![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী আমাকে শূণ্যতায় বাঁধতে পারেনা অস্তিত্বে মাকে আগলে রেখেছি বলে।
জানিনা এ পথ ধরে হেঁটে আমরা কোথায় গিয়ে থামব। আমাদের অধপতিত নৈতিকতা ও সামাজিকতার স্পর্শকাতর এ পথ ধরে আমাদেরকে আর কতদিন হাঁটতে হবে ? আদৌ কি শেষ হবে আমাদের এই পথ চলা ? নাকি আমরা চলতেই থাকব একেবারে শেস হয়ে না যাওয়া পর্যন্ত ?
এই মুহূর্তে অত্যন্ত বেদনাতুর হৃদয়ে এই লেখা লিখতে বসেছি।আজ অফিসে ঢুকেই এমন একটি খবর শুনব ভাবিনি। ঐশী রহমান সংক্রান্ত ঘটনা এমনিতেই আমাদের প্রত্যেকের ভিতরটা নাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের সবার মনযোগ ঐদিকে। আরও কি ভয়ংকর তথ্য বের হয়ে আসে এ ঘটনা থেকে তা দেখার জন্য ভয়ে, শংকায় সব সময় তটস্থ আছি আমরা। চোখ রাখছি মিডিয়ার প্রতিদিনের আপডেটে।
এরই মধ্যে আজ অফিসে এসেই শুনি সেই ভয়ংকর দুসংবাদ। আমার এক কলিগের মেয়ে বয়স ১১ বছর, ভিকারুন্নেসা নূন স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী, সে গতরাতে আত্মহত্যা করেছে ফ্যানের সাথে ঝুলে। কারণ, তার বাবা গতরাতে তাকে বকেছিল খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো করেনা বলে এবং অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড খেত বলে। ভদ্রলোকের দুই মেয়ে, এটি ছোট। দুই মেয়ে দুই রুমে ঘুমায় আর উনারা স্বামী-স্ত্রী এক রুমে ঘুমায়। মেয়েটি যেহেতু ঘরে একা ছিল তাই ঘটনা সংগঠনের সময় কেউ টের পায়নি। সকালে সবার নজরে পড়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে থাকা মেয়েটির নিথর দেহটি।
এরপর আর কি বলার থাকতে পারে আমাদের আমি ভেবে পাচ্ছি না। কাকে দোষ দেয়া যায় এজন্যে তাও বুঝে উঠতে পারছি না। শুধু মনে হচ্ছে সময় ও সমাজ দুটোই এমন করে পাল্টে গেল কখন ? মা-বাবা তার সন্তানের ভালর জন্য সামান্য শাসনও করতে পারবে না। এইটুকুন একটি ছোট্ট মেয়ে তার মনে আত্মহত্যা করার চিন্তা আসে কি করে ? আমার মনে হয় সে যা করতে যাচ্ছে সেটা কতটা ভয়াবহ সে সম্পর্কে কোন ধারণাই মেয়েটির ছিলনা, এই বয়সের একটি মেয়ের এমন ধারণা থাকা উচিত নয় বলেই আমরা মনে করি। অথচ আমাদের চিন্তা-ভাবনার গন্ডি ডিঙিয়ে ওরা কতটা এগিয়ে যেতে পারে তার ছোট্ট নজির রেখে গেল আমার কলিগের মেয়েটি।
আল্লাহ ওর আত্মার শান্তি দান করুক।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০১
আমিনুর রহমান বলেছেন:
আল্লাহ ওর আত্মার শান্তি দান করুক। আমিন।