নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার অনুভুতির গল্পগুলো

জানি না কবে কোথায় , কিভাবে তোমাকে আবার দেখব। তবে তোমাকে হারানাটাই আমার অনেক বড় একটা বাজে অনুভুতি । ভাল থেকো বিবেকা। ভাল থেকো বিবেক। ভাল থেকো আমার কবিতাগুলো

সুদীপ্ত সজল খাঁ

প্রতিদিন সুদীপ্ত ডুবে যায় সজল চোখগুলো খুজে বেড়ায় সুখ। তার মাঝে আমিও বেচে থাকি শুধূ ভরে না আমার বুক ।।

সুদীপ্ত সজল খাঁ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চীনের মহাপ্রাচীর, পিছনের ইতিহাস ; স্বপ্নদ্রষ্টার পরিণতি ; রক্তাক্ত সভ্যতা

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩২

চীনের মহাপ্রাচীর। অন্যতম আশ্চর্য যা আমাদের ছেলেমেয়েরা ও আমরা ছোটবেলা থেকেই জেনে এসেছি । লম্বায় প্রায় ৩০০০ মাইলেরর উপরে । মহাপ্রাচীর ও এর ইতিহাস নিয়ে আজকের কীবোর্ড সংগ্রাম ।



চীনের এই মহাপ্রাচীরের ধারণা বহুকালের পুরানা ।যখন থেকে সভ্যতার আবর্তন শুরু হয়েছে তলোয়ার ও রক্তের পরিমাপের উপর তখন থেকেই সারা প্রথিবীতে সবাই অনিরাপদ হয়ে গেছি । নিরাপত্তা বা আত্মরক্ষার বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে এই প্রাচীর নির্মাণের ধারণা হাজার বছরের পুরোনো । যেমন ,নিজের সাম্রাজ্য ও প্রজাদের বহি:বিশ্ব তথা যাযাবর জাতি থেকে বাঁচানোর জন্য খ্রিষ্টপূর্ব ২২০-২০০৬ এ চীনের প্রাচীরের গোড়াপত্তন হয় । কয়েকটি প্রজন্মে ভাগ হয়ে সবশেষে আজকের মহাপ্রাচীর এর মূলভিত্তি রচিত হয় ১৫৬৯-১৫৭৫ এর সময়ে । যখন চীন পৃথিবীর সবথেকে বড় সেনাবাহিনী নিয়ে নিজেদের নিরাপত্তায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হয় ।

প্রথম খ্রীষ্টপূর্ব ২২০-২০৬ এর সময়ে ছিন সাম্রাজ্যর সম্রাট ছিন শ্রি হুয়াং অল্প কিছু জায়গা জুড়ে চীনের উত্তর দিকে নির্মাণ করেন মহাপ্রাচীর । যা সাধারণত পাথর ও কাদায় তৈরী ছিল । এরপর বাকি ছয়টি চীনা উপসাম্রাজ্য তাদের নিজেদের সীমানা সম্প্রসারণ করে । এরপর অনেক বছর কেটে গেলেও তেমন উল্লেখযোগ্য কোন উন্নতি সাধিত হয় না এ প্রাচীরের ইতিহাসের ।



চীনের ভৌগলিক সীমানার উত্তর দিকে ও ততকালীন মঙ্গোলিয়ান এর দক্ষিন দিকের সীমান্তে যাযাবর মঙ্গোলিয়ানরা প্রায় ২ হাজার বছর ধরে চীনাদের বসতবাড়িতে হানা দিত , আগুন ধরিয়ে দিত , লুট করত ফসল , খাবার , আর অর্থকড়ি । মূলত মঙ্গোলিয়ানদের বিরান ভুখন্ডতে খাদ্যের অভাব এই সমস্যাকে আরও ঘনীভূত করে ।



সেপটেম্বর ১৫৫০ , ততকালীন মিং সাম্রাজ্যের রাজধানী বেইজিং । মঙ্গোলিয়ান যাযাবর জাতির নেতা চেঙ্গিস খান এর উত্তরসূরী দারাই সুং গুদেনখান। শান্ত চীনা ভূখন্ডে একদিন হুট করে আক্রমন করে বসে অস্ত্রসজ্জিত ক্ষুধার্ত মঙ্গলিয়ানরা । রাজধানীর ৭০ মাইল দূরের জনপদে চলে গণহত্যা , লুণ্ঠন , আর যুদ্ধবন্দী করার নির্মমতা । এটি ছিল মঙ্গোলিয়ানদের সবথেকে ভয়াবহ আক্রমণ । তখন চীনের সম্রাটকে তারা একজন অন্ধ বন্দীর মাধ্যমে তাদের দাবি পেশ করে যে, মঙ্গোলিয়ানদের সাথে কুটণৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে ও ব্যবসাবাণিজ্য করতে হবে । তাহলে তারাও উন্নয়ন করতে পারবে নিজেদের ভূখন্ড । সম্রাট তার সভাসদ দের বুদ্ধিতে তাদের কাছে কিছুটা সময় চান । কিন্তু তলে তলে চলে নতুন কোন বুদ্ধির খোঁজ ।



প্রায় এক মাস ধংস্বযজ্ঞ চালিয়ে অক্টোবর ১৫, ১৫৫০, মঙ্গোলীয়ানরা ফিরে যায় নিজেদের জায়গায় । বেইজিং এর যুদ্ধমন্ত্রীকে তার ব্যর্থতা ও যুদ্ধ না করে পালানোর অপরাধে শিরশ্ছেদ করা হয় রাজপ্রাসাদে সবার সামনে ।

সেই সময় নতুন মুখ হিসাবে দেখা যায় চৌকস সেনা অফিসারকে । ২৩ বছর বয়সী , ছি চি গুয়াং। সে এই ধংস্বজজ্ঞ দেখে মঙ্গোলীয়ানদের রুখে দাড়ানোর পরিকল্পনা শুরু করে । ২ হাজার বছর ধরে বারে বারে এই মঙ্গোলিয়ান জাতি আত্রমন করে আসছিল চায়নার মূল ভূখন্ডর উত্তর দিকের কয়েক হাজার মাইল এলাকায় , সেই এলাকাতে সে স্থায়ী সমাধানের ধারণা আনে যা সম্রাটের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না ।



তাকে পাঠানো হয় জাপানীজদের আক্রমণ প্রতিহত করতে । নিজের চেষ্টায় তিনি গ্রামের কৃষকদের স্বদেশ বাঁচানোর লড়াই তে সৈনিক হিসাবে দাড় করান । তার নিজস্ব সৈন্যবাহিনী আত্মপ্রকাশ করে । জাপানীজদের সাথে কয়েকটা যুদ্ধে জয়লাভ করে …



এর ১৭ বছর পর, জাপানীজদের সাথে বীরত্বের জন্য ছি চি গুয়াং কে সেনাপ্রধান করা হয় । তার পদ জেনারেল । ঠিক সেই সময় আবার মঙ্গোলিয়ানদের আক্রমণের আশংকা তৈরী হয় । তখনকার সম্রাটকে দ্বিতীয়বার মঙ্গোলিয়ানদের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য মহাপ্রাচীর নির্মাণের পরিকল্পনার কথা বলা হয় । তার শত্রুদের প্রচুর বিরোধীতা সত্ত্বেও সম্রাট তাকে মহাপ্রাচীর তৈরীর অনুমতি দেন ।



সেনানায়ক তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে যাত্রা শুরু করেন সত্যিকারের মহাপ্রাচীর নির্মানের ।

১৫৬৯ এর দিকে কাজ শুরু করা হয় প্রায় ২০ হাজার মানুষ নিয়ে এবং প্রাথমিকভাবে মূল অংশের প্রাচীর নির্মানের জন্য ৫ বছর সময় বেধে দেয়া হয় সেনাপ্রধান কে ।ইট পাথর আর পোড়ামাটি দিয়ে শুরু হয় কাজ । একেকটি ইটের ওজন প্রায় ২০ কেজি । মানুষ দিয়ে পাহাড়ের গায়ে উঠিয়ে নিয়ে একটার পর একটা গেথে তৈরী করা হত প্রতিটি দুর্গ এবং দেয়াল । কয়েকশ গজ পর পর একটি করে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার এর পরিকল্পনা এবং সব সুদ্ধ কয়েক হাজার টাওয়ার এর নির্মাণ মোটেই সহজ ছিল না । কিন্তু পরিকল্পনাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজটাকে গুণগত দিক থেকে নিশ্ছিদ্র করা হয় । ৩০ ফুট উচু । এবং ১০ ফুট প্রশস্ত দেয়াল ।

কিন্তু প্রতিটি দেয়ালের নকশা নিশ্চিত করা হয় যেন তা পাহাড়ের চূড়ার উপর দিয়ে তৈরী হয় । এটা একটা বিশাল সামরিক পরিকল্পনা । ২৫০ জন করে ভাগ করা প্রতিটি দল মিলে প্রথম বছরে তৈরী করে ৭০ টি টাওয়ার যা কিনা পর্যাপ্ত ছিল না । প্রতি ৫ দিনে একটি করে টাওয়ার তৈরীর নির্দশ ছিল প্রতি ২৫০ জনের দলের প্রতি । তারা রাতদিন কাজ করত । রাজ্যের মোট আয়ের ৭৫ ভাগ নি:শেষ হচ্ছিল এই মহাপ্রাচীর প্রকল্পতে। কিন্তু বাধ সাধল কঠোর পরিশ্রমের কারণে ছড়িয়ে পড়া অপুষ্টি , চর্মরোগ, মানসিক অবসাদ সহ আরও কিছু রোগ । সৈনিকরা বছর ধরে পরিবার এর সাথে দেখা না করে যে কঠিন প্রকল্প শেষ করতে কাজ করছিল সেখানে বিনোদন বলতে ছিল না কিছুই । কঠিন পরিশ্রম শুধু । মরে যাওয়া সৈনিককে সহোদরের মতই ভেবে নিয়ে শেষকৃত্য শেষ করত বাকি সেন্যরা । পাতায় বোনা চাটাইয়ে তাদের মৃতদেহ সমাধিস্থ হত আজকের মহাপ্রাচীরের আশেপাশেই । গুয়াংচিয়াও , মহাপ্রাচীর নির্মাণের মহান সৈনিক তার আর সব সহযোদ্ধাদের মতই আজ ভুলে যাওয়া নায়ক । অথচ সে ই যোদ্ধাদের মধ্যে একনিষ্ঠতা, সহদরবৃত্তিকতা , এবং শৃংখলা বজায় রেখে মহাপ্রাচীরসফল করতে সচেষ্ট ছিল ।

জেনারেল ছি চিগুয়াং যখন দেখলেন তার সৈন্যরা বিদ্রোহ করে উঠতে পারে < তখন তিনি ঘোষণা দিলেন তাদেরপরিবার চাইলে তাদের সাথে যোগ দিতেপারে যা ছিল একই সাথে কাজ এগিয়ে নেয়া ও সেনাদের মনোবল চাঙ্গা রাখার উপায় ।



অনেক কঠিন পরিশ্রমের পর ১৫৭৫ সালের প্রথম দিকে প্রাচীরের প্রথম ধাপের কাজ শেষ হয় । কিছুটা দেরিতে ।

১৫৭৫ সালের মার্চ মাসের কোন একদিন এই প্রাচীর এর কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখার সুযোগ হল । যাযাবর মঙ্গলিয়ানরা আবার আক্রমণ করে বসল প্রাচীর দ্বারা ঘেরা উত্তর প্রান্তে । কিন্তু এবার তারা সফল হল না । প্রাচীরের পিছনের সামরিক পরিকল্পনা কাজে দিল এবং যাযাবর রা পালিয়ে গেল ।



মহাপ্রাচীরের কার্যপ্রণালী :



এটি একটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা কাজ করবে তিন স্তরে । প্রথম স্তরে থাকবে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার । তার পিছনে সিগনাল টাওয়ারস । শত্রু আসার খবর সিগনাল টাওয়ারে পৌছানো হবে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকে । সতর্ক হবে কামান ও গোলা সহ সিগনাল টাওয়ারের পিছনের প্রাচীরের দুর্গগুলো । প্রতিরোধ গড়ে তুলে ছত্রভঙ্গ করা হবে শত্রুদের । পিছনের ব্যাকআপ সৈন্যরা এসে তাদের শেষ সর্বনাশ করবে ।



স্বপ্নদ্রষ্টা জেনারেলের করুণ পরিণতি :



জেনারেল ছিচি গুয়াং এবং দেশের অর্থমন্ত্রীর পুরানো শত্রুরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেন যখন মহাপ্রাচীরের বাকি সামান্য কাজ শেষ করতে পুনরায় অর্থ চাওয়া হয় । শত্রুরা নতুন সম্রাটকে বোঝাতে সমর্থ হয় যে আপাতত এই প্রাচীরের সম্প্রসারণের দরকার নেই । সম্রাটও তাই মনে করলেন । বন্ধ হয়ে গেলে প্রাচীরের সম্প্রসারণ ও শেষ আচড় দেয়া । অর্থমন্ত্রী মারা গেলে জেনারেল ছি চি গুয়াং হারালেন রাজ্যসভায় তার ঢোকার পথ ও আস্থার জায়গা। ক্রমশ জেনারেল কে সরাতে ষড়যন্ত্র শুরু হল বেইজিং এ । তাদের কুমন্ত্রে অকর্মণ্য চীনা সম্রাট জেনারেল এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি , অর্থ আত্মসাত ও সম্রাটকে খুন করে সিংসাসন দখলের মিথা অভিযোগ আনল । তাকে বরখাস্ত করা হল । তার বিচার করা হল । বছরখানেকের মধ্যে খুন হলেন তিনি । মহাপ্রাচীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়কালের সৈনিক নেতা হারিয়ে গেলেন । সেই অবস্থার পর কিছুটা সংস্কারের চেষ্টা হয়েছিল অবশ্য । তবে এখনকার যে মহাপ্রাচীরকে মানুষ পৃথিবীর অন্যতম আশ্চর্য বলে তার মহান স্রষ্টার জীবনাবসন হয় এভাবেই ।



আমরা এখন যে মহাপ্রাচীর দেখি তা এতটাই বিশালাকার যে মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে এর অস্তিত্ব দেখা যায় ।আরও কিছু তথ্য চান? যা আপনাকে অবাক করবে ?



• ৩ হাজার মাইলের ও বেশি লম্বা

• পশ্চিম দিকের প্রান্তে সূর্য উঠে পূর্বদিকের প্রান্তের ১৯ মিনিট পর ।

• ইট ও পাথরের ব্যবহার ।



মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪২

পেন্সিল স্কেচ বলেছেন: অসাধারণ +++

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৭

সদয় খান বলেছেন: চমত্‍কার একটা পোস্ট ।।।

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:১৪

নীল আকাশ আর তারা বলেছেন: +++++++++

প্রিয়তে............

৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৭

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: দূর্দান্ত পোস্ট।

৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫

মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার পোস্টে ভালোলাগা ।

৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭

তাহমিদুর রহমান বলেছেন: ++





View this link

৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২

ড. জেকিল বলেছেন: অসাধারন পোস্ট।
অনেক কিছু জানতে পারলাম। তবে জেনারেলের পরিণতি খুব খারাপ লাগলো।

৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১

শাহ আজিজ বলেছেন: গ্রেট ওয়াল এর উত্তর দিকের অংশ সবটাই পাথর দিয়ে তৈরি । কারন ওখানে মাটি দুষ্প্রাপ্য । গানসু প্রদেশের অংশ গুলো বালু মাটি যা সূর্যর আলোতে শুকানো টা দিয়ে তৈরি যেহেতু ওখানে পাহাড় নেই । আমি উত্তর এর সাংহাইগুয়ান , বেইজিং এর কাছে বাদালিং এ অসংখ্য বার ও গানসু তে শেষ সীমানায় গেছি । এটার উপর দিয়ে ঘোড়ার ডাক চালু ছিল । রাজারা নিজেদের মধ্যে চিঠি চালাচালি করতেন । এর বিশাল অংশ নষ্ট হয়ে গেছে ও যাচ্ছে । সাংহাইগুয়ান ও বাদালিং অংশ মেরামত করা হয় ৮০র দিকে পর্যটক আকর্ষণের জন্য । গানসুর মাটির তৈরি অংশ ব্যাপক বৃষ্টি পাতে গলে যাচ্ছে ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

সুদীপ্ত সজল খাঁ বলেছেন: ধন্যবাদ , তথ্য যোগ করার জন্য । পাতালিং/ বাদালিং এর দিকেই পর্যটন আকর্ষণ বেশি থাকায় সরকারি মনোনিবেশ বেশি । বাকি জায়গাগুলোতে প্রায় ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে । তবে বেশ কিছু মানুষ আবেগতাড়িত হয়েই চেষ্টা করে যাচ্ছেন সংরক্ষণের যাদের মধ্যে আমার একজন শিক্ষক রয়েছেন ।

৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২০

শাহ আজিজ বলেছেন: সি সি টিভি তে ৮৬ সালে একটা প্রামাণ্য চিত্রে দেখাচ্ছিল শানসি ও ইনার মঙ্গোলিয়ার মাঝামাঝি যে অংশ তা থেকে স্থানীয় লোকেরা পাথর নিয়ে বাড়ি বানাচ্ছে । ওরা বলতেও পারেনা এই দেওয়ালটা কি এবং কেন ? টিভি কর্মীরা প্রায় পুরো ওয়াল এলাকায় প্রামাণ্য চিত্র করেছিল ওয়াল রক্ষায় সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য । চীনের অল্প কিছু লোক দেশের হেরিটেজ রক্ষায় কাজ করছে । কোথাও কোথাও সরকারের অনীহা বেশ দুঃখবোধ জাগায় । তারপরও পাতালিং থেকে বেইজিং একটি সরু রাস্তা ছিল আগে । ৯০ সালে একটা চওড়া রাস্তা নির্মাণের পর যাতায়াত খুব সোজা হয়ে গেছে ।শেষ গেলাম ২০০৫ এ ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

সুদীপ্ত সজল খাঁ বলেছেন: হুমম, আপনি এখন কোথায় আছেন ?

১০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৫

শাহ আজিজ বলেছেন: এই মুহূর্তে ঢাকায় । ৮২তে বৃত্তি নিয়ে চীন যাওয়া আর কিছুকাল চাকরিবাকরি করে ৯৪তে দেশে ফেরা । আমি CAFAর ছাত্র ছিলাম । নতুন প্রজন্মের যারা এখন চীনে আছে কারো সাথেই যোগাযোগ নেই ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫২

সুদীপ্ত সজল খাঁ বলেছেন: জেনে ভাল লাগল , আমি আছি সিচুয়ান এর রাজধানী ছেংদুতে । বৃত্তি নিয়ে এসেছি ২০১০ এ । এক বছর সাংহাই হয়ে , চাইনিজ পড়ে আপাতত এখানে । নতুনরা আপনাকে পেলে খুশি হবে । ফেসবুকে গ্রুপে যুক্ত হতে পারেন । বা কিওকিও থাকলে দিতে পারেন । আপনার খোঁজ পেয়ে সত্যি ভাল লাগছে ।

১১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৬

শাহ আজিজ বলেছেন: আমি ছেংদু তে একবার গিয়েছি স্কুল ট্যুরে । প্রভিন্সিয়াল মিউজিয়াম দেখে উত্তেজিত হয়েছিলাম খাজনা আদায়ের কাচারির মাটির মূর্তি দেখে ।
অনেক পরিবর্তন হয়েছে শহরের । বিশাল স্থাপনার ছবি দেখলাম যা পৃথিবীর সবচে বড় । আমাদের সুবিধা ছিল রিসার্চ ট্যুর পেতাম এবং ওই সুবাদে পুরো চীন ঘুরে দেখেছি । কিউ কিউ নেই আর ফেবুতে দেখেছি গ্রুপ ওয়ার্ক কিন্তু ওরা আমায় অ্যাড করেনি ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৯

সুদীপ্ত সজল খাঁ বলেছেন: আপনাকে কি নামে ফেবুতে পাওয়া যাবে যদি লিংকটা শেয়ার করতেন আমার মেইল এ বা ফেসবুকের ইনবক্সে ?

[email protected]

facebook : sudipto sajol kha

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.