![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিদিন সুদীপ্ত ডুবে যায় সজল চোখগুলো খুজে বেড়ায় সুখ। তার মাঝে আমিও বেচে থাকি শুধূ ভরে না আমার বুক ।।
বিশাল মনুষ্যগোষ্ঠীর অদ্ভুত রকমের ঐতিহ্যবাহী ও নিত্যনতুন মিশিয়ে চলা জীবনের নানান রকমের সখ আর কার্যক্রমের কথা বিশ্বব্যাপী প্রচলিত । চীনের মানুষজন প্রচন্ড কর্মঠ এবং এক কথায় মেশিন যা তাদের
শক্তিশালী অর্থনীতির মূল শক্তি। কিন্তু এই চাইনিজ জাতিগোষ্ঠীই কাজের শেষে বা কাজ থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন রকম উৎসব বা দিবস বেছে নেয় যাতে বিনোদনের ঘাটতি না হয় । সেরকমই একটি দিবস নিয়ে আজকের কীবোর্ড সংগ্রাম ।
১১/১১ মানে নভেম্বরের ১১ তারিখ । এই দিনটি চীনের অবিবাহিত এবং কোন সম্পর্কতে না জড়ানো ছেলেমেয়ে বা যুবক যুবতীদের কাছে একটু স্পেশাল দিন । পতি বছর এই দিনটিকে তারা পালন করে সিঙ্গেলস ডে হিসাবে । যা ১৪ ফ্রেব্রয়ারীর ভালবাসা দিবসের বিপরীত দিবস । এইদিনে সারাদিন ই নানা রকমের ব্যবসায়িক কেন্দ্রে সিঙ্গেলসদের জন্য বিভিন্ন রকম অফার , ব্যাংকের সামনে লম্বা লাইন, উপহার আদান প্রদান , বন্ধু সহ ঘুরতে যাওয়া নৈশক্লাবে সময়যাপন , পানীয় আকণ্ঠপান ইত্যাদি চলতে থাকে তবে অবশ্যই এইসব বন্ধুদের সবাই সিঙ্গেলস , যার অর্থ হল অবিবাহিত ও যার কোন বালকবন্ধূ বা বালিকাবন্ধু এখনও হয় নাই । প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ও সিনিয়র হাইস্কুলগুলোতে সিঙ্গেলসদের মাস্কপার্টী বা মুখোশ পারটী হয় মধ্যরাত পর্যন্ত। সেখানে অচেনা অজানা যুবক যুবতীর দেখা হতে পারে , কথা হতে পারে , হতে পারে মন দেয়া নেওয়া , ঘুচতে পারে সিঙ্গেলসশীপ । পানশালাগুলোতে বিনামূল্যে পানীয় বিতরণ , সারারাত উদযাপনের মত খামখেয়ালীপনাও প্রতিটি ছোট বড় শহরকে জাগিয়ে রাখে সারারাত ।
যতদূর জানা যায় জাপান এবং কোরিয়াতেও এ ধরনের সিঙ্গেলস ডে উদযাপন হয় ।
বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার উপরে বা নদীর ধারে বা সমুদ্রের ধারে যুবক যুবতীদের নিয়ে নানা রকমের গেম শো হয় । সেখানে স্বংম্বরা হয়ে যায় মেয়েরা । আর ছেলেরাও খুজে নেবার সুযোগ পায় তাদের প্রিয়জনকে ।
টেলিভিশনে প্রচার করা হয় সরাসরি , গণঘটকালির আয়োজন । সেখানে কেও তার ব্রেক আপের গল্প বলে কাঁদিয়ে দিচ্ছেন কয়েকশ মানুষ । রাস্তায় রেস্তোরায় তার প্রচার হচ্ছে । কেওবা আবার গাণ বা কবিতা দিয়ে জয় করে নিচ্ছেন তরুণীর মন । সে ছুটে আসছে দূরপ্রান্ত থেকে।
তবে সবকিছুর মধ্যেই একটি ইতিবাচকতা খুজে বের করার চেষ্টা চলে । এবং গণচীনের বদলে যাওয়া সমাজব্যবস্থার একটি খন্ডিত রূপ চোখে পড়ে ।
এই দিনটির আরও বিশেষ একটা ব্যবসায়িক ঐতিহ্য হল , অনলাইন শপিং সাইটগুলোতে ২৪ ঘন্টার বিশেষ আকর্ষণ বা ছাড়ের রেওয়াজ । রাত ১২ টা বাজলেই সবাই কীবোর্ড মাউস নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ছে সখের জিনিস বা প্রয়োজনীয় সব জিনিস মূল দামের শতকরা ৩০ ভাগ বা ৪০ ভাগ দামে লুফে নিতে । প্রতি বছর রেকর্ড পরিমাণে অনলাইন শপিং হয় এই দিনটিতে ।
এ বছর এর ১১/১১ দিনটি ছিল আজ বা সদ্য পেরিয়ে যাওয়া ১১ নভেম্বর । এ বছর অনলাইন শপিংয়ে ২৪ ঘন্টায় মোট বিক্রির পরিমাণ দাড়িয়েছে ৩৫০ কোটি আর এম বি যা বাংলা টাকায় প্রায় ৪হাজার ৫ শত ৫০ কোটি টাকার ও বেশি ।
বিনোদনপ্রিয় এই জাতির নানা রঙের জীবনধারন ও এর নানা রঙের উপাদান ভাবতে বাধ্য করে , মানুষের সৃজনশীলতার থেকেও বেশি দরকার , বেঁচে থাকার আকাঙ্খা ।
সুদীপ্ত , ছেংদু, সিচুয়ান , চীন ।
২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: মজার কিছু তথ্য জানলাম!! ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৩
এনইসলাম বলেছেন: তথ্য বহুল লিখনীর জন্য ধন্যবাদ দাদা
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৯
সুদীপ্ত সজল খাঁ বলেছেন: নুরুল ইসলাম ভাই । মজা করেন ? তথ্য কি আপনের কাছে কম আছে মিয়া ? হেহেহে ,
৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫১
বিলাসী বলেছেন: তথ্যবহুল চমৎকার পোষ্ট। ধন্যবাদ।
৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০
জিউরানা বলেছেন: তথ্যবহুল চমৎকার পোষ্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৬
অথৈ সাগর বলেছেন:
জ্ঞ্যান বাড়িয়ে গেলাম । জানার কোন শেষ নেই।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০০
নূর আদনান বলেছেন: তথ্যসম্পন্ন পোষ্ট
নতুন কিছু জানলাম, ভাল লাগল