নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি স্বপ্ন দেখি

হাজারটা স্বপ্ন একটি বাস্তবতাকে বদলাতে পারে না

বোধহীন স্বপ্ন

কিছুই ভালা লাগে না।

বোধহীন স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুধু ফরমালিনের দোষ দেওয়া কেন?

০৫ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫১

বিজ্ঞান পড়ার সুবাদে ফরমালিনের নাম শুনেছি অনেকবার। আর ইদানিং ফরমালিন নিয়ে যে ক্রেজ চলতেছে তাতে পুরাই ত্যক্ত বিরক্ত!



কি এই ফরমালিন? কেমিস্ট্রির জ্ঞান থেকে জানি ফরমালিন হল ৪০% ফরমাল্ডিহাইডের একটা সোলিউশন, মানে ৪০ ভাগ ফরমাল্ডিহাইড, বাকিটা পানি। গবেষণার জন্য বিভিন্ন জন্তু-জানোয়ার, তাদের কলিজা-গুর্দা ইত্যাদি সংরক্ষণের জন্য ফরমালিন। কিন্তু সেই ফরমালিন শাক-সবজি, ফল-মূল বিবিধ পচনশীল খাদ্যে মিশানো হয় পচন রোধ করার জন্য। আর এ নিয়াই হাউকাউ। কত কত ব্যবসায়ীকে জরিমানা ও হয়রানি করা হল। টনকে টন আম নষ্ট করে ফেলা হল, কিছু আম আবার অফিসারেরা ব্যাগে ভরে নিয়ে গেল খাওয়ার জন্য। মাঝখান থেকে ছুটা-মুটা কিছু ব্যবসায়ী গজিয়ে উঠল, নিজের গাছ থেকে আম পেরে ঢাকায় সাপ্লাই দিল। আমার পরিচিত এক বড়ভাইকে দেখেছি এ উদ্দেশ্যে একটা ফেসবুক পেইজও খুলে ফেলেছে।



বলেন তো ক্ষতি হল কার? অবশ্যই খুদে ব্যবসায়ীদের যারা সরল মনে টুকরি ভরে আম বিক্রি করে। আর আমরা, যারা এখন আমের সিজন থাকার পরও আম কিনছি না।



ফরমালিন মেশানোটা আমাদের জন্য কতটা ক্ষতির কারণ হতে পারে? ফরমালিন নিজেই একটা উদ্বায়ী পদার্থ, ধীরে ধীরে বাতাসেই মিলিয়ে যায়। পানিতে-সিরকায় ভিজিয়ে ফরমালিন দূর করা, রান্নার মাধ্যমে ফরমালিন নষ্ট হওয়ার কথা আমরা আগেই শুনেছি। আমাদের এক প্রোফেসর আজ বললেন তিনি ফরমালিনের কারণে ক্যান্সার হবার কথা কোথাও পাননি। ফরমালিন কি ফলে নিজে নিজে তৈরি হয়? হতে পারে। আমাদের শরীরে কত ধরণের ম্যাকানিজম যে আছে, তার ইয়াত্তা নেই। ট্রাস্ট মি, আমি এই বিষয়ে একজন স্কলার বলে কিছুমিছু জানি। মানব দেহে যে নিজে নিজে অ্যালকোহলও সৃষ্টি হতে পারে, এই তথ্য শুনে কি আপনার চোখ বড় বড় হয়ে গেছে? অত ভয়ের কিছু নাই, ট্রাস্ট মি, সেগুলো বের করার ব্যবস্থাও আছে। ফরমালিন বের করার উপায়ও আছে। এটা এমনিতেই পানিতে দ্রবনীয়।



কার্বাইট নিয়েও কেউ কেউ হাউকাউ করে। কি সে কার্বাইট? এই কার্বাইট পানিতে মিশে বানায় ইথাইলিন নামক গ্যাস, যেটা প্রাকৃতিকভাবেই ফল বা সবজি পাকায়, যেমন টমেটো। আম বস্তাবন্দি করে রাখলে পাকে কেন বলেন তো? কারণ ফলে এমনিতেই যে ইথাইলিন তৈরি হচ্ছে সেটা আর বাইরে ছড়াতে পারে না।



ভাববেন না ফরমালিন নিয়ে ওকালতি করছি, বা খুশিতে লুঙ্গি ডেন্স মারারও কিছু নাই। ফরমালিন যে আমাদের একেবারে ক্ষতি করবে না তা না, তবে তার একটা লিমিট তো আছেই। আর ফল তো রান্না করে খাবেন না। একটু অপেক্ষা করুন, এই পোস্টের উদ্দেশ্য ধীরে ধীরে বুঝতে পারবেন।



মাত্র কিছুদিন আগে আমাদের আরেক প্রোফেসর একটা সেমিনার করলেন তার একে গবেষণা নিয়ে। সেখানে দেখা গেছে মাছ-মাংসে হেভি মেটাল ক্রোমিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি। ক্রোমিয়াম কি বুঝেন তো? সিগারেটের শুধু নিকোটিন না, আরেকটা ক্ষতিকর পদার্থ আছে, -- ক্রোমিয়াম। এবং এটা ধাতু, রান্নার কারণে এর কার্যকারীতা কিন্তু নষ্ট হচ্ছে না। কোথা থেকে আসে এই ক্রোমিয়াম? আমরা যে বাজার থেকে মুরগীটা কিনছি, এটাকে যে হাজারীবাগের টেনারির বর্জ খাওয়ানো হচ্ছে তা কি আমরা জানি? এটা নিয়ে তো কাউকে ফাল পারতে দেখলাম না! এ ক্রোমিয়াম আমাদের দেহের বিভিন্ন ক্ষতি করার পাশাপাশি ক্যান্সারও সৃষ্টি করে। ইন্টারনেটে খোজ নিলেই এ বিষয়ে অনেক লেখা এবং প্রকাশনা পাবেন।



তেলের সাথে মেশানো হচ্ছে পোড়া পেট্রল! অর্থাৎ জীবাস্ম তেল আমাদের খাওয়ানো হচ্ছে যেটা দিয়ে ইঞ্জিন চালানো হয়। অথবা হয়তো কোন এক শীতের সকালে রান্নাঘরের চুলা জ্বালিয়ে হাতে সেক দিতে গিয়ে দেখলেন বোতল-জাত সয়াবিন তেল মধুর মত ঘন হয়ে গেছে! হার্টের সমস্যার জন্য এর বেশি আর কি চান?

শুটকি মাছে নাকি মেশানো হয় ডিডিটি। এটা কি জিনিস জানেন? পোকা-মাকড় দমনের জন্য ব্যবহার হত আগে। কিন্তু মানুষের শরীরে ভয়াবহ রকম বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে বলে এটা নিষিদ্ধ হয়ে গেছে অনেক আগেই। আমাদের দেশের কৃষকেরা যথেচ্ছ কীট-নাশক ব্যবহার করে, এ কীট-নাশকও কিন্তু আমাদের ক্ষতি করতে পারে যদি তা ধোয়ার পরও কিছু থেকে যায় এবং রান্নার তাপেও পুরোপুরি নষ্ট না হয়।



তরমুজ, বাঙ্গি’র মত ফলে শুনেছি বাইরে থেকে রঙ দিয়ে লাল বা হলুদ বানানো হয়েছে। এগুলো হল কাপড়ের রঙ। বিদেশী দুষ্ট বালকেরা আমাদের দেখিয়ে বলে, -ঐ দেখ শালারা কি বলদ! কাপড়ের রঙ খায়! শুধু ফলেই না, নানান কিছুতেই এই রং-এর ব্যবহার চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে। গোলা আইসক্রিম এক সময় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল, এখন তাতে ভাটা পরেছে বলে মনে হয়। আর বিভিন্ন রকম “তাজা আমের জুস” তো আছেই। ফরমালিনের নাম করে ইফতারিতে খেজুর খাওয়াটাই ছেড়ে দিলেন, এবার কি পিয়াজু, বেগুনী এগুলোও খাওয়া ছাড়বেন? জানেন না এগুলোতে রঙ মেশানো হয় যা ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে?



বাইরের দেশে কি রঙ দেয়া হয় না খাবারে? হ্যা, দেয়া হয়। কিন্তু সেটা খাবারের রঙ। সময় মত সেগুলো হজম হয়ে মূত্রের সাথে শরীর থেকে বের হয়ে যায়। কাপড়ের রং-ও বের হতে পারে, কিন্তু সেটা সময়-সাপেক্ষ, ততক্ষণে ক্ষতি যা হবার তা হবে। আর রঙ তো যেই-সেই পরিমাণ খাচ্ছি না, ইট্‌স্‌ হিউজ!



ভাতের চাউলে মোম তো মেশানো হয় অনেক আগে থেকেই ওটা চকচকে করার জন্য। এতে হয়তো তেমন ক্ষতি নেই, কিন্তু কাস্টমারকে তো বোকা বানানো হল। যেমন বোকা বানানো হয় কার্বাইট দিয়ে টমেটো পাকিয়ে। কাচা টক টক সব্জিকে পাকালে ওটা যৌবনের মত লাল টমেটো হয়তো হবে, কিন্তু সেই লালে মজা পাবনে না। কারণ মেকি জিনিসে আসল স্বাদ তো থাকে না।



বুঝলেন তো এবার আমরা কি খাচ্ছি? এভাবে খুজতে থাকলে ভুরি ভুরি উদাহরণ পাওয়া যাবে। অথচ এইসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ দিয়ে তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিকর ফরমালিনের গুষ্টি উদ্ধার করে বেড়াচ্ছি। এভাবে না জেনে না বুঝে মানুষের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করা, এটা আমার দৃষ্টিতে একটা ক্রাইম। এই ফরমালিনের দোহাই পেরে কত কত ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ীকে পথে বসানোর পায়তারা, এই রকম হুজুগেপনার কোন মানে হয় না।



ফরমালিন-বিরোধী আইন হচ্ছে শুনলাম। বুঝতে পারছি না এটাকে স্বাগত জানাব কিনা। কারণ এখানে শুধু ফরমালিনকে ফোকাস করা হচ্ছে। তাহলে আরো যে কত কত বিষ আমাদের প্রতিনিয়ত শ্লো পয়জনিং ঘটাচ্ছে, যার প্রতিক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বলে টের পাওয়া যায়, সেগুলোর ব্যাপারে কি কোন পদক্ষেপ নেয়া হবে না? আইন যদি হতেই হয়, তবে তা হবে সকল ধরণের “ভেজাল এবং ফুড পয়জন” বিরোধী। বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়ে কাজ করতে হবে, সবকিছুর একটা টক্সিক লেভেল ঠিক করতে হবে, এর বেশি পরিমাণে “বিষ” পাওয়া গেলে ত্বড়িত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাপড়ের রঙ খাওয়ানো যাবে না। পোল্ট্রি এবং গবাদি পশুকে ক্ষতিকর হেভিমেটাল খাওয়ানো যাবে না, যথাসম্ভব স্বাস্থ্যকর পরিবেশে পালতে হবে। সর্বপরি শাস্তির মাত্রা এমন হতে হবে যেন মেজিস্ট্রেটকে সামান্য কিছু টাকা-টুকা খাইয়ে পার পাওয়া যায়।



সবার জন্য ফরমালিন ও ভেজালমুক্ত ইফতারির কামনায় শেষ করছি। ধন্যবাদ।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:১৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:২৬

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:২০

মদন বলেছেন: সমস্যার অভা নেই। সব সমস্যার ফোকাস একবারে হয় না। ফোকাসে একবারে একটি বিষয়ের উপরেই হয়।

লক্ষ্য করলে দেখবেন ডায়রিয়া হলে স্যালাইন খেতে হবে লোকদের আর বলতে হয় না। প্রতিটি পন্যের গায়ে মেয়াদ উল্লেখ থাকে তা দেখে কিনতে এখন আর লোকে ভুল করে না। এগুলো একদিনে হয়নি, এমন ফোকাস করার কারনেই হয়েছে, হুজুগেই মানুষের মাথায় ঢুকেছে।

আজ ফরমালিনকে দূর করা গেলে অন্য সমস্যাও দূর করা যাবে। দেশে বহুত লোক পাবেন তারা কোক-পেপসি খায় না রং আছে বলে।

সবার মাঝেই সচেতনতা তৈরী হচ্ছে, একবারে হবে না। হুজুগের সুবিধা হলো কমপক্ষে ঐ বিষয়টি ঝটপট মাথায় ঢুকে যাবে। আমরা বাংগালীরা সব কাজই হুজুগে করতে আনন্দ পাই।

০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৩২

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: আপনে মনে হয় পয়েন্টটাই বুঝেন নাই। অথবা না পড়েই মন্তব্য করেছেন।

ফরমালিন এমন কোন বড় সমস্যা না, বরং তুলনামূলকভাবে ছোট। এমনকি চাইলে ইগনোরও করতে পারেন।

কোক-পেপসিতে যেই রঙ থাকে তা স্বাস্থ্যকর কিনা জানি না, তবে কাপড়ের রঙ নিশ্চই ব্যবহার করে না। এগুলোতে যতদূর জানি চকোলেট পাউডার, চিনি, ফ্লেবার, প্রিজারভেটিভ আর কার্বন-ডাই-অক্সাইড ব্যবহার হয়। আর এতে ক্ষতিকর জিনিস থাকলে ইউরোপ-আম্রিকার লোকে খাইত না, ব্যান হয়ে যাইত।

৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৩২

নতুন বলেছেন: আপনার পয়েন্ট অবশ্যই ঠিক....

আর মদন ভাই বলেছেন সেই ভাবেই আমাদের দেশের জনগন শেখে... তাই আপনি যতই ভদ্রভাষায় বলেন না কেন... জনগন শিখবেনা...

তাই এখন ফরমালিন ..কাবা`ইড নিয়ে যা হচ্ছে তাতে কিছু সাধারনের ক্ষতি হচ্ছে কিন্তু এই টুকু কোলাটরেল ড্যামেজ মেনে নিতে হবে...

দেশের সব ভ্যজালের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন করতে হবে আমাদের...

০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৩৬

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: কিন্তু এখানে দরকারী বিষয় বাদ দিয়ে প্রায় অগুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার নিয়ে হাউকাউ হচ্ছে।

শুনেছি এই ফরমালিনের নাম করে টনকে টন আম নষ্ট করা হয়েছে। আবার অফিসার-ম্যাজিস্ট্রেটরা নাকি কিছু আম বস্তায় করে নিয়েও গেছে খাওয়ার জন্য।

এখন হাসব না কাঁদব?

৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০৭

৭১৫০ বলেছেন: ফরমালিনে ক্ষতি হয়, এটা তো সত্য। হুজুগে যদি একটা কিছু বন্ধ হয় তাহলে ভালো বলা উচিত।
আপনার কথাটা অনেকটা এরকম-দেশে তো অনেক দুর্নীতি হয়, পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি নিয়ে এত মাথা ব্যাথা কেন???

০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৫৩

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: আমি কি তাই বলেছি?? দেখেন, অন্য যেই কোন রাসায়নিকের তুলনায় ফরমালিনের ক্ষতি কম.... অবশ্যই একটা লেভেল আছে..,

আপনার উদাহরণ কি বালসুলভ হল না?? পদ্মাসেতুর সমালোচনায় বাকি সব দুর্নীতি বেমালুম চেপে যাব???

৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৩৭

শাহ আজিজ বলেছেন: আম ধুয়ে খান। আমি আম লবন পানিতে ১ ঘণ্টা ডুবিয়ে রেখে তারপর হাত দিয়ে কচলে খেয়েছি । এইসব সমস্যার কোন স্থায়ী সমাধান নেই কারন কিছু খাদ্য সামগ্রি ল্যাবে তৈরি হয়েছে কেমিক্যাল নির্ভর করে/সার নির্ভর করে । রাইপেনার না দিলে ফল পাকেনা,হরমোন না খাওয়ালে মুরগি বাড়ে না । এর মধ্যেই আমাদের বাচতে হবে ভুগে ভুগে ।

০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:০৫

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: আপনি যেই উদাহরণগুলো দিয়েছেন তা নিয়ে কিন্তু কথা হয় না... হয় ফরমালিন নিয়ে... আর সার হরমোনে সমস্যা না, শুধু প্রাকৃতিক খাবারের স্বাদ থাকবে না...

ক্ষতি হবে অনিয়ন্ত্রিত কীটনাশক ব্যবহারে... আর মুরগীকে ক্রোমিয়ামের মত হেভিমেটাল খাওয়ালে....

৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:০১

কলাবাগান১ বলেছেন: আমেরিকার গ্রোসারী স্টোরের কলা সবই ইথিলিন দিয়ে পাকানো... (অর্গানিক ছাড়া) পাকা কলা যদি গুয়াতেমালা থেকে জাহাজে তোলা হত, তাহলে স্টোরে আসতে আসতে ই পচে যেত...... আর ইথিলিন দিয়ে ফল পাকানো বৈধ। কারন ইথিলিন প্রাকৃতিক ভাবেই তৈরী হয়......।

০৮ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্য। তবে সমস্যা হল এগুলোর খাদ্যমান ঠিক থাকলেও স্বাদ প্রাকৃতিক ফলের মত হবে না।

কিন্তু দুঃখ লাগে কেউ কেউ এর মধ্যে বিষ, কার্সিনোজেন এসবের অস্তিত্ব পেয়ে যায়! মুড়ির সাথে ইউরিয়া মেশানো নিয়ে তো এত হইচই দেখিনি?

৭| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০১

মামুন রশিদ বলেছেন: কোন নির্দিষ্ট রাসায়নিকের উপর দোষ দিয়ে লাভ নেই, এগুলোর প্রত্যেকটিই মানব জাতির কোন না কোন উপকারে ব্যবহৃত হয় । সমস্যা হলো জাতিগত ভাবে আমরা অতি লোভী মানসিকতার, সামান্য লাভের জন্য আমরা অন্যের বিরাট ক্ষতি করতে পিছপা হই না । আর আমাদের অসচেতনতাও এর জন্য সমান দায়ী । যে কৃষক আমে শ্যাম্পু মাখে, সে কিন্তু জানেনা এই শ্যাম্পু নামের ফরমালিন মানুষের জন্য কতটা ক্ষতিকর ।

পোস্ট খুব ভালো লেগেছে । একই সাবজেক্টের হওয়ায় আপনার কথাগুলো অনুধাবন করতে পেরেছি ।

ভালোলাগা++

০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:০৪

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: তাই নাকি মামুন ভাই? ভালোই হল একই বিষয়ের আরেকজন পেয়ে।

প্লাসের জন্য ধন্যবাদ জানবেন।

৮| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৫৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাইরে ঠেলা খেতে খেতেই একদিন ভাল কিছু হবে। ঠেলা বন্ধ করে দিলে কিংবা তিক্ততা মনে হলে এইসব দূষণ হতে কখনও মুক্তি পাওয়া যাবেনা।

০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:০৫

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: হুম, কথা সত্য। তবে ঠেলাটা ঠিক জায়গায় লাগলেই হল!

৯| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮

জামিল হাসান বলেছেন: তাহলে এগুলো সব মিথ্যা

ফরমালিন একধরনের বিষ। এর বিশেষ কোনো সহনীয় মাত্রা নেই। যে কোনো মাত্রার বিষই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ক্যান্সারসহ জটিল রোগের জন্ম দেয় এটি। নারীর শরীরের জন্য ফরমালিনের ক্ষতিকর প্রভাব আরও মারাত্মক। তাদের শরীরে ফরমালিন প্রবেশ করলে ঋতুস্রাবে সমস্যা হয়। ফরমালিনের কারণে গর্ভস্থ শিশু হতে পারে বিকলাঙ্গ।

ফরমালিনের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে বাংলানিউজ কথা বলেছে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন এসব ভয়ংকর কথা।
ফরমালিন নিয়ে বাংলানিউজ কথা বলেছে বাংলাদেশ ফার্মাসিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ফার্মেসি অনুষদের সাবেক ডিন, ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুক, ঢাবি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক নিলুফার নাহার, ঢামেক হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুদীপ রঞ্জন দেব, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাসিমা খানের সঙ্গে।

তারা বলছেন, ফরমালিন একটি বিষ, এর কোনো সহনীয় মাত্রা নেই। যে কোনো মাত্রার ফরমালিনেই শরীরের ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। যারা ফরমালিনের সহনীয় মাত্রার কথা বলেন তারা ঘটনার গভীরে না গিয়েই বলেন।

আবম ফারুক জানান, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্যান্সার রিসার্চ বলছে, খাদ্যদ্রব্যে যদি ২ পিপিবি (১০০কোটি ভাগের দু’ভাগ) মাত্রার ফরমালিনও থাকে তবে তাও শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। এই পরিমাণ এত অল্প যা ল্যাবরেটরিতেও মাপা দুঃসাধ্য। তাহলে সহনীয় মাত্রার প্রশ্ন আসে কীভাবে!

ফরমালিন নিয়ে মাঠ পর্যায়ে গবেষণার অভিজ্ঞতাও ‍রয়েছে বিশিষ্ট ওষুদ প্রযুক্তিবিদ আ ব ম ফারুকের।

এত অল্প মাত্রার ফরমালিন কীভাবে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। বলেন, ফরমালিন বা ফরমাল্ডিহাইড শরীরের নিউক্লিক এসিড (ডিএনএ)’র গঠন বদলে ফেলে। এটা খুবই বিক্রিয়াশীল। এটা শরীরের যে কোনো একটি ডিএনএ’র গঠন বদলে দিলেই ওটা ক্যান্সারাস হয়ে যায়। ওই ডিএনএটি সারা শরীরে ঘুরে বেড়ায়। এরপর যেখানেই আটকে যায় সেখানেই এটি ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। লিভারে আটকালে হয় লিভার ক্যান্সার, ব্রেনে আটকালে হয় ব্রেন ক্যান্সার। মোটকথা যেখানেই আটকায় সেখানেই ক্যান্সার সৃষ্টি করে।

তবে ফরমালিনের সহনীয় মাত্রা না থাকলেও ফুড কালার, প্রিজারভেটিভ, টেস্টিং সল্ট প্রভৃতির সহনীয় মাত্রা নির্ধারণ করা সম্ভব বলে জানান তিনি।

ফরমালিন পরিমাপক যন্ত্র নিয়ে ওঠা বিতর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়টাকে বিতর্ক না বলে কুতর্ক বলি। আমার জানা দরকার ফলে ফরমালিন আছে কি নেই। কত মাত্রার আছে সেটার সঠিক পরিমাণ নির্ণয় করতে হলেতো ল্যাবে যেতে হবে। সুতরাং, এ মেশিন দিয়ে যেহেতু মাপা যায় ফরমালিন আছে কি নেই, এটুকুইতো যথেষ্ট।

প্রাকৃতিকভাবেই ফলমূলে কিছু ফরমালিনের উপাদান থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। তবে ফরমালিনের এ উপাদান ল্যাবে কেমিক্যাল টেস্ট ছাড়া পরিমাপ করা সম্ভব নয় এবং প্রয়োজনও নেই। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই।

কিন্তু সাধারণ মেশিন বা কিটো টেস্টে ফরমালিনের যে উপস্থিতি ধরা পড়ে তা বাহ্যিকভাবে মেশানো হয়। এটা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানান বিশিষ্ট এ ওষুধ প্রযুক্তিবিদ।

বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে অধ্যাপক ফারুক আরও বলেন, ফরমালিন খাদ্য পরিপাকে বাধা দেয়, পাকস্থলীর ক্ষতি করে, লিভারের এনজাইমগুলো নষ্ট করে এবং কিডনির কোষ নেফ্রনগুলো ধ্বংস করে। ফলে গ্যাস্ট্রিক ও আলসার বাড়ে, কিডনি ও লিভারে বিভিন্ন জটিল ও দূরারোগ্য রোগ সৃষ্টি হয়।

নারীদের শরীরে ফরমালিনের ক্ষতিকর প্রভাবও মারাত্মক। তাদের শরীরে ফরমালিন প্রবেশ করলে নিয়মিত ঋতুস্রাবে সমস্যা হয়। ফরমালিনের কারণে গর্ভস্থ শিশু বিকলাঙ্গ হয় বলেও গবেষকরা প্রমাণ করেছেন।

সুতরাং, যতদ্রুত সম্ভব এ ভয়াবহ উপদ্রব থেকে আমাদের রক্ষা পেতে হবে। এজন্য সরকারের পাশাপাশি মিডিয়া ও সাধারণ ভোক্তাকে এগিয়ে আসতে হবে বলে মত দেন অধ্যাপক ফারুক।

অধ্যাপক ফারুক আরও বলেন, ফরমালিন নিয়ে ভোক্তাদের মধ্যে যে সচেতনা তৈরি হয়েছে এটি অব্যাহত রাখতে হবে। ব্যবসায়ীরা এটিকে ভালোভাবে দেখছেন না। তবে সবাই মিলে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক নিলুফার নাহার বাংলানিউজকে বলেন, ফরমালিন কোনো খাবার জিনিস নয়, এটি কেমিক্যাল, এটি একটি ‘বিষ’। মানবদেহে ঢোকার কোনো প্রশ্নই আসে না। বিষের কোনো সহনীয় মাত্রা হতে পারে না। ফরমালিনের ‘সহনীয়’ মাত্রা দশমিক ১২৫ পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন) বলতে ১০ লাখ লিটার পানির সঙ্গে ১৫ লিটার ফরমালিনের মিশ্রণকে বোঝায়।

ঢামেক হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুদীপ রঞ্জন দেব বাংলানিউজকে বলেন, চুলার তাপে খাবারে ব্যবহৃত যে কোনো কেমিক্যালের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। তবে ফরমালিন এতটাই ভয়াবহ যে কোনোভাবেই এর কার্যকারিতা নষ্ট করা যায় না।

ফরমালিনের অন্যতম উপাদান ফরম্যালডিহাইডের কারণে মানবদেহে ক্যারসিনোজেন বা ক্যান্সারের সহায়ক। ফরমালিন দীর্ঘ মেয়াদে হার্ট, লিভার, ফুসফুস অথবা ব্রেন ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। এমনকি কিডনির জটিলতম রোগেরও উৎস এই ফরম্যালডিহাইড বলে জানান সুদীপ রঞ্জন।

ডা. সুদীপ বলেন, প্রতিনিয়ত মায়েদের ফরমালিন খাওয়ার কারণে শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি, শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ব্যাহত হবে, দাঁত উঠতে দেরি হবে, হাড়ে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেবে এবং অনেক ক্ষেত্রে শিশুরা বিকলাঙ্গও হয়ে যেতে পারে।

শুধু ফরমালিন খেলেই নয়, যারা হাত দিয়ে ফরমালিন মেশায়, ফরমালিন নিয়ে নাড়াচাড়া করে তাদেরও চর্ম এলার্জি, শ্বাসকষ্ট এও অ্যাজমা হতে পারে।

তাই দেশকে ফরমালিনের ভয়াল থাবা থেকে মুক্ত করতে সরকারসহ দেশের সব মানুষকে একজোট হয়ে কাজ করার আহ্ববান জানালেন রসায়নবিদেরা।

তবে বিভিন্ন পক্ষ থেকে সহনীয় মাত্রার কথা বললেও সরকারিভাবে স্বীকৃত কোনো মাত্রা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাসিমা খান।
তিনি বলেন, মানবদেহের বাহ্যিক চামড়া থেকে হৃদপিন্ড (হার্ট) পর্যন্ত প্রতিটি অঙ্গে ফরমালিনের ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে।

নিউজ লিঙ্ক

তবে খাদ্যে অন্যান্য বিষ প্রয়োগ বন্ধের জন্য এখনি পদক্ষেপ প্রয়োজন ।

০৮ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫১

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: ভাই, আপনি শুধু খবরের লিঙ্ক দিলেন, আপনার সোর্স ওটাই। এখানে যাদের বক্তব্য নেয়া দেয়া হয়েছে, দুঃখের সাথে বলছি ইনারা এই ধরণের বিষয়ে স্প্যাসিয়ালিস্ট না। অনন্ত "টক্সিকোলজি"র কেউ হলেও মানা যেত।

মূল কথায় আসি। এখানে একবার বলা হল এর কোন সহনীয় মাত্রা নেই, এটা বিষ। যেই ফার্মাসি ডিপার্টমেন্টের প্রোফেসর এটি বলেছেন, তিনি কি জানেন ঔষধ মাত্রই বিষ!

আবার তারপরই সহনীয় একটা মাত্রা দিয়ে দেয়া হল, এটা কি পরস্পর বিরোধী হল না? আর এই মাত্রা পিপিবি নয়, পিপিএম হবে। অর্থাৎ দশ লাখ ভাগের এক ভাগ। আর্সেনিকের সহনীয় মাত্রা ০.৩ বা ০.০৩ পিপিএম।

আর এই পরিমাণ ল্যাবে মাপা দুঃসাধ্য, খুবই ছেলে মানুষী কথা!

আবার বললেন ফুড প্রিজাভেটিভ, রঙ এগুলোর সহনীয় মাত্রা করা সম্ভব। তাহলে কি করা হয়নি? আর একটু ভেবে দেখেন দেখি, ফরমালিন কতটুকু খাচ্ছেন খাবারের সাথে আর বিভিন্ন খাবারে প্রিজাভেটিভ আর কাপড়ের রঙ কি পরিমাণ খাচ্ছেন? আর আগেই বলেছি ফরমালিন পানিতে পুরো ১০০% দ্রবনীয়। তাই শরীর থেকে সহজে নিষ্কাশন করে দেয়া যায়।

ক্যান্সার সৃষ্টির যে বর্ণনা দিলেন ভদ্রলোক, এটা আমার কাছে শিশুতোষ মনে হয়েছে। ভাই, প্রতিটা কার্সিনোজেন এভাবেই কাজ করে। এমনকি যেই কাপড়ের রঙ খাচ্ছেন সেটাও।

ফরমালডিহাইড শুধু বাইরে থেকে মেশালেই তা ধরা যাবে, প্রাকৃতিক ফরমাল্ডিহাইড ধরা পরবে না, এটা ঠিক বুঝলাম না!! উনারা কি ফরমাল্ডিহাইডের পলিমার ফর্মটা বুঝিইয়েছেন? নাকি ওটার পরিমাণ খুব কম বলে? অথবা ফলের ভিতর থাকে বলে?

আমাদের এক প্রোফেসরের মতে তিনি ফরমালিনের ক্যান্সার সৃষ্টির কথা কোন জার্নালে পান নি। তবে ফরমালিন খুব ভলাটাইল জিনিস, বাতাসে মিশে যায় দ্রুত। এই ফরমাল্ডিহাইডের বাষ্পে শ্বাস নিলে ফুসফুস ক্যান্সার হতে পারে এমন একটা রিলেশন পাওয়া গেছে। তবে ফরমালিনকে সম্ভবত পুরোপুরি কার্সিনোজেন হিসেবে ধরা হয় না।

আর ফরমালিন যেমন এমনিতেই ভলাটাইল, পানিতেও দ্রবনীয়। তাই পানির সাথে ধুয়ে চলে যেতে পারে। স্ফুটনাংক পানির কাছাকাছি। তাই রান্নার সময় নষ্ট হবে না, এটা সঠিক না। আর ফরমাল্ডিহাইড তো অনেক সক্রিয়, তাই সহজেই কোন কিছুর সংস্পর্শে এলে বিক্রিয়া করবে, তাপ বাড়ালে তো করবেই। তখন সেটা আর ফরমালিন থাকবে না, অন্যকিছু হয়ে যাবে।

প্রতিনিয়ত মায়েদের ফরমালিন খাওয়ার কারণে শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি, শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ব্যাহত হবে, দাঁত উঠতে দেরি হবে, হাড়ে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেবে এবং অনেক ক্ষেত্রে শিশুরা বিকলাঙ্গও হয়ে যেতে পারে।

জ্বী হ্যা, আয়োডিনের অভাব হলেও এটা হবে। জানেন কি, আমাদের দেশে আয়োডিন এখন বিলুপ্ত-প্রায় একটা মিনারেল? সেদিকে খেয়াল আছে তো?? আর ভিটামিন ডি, ফসফরাস এসবের অভাবে হাড়ে সমস্যা দেখা দিবে। এইসব দিকে কোনদিন দৃষ্টি দিয়েছেন কি?

ফরমালিনের কারণে রিপ্রোডাক্টিভ সিস্টেমের সমস্যা কি হতে পারে? আমার জানা নেই। তবে মিথালনের কারণে হতে পারে যেটা ফরমালিন প্রিজারভেশনে দরকার হয়। দেহে মিথানল জমে গেলে সেটা ক্ষতির কারণ হতে পারে। তবে ব্যবসায়ীরা যে ফরমালিন ব্যবহার করছে তার মান নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।

তারপরও বলছি, ফরমালিন একেবারে নির্দোষ না। এবং এর পক্ষে ওকালতি করাও আমার উদ্দেশ্য না। আমার কথা হল মুরগীর শরীরে ক্রোমিয়াম, শুটকি মাছে ডিডিটি, তরমুজে কাপড়ের রঙ --- এগুলো মোটেও গুরুত্বহীন হতে পারে না। বরং ফরমালিন নিয়ে অত বেশি উদ্বিগ্ন না হলেও চলত।

তবে খাদ্যে অন্যান্য বিষ প্রয়োগ বন্ধের জন্য এখনি পদক্ষেপ প্রয়োজন ।


সহমত। এবং যত দ্রুত হয় তত ভালো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.