নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনুভূতিহীন নিউরন

ছাইচাপা আগ্নেয়গিরি

যেখানে সত্য দ্বিখণ্ডিত, সেখানে আমার পথিক হৃদয় পথক্লান্ত.... বিভ্রান্ত....

ছাইচাপা আগ্নেয়গিরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

এসএসসি এবং এইচএসসিতে ঢালাও এ+ আর এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডমিশন টেস্টে তাদের দৌড়ের লেভেল :|| :|| /:)

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩২

ভালোই তো লাগে শুনতে যখন দেখি গত বছরের থেকে এ বছরে পাশের হার বেড়েছে। হাসি হাসি মুখের ছবি পত্রিকার পাতা জুড়ে। মিস্টির দোকানে মিষ্টি সঙ্কটেরও খবর আসে পত্রিকার পাতায়। আসলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতি বছর পাশের হার যেভাবে বাড়ছে, তাতে কারো সন্দেহ থাকার কথা না।



আসুন এইবার একটু বাস্তব চিত্র দেখিঃ



এই ২০১৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায়-



পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল = ১০ লক্ষ ১২ হাজার ৫৮১ জন

মোট পাশ করেছে = ৭ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯১ জন

পাশের হার = ৭৪.৩০%

মোট জিপিএ পাঁচ পেয়েছে = ৫৮ হাজার ১৯৭ জন





এইবার দেখি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার বর্তমান অবস্থাঃ



ঘ ইউনিট (বিভাগ পরিবর্তন পরীক্ষা, যা সবাই দিতে পারে)



পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল = ৮৬ হাজার ৫২ জন

এর মধ্যে অংশ নেয় = ৭১ হাজার ১৩ জন

পাস করেছে = ৮ হাজার ৯৬ জন (বাকি সবাই অকৃতকার্য)

চান্স পাবে = ১ হাজার ৫০০ জনের মত

পাসের হার = ১১.৪০%







খ ইউনিট (শুধুমাত্র আর্টস এর স্টুডেন্টদের জন্য)



পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল = ৩৬ হাজার ৮৩৫ জন

এর মধ্যে অংশ নেয় = ৩৪ হাজার ৯০২ জন

পাস করেছে = ৫ হাজার ১২৮ জন (বাকি সবাই অকৃতকার্য)

চান্স পাবে = ২ হাজার ৫০০ জনের মত

পাসের হার = ১৩.০৯%





এবার আলোচনায় আসি-



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার চিত্র বলছে প্রতি ১০০ জনে মাত্র ১১-১৩ জন করে পাশ করেছে। যেখানে এইচএসসি পরীক্ষায় পাশের হার প্রতি ১০০ জনে ৭৫ জনের মত। কিভাবে সম্ভব?? এইচএসসি পরীক্ষায় শেষ হওয়ার মাত্র ৩ মাসের মধ্যেই ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে। তিন মাস কী এতই দীর্ঘ সময় একজন শিক্ষার্থীর শেখা জিনিষ ভুলে যাওয়ার জন্য, যে তারা পাশই করবে না !! খুবই কষ্ট হয় এমন পরিসংখ্যান দেখতে, যেখানে সর্বোচ্চ জিপিএধারীরাও নিতান্তই পাশ করতে পারছে না। সেই হাসি মুখের হাসি বিলীন হয়ে যাচ্ছে, এক স্ট্যান্ডার্ড মানের পরীক্ষার ধাক্কায়।



অথচ ১০ বছর আগের চিত্র কেমন ছিলো, যখন জিপিএ সিস্টেম চালু করা হলো? হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র এ+ পেয়েছিলো। তার মানে কি এই দাঁড়াচ্ছে, এ দেশে মেধার বিস্ফোরণ হচ্ছে। যা এসএসসি কিংবা এইচএসসি লেভেলে এতো বেশিই বিস্ফোরিত হয়ে যাচ্ছে যে ভার্সিটি লেভেলে এসে ভর্তি পরীক্ষায় নূন্যতম ফট করে শব্দ করার মত ক্ষমতা নিয়ে পাশই করতে পারছে না !! খুবই দুঃখ হয় এই অতিমূল্যায়িত মুখগুলো দেখতে।



সামনে “গ” আর “ক” ইউনিটের পরীক্ষা। এই একই দৃশ্য আবারও দৃশ্যমান হবে। পাশের হার ১৫% এর উপরে যাবে বলে মনে হচ্ছে না। তার মানে আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে চার ইউনিট মিলে গোটা ৩০ হাজারের মত শিক্ষার্থী শুধুমাত্র পাশ করবে !! এও কিভাবে সম্ভব?? খেয়াল করে দেখুন, এই বছর এইচএসসিতে এ+ পেয়েছে ৫৮ হাজার ১৯৭ জন !!!! যা নাকি গত বছর থেকে কম (২০১২ সালে এ+ পেয়েছিলো ৬১হাজার ১৬২ জন), আর এ নিয়ে দুই রাজনৈতিক দলের কাঁদা ছোঁড়াছুড়িও কম দেখলাম না।



কেউ বলে, জামায়াত-বিএনপির আন্দোলনের নামে জ্বালাও পোড়াও হরতালের কারণে পরীক্ষার্থীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পরীক্ষা দিয়েছে। ফলে অনেকে ঠিকমতো পরীক্ষার হলেও যেতে পারেনি। আবার অন্য পক্ষ বলছে, এইচএসসি পরীক্ষার ফল বিপর্যয়ের জন্য বর্তমান সরকার, ছাত্রলীগ ও যুবলীগই দায়ী। তাদের সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির কারণে শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়েছে।



হাসবো না কাদবো তাইই বুঝি না। সবাই বুঝতে পারছে সত্যি ঘটনা কি!!

• খাতা অতিমূল্যায়িত করা হচ্ছে

• ঢালাও মার্ক দেয়া হচ্ছে

• একই প্রশ্ন একবছর পর পর আবারো আসছে, ফলে সবাই সাজেশন নির্ভর হয়ে পরছে

• আর কিছু কলেজ ১০০% পাশের হার দেখানোর নামে, শুরু থেকেই বেছে বেছে নোট আকারে পড়িয়ে ছাত্রছাত্রীদের জানার ইচ্ছাকে দমন করে দিচ্ছে



এই যদি হয় পরিস্থিতি তবে সে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন আসবে। সত্যিকারের ভালো ছাত্র যারা তাদের যে দেশ মূল্যায়িত করতে পারে না, ভালো-মাঝারি-খারাপ সবাই যখন এই পাল্লায় চলে আসে, তবে সে দেশে আর যাই হোক, দেশ পরিবর্তন করার মত মানুষ বেরতে পারে না।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৯

প‌্যাপিলন বলেছেন: কোন সমস্যা আছে নিশ্চয়। ঢাবিতে বিরোধী দলের সমর্থক অনেক শিক্ষক আছেন তারা হয়তো ব্যপক হারে ফেল করিয়ে দিসেন এত বেশি সংখ্যক জিপিএ-৫ কে বিতর্কিত করার জন্য। যারা চান্স পায়নায় তারা বুয়েটে কমার্সে চান্স পেয়ে তাদের মেধার প্রমান দিবে।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫

ছাইচাপা আগ্নেয়গিরি বলেছেন: বুয়েটে কমার্স !! :D :D

যাই হোক, একটা পরীক্ষা স্টান্ডার্ড মানের হলে সে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের কতটা অসহায় করে দেয়, এটাই তার নমুনা।

২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩

হাসিনুল ইসলাম বলেছেন: এর পেছনের বাস্তবতাটি গল্পের মত। রাজশহিী বোর্ডের কথাই ধরা যাক (ঢাকা বোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড সহ আরো বোর্ডের কথা বাদ দিলাম)। বোর্ড চেয়ারম্যান পরীক্ষার ফলাফলের দিন নাকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মৃদু তিরস্কারের মুখোমুখি হন: অন্যান্য বোর্ডের চেয়ে পাশের হার, জিপিএ কম কেনো। এরপর দৌড়ানি শুরু।

লিখিত নির্দেশ না থাকলেও কড়া মৌখিক নির্দেশ থাকে- পাশের হার ও জিপিএ সংখ্যা বাড়াতে হবে। খাতা মূল্যায়নকারীরা যখন খাতা নিতে হাজির হন, তখন বিভিন্ন উসিলায় বুঝিয়ে দেয়া হয় কিভাবে নম্বর দিতে হবে (যেমন, এই খাতাটি যদি আপনার বাড়ির কারো হয়, তাহলে আপনি কত নম্বর দিবেন? আচ্ছা, আপনি যা দিয়েছেন তার বেশী দিলে কি অবিচার হবে? ইত্যাদি ইত্যাদি)। যেসব প্রধান পরীক্ষকের পাশের হার কম থাকে তাদের আলাদাভাবে বলা হয়।

আমার দেখা, এক বেসরকারি স্কুল শিক্ষক ১৯ কে ৩৩ করে দিয়ে খুব আরামে আছে। কিন্তু এক কলেজ শিক্ষক তার দেখা খাতায় পাশের হার ৬৯% হওয়ায় তিরস্কৃত।

পরিসংখ্যান দিয়ে এখন সবকিছু নির্ধারিত হয়, আর তাই শিক্ষার উন্নয়নের পরিসংখ্যান গুণগত (?) করার জন্য এই প্রচেষ্টা। ইতিহাসে লেখা থাকবে এই এই বছর শিক্ষার এতটা উন্নতি হয়েছে। বা হয়নি।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২

ছাইচাপা আগ্নেয়গিরি বলেছেন: খুবই বাস্তব কথা। আমার বাবা একসময় বোর্ডের খাতা দেখতেন। তাই আমি ব্যাপারটা কিছুটা হলেও জানি। খুবই দুঃখ হয় এর কোন শেষ নাই দেখে। এরপর যদি ক্ষমতার পট পরিবর্তনও হয়, তবুও এই ধারাবাহিকতায় আদৌ কোন পরিবর্তন আসবে কিনা, মনে হয় না।

৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩

কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: এখন নাকি, এসএসসি, এইচএসসিতে সাজেসন বলে ২০-২৫টা প্রশ্ন মুখস্ত করে আর তার সবই নাকি পরীক্ষায় আসে, কি ভয়ানক,
সাজেসন করা লোক গুলা এতো এফিসিয়েন্ট হোলো কি করে?

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮

ছাইচাপা আগ্নেয়গিরি বলেছেন: কথা তো ওখানেই।

সাজেশনের পর সর্ট সাজেশন করতে করতে এখন এমন অবস্থা যে পরীক্ষায় কে কত কম পড়ে এ+ পেতে পারে, তার প্রতিযোগিতা হয় !!

৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬

ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: ঢাকা ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষাটাও তো সেরকম!!!!! এত কঠিন প্রশ্ন হয় একবার ভাবেন যদি কোচিং সেন্টার, ভর্তি গাইড না থাকলে আদৌ কেউ পাশ করত কিনা আমার সন্দেহ আছে। কাঠগড়ায় ঢাকা ভার্সিটিকেও তোলা যায় কিন্তু!!!

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

ছাইচাপা আগ্নেয়গিরি বলেছেন: ভাই, সত্যিকারে বলতে গেলে কি আমাদের দেশে ইন্টার লেভেলে এ+ পাওয়ানোর উদ্দেশ্যে পড়ানো হয়, শেখানোর জন্য না। কোন কলেজ কত কম পড়িয়ে বেশি তথাকথিত মেধাবী নিয়ে আসতে পারে তার কম্পিটিশন হয়। ফলে সৃজনশীল শেখা থেকে তারা বঞ্চিত হয়। আর এই গ্যাপটাকে কাজে লাগিয়েছে কোচিং সেন্টারগুলো। ব্যাপারটা কিন্তু ঐ কলেজও জানে, কিন্তু তাদের এ ব্যাপারে কোন মাথাব্যাথা নেই। এ যেন সব ভোসবাজির খেলা, যে যেমনে পারছে শিক্ষা নিয়ে খেলছে।

৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এটা জনাব নাহিদের ব্যখ্তি সাফ্যল্য প্রতিস্ঠার বলিদান!

ব্যাপার না।

৭২ এ পাশ সিভিল ক্যাডার তো এই দেশেই ছিল নাকি?

তাতো আর বিএনপির আমলে ছিল না!!

তো তাদের আমলে এইরাম হতেই পারে। সোনার ছেলেরা শিক্ষদের রক্তাক্ত করে, অপদস্ত করে, লাঞ্চিত করে...........

তারা তাদের সার্বিক শিক্ষাখাতের ব্যর্থতা ঢাকতে পুলাপাইনের জীবনগুলারে সর্ভনামের পথে ঠেইলে দিল!!!!!!!!!!!!!!!!!!

যা আপনার পরিস্যংখ্যানে ষ্পষ্ট!!!!!!!

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১

ছাইচাপা আগ্নেয়গিরি বলেছেন: ২০০১ সালে বিএনপি সরকারের শুরুতে জিপিএ সিস্টেম চালু করার পর প্রতি বছরই এ+ বাড়ছে, যা এখন ৬০-৭০ হাজারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। মাঝে দুই বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকারও ছিলো । স্বচ্ছতার অভাবে এখানে সবাই দায়ী, তাই আমি শুধু এই সরকারকেই দোষ দিবোনা, দেখবো ক্ষমতা চেঞ্জ হলে এই ধারার কি অবস্থা হয় তার উপর।

৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪

বোকা ছেলে ৯৮৯ বলেছেন: ঢাকা ভার্সিটির ক ইউনিটের বিগত ১০ বছরের প্রশ্ন যদি আপনি পর্যবেক্ষণ করেন খেয়াল করে দেখবেন তারা প্রায় একই নিয়মের প্রশ্ন বছরের পর বছর করে আসছে। তারপরেও ভর্তি পরিক্ষায় পাশের হার নিম্নমুখী।
আমার মনে হয় সাজেশন্স কোন সমস্যা না।

সমস্যা হচ্ছে অতিরক্ত পাশের হার। যা অনেক ছাত্র কে স্বপ্ন দেখতে বাধ্য করছে যা পরবর্তীতে দুঃস্বপ্নে পরিনত হয়

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬

ছাইচাপা আগ্নেয়গিরি বলেছেন: কথা তো এটাই। একই নিয়মের প্রশ্ন হচ্ছে, কিন্তু একই প্রশ্ন না। আর এতেই ৯০% ফেল!! অতিরিক্ত পাশের হার অবশ্যই একটা সমস্যা, তবে এটাই ১০০% ধরা মনে হয় ঠিক হবে না। ধরে নেই যে ছাত্র জিপিএ ৫ পেয়েছে, সে হয়তো ঢালাও মার্ক না পেলে ৪.৫ পেতো। কিন্তু তার মানে কি এই তাকে ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করতে হবে?? সাজেশনও একটা ফ্যাক্টর। আগে সাজেশন মানে ছিলো ১০০-১৫০ টা প্রশ্ন পড়ো তবে ১০-১৫টা কমন পড়বে, আর এখন ৩০-৪০টা পড়লেই হয় !!

৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০০

ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: আমি একটু ভিন্নমত পোষণ করব এখানে। আমি কখনই মনে করিনা যে এখনকার ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা কম করে বরঞ্চ আমি বলব এখনকার ছেলেমেয়েরা প্রয়োজনের চেয়ে বেশী পড়াশুনা করে। আমি ১৯৭৬ সালে স্ট্যান্ড করা এক ছাত্রের বাংলা নোট দেখেছিলাম। ঐ নোটের ব্রড কোশ্চেনের এন্সারগুলো আমাদের সময়ের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের চেয়েও ছোট ছিল। তাই আমি প্রথমে ভেবেছিলাম কিরে বাবা এত ছোট ছোট করে এন্সার লিখে এরা পাশ করল কিভাবে? কিন্তু আসল কথা হল আমাদের মত পাঞ্জেরি গাইড তো আর তারা পায়নি। তারা আমাদের মত ইংলিশে পটেনশিয়াল গাইডও পড়েনি। যা লিখেছিলেন তা তারা বই পড়ে, টিচারের লেকচার শুনে যা বুঝতেন তাই লিখেছিলেন। ওতে কোন ফরমালিন ছিলনা, ছিলনা কোন রাসায়নিক সারের কারসাজি।

আর এখনকার ছাত্রছাত্রীদের তো সকাল থেকেই সংগ্রামে নেমে পড়তে হয়। ক্ল্যাশ কর, বাসায় এসে দিনে নিয়ম করে একটা ঘুম দাও, তারপর স্যার বা কোচিং এ যাও, সন্ধায় আবার আরেকদফা স্যারের কাছে পড়তে যাও। কত্ত হ্যাপা। এরকম হ্যাপা বিশ্বের আর কোন দেশের ছেলেমেয়েরা পোহায়না। যা জানে সেটা সহজ করে বুঝাতে পারার নামই ওখানে পড়াশুনা। আমাদের মত ৪০-৫০ বছরের বুড়াদের লেখা নোট নিজের মাথায় ঢুকিয়ে ওদেরকে নিজ নিজ যোগ্যতা যাচাই এর জন্য পরীক্ষা দিতে হয়না।

আমার বোন এ বছর আমেরিকা গেছে। ওর ছেলেমেয়েরা এখানে থাকতে সকালে ঘুম থেকে উঠেই জীবনের কঠিন রূপটা দেখতে পেত। এখন আমেরিকায় গিয়ে ম্যাক্সিমাম দিন আসে স্কুলে বই রেখে!!! অবাক হলেও এটাই বাস্তব। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় ওরা ওদের বই টই স্কুলের শেলফে রেখে আসে আবার ক্ল্যাশ শুরুর সময় শেলফ খুলে বই নিয়ে ক্ল্যাসে চলে যায়। পরীক্ষায় আগের বছরের প্রশ্ন হুবহু রিপিট হয় কিন্তু কার ঠেকা পরছে আগের বছরে কোন প্রশ্ন আসছে সেটা খুঁজে দেখে!!! স্কুলে বই খুলেই পরীক্ষা নিয়ে নিচ্ছে স্যার!!! মাঝে মাঝে লম্বা সময়ের জন্য ছুটি দিয়ে দিচ্ছে স্কুল। ভাবতে বসলে অবাক হই ঐসব দেশে তো সব কুলাঙ্গার হয়ে বের হওয়ার কথা স্টুডেন্টদের!!! কিন্তু কেন যেন কুলাঙ্গার হয়ে বের হয়না সবাই। কারণ টা কী?

কারণটা খুব সিম্পল। কারণটা হল ওখানে পড়াশুনা করে আনন্দ পাওয়া যায় এখানে যেটা দোজখের আগ্যনের মত কস্টদায়ক।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৮

ছাইচাপা আগ্নেয়গিরি বলেছেন: আপনার কথা একবারে ধ্রুব সত্য। তবে কথা হলো, আমাদের দেশে পরীক্ষা পদ্ধতি একবারে ঢালাও চেঞ্জ করা এই মুহুর্তে সম্ভব না, আর সে অবস্থাও নেই। আমাদের দেশে পরীক্ষা মানে হলো, পরীক্ষার আগের দিন বুঝে-না বুঝে গেলা, আর পরীক্ষার খাতায় তা বমি করার মত উগড়ে দিয়ে আসা। আনন্দ বা ক্রিয়েটিভিটি বলে কিছুই নেই।

আপনি শেষাংশে যে কথাগুলো বলেছেন, ঐ ধরনের স্খুল/কলেজ এদেশে এখনো তৈরি হয় নাই। তাই এই মুহুর্তে যা করা যায়, তা হলো প্রতি বছর ৫ হাজার এর বেশি এ+ দেয়া যাবে না। প্রশ্ন সহজ হোক আর কঠিন হোক ! এ+ এর লিমিট প্রতি বছর পরিবর্তন হবে, তবে তা এমন ভাবে হবে যেনো ৫ হাজারের লিমিটের মধ্যে থাকে, কোন বছর তা ৯৫ও হতে পারে, আবার কোন বছর তা ৬০ও হতে পারে। আর এ+ অবশ্যই সাবজেক্ট ডিপেন্ডেন্ট হবে।

ধরে নেই এই বছর বাংলা প্রশ্ন কঠিন হয়েছে, আর ইংরেজী সহজ। তাহলে বাংলার ক্ষেত্রে এ+ এর লিমিট হবে শিথিল আর ইংরেজীর ক্ষেত্রে তা হবে অনেকটাই উপরের দিকে। এছাড়া ভালো কিন্তু সহজ কোন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।

৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৪

দি সুফি বলেছেন: পাশের হার বাড়লেও, শিক্ষার হার বাড়েনি, বরং কমেছে! দুঃখজনক হলেও এটাই সত্য। রাজনৈতিক নেতাগণ নিজেদের সাফল্য দেখাতে গিয়ে দেশের মেরুদন্ডটাকেই দুর্বল করে দিচ্ছে!

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭

ছাইচাপা আগ্নেয়গিরি বলেছেন: রাজনৈতিক নেতাগণ নিজেদের সাফল্য দেখাতে গিয়ে দেশের মেরুদন্ডটাকেই দুর্বল করে দিচ্ছে!


অসাধারন কথা বলেছেন। আর এটাই বাস্তব। ছাত্ররা হয়ে যাচ্ছে পরীক্ষাগারের গিনিপিগ। এ নিয়ে কখনো দেখলাম না, বাম-ডান পন্থী যারা তারা কোন কথা বলে?? সত্যিই বিচিত্র এ দেশ !! /:)

৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১

কালীদাস বলেছেন: এই অদম্য মেধাবীদের ঠেলতে খবর হয় আমাদের, যারা এ-প্লাসগুলো দেয় তাদের না। ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ করার জন্য কিছু লোক যেভাবে আন্দোলন করে, একবার ভাবি না থাকলে জানি আরও কি ভয়াবহ অবস্হা দেখতাম।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩১

ছাইচাপা আগ্নেয়গিরি বলেছেন: এখনই যে অবস্থা দেখতেছি, আর ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়া মানে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারার সমান।

১০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫২

সুমন কর বলেছেন: এককথায় দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা নাই বললেই ভাল! আমি এই বিষয়ে তিন পর্বের একটি প্রতিবেদন সামুতেই লিখেছি। তাই আর কিছুই বলবো না!
ভর্তি পরীক্ষা আরো কঠোর ভাবে নেয়া হোক এবং পরীক্ষার খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়ণ করা হোক।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৬

ছাইচাপা আগ্নেয়গিরি বলেছেন: বর্তমান অবস্থাঃ সহজ প্রশ্ন + ঢালাও নম্বর = ভালো স্টুডেন্ট |-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.