নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Nobody is perfect ...I am NOBODY! :)

শায়লা িসিদ্দক

আমাকে খুজবে প্রভাতের সূর্য কিরণে,যদি না পাও তো খুঁজবে সন্ধ্যায় যখন সূর্য ডুবি ডুবি করেও ডুবছেনা! সাবধান! মধ্যাহ্নে আমাকে কখনো অনুসরণ করবেনা !

শায়লা িসিদ্দক › বিস্তারিত পোস্টঃ

চুল আর পড়বে না !!!

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫

চুল পড়ছে! হাতে উঠে আসা চুল দেখামাত্রই মেজাজটা বিগড়ে গেল। কপালে চিন্তার ভাঁজ। এখন উপায়? বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দিনে ৫০ থেকে ১০০টা চুল পড়লে সেটি নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। চুল পড়লে আবার নতুন চুল গজায়। এর থেকে বেশি চুল পড়লে তখন বিশেষ যত্ন নিতে হবে। এটা প্রতিরোধ করতে সবার আগে পরিষ্কার চুল নিশ্চিত করতে হবে।নিয়মিত চুলের যত্ন নিলে চুল পড়া রোধ হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। কোনো ধরনের মানসিক চাপকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।

কেন চুল পড়ে

নানা কারণে মানুষের চুল পড়ে। দেখা যায়, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, ভিটামিনের অভাব, হরমোনের কারণ ও খুশকির জন্যও পড়তে পারে। আবার কোনো রোগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়ও চুল পড়তে পারে, জানান হলিফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকল কলেজের চর্মরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আফজালুল করিম। তাই বলে বসে থাকলে তো চলবে না। ঘরে বসেই চুলের যত্ন নেওয়া যেতে পারে।



তৈলাক্ত, রুক্ষ ও মিশ্র—এই তিন ধরনের চুল হয়ে থাকে। তাই ধরন বুঝে পরিচর্যা করতে হবে। আর চুল কোন ধরনের, তা বুঝবেন কীভাবে? সাধারণত যার ত্বকের ধরন যেমন, চুলও সেই ধরনের হয়ে থাকে।

এবার থাকল রাহিমা সুলতানার দেওয়া বেশ কিছু পরামর্শ।



চুল পড়া রোধে তেল

স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের জন্য সপ্তাহে অন্তত এক দিন তেল ব্যবহার করতে হবে। যাঁদের খুশকির সমস্যা, তাঁরা তেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এতে খুশকির সমস্যা কমে যায়। মাথার ত্বকের লোমকূপ খোলার জন্য নারকেল তেল, জলপাই তেল বা তিলের তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।



চুল ধোয়া ও শুকানো

চুলে তেল ব্যবহারের পর গরম তোয়ালে থেরাপি নেওয়া যেতে পারে। তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে পানি ঝরিয়ে ১০ মিনিট চুলে জড়িয়ে রাখলে চুল পড়া কমে যায়। তবে বেশিক্ষণ রাখলে গোড়া নরম হয়ে যেতে পারে।

চুলে ধুলা-ময়লা জমলে চুল পড়ার পরিমাণ বাড়ে। সে জন্য মাথার ত্বক সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে বের হলে প্রতিদিন মৃদুক্ষারের শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। এরপর খুব জোরে না মুছে আলতো করে মুছতে হবে। হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে না শুকিয়ে প্রাকৃতিক বাতাস বা ফ্যানের বাতাসে শুকানো উচিত। ভেজা চুল বাঁধলে চুল পড়ার সমস্যা তৈরি হয়। এ ছাড়া কন্ডিশনার ব্যবহারের সময় খেয়াল রাখতে হবে, তা যেন চুলের গোড়ায় না পৌঁছে।



ঘরে তৈরি চুলের প্যাক

আমলকী, হরীতকী ও বহেরার গুঁড়ার সঙ্গে এক টেবিল-চামচ টকদই ও ডিম মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে দুই দিন এই প্যাক ব্যবহার করা ভালো।

অ্যালোভেরা চুল পড়া রোধে সবচেয়ে বেশি কার্যকর। চুলকে মসৃণ করতেও এর জুড়ি নেই। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার করতে পারেন।

পেঁয়াজের রস চুলের জন্য অনেক উপকারী। পেঁয়াজের রস ১০ মিনিট রেখেই চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। আবার শুধু পেঁয়াজের রস ব্যবহার না করতে চাইলে এর সঙ্গে মেথির গুঁড়া, ডিম ও টকদই মিশিয়ে নিতে পারেন।

হাতের কাছে জবা ফুল পেলে এর পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল পড়া কমে যাবে।

চুল পড়া রোধ করতে আরেকটি জিনিস খুব কার্যকরী, সেটি হলো হেনা প্যাক। সপ্তাহে অন্তত এক দিন শুধু হেনা ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে এর সঙ্গে চায়ের লিকার ও টকদই মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এর ব্যবহারে চুল পড়া তো কমেই, চুল উজ্জ্বলও দেখায়।

এই প্যাকগুলো ৩০ মিনিট রেখেই চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।



আরও কিছু টিপস

মাসে অন্তত একবার চুলের আগা ছাঁটতে হবে।

রাতে ঘুমানোর আগে চুল বেঁধে ঘুমাতে হবে।

চুলের প্রসাধন যেমন হেয়ার সেপ্র, মুজ ব্যবহার করার পর বাড়িতে ফিরে তেল দিতে হবে। এরপর ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

ঘন ঘন চুল আয়রন বা ব্লো ড্রাই করা উচিত নয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.