নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সিরাজগঞ্জে জন্ম, পৈতিৃক নিবাস মাগুরা। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনের সাথে যুক্ত আছি। সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত ছিলাম। কবিতা, গল্প ও ফিচার লিখি।

সুদেব চক্রবর্তী

ঢাকা।

সুদেব চক্রবর্তী › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলতি পথের কথা

৩১ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫


সেদিন বাসের মধ্যে কয়েকজনের সাথে কথা হচ্ছিল বাংলাদেশে আণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে। তারা বলছিল- আমাদের দেশের উন্নয়নে এবং শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে এটার প্রয়োজন আছে। আমি থ মেরে গেলাম এই কারণে যে, শিক্ষিত মানুষগুলোও বিভ্রান্ত। যদিও এতে অবাক হবার কিছু নেই। শিক্ষিত হলেই যে সে সমাজ সচেতন হবে এটা ভাবার কোন কারণ নেই। আসলে আমরা অনেকেই না জেনে অনেক কিছুতে আহ্লাদিত হই। আণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মারাত্বক ক্ষতিকর তেজস্ক্রিয় বর্জ্যগুলো হল টেকনোটিয়াম-৯৯(এটার অর্ধজীবন ২ লাখ ২০ হাজার বছর), আয়োডিন-১২৯(এটার অর্ধজীবন ১ লাখ ৫০ হাজার বছর), এছাড়াও নেপটুনিয়াম-২৩৭, প্লুটোনিয়াম-২৩৯ যেগুলো অনিরাময়যোগ্য রোগ ছড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি জমির উর্বরতা হ্রাস, পানি ও বায়ুদূষনসহ পরিবেশগত ঝুঁকি তো রয়েছেই।
বলা বাহুল্য, আণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্জ্য জমা করার কোনো নিরাপদ ব্যবস্থাপনা নেই। আন্তর্জাতিক পরমাণু কমিশন বিশ্বের ১৬ টি জায়গায় বর্জ্যাগার তৈরি করার কথা বললেও আজও তা করা হয় নি।
তবে আশার কথা হল- বিশ্বে আণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে শীর্ষস্থানে থাকা দেশ যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভারত দেশ ও বিশ্বের পরিবেশের কথা চিন্তা করে আণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে। তারা কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে রূপান্তরিত করছে কয়লা গ্যাসীকরণ সিস্টেমে।। অথচ আমরা কিসের ভিত্তিতে আণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কথা বলছি তা বোধগম্য নয়।
অনেকেই জ্বালানী সংকটের কথা বলবেন। কিন্তু টেকসই ও সংশয়হীন নিরাপদ বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস, কয়লা, সূর্যের তাপ ও আলো, পানি প্রবাহ, বায়ু বেগ, বর্জ্য, সমুদ্রের ঢেউসহ নানা উপকরণ আমাদের দেশে সর্বাধিক যা পৃথিবীর অনেক দেশেই নেই। তাহলে কেন আমরা রেন্টালের কথা ভাবছি ? কেন আমরা আণবিকের কথা তুলছি ? দরকার সঠিক ব্যবস্থাপনা ও লুঠপাটতন্ত্র তথা দুর্ণীতি বন্ধ করা।

বাসের মধ্যে ঐ লোকগুলোকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলাম বটে। কিন্তু তাদের কতটা জাগাতে পেরেছি তা প্রশ্ন সাপেক্ষ। তবে আমাদের দেশপ্রেমহীন রাজনীতি আর সমাজ সচেতনহীনতা প্রতিনিয়ত ঠেলে দিচ্ছে বিপর্যয়ের দিকে। ফুলবাড়িতে যেভাবে মানুষ জেগেছিল, সেভাবেই মানুষকে আবার জেগে উঠতে হবে রূপপুরে, একইভাবে জেগে উঠতে হবে রামপালে।
কারণ উন্নয়ন চাই, কিন্তু বন-প্রকৃতি-মানুষ ধ্বংস করে উন্নয়ন চাই না। আগে মানুষ, পরে উন্নয়ন। উন্নয়নের বহু বিকল্প আছে, কিন্তু সুন্দরবনের বিকল্প নেই, মানুষের বিকল্প নেই।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

বাংলাদশ ছোট, আনবিক বিদ্যুৎ ভয়ের কারণ হবে।

২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন:

সুদেব চক্রবর্তী ,



খাটি কথাটিই বলেছেন -------আমাদের দেশপ্রেমহীন রাজনীতি আর সমাজ সচেতনহীনতা প্রতিনিয়ত ঠেলে দিচ্ছে বিপর্যয়ের দিকে।

আমরা দশটা রামপাল বানাতে পারবো কিন্তু একটুকরো সুন্দরবন বানাতে পারবোনা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.