নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এ আজাদি ঝুটা হ্যায়, লাখো ইনসান ভুখা হ্যায়

শৃঙ্খল হতে মুক্তির লড়াইয়ে যুক্ত থাকতে চাই

এস আর সজীব

এস আর সজীব › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়কে ppp-এর অন্তর্ভুক্তিকরণের মাধ্যমে প্রাইভেটাইজেশন করা হবে

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫২

PPP (Public Private Partnership) এর প্রথম নিদর্শন হচ্ছে ইংল্যান্ড যার পরিনতি আপনারা একটু খোজ করলেই দেখতে পারবেন। সাম্প্রতিক সময়ে ইংল্যান্ডের ছাত্র আন্দোলন তার উদাহরণ। আমাদের দেশের তথাকথিত বুদ্ধিজীবিরা বলতেন উন্নত দেশে নাকি ছাত্র রাজনীতি নেই। তাদের জন্য এটি একটি উদাহরণ। যেখানেই অধিকারের সঙ্কট সেখনেই সংগ্রাম হবে এটাই নিয়ম, সে হোক ঢাকা বা লন্ডন।

যা হোক, যা বছিলাম বাংলাদেশেও এখন শিল্প ও সেবা খাতগুলোকে PPP (Public Private Partnership)-এর আন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যেই শিক্ষাকে বাজার থেকে কিনে নেওয়া পণ্যে পরিণত করার লক্ষ্যে PPP-এর আন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে। গত ৮ এপ্রিল, ২০১০ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-এ আয়োজীত CSE Carnival-এ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন যে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে PPP (Public Private Partnership)-এর মডেল হিসেবে দাড় করাতে। অর্থাৎ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় করার মডেল হবে শাবিপ্রবি।কিন্তু এই পরিকল্পনা যদি বাস্তবায়ন হয় তাহলে North South university মত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আর বাংলাদেশের ৩১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন কাঠামো হবে এক ও অভিন্ন। এতে করে বাংলাদেশের মত অনুন্নত দেশে একটি নির্দিষ্ট শ্রেণী ছাড়া কেউ উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাবে না। প্রকৃতপক্ষে এটি UGC-র ২০০৬ থেকে ২০২৬ সাল মেয়াদী কৌশলপত্র বাস্তবায়নের একটি নতুন পন্থা। এরই ধারাবাহিকতায় দেখা যাচ্ছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বেতন অত্যাধিক এবং অন্নান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও বিভিন্ন খাত দেখিয়ে বেতন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। কিছুদিন আগে যেমনটি ঘটে গেল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্বব্যাংক, IMF-এর নির্দেশে শিক্ষা সংকোচনের এসকল নীতি বাস্তবায়ন হলে ছাত্রদের মধ্যে বড় অংশ উচ শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। তাই এসকল আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর পরিকল্পনা রুখে দারাতে ছাত্রসমাজের জোড়ালো অবস্থান নিতে হবে।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৯/-২

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৯

নষ্ট ছেলে বলেছেন: লন্ডনে ছাত্ররা কুন দলের চামচামী করছে? নাকি নিজেদের অধিকার সুবিধা আদায়ের জন্য আন্দোলন করছে?

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৬

এস আর সজীব বলেছেন: অবশ্যয় অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করেছে। আর অধিকার আদায়ের জন্যই রাজনীতি, চামচামীর জন্য নয়।

২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৪

আশক বলেছেন: একজন ছাত্রকে বেতন দিয়ে পড়ার মানসিকতা থাকা উচিত। সাথে বৃত্তির ব্যাবস্থাও থাকতে হবে। যারা একটা মিনিমাম মার্ক বা গ্রেড পাবে সরকার তাদের বিনা পয়সায় পড়ার ব্যাবস্থা করবে+তাদের মাসিক একটা ভাতাও দিতে হবে।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১১

এস আর সজীব বলেছেন: আজকে পড়ালেখাটা যেভাবে বাণিজ্যিক হয়ে যাচ্ছে তাতে ভাল রেসাল্ট করতেও অনেক কাঠ কয়লা পড়াতে হয়। যেখানে পৃথিবীর ৭৫% মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বাস করে সেখনে ক্জনের পক্ষে এটা সম্ভব? আর আমাদের দেশে?!?

৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৯

নীল_পদ্ম বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় থাকলে শিক্ষা-ব্যবস্থা অবৈতনিক থাকাই শ্রেয়। বেশিরভাগ মানুষেরই টাকা দিয়ে পড়ালেখা করার সামর্থ নাই।

আমাদের বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের গভর্ণর ডঃ আতিউর রহমান আজকে দিনমজুর থাকতেন যদি না আমাদের উচ্চশিক্ষা অবৈতনিক হত।

৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১১

বাদ দেন বলেছেন: @আশক, শিক্ষা একটা মৈলিক অধিকার, রাষ্ট্রের দায়িত্ব তা নিশ্চিত করা। সব যোগ্য ছাত্রের জন্য সরকারের বিনা পয়সায় ব্যবস্থা করা উচিত

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৬

এস আর সজীব বলেছেন: আমি একমত।

৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২১

আশক বলেছেন: @বাদ দেন, আমিও তো তাই বল্লাম। এক জন ছাত্র ভাল ফলাফল করলে তার সব খরচ সরকার বহন করবে। প্রথম বছর সকল ছাত্রের খরচ সরকার বহন করবে, পরবর্তি বছরগুলো ছাত্রের ফলাফলের উপর নির্ভর করবে। সাথে শিক্ষক নিয়োগ ৩বছরের জন্য করা উচিত। ৩বছর পর পেপার ও পারফর্মেন্সের উপর নির্ভরকরে মেয়াদ বারবে বা চাকরি ডিসমিস।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫০

এস আর সজীব বলেছেন: আর যারা খারাপ রেসাল্ট করবে?

৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৬

বল্টু মিয়া বলেছেন: সব তাইলে পেরাইভেট হইয়া যাইবো !!! তাইলে পাবলিক-পেরাইভেট ক্যাচাল করুম কার লগে ? :((


কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না।যাই করুক না কেন। :P

৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৮

েকউ একজন বলেছেন: আশক বলেছেন: একজন ছাত্রকে বেতন দিয়ে পড়ার মানসিকতা থাকা উচিত। সাথে বৃত্তির ব্যাবস্থাও থাকতে হবে। যারা একটা মিনিমাম মার্ক বা গ্রেড পাবে সরকার তাদের বিনা পয়সায় পড়ার ব্যাবস্থা করবে+তাদের মাসিক একটা ভাতাও দিতে হবে।

আশক ভাই, এটা কি বললেন??????????

নীল_পদ্ম বলেছেন,আমাদের বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের গভর্ণর ডঃ আতিউর রহমান আজকে দিনমজুর থাকতেন যদি না আমাদের উচ্চশিক্ষা অবৈতনিক হত।


ড: আতিউর রহমান একজন কৃষক এর সন্তান...............।

বিশ্ববিদ্যালয় এ বেতন দিয়ে পড়তে হলে তাকে আসলেই দিনমজুর থাকতে হত................

৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৬

বাংলার কথা বলি বলেছেন: :-B :-B :-B :-B

৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২০

আকাশ_পাগলা বলেছেন: যোগ্য ছাত্রদের বিনা বেতনে পড়ানো উচিত। পুরা ভার্সিটিকে না। ইসলামিক ইতিহাস, বাংলা, পালি ভাষা, নাট্যতত্ত্ব, বিশ্বধর্ম,ইতিহাস,দর্শণ আরও একশ সাবজেক্ট আছে যেগুলা বাংলাদেশে ফ্রি পড়ানো হয়। যার কোন মানেই নেই। বাংলাদেশের মত এমন গরীব একটা দেশে এধরণের ফাজলামির সুযোগ নেই।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৩৩

এস আর সজীব বলেছেন: যারা ইসলামিক ইতিহাস, বাংলা, পালি ভাষা, নাট্যতত্ত্ব, বিশ্বধর্ম,ইতিহাস,দর্শণ আরও একশ সাবজেক্ট পোড়েন তরা কি অযোগ্য?

১০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:০৫

ধইঞ্চা বলেছেন: I welcome this idea.

একটু খোজ নিয়া দেখেন দেশ ভাগের আগে মাসিক টিউশন ফি কত ছিল একজন ছাত্রের। আমি যেটা জানি তা হল ১২ টাকা , সে সময় ১২ টাকায় ৬ মণ ধান পাওয়া যেতো । এখন ৬ মন ধানের দাম কত হবে । আর টিউশন ফি দেয় কত?
এখন পাবলিক বিস্ববিদ্যালয় গুলা হচ্ছে শুয়রের খোয়ার ।

১১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৪৫

আকাশ_পাগলা বলেছেন: লেখক বলেছেন: যারা ইসলামিক ইতিহাস, বাংলা, পালি ভাষা, নাট্যতত্ত্ব, বিশ্বধর্ম,ইতিহাস,দর্শণ আরও একশ সাবজেক্ট পোড়েন তরা কি অযোগ্য?


তারাও অনেক কম্পিটিশন দিয়ে টিকছে, সেটায় সন্দেহ নাই। তারাও যোগ্য ত বটেই। তবে, এতটা যোগ্য না যে, তাকে দেশের কৃষকের টাকার ট্যাক্স দিয়ে তাকে মাগনা পড়াইতে হবে।

খুব যারা যোগ্য তাকেই মাগনা পড়ানো হবে।
যারা কৃষক, তারে জিজ্ঞাসা করেন যে , তার টাকা দিয়ে নাট্যতত্ত্ব মাগনা পড়ানোর ইচ্ছা তার আছে কী না??? সারাদিন সে খাটবে, আর এখানে পোলাপান তার উপরেই মাস্তানী করবে -- এটা সাপোর্ট করার কিছু নাই।

যে এ+ পাইছে, সেও ত ভাল ছাত্র। এখন সবাইকেই কী মাগনা পড়ানো লাগবে নাকি???


যোগ্য ছাত্রদের বিনা বেতনে পড়ানো উচিত। পুরা ভার্সিটিকে না। ইসলামিক ইতিহাস, বাংলা, পালি ভাষা, নাট্যতত্ত্ব, বিশ্বধর্ম,ইতিহাস,দর্শণ আরও একশ সাবজেক্ট আছে যেগুলা বাংলাদেশে ফ্রি পড়ানো হয়। যার কোন মানেই নেই। বাংলাদেশের মত এমন গরীব একটা দেশে এধরণের ফাজলামির সুযোগ নেই।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৫৯

এস আর সজীব বলেছেন: যোগ্যতা অর্জন করতে গেলেও কাঠ কয়লা পড়াতে হয়, প্রাইভেট পড়া থেকে শুরু করে আরও নানাভাবে। সেটা কি সবার পক্ষে সম্ভব?

তাছাড়া সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল শিক্ষাটা মৌলিক অধিকার। দেশের সকল নাগরিকের শিক্ষিত হওয়ার অধিকার আছে এবং রাষ্ট্র তা দিতে বাধ্য থাকবে।

১২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৭

েকউ একজন বলেছেন: আকাশ_পাগলা বলেছেন: যোগ্য ছাত্রদের বিনা বেতনে পড়ানো উচিত। পুরা ভার্সিটিকে না। ইসলামিক ইতিহাস, বাংলা, পালি ভাষা, নাট্যতত্ত্ব, বিশ্বধর্ম,ইতিহাস,দর্শণ আরও একশ সাবজেক্ট আছে যেগুলা বাংলাদেশে ফ্রি পড়ানো হয়। যার কোন মানেই নেই।

সারা বাংলাদেশ এর সবাইকে EEE, CSE, BBA পড়ানো উচিত...
কি বলেন ভাই???????????

আপনার কাছে যোগ্যতার মাপকাঠি টা কি যদি একটু বলতেন দেশ জাতি উপকৃত হত...........।


"ধইঞ্চা" আইডিটা যেমন কমেন্টটাও তেমন.............।

যে বিশ্ববিদ্যালয় বানান কে "বিস্ববিদ্যালয়" লেখে..
সে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কমেন্ট করার কতটুকু যোগ্যতা রাখে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে................

১৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:২২

আকাশ_পাগলা বলেছেন: @কেউ একজন

সবাইকে আপনার বলা সাবজেক্টগুলা পড়াতে হবে আমি তা বলি নি। দেশে যে কয়জন ইইই,সিএসই,বিবিএ লাগে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যোগান পাওয়া যায়। এর বেশি হলে অপচয় হবে মনে হচ্ছে।


বাকি সাবজেক্ট পড়ানোর মানে নেই, তা না। আমি বলেছি বাকি গুলা ফ্রি পড়ানোর দরকার নেই। আপনারাই ত বলছেন যে, যারা যোগ্য তারা পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স পেয়েছে, পাবলিকের টাকায় পড়বে। আমি শুধু আরও একটু স্পেসিফাই করলাম। যারা অধিকতর যোগ্য তারাই শুধু পাবলিকের টাকায় ফ্রি পড়বে। অন্তত ডাক্তারী এবং যে কোন এপ্লাইড সাবজেক্টের স্টুডেন্ট ত বটেই। বাকি সাবজেক্ট গুলায় কারও আগ্রহ থাকলে নিজের টাকায় পড়ুক। বাকিগুলোরও যথেষ্ট দরকার আছে। কিন্তু আমাদের মত গরীব দেশে সেই দরকার গুলো আপাতত মুখ্য না। তাই সেখানে ব্যবহৃত টাকা গুলা দিয়ে অন্য কোন জনকল্যাণমূলক কাজ করার পক্ষপাতি আমি।

১৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১১ রাত ২:১১

েকউ একজন বলেছেন: আকাশ_পাগলা ভাই, সবকিছুকে দয়া করে জব মার্কেট দিয়ে বিচার করবেন না.......................

দর্শন, ইতিহাস এর মত সাবজেক্ট নিয়ে এ ধরনের কথা কখনোই কাম্য না...........

বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে এসব সাবজেক্ট এ পড়ার জন্য ফান্ড বেশি দেয়া হ্য়.।

এপ্লাইড সাবজেক্ট গুলোতে নিজের টাকা্য় পড়তে বলা হ্য় বা এই সাবজেক্ট গুলো তে ফান্ড কম দেয়া হয়



দেশে সব এপ্লাইড সাবজেক্ট পড়ালে অর্থনীতি, ফিজিক্স,পরিসংখ্যান এসব সাবজেক্ট ও পাবলিক ইউনি থেকে বন্ধ করে দেয়া উচিত..............মানে ফ্রি পড়ানো বন্ধ করে দেয়া উচিত...............।

বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে এসব সাবজেক্ট এ পড়ার জন্যই ফান্ড বেশি দেয়া হ্য়.।

এপ্লাইড সাবজেক্ট গুলোতে নিজের টাকা্য় পড়তে বলা হ্য় বা এই সাবজেক্ট গুলো তে ফান্ড কম দেয়া হয়


ফান্ড বেশি দেয়া বলতে আমি স্কলারশিপ বোঝাচ্ছি........

আমি নিজে এপ্লাইড সাবজেক্ট পড়ি কিন্তু বেসিক সাবজেক্ট এর মূল্য কখনো অস্বীকার করিনা এবং আমার মনে হয় এগুলো পড়ার জন্যই বেশি উৎসাহ প্রদান করা উচিত...............।



১৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:২৪

আকাশ_পাগলা বলেছেন: জব মার্কেট নিয়ে একবারও বলিনি।
যাক, অর্থনীতি ফিজিক্স এগুলা একটাইপের বেসিক আর নাট্যকলা, ইসলামিক ইতিহাস এগুলা আরেক টাইপের। তাইনা? গ্রামার ধরে চললে হবেনা, পার্থক্যটা আপনি নিজেই জানেন।

ধরেন, সবাই মিলে আলোচনা করল। আপনার একমত, আমার আরেক। শেষমেষ একটা ডিসিশনে এসে কিছু দরকারি এবং গুরুত্বপূর্ণ সাবজেক্টকে ফ্রী দেয়া হল, আর কিছু সাবজেক্টকে টাকা দিয়ে পড়তে বলা হল।

তাও ত দেশের টাকা কিছু বাঁচল। তাইনা?

১৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:৩৩

েকউ একজন বলেছেন: দেখে ভাল লাগলো যে আপনি ইতিহাস, দর্শনকে আপনার অগুরুত্বপূর্ণ সাবজেক্টের লিস্ট থেকে বাদ দিয়েছেন................।

আকাশ_পাগলা বলেছেন: জব মার্কেট নিয়ে একবারও বলিনি।

তাহলে আপনি গুরুত্বটা কোনদিক থেকে বিচার করলেন????????

আমি আপনার " এক টাইপ" "অন্য টাইপ" কথাটা বুঝিনি........

আপনি কি বলতে চাচ্ছেন যেসব সাবজেক্ট মানবতা সমাজ ব্যবস্হা জীবন আচরন এসব নিয়ে পড়ালেখা করায় সেগুলো কম গুরুত্বপূর্ণ?

আপনি বাংলা নিয়ে ও কথা বলেছেন.............।

আমি আসলেই খুব আশ্চর্য হয়েছি...........।

টাকা বাঁচানোর জন্য আমরা বাংলা পড়া ছেড়ে দিব???????

আপনি হয়তো বলবেন যে আপনি তো ছেড়ে দেয়ার কথা বলেন নি.....।

কিন্তু ভাই যে সাবজেক্টের খোলা চোখে জব মার্কেট এ ভ্যালু কম সেই সাবজেক্টকে টাকা দিয়ে পড়তে বলা আর ব্ন্ধ করে দেয়া একই কথা নয় কি?????????

আপনি পালি সংস্কৃত ঊর্দু নিয়ে বলতে পারেন যে এগুলোর দরকার নেই..
আমি এখানে হ্য়তো আপনার সাথে খুব বেশি দ্বিমত করবনা..।

এরকম সাবজেক্ট আছে হাতে গোনা কিছু এবং এগুলো পড়ানোর পেছনে কিছু ঐতিহাসিক কারণ রয়েছে............

(ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর ফার্সি বিভাগটি পারলে একবার দেখে যাবেন.......
এখানে ইরান সরকার এর অনেক ফান্ড আসে.......
জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগটি জাপান সরকারের আগ্রহে এবং অর্থ সহযোগীতা নিয়ে চালানো হয়.....)

কিন্তু আপনি যেভাবে বললেন "একশ সাবজেক্ট "

এবং ঐ সাব্জেক্ট গুলোর মধ্যে ইতিহাস দর্শন বাংলা এর মত সাবজেক্ট কে অন্তর্ভুক্ত করলেন আমি তার বিরোধিতা করেছি মাত্র........


সত্যিকার এর একটি বিশ্ববিদ্যালয় মানুষ তৈরি করে,করণিক নয়.........।

মানুষ তৈরি করতে নলেজ এর কোন বিকল্প নেই........।

আর নলেজ কখনো গুরুত্ব বিচার করে অর্জন করা যায়না.............

১৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:২৭

আকাশ_পাগলা বলেছেন: আর নলেজ কখনো গুরুত্ব বিচার করে অর্জন করা যায়না.............


বিরোধিতা করলাম।
আপনি এক টাইপ - অন্য টাইপ কথাটা বুঝেন নি। ফাইন। তাহলে বুঝা গেল, আপনি তর্ক করার জন্যেই তর্ক করছেন। কিন্তু আমার তর্কের কোন ইনটেশন নাই।

বাংলা আর ফিজিক্স দুটোকে কখনই এক কাতারে ফেলব না। নলেজ বলেন আর যাই বলেন। টাইপ কথাটা এখানেই আসে। বাংলাকে ছোট করছি না। বাংলার গুরুত্বও কম দিচ্ছি না। তবে, এটা মাগনা পড়ানোর সাবজেক্ট না। গুরুত্বটা বিচার করছি জব মার্কেট দিয়ে না। সবচেয়ে বেশি যাদের থেকে ট্যাক্স পাওয়া যায়, তাদের কতটুকু কাজে লাগবে, সেটার উপর বলছি। বাংলা কৃষকের কতটুকু উপকার করবে?(ফিজিক্স টাইনেন না, এইটা লাগে।)

রকেট নিয়ে ১০০ জন পড়তে চাইলে, এদের এখনই মাগনা পড়ানোর সময় দেশের আসে নি। সবচেয়ে ভাল ১০ জনকে বড়জোর মাগনা বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক। একই ভাবে, দর্শন কিংবা বাংলা কিংবা পালি বা নাট্যকলা বা আরও একশ সাবজেক্ট অইতিহাসিক তাগিদে কিংবা মানুষ বানানোর তাগিদে কিংবা যে কারণেই হোক, এখনও মাগনা পড়ানোর সময় আমাদের দেশে আসে নি।

১৮| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৪৯

েকউ একজন বলেছেন: ভাই আপনার কথার উপর কমেন্ট করাটাই আমার ভুল হয়েছে.......
মাফ ও চাই দোয়া ও চাই...............
যে লোক নলেজ কখনো গুরুত্ব বিচার করে অর্জন করা যায়না.............
এই কথার সরাসরি বিরোধিতা করে তার কমেন্ট এর উপর কমেন্ট করাটাই বড় ভুল.....................

অন্যভাবে নিবেন না
আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে আপনি কি পড়েন????????

ভেটেরনারি বিশ্ববিদ্যালয় নাকি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়?????

আপনি আমাকে বোঝান বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়ার ও বা কি দরকার???????

সবাই কারিগরি কৃষি শিক্ষা নিলেই তো হয় এস এস সি এর পর
কৃষকের উপকার হল
সরকারের ও টাকা সেভ হল




ফিজিক্স কোনদিক দিয়ে লাগে তাতো বললেন না............

এপ্লাইড ফিজিক্স , eee লাগতে পারে..........

কিন্তু পিউর ফিজিক্স কোনদিক দিয়ে কৃষক এর লাগে আমার বোধগম্য নয়...
আমি কম জানতে পারি..............

অনার্স লেভেল এ গণিত এর ও মনে হয় কোন দরকার নেই কৃষকের।



আপনি যদি বলেন আমি তর্ক করার জন্য তর্ক করছি

তাহলে দয়া করে আপনি নিজে একবার উপর থেকে পড়ে আসুন......

আপনি যে এত কৃষক কৃষক করছেন
একটা ব্যাপার খেয়াল করছেন না কেন???????

কৃষক এর সন্তান কে পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্যই তো আমরা ফ্রি পড়ানোর জন্য বলছি................।

আপনারা তো বলছেন শুধু যোগ্যতার কথা............।

কৃষকের সন্তান কিভাবে নিজেকে যোগ্য করে তুলবে........???????

একটু ভাবেন দয়া করে..............।

১৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৭:৫৮

আকাশ_পাগলা বলেছেন: আইচ্ছা ঠিক আছে, আপনি ঠিক।
আমিই ভুল।
খুশি???

আপনার কথা অনুযায়ীই ত দেশটা চলতেছে, চলে চলে এই অবস্থা।
নইলে আর দেশের এই হাল হয়????

২০| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:০৬

আকাশ_পাগলা বলেছেন: ফিজিক্স লাগে এপ্লাইডের জন্য, আর এপ্লাইড ত এপ্লাই হয়।
আর স্পেসিফিক নলেজের যদি গুরুত্বের ডিফারেন্ট লেভেল না থাকে, তাহলে আসেন সব খান থেকে ফিজিক্স উঠিয়ে দিয়ে পালি ভাষা অথবা হিন্দী ভাষা শিক্ষা চালু করি।

সবই ত নলেজ। আপনার হিসাব অনুযায়ী গুরুত্ব আর প্রয়োজন কোন ব্যাপার না। সাবজেক্ট হলেই হল।

ভাল। আমি অফ গেলাম।
ভাল থাইকেন।
শিক্ষাবিদ হইয়েন। এমন কনভেনশনাল সিস্টেমের জন্যেই দেশের অবস্থাও এমন প্রাগৈতিহাসিক হইছে। অন্য কোন সাবজেক্ট বন্ধ করার কথা বলি নি, শুধ বলছি অনেক সাবজেক্ট আছে যেগুলারে মাগনা না পড়ায়া, বরং সেই টাকা দিয়ে অন্যান্য ""আরও"" গুরুত্বপূর্ণ বা প্রয়োজনীয় সাবজেক্টের সিট বাড়ানো যায়। যেই টা আরও বেশি সুফল ডেকে আনবে।


আমি কোন শিক্ষাবিদ না। হওয়ার সুযোগও নাই। আমার মতামত কে কেউ সিরিয়াসলি না নিলেও দেশের ক্ষতি আর বাড়বেও না কমবেও না।
ব্যক্তিগতভাবে আমি খুবই খারাপ ছাত্র।
গুড বাই।

২১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৩৩

েকউ একজন বলেছেন: আপনি তো আমার প্রশ্ন এর উত্তর না দিয়েই চলে গেলেন.........।

কৃষক এর সন্তান এর ব্যপারটা এড়িয়ে গেলেন..........

আমার কথামত দেশ চলতাছে বলে এই অবস্হা
আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন আপনার দেয়া ফর্মুলা অনুযায়ী দেশ চললে দেশের উন্নতি হবে...........।

প্রাইভেট ইউনি তে তো ছাত্র রা টাকা দিয়ে পড়ছে........।

তাদের দিয়ে কয়জন কৃষক এর উপকার হচ্ছে???????????????

আমি তো আপনাকে পুরো বিশ্বের উদাহরণ ও দিলাম.........।


বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে বেসিক সাবজেক্ট এ পড়ার জন্যই ফান্ড বেশি দেয়া হ্য়.।

এপ্লাইড সাবজেক্ট গুলোতে নিজের টাকা্য় পড়তে বলা হ্য় বা এই সাবজেক্ট গুলো তে ফান্ড কম দেয়া হয়


তাদের মাথা নিশ্চয় আমার আপনার থেকে বেটার এই টুকু আশা করি স্বীকার করবেন.......।

ভাল থাকবেন ........।

আর ভাই এই কথা গুলোকে দয়া করে ঝগড়া হিসেবে না নিয়ে আলোচনা হিসেবে নিবেন আশা করি.....

একজনের মত একেক রকম হতেই পারে......।

তা শেয়ার করার জন্যই তো এই ব্লগ



ভাল থাকবেন ........।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.