নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার অনুভুতির গল্পগুলো

জানি না কবে কোথায় , কিভাবে তোমাকে আবার দেখব। তবে তোমাকে হারানাটাই আমার অনেক বড় একটা বাজে অনুভুতি । ভাল থেকো বিবেকা। ভাল থেকো বিবেক। ভাল থেকো আমার কবিতাগুলো

সুদীপ্ত সজল খাঁ

প্রতিদিন সুদীপ্ত ডুবে যায় সজল চোখগুলো খুজে বেড়ায় সুখ। তার মাঝে আমিও বেচে থাকি শুধূ ভরে না আমার বুক ।।

সুদীপ্ত সজল খাঁ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নেগেটিভ . পজিটিভ = গোলমাল

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭

মাথার শিরা উপশিরায় নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা । তাই কিছু নেগেটিভ কথা বলব । কয়েকদিন ধরে দেখছি একজনের বাংলাদেশ নিয়ে ব্যপক উন্নয়ন এর ইন্টারনেট ভিত্তিক এবং রাজনৈতিক দলের এজেন্টভিত্তিক একটি লেখা ছড়িয়ে পড়েছে । আশাবাদী হওয়া ভাল । আশাবাদী লোকের খুব অভাব কিন্তু আশাবাদটা বাস্তবতার সাপেক্ষেই হওয়া দরকার । তাই কয়েকটা কথা ।





বাংলাদেশের উন্নয়নের সূচক নির্ধারন করেন বিদেশীরা । এবং কিছু স্বদেশী যারা এশিয়া এনার্জীর লোকাল এজেন্ট হিসাবে কাজ করেন । প্রশ্ন হল কিসের ভিত্তিতে সূচক ণির্ণয় হচ্চে ? ৭ কোটির স্বাধীন দেশে ৭৪ এর দুর্ভীক্ষ , না খেয়ে মারা যাওয়া মানুষের হিসাব আজও জানেন না যারা তাদের উদ্দেশ্যে বলছি । দেশের ১০০ কোটিপতির সংখ্যা এখন ১০০০ হয়েছে হয়ত আরো বেশি হয়েছে ।সংখ্যাটা ১০০০০ ও হতে পারে । কিন্তু বাস্তুহারা মানুষের সংখ্যা তার ১০০ গুন বেশি বেড়েছে । তাহলে কোটিপতির ক্রমবর্ধমান সংখ্যাই কি জাতির উন্নয়নের সূচক ? দেখতে পান না দরি্দ্র মানুষের আসল চেহারা > যারা পত্রিকার পাতায় কিংবা সংসদ ভবনের সামনে বা টিএসসি তে ফুচকা খায় না ।





পোশাক শিল্পে বাংলাদেশের বাজার হয়ত ভাল তাতে আমাদের অর্থনীতিতে লাভ হবার কথা ছিল । জনজীবন এর মান উন্নত হবার কথা ছিল । বুকে হাত দিয়ে বলেন তো শুধু শীতকালে শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য কত লক্ষ অসহায় মানুষকে লাইনে দাড় করিয়ে রাখেন ? কত মানুষকে শুধু মিডিয়ায় প্রচার পাবার জন্যে মাইকে মিথ্যা বলান ? নিজের দেশের মানুষ এখনও না খেয়ে দিন কাটায় আর কোটিপতিরা সোমবারের কাচা বাজার করতে যায় সিঙ্গাপুর । একেও দেশের উন্নয়নের সূচক বলবেন ?





সুখী মানুষের দেশ হিসাবে বিশ্বে ১১ নম্বর । কে দিয়েছে এই নম্বর ? বিশ্বজিত ও তাহলে সুখী মানুষ ছিল ? টাঙ্গাইলে গণধর্ষনের শিকার মেয়েটির পরিবার তাহলে বিশ্বে ১১ নম্বর সুখী মানুষ ? হাহাহ , আমি আপনিও ? গ্যাস , পানি বিদ্যুতের ব্যপক ঘাটতি , শিক্ষাক্ষেত্রে অনিয়মের বেড়াজাল , চাকরিহীন কয়েক কোটি পথহারা যু্বক , রাজনীতির ঘোলাজলে বিশ্বাজিতের মত হাজার মৃত্যু , আর কোন দেশে আছে পৃথিবীতে ? সোমালিয়ার মত দেশেও তো একটা বিস্কুটের প্যাকেট সবাই ভাগাভাগি করে খায় । আমরা কি সেটাও পেরেছি ? আর কোথাকার কোন মিডিয়ায় বলে দিল আমরা বিশ্বের ১১ নম্বর সুখী দেশ তাই নিয়ে পেপার ধুয়ে মুড়ি খাও ।





প্রযুক্তি আজ আমেরিকায় যা আসছে , ৬ মাস পর তা এদেশেও আসবে এটা নিয়ম । কারণ তা না হলে ব্যবসা হয় না । কিন্তু সেই প্রযুক্তি কে কে পাচ্ছে ? বাংলাদেশের প্রযুক্তির সাথে ভারতের তুলনা করুন ? আজও এদেশের চিকিতসা সেবা জঘন্য । অপ্রতুল সেবা মান । টাকা পয়সা প্রজেক্ট মায়ের ভোগে । প্রযুক্তির সাহায্যে আজও আমরা ভ্যাটিকান সিটি বা থাইল্যান্ড হতে পারি নি । বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট আর গাড়ি শুধু আমাদের মানদন্ড । ভাল ছাত্র আছে তাদের রাখার মত কোন প্রজেক্ট বানাতে পারি নি । থ্রিজি ধুয়ে তো আমার কৃষক পানি খাবে না । তাদের ধানের জাত উদ্ভাবন করতে পারি নি । খাবারের মান দিন দিন নিম্নতর হয়ে যাচ্ছে । মোট কথা নাগরিক সেবার কোন মানই নেই আমাদের । বিশ্ব অর্থনীতি সমিতিতে আমাদের অনেক মেধাবী আছেন কিন্তু তা দিয়ে দেশের কি উন্নয়ন হয়েছে তা কে দেখাতে বা বোঝাতে পারবেন জানি না । তাকিয়ে দেখুন ভিয়েতনাম, কোরিয়া, বা বিধ্বস্ত জাপান । কিংবা দরিদ্র কিওবা , বা মালয়েশিয়ার দিকে । তাদের প্রযুক্তি নেই । আমাদের মত বুয়েট বা ঢাবি নেই । আমাদের মত মুজিব নেই , জিয়া নেই । চিটা ধানের শিষ বা তলাফাটা নৌকা নেই । অথচ ওরা বদলে গেছে । আমেরিকার সাথে শত্রুতা না থাকলে বিশ্ব সুথী মানুষের র‌্যাংকিং এ এরাই আগে থাকার কথা । অন্তত আপনার আমার অবস্থান তাই বলে ।





আপনাদের এতই যদি প্রযুক্তির উন্নয়ন হয়ে থাকে একটা আইটি হাব দেখান । সরকারের আইটি বিশেষজ্ঞরা নিজের কম্পউটার ই সেটাপ দিতে জানে না , তারা প্রযুক্তি দিয়ে কি করবে ? যারা জানে বা জানত তাদের কে দেশছাড়া করেছি । বা আসতে দেয়া হয় না কাছে ।





দুরনীতির আখড়া হয়ে আছে বাজারের গদি । সারাদেশে মাত্র আটজন কোটিপতির দখলে চালের বাজার , ছয়জনের দখলে তেল । এরপরও বলবেন আমরা অনেক এগিয়েছি । ক্রাইম রেট ছুয়ে গেছে মাথার আকাশ । তবুও বলবেন অনেক দেশের থেকে ভাল ।





দেশে এখনও প্রতিদিন বিনা চিকিতসায় মারা যায় ৩৪ জন মানুষ । পেটের দায়ে সন্তান বিক্রি হয় ২ টি করে । ধর্ষন বা খুনের কথা লিখছি না ।





দেশের প্রত্ন সম্পদ লুট করে যারা আমাদের অর্থনীতির মন্থর চাকাকে কাগজে কলমে ভাল বলে চালিয়ে দেয় আর আমরা যারা তাই নিয়েই লাফাই তাদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই ।



আপনি নিজের নিশ্চয়তা দিতে পারেন ? আজ রাতে আপনি বা্ আপনার বাবা বা আপনার বোন বাড়ি ফিরবেই ? আপনি নিশ্চয়তা দিতে পারেন ? কাল আপনার ভাই বা বোন নীতিহীন শিক্ষকের জালে আটকা পড়বে না ? যদি পারেন তবে আপনি এ দেশের ধনী কাতারের লোক যাদের গানম্যান থাকে বা লীগ বিএনপির পতাকা থাকে । বাকি ৮০ ভাগ লোক আপনার কাতারে নেই ।





দিনাজপুরের কয়লাখনি দখলে নিতে গুলি করে মারা হয়েছে মানুষ । রাতের আধারে চলতে পারেনা এদেশের কোন বয়সী নারী । নিরাপত্তাহীনতায় ছোট্ট শিশুও । স্কুলের বেতন দিতে না পারায় ঝরে পড়া ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা কোটিপতিদের সংখ্যার থেকে অন্তত বেশি । আমি নিজেই নিজের দেশে টাকা দিতে পারি নি বলে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে চাকরির ধান্ধায় নামতে হয়েছিল । মামা খালূর জোন না থাকলে শতকরা ৯৯ ভাগ খুনের মামলায় ছাড়া পায় খুনী । শতকরা ৭০ ভাগ ধর্ষনের মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয় না । রোজ রাতে লালসালু ছড়িয়ে ব্যবসা পাতে হাজার ধর্ম ব্যবসায়ী । বিশ্বের আর কোন দেশে আছে ? একটা যুদ্ধ করা স্বাধীন দেশের এমন অধ:পতনের ইতিহাস ?







আজ পর্যন্ত মৌলবাদের শিকল ই ভাঙতে পারি নি । সাম্প্রদায়িকতার জাল থেকে বের হতে পারি নি । আজ ও হিন্দু মেয়েদের ধর্ষণ হয় , ধর্ষক বহাল তবিয়তে বেচে যায় । আজও বৌদ্ধ বিহারে আগুন লাগানো হয় , রাজনীতির ঘোলাজলে প্রাণ দেয় সাধারণ রিকসা চালক । আজও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে বলতে শুনি আমাদের দেশে যুদ্ধাপরাধী নেই । আজও হুমাযূন আযা্দ খুন হয় , রবীন্দ্রনাথকে হিদুর বাচ্চা বলে গালি দেওয়া হয় মসজিদে , আজও আমাদের দেশের জননেতাদের নিরাপত্তা দিতে এ্যাম্বুলেন্স আটকে মেরে ফেলা হয় সাধারণ মানুষ । আজও পথশিশুদের বেশ্যার ছেলে বলে গালাগাল করা হয় । তবু বলবেন আমরা জাতি হিসাবে অনেক এগিয়েছি ? নেপালের একজন পাহাড়ী শিশুর সাথে আমাদের দেশের একজন শিশুর পার্থক্য কোথায় জানেন ? ও জানে নেপালে ওর জীবনটা কঠিন হবে , সংগ্রাম করতে হবে । আর আমাদের শিশুটা জানে ও চাইলেও সংগ্রাম করে বড় হতে পারবে না । সেই পথ রুদ্ধ করে গেছে ওর পূর্ব প্রজন্ম ।





তারপরও স্বপ্ন দেখা ছাড়তে নেই । তবে , এমন কিছূ বাঘ ভাল্লুক মারা যায় নি যা নিয়ে গর্ব করে স্বপ্নগুলো গুলিয়ে ফেলতে হবে । ক্ষুধা থাকলেই আন্দোলন দানা বাধে , যাদের কাছে বাংলাদেশ অনেক কিছু করে ফেলেছে , অনেক এগিয়েছে বলে মনে হয়েছে তাদেরকে একবার অনুরোধ করব , প্রতিদিন দেশের পত্রিকাগুলো একটু পড়ে দেখবেন , সাথে বিদেশের পাতাটাও । শুধু বসে বসে প্রেম পত্র লিখলেই তো আর হয় না । কোন বিশেষ দল বা মহলকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যেই শুধু পজিটিভ হবেন না । পজিটিভ হবার জন্য পজিটিভ হোন । নেগেটিভকে আমলে না নিলে পজিটিভ বেঁচে থাকে না ।

[email protected]

sudipto

software development &information security

southwest jiaotong university

sichuan , china

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২২

শয়ন কুমার বলেছেন: শেষের এই তিনটা লাইন অসাম!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!কোন বিশেষ দল বা মহলকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যেই শুধু পজিটিভ হবেন না । পজিটিভ হবার জন্য পজিটিভ হোন । নেগেটিভকে আমলে না নিলে পজিটিভ বেঁচে থাকে না ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭

সুদীপ্ত সজল খাঁ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪২

মাক্স বলেছেন: এত এত নেগেটিভ খবর দেয়ায় আপনেরে মাইনাচ :( :( :( :(

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭

সুদীপ্ত সজল খাঁ বলেছেন: মাইনা নিলাম, তবে সত্য যত কঠিন হোক এড়ানোর উপায় নাই ,

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৮

আরিফ রুবেল বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ কর্মঠ, সঠিক নেতৃত্ব এবং গণমুখী নীতিমালা ও উদ্যোগ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের পথই টেকসই উন্নয়নের সঠিক পথ। আমাদের সবচেয়ে বড় গুন হচ্ছে আমরা সন্তুষ্ট না।

৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:২১

সুদীপ্ত সজল খাঁ বলেছেন: সন্তুষ্টির কথা আসে তখন যখন আমরা জানি যে আমাদের ন্যূনতম টারগেট কি ? বিশ্বসংসারে সন্তুষ্টির সীমাবদ্ধতা থাকবে না এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু মিনিমাম মাদকতা না থাকলে স্বাভাবিক উন্নয়নের প্রশ্নই আসে না । বন্যা হলে আরব থেকে দুই জাহাজ ত্রাণ আসবেই । মানচিত্র যখন আছে তখন ত্রাণ আসতে বাধ্য কারণ আরব দান করতে চায় , এটা আমাদের প্রাপ্তি না , আমাদের প্রাপ্তি আমরা কতটা দাড়াতে পারি তার উপরে । বাংলাদেশের মানুষ কর্মঠ, সঠিক নেতৃত্ব এবং গণমুখী নীতিমালা ও উদ্যোগ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের পথই টেকসই উন্নয়নের সঠিক পথ ,, সহমত , কিন্তু সেই পথ তৈরী করতে যে মজুর প্রয়োজন , যে কর্মঠ আদর্শ প্রয়োজন তার যোগান কে দেবে ভাই ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.