এক দেশে দুই ঈদ !!!?? ঈদের আনন্দের দিনে চোখের জলে বুক ভাসে স্ত্রী জানে না

১৯ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:২৭

এক দেশে দুই ঈদ !!!??
ঈদের আনন্দের দিনে চোখের জলে বুক ভাসে স্ত্রী জানে না তিনি বিধবা না সধবা????

সূফি বরষণ
অবৈধ আওয়ামী দুঃশাসনের কবলে পড়ে আজ দেশের বিরোধী দলের লাখ লাখ নেতা কর্মীদের পরিবারে ঈদের আনন্দ নেই॥ এই আনন্দের দিনে পরিবারের প্রিয় সদস্যের অনুপস্থিতির ফলে ঈদের আনন্দ বিষাদের কালো ছায়া হয়ে নেমে এসেছে ॥ মা তার সন্তান কে জেলে রেখে কি করে মুখে সেমাই মিষ্টি তুলতে পারে??॥ অপরদিকে সন্তান মায়ের হাতের খাবারের আশায় কারাগারে অপেক্ষা করেছে ॥ একটু চিন্তা করে দেখেন এ কেমন ঈদ ॥ স্বৈরাচার খুনী হাসিনা আজ দেশকে তছনছ করে ফেলেছে ॥ আজ ভালো নেই বাংলাদেশ ভালো নেই বাংলার মায়েরা ॥
গতকাল শনিবার ছিল মুসলমানদের মহা আনন্দের দিন পবিত্র ঈদুল ফিতর॥
আনন্দের জোয়ারে সারাদেশ ভাসলেও ঈদের খুশি বেদনায় পরিণত হয়েছে কয়েক লাখ পরিবারের। প্রতিটি পরিবারের সদস্যই ভাসছেন চোখের পানিতে। বিশেষ করে এ দৃশ্য সারাদেশে গুম-খুনের শিকার হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতাকর্মীর বাসা-বাড়ীর। পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটি বিশেষ এই মহা আনন্দের দিনে অনুপস্থিত। কারো লাশ মিলেছে। কারো সেটাও মিলেনি, স্ত্রী জানেন না তিনি বিধবা নাকি সধবা। তবে এখনো অপেক্ষায় পরিবারের সদস্যরা। আগে জীবিত অবস্থায় দাবি করেছিলো, এখন অন্তত লাশের সন্ধান চাচ্ছেন নিখোঁজ হওয়া রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের পরিবার । কবরটা যাতে দিতে পারে পারিবারিক গোরস্থানে। নাগরিক হিসেবে এ দাবি রাষ্ট্রের কাছেই। এদিকে হতাশাব্যঞ্জক চিত্র হলো- ওইসব পরিবারের সদস্যদের অর্থনৈতিক সুবিধা তো দূরে থাক সান্তনা দেবার মতো স্থানীয় পর্যায়ে দলীয় নেতাও নেই, নেই দেখা কোনো কেন্দ্রীয় নেতার ॥ নেতাদের দেয়া আশ্বাস আর সান্তনার বাণী মিলেছে বক্তৃতা-বিবৃতিতেই। তবে কেন্দ্রীয় দফতর ও চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিজেই ফোনে তাদের খোঁজ রাখছেন। শেষ ভরসা তিনিই। নিহতের শিকার হবার পরই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা ও আর্থিক সুবিধা দিয়েছিলেন চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।  
 রাজনীতির একই মঞ্চের দৃশ্য ভিন্ন। তাদেরই জোটের শরিক জামায়াত শিবিরের বেলায়। তাদের নেতাকর্মী শুধু নিহতই না আহত হলেও তার পরিবারের পাশে দাঁড়াচ্ছে সংগঠন। মামলা লড়ার আর্থিক সহায়তা সহ কারাগারে প্রতিদিন ভালো বই পুস্তক পৌঁছে দিচ্ছে বাহিরে থাকা দলের অন্য নেতা কর্মীরা ॥
বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে আহত নিহত বা কারাগারে বন্দি নেতা কর্মীদের পরিবার গুলোর নিয়মিত খোঁজ খবর নেয়া সহ আর্থিক সহায়তাও করছে তাদের সাধ্য মতো ॥ হাসপাতালে অসুস্থ দলের নেতা কর্মীদেরও তারা সব ধরনের চিকিৎসা সেবা দিয়ে সহায়তা করছে॥
আজ ভয়ংকর আওয়ামী দুঃশাসনের শিকার বাংলার প্রতি মা আল্লাহ কাছে ফরিয়াদ করছে
এই অবৈধ সরকারের পতন হয়ে তার সন্তান যেন তাঁর বুকে ফিরে আসে ॥
আগামী ঈদটা যে সন্তানের মুখে সেমাই তুলে দিয়ে আনন্দের সাথে শুরু করতে পারে ॥ নিপাত যাক নব্য বাকশালী স্বৈরাচার হাসিনা
মুছে যাক বাংলার মায়ের চোখের জল, ফুটে ওঠুক সন্তানের মুখ দেখে মায়ের আনন্দের হাসি ॥ আজ আমিও তাদের সাথে প্রত্যাশা করছি, আমার মায়ের প্রিয় মুখ দেখা জন্য যখন মা আমাকে বুকে জড়িয়ে বলবে খোকা আমার সাত রাজার ধন আমার বুকে ফিরে এসেছে ॥ কতদিন হলো মায়ের সোনা মুখ দেখি না কতদিন মায়ের হাতে খাবার খায় না ॥ সবই শুধু আওয়ামী দুঃশাসনের কারণে॥
মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ

০ টি +০/-০