![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাত্র কিছুদিন আগে বাংলা চলচ্চিত্র নিয়ে বেশকিছু পোস্ট চোখে পড়ল । কারো কারো মতে এবার নতুন কিছু ভিন্ন ধারার ছবি আসছে । কিন্তু ভিন্ন ধারাটা কেমন? এটা ইতিবাচক হচ্ছে কি? আবার কেউ কেউ হিন্দি ছবি বর্জনের মাধ্যমে দেশীয় চলচ্চিত্রকে বাঁচানোর কথাও বলছেন । হিন্দি ছিনেমাগুলো আমি ব্যাক্তিগতভাবেও পছন্দ করি না । তবে কেবল দেশীয় আবেগের আবরণে মুড়িয়ে এ শিল্পের দৌড় কতদূর যাবে সেটাও একটা ভাববার বিষয় । সবকিছুর শেষে তো লোকে এটাই দেখবে যে ছবিটা কেমন হল, নাকি? এখানে আমার নিজস্ব ধারণা থেকে কয়েকটি দিক তুলে ধরছি । এসব নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে, তবে এ ব্যাপারগুলোর দিকে দৃষ্টি দেয়া বেশ জরূরী ।
বাজেটের অপ্রতুলতা
একটা ভালো ছিনেমার জন্য যে পরিমাণ বাজেট প্রয়োজন, অনেক নির্মাতা তা জোগাড় করতে পারে না । ছবির কাহিনী এবং অন্যান্য সবদিক ভালো হলেও তার মান নিম্ন হয়ে যায় । অনেক তরুন নির্মাতা এটার অভাবে ছিবি তৈরির কথা চিন্তাও করতে পারে না । আমার মতে অনন্ত জলিলের মত লোক নিজে নায়ক না হয়ে বরং এসব জায়গায় কিছু ইনভেস্ট করলে আরো ভালো ভালো ছবি পাওয়া যেত এবং সে অপমানিত না হয়ে বরং বাহবাও পেত
ভালো ছবির তেমন প্রচার নেই
ইদানিং আমরা ভিন্ন ধরণের কিছু ভালো ছবি পাচ্ছি ঠিক-ই, কিন্তু প্রচারের অভাবে তা দর্শকের কাছে পৌছায় না । কোনো কোনো ছবি দেখে মনে হয় তা যেন এক বিশেষ শ্রেণীর জন্যই তৈরি । এমন ছবিও আছে যা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পুরস্কৃত হয়, অথচ এ দেশের খুব অল্প লোকই তার খবর রাখছে । ছিনেমার প্রচারণা, রিভিউ এসবের বড় অভাব এ দেশে ।
কাহিনী বিন্যাস, সংলাপ, প্রকাশভঙ্গি
খুব দুঃখজনক আমাদের দেশের ছিনেমাগুলোর বেশিরভাগের কাহিনী দেখা যায় অনেকটা একই ধাচের, নতুনত্ব খুব কম । এমনকি আজ এই পর্যায়ে এসেও আমদের ছিনেমা শিল্পে নকল প্রবণতা দূর হয়না । দূর্বল স্ক্রিপ্টের সংলাপ নির্মাণও হয় দূর্বল । দৃশ্যগুলো হয়ে যায় যাত্রাপালার মত। সেগুলোকে ভিডিও এডিটিং-এর সময় কেমন খাপছাড়া ভাবে যোগ করে ছবিটি বানানো হয় । সব মিলিয়ে নির্মাণে রয়ে যায় চোখে পরার মত ত্রুটি ।
এছাড়াও অনেক ছবির গল্পগুলো অনেকটাই স্ট্রেইট-ফরওয়ার্ড । এককেন্দ্রিক কাহিনী, কোনো টুইস্ট নেই, সাস্পেন্স নেই, গল্পের শুরুতেই অনেকে আন্দাজ করে ফেলে শেষটা কি হচ্ছে । আবার সংলাপ ইত্যাদির দীর্ঘসূত্রিতা এমন পর্যায়ে দাঁড়ায় যে মনে হয় শুধু বিভিন্নভাবে দেড়-দুই ঘন্টায় ফিল্মটি টেনে নেয়া হচ্ছে । অনেক অপ্রয়োজনীয় দৃশ্যও দেখানো হয় সময়ে সময়ে ।
অভিনয়ের দূর্বলতা
এ ব্যাপারটা অস্বীকার করার উপায় নেই । অনেক শিল্পী যদিও নিজেদের মত একটা স্টাইল তৈরি করে নিচ্ছে এবং এটা অনেক ক্ষেত্রে ভালোও, তবে এরপরও ত্রুটি-বিচ্যুতি দেখা যায় কোনো কোনো কখনো কখনো । ছিনেমার কাহিনী হওয়া উচিৎ বাস্তব আর অভিনয়ও হওয়া উচিৎ বাস্তববাদী, যেন লোকে তা বিশ্বাস করে । এসবের দিকে নির্মাতাদের অবশ্যই নজর দেয়া উচিৎ ।
অযথা অ্যাকসন এবং প্রযুক্তির যথেচ্ছ ব্যাবহার
ছবিতে অ্যাকসন থাকতেই পারে । কিন্তু অ্যাকসন ছাড়াও ছবি বানানো সম্ভব । যত্রতত্র অ্যাকসন ছবির স্বকীয়তাই থাকে না । আবার ইদানিং কিছু 'বিগ বাজেটে'র ছবিতে আমরা দেখছি প্রযুক্তির ব্যাবহার । প্রযুক্তি হয়তো ছিনেমার নির্মাণের প্রয়োজনে ব্যাবহৃত হতে পারে । কিন্তু অনেকে বুঝতে চায় না যে ছিনেমার জন্যই প্রযুক্তি, প্রযুক্তির জন্য ছিনেমা নয়। তাই ছিনেমার পরতে পরতে ভিজুয়াল এফেক্টস্, অ্যানিমেশনের জোয়ার বসিয়ে দেয় । কাহিনীর চেয়ে প্রযুক্তি হয়ে যায় গুরুত্বপূর্ণ । এ ধারাটা কখনো ভালো ফল দেবে না ।
তবে যাই হোক, এতকিছুর পরও এদেশে যে ভালো ছবি নির্মাণ হচ্ছে না, তা ঠিক নয় । বরং বলতে হয় দিন দিন আসলেই এর উন্নতি হচ্ছে । কিন্তু প্রচার-প্রসাড় ইত্যাদির অভাবে অনেক ভালো ছবিই সাধারণ দর্শকের হাতে হাতে পৌছায় না । ফলাফল, এর তুলনায় অনেক সহজলভ্য সস্তা হিন্দি ছিনেমার দিকেই লোকে ঝুকছে । আর সেই সাথে জনপ্রিয় হয়ে হচ্ছে তাদের নাচ-গানের এক অসুস্থ সংস্কৃতি ।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪০
বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৯
আকাশ_পাগলা বলেছেন: আর বাকি রইলো কী?
সবই ত তাইলে অন্তরায়।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯
বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: বাজেটের ব্যাপারটা অন্তরাইয়, বাকিগুলোর জন্য শুধু নির্মাতাদের আন্তরিকতাই যথেষ্ঠ বলে আমি মনে করি
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৭
tanbir10 বলেছেন: অনন্ত জলিলের মত লোক নিজে নায়ক না হয়ে বরং এসব জায়গায় কিছু ইনভেস্ট করলে আরো ভালো ভালো ছবি পাওয়া যেত এবং সে অপমানিত না হয়ে বরং বাহবাও পেত
sohomot