নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার অনুভুতির গল্পগুলো

জানি না কবে কোথায় , কিভাবে তোমাকে আবার দেখব। তবে তোমাকে হারানাটাই আমার অনেক বড় একটা বাজে অনুভুতি । ভাল থেকো বিবেকা। ভাল থেকো বিবেক। ভাল থেকো আমার কবিতাগুলো

সুদীপ্ত সজল খাঁ

প্রতিদিন সুদীপ্ত ডুবে যায় সজল চোখগুলো খুজে বেড়ায় সুখ। তার মাঝে আমিও বেচে থাকি শুধূ ভরে না আমার বুক ।।

সুদীপ্ত সজল খাঁ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চীনের সাম্প্রতিক ভূমিকম্প ও বাংলাদেশীদের অভিভাবকহীন সময়

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩২

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশের রাজধানী ছেংদু থেকে মাত্র ১৪০ কিলোমিটার দূরত্বে শক্তিশালী ভুমিকম্প আঘাত হানে গত ২০ এপ্রিল সকাল ৮ টায় । এতে হাজার হাজার মানুষ আহত হয় , মৃতের সংখ্যা এখনও ক্রমবর্ধমান রয়েছে । অসংখ্য মানুষ আছে নিখোঁজ । স্বল্প দূরত্বের ছেংদু শহরেও একই মাত্রায় আঘাত হানে ৭ মাত্রার ভুমিকম্প । এবং পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় মোট ১২০ টি আফটার শক ও ৫ মাত্রার আরো একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে । এই শহরটিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রী ছাড়াও বাঙ্গালীরা বসবাস করেন । এদের মধ্যে বেশিরভাগই দেশের হয়ে সুনাম কুড়িয়ে চাইনিজ সরকারের ১০০ ভাগ শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করছেন । আছেন অনেক মেধাবীও । কিন্তু তারা ভূমিকম্প পরবর্তী সময়ে অভিভাবকহীন অবস্থায় একরকম উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্যে বসবাস করছেন ।তাদের বাসস্থান ছেড়ে কেউ কেউ সারারাত খোলামাঠে রাতযাপন করেছেন । কেউ কেউ এখনও তাঁবুতে বা খোলা জায়গায় বিছানা পেতে রাত্রিযাপন করছেন । বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অবস্থাটা এক ধরণেরউৎকণ্ঠার । তারা কখনও এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হন নি ।

অথচ চীনে অবস্থিত গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে একটি লোকও খোঁজ নিতে পারেন নি যে এই সব মানুষগুলোর মধ্যে থাকা বাঙ্গালীরা আদৌ সুস্থ আছেন কিনা বা বেঁচে আছেন কিনা ? তাদের যুক্তিটা নিশ্চয় ই এরকম যে মরে গেলে চায়না সরকারই তো বিবৃতি দিবে । তখন জানা যাবে । এরকম একটি দেশের নাগরিক হিসাবে মাঝে মাঝে অন্যদের সামনে লজ্জাবোধ করি ।

ছেংদু শহরে থাকা বাঙ্গালী ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা কম থাকায় , তাদের দূতাবাসের পৃষ্ঠপোষকতাও সামান্য কিছু কাগজে আটকে থাকছে । বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে আসা এসব শিক্ষার্থীদের অনেকেই দেশের সংস্কৃতি, সভ্যতাকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরবার চেষ্টা করলেও সেখানে দূতাবাসের কোন ধরনের সহায়তা না থাকায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদেরকে এসব থেকে বিরত থাকতে হয় । একই সময়ে সেখানে অন্যান্য দেশের ছেলেমেয়েরা নিজেদের সংস্কৃতিকে মেলে ধরলেও আমাদের জাতীয় দিবসগুলোতে পর্যন্ত ছেংদু শহরে কোন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় নি ।

অন্যান্য দূতাবাস তাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পড়াশোনার মান নিয়ন্ত্রণ, নিদেনপক্ষে তাদের অবস্থানগত তথ্য নিয়মিত হালনাগাদ করেন । দূতাবাসের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপন , সব দেশের ক্ষেত্রেই সাধারণ একটি প্রাতিষ্ঠানিক সত্য । কিন্তু দু:খ লাগে আমার দেশের দূতাবাস আজ পর্যন্ত জানেই না ভূমিকম্প কবলিত এলাকাতে বাংলাদেশী নাগরিকেরা দিনরাত কি রকম আতংক নিয়ে বসবাস করছে । কোথায় আছে তারা ? কি তাদের যোগাযোগের ঠিকানা ।

সত্যিকার অর্থবহ একটা প্রশ্ন মাথায় আসে বার বার , নাগরিকত্ব ও মেধাসত্ত্ব থাকা মানুষগুলোর জীবনের দায় কার ?

সুদীপ্ত সজল খাঁ ,

সাউথওয়েস্ট জিয়াওথং বিশ্ববিদ্যালয় ( Southwest jiaotong University)

সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট , রোবটিকস

ছেংদু , চীন ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০১

শিপন মোল্লা বলেছেন: দায়িত্ববদের পরীক্ষায় উতিন্ন হয়ে এ লোগ চাকরি পায়নি, এরা দলীয় লবিং আর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছে। এতএব এ দায়িত্ববদ কাকে বলে কিভাবে করে এ তাদের যানা নেই। সাধারন মানুষ কষ্টে থাক আর মরে যাক তাতে তাদের কিছুই যায় আসেনা।

দূতাবাস নামক এই বাল আমাদের কোন কাজেই আসেনা কোনদিন।

২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৮

সুদীপ্ত সজল খাঁ বলেছেন: :) :) ভাল বলেছেন শেষ লাইনের সাথে তো মারাত্মক একমত

৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:২৪

সবুজ-ভাই বলেছেন: ভাই যেখানেই থাকেন ভাল থাকেন নিজ দেশ ছেড়ে যখন বিদেশে যেতেই হ্যেছে যে কোন কারণেই হোক সেই দেশ থেকে বেশী কিছু আসা করা বাদ ীয়ে নিজেই নিজের দায়িত্ব নিন। এখন কেমন আছেন কি পরিস্হিতি আমাদের জানান। বাংলাদেশে জন্ম নিয়ে বাংলাদেশের মনাুষ নিজ দেশেই কোন অধিকার পায় না সেখানে দূতাবাস কি কাজে লাগবে ? এসব ভুলে যান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.