী পরিমাণ কোকাকোলায় কত মাত্রার ক্যাফেইন (এক ধরনের উত্তেজক পদার্থ) থাকে তা বোতল বা ক্যানের গায়ে উল্লেখ করা। কতটুকু কোকাকোলা পান করলে কী ধরনের স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা আছে, তা-ও পরিষ্কার করে বলে দেওয়া প্রয়োজন।
ডেভিড আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা। কার্বন ডাই-অক্সাইডযুক্ত কোমল পানীয়গুলোতে কী পরিমাণ ক্যাফেইন মিশালে তা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হবে না, তা-ও নির্দিষ্ট করে দেওয়া প্রয়োজন।
কোকাকোলা ওশেনিয়ার পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে নাতাশার মৃত্যুর পেছনে কোকাকোলার দায় অস্বীকার করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, কোকাকোলাই যে নাতাশার মৃত্যুর জন্য দায়ী, এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা একমত নন। আবার ডেডিভ ক্রেরারও এ বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত নন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘নাতাশার মাত্রাতিরিক্ত কোকাকোলা পানের বিষয়টিকে বিচারক ডেভিড ক্রেরার সম্ভবত ওই নারীর জীবনযাপন পদ্ধতি ও স্বাস্থ্যগত বিষয়ের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছেন।’
©somewhere in net ltd.