নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেঁচে থাকাটা দারুণ ব্যাপার ....

সুলতানা শিরীন সাজি

shazi১৯এট জিমেইল ডট কম আমার এই পথ-চাওয়াতেই আনন্দ।খেলে যায় রৌদ্র ছায়া,বর্ষা আসে বসন্ত।কারা এই সমুখ দিয়ে আসে যায় খবর নিয়ে,খুশী রই আপন মনে-বাতাস বহে সুমন্দ।সারাদিন আঁখি মেলে দুয়ারে রব একা,শুভক্ষণ হঠাৎ এলে তখনি পাব দেখা।ততক্ষন ক্ষণে ক্ষণে হাসি গাই আপন-মনে,ততক্ষন রহি রহি ভেসে আসে সুগন্ধ

সুলতানা শিরীন সাজি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সূর্য ঝলমল রঙিন পাতার দিন.................

০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:১৭

বেশ কয়েকদিন পর আজ ঝকঝকে রোদের এক সকাল। ঘুম ভাঙার পর মনটা এত ভাল লাগছিল। রাইয়ান স্কুল ছুটির দিনেও সকালে উঠে পড়ে। অথচ রাশীককে না ডাকলে উঠবেনা। রাইয়ান ঘুম থেকে উঠে নিজের ঘরে খেলতে থাকে বা টিভি দেখে। ইদানিং বেইবলেড(beyblade) খেলার নেশা হয়েছে। ছোটবেলায় আমরা যে লাট্টু খেলতাম। সেটাই। প্রযুক্তিগত কারনে কত কিছু লাগে যে লাগে এটা খেলতে। এক একটার এক এক রকম নাম। যাইহোক সেই বেইবলেডের শব্দে বেশিক্ষন ঘুমানো সম্ভব হয়না। ও এসে তাড়া দেয়া শুরু করার আগেই নাস্তা বানাতে যাই। রাইয়ানের প্রিয় রুটি,আলুভাজি আর ডিমভাজি। রাইয়ানের পরপরই ওদের বাবা উঠে পড়ে। একটু পর দেখি রাশীক ও নামছে। গায়ে হাল্কা কমফোর্টার জড়ানো। আব্বার কথা মনে পড়ে গেলো। একটু শীত পড়লেই আব্বা গায়ে কাঁথা জড়িয়ে সারাবাড়ি ঘুরতেন। আব্বার স্ম্বতি দিয়ে শুরু হলো একটাদিন। একটা সূর্যময় ঝলমলে দিন। চা খেতে খেতে ওকে বললাম আজ পাতা দেখতে গেলে বেশ হয়।

রাইয়ানকে নিয়ে লাইব্রেরীতে গেলাম বই আনতে। আজ তাকে নতুন একটা বেইবলেড কিনে দিতে হবে। কি যেনো একটা নাম বলছে কয়েকদিন হলো।(বেবলেড এর ও আবার এক একটার এক এক নাম!) লাইব্রেরীতে ঢোকার আগে এক ভাই এর সাথে দেখা। আগে আমরা একই বিল্ডিং এ থাকতাম। ভাই আমার কবিতা খুব পছন্দ করেন ,আমাকে আমার কবিতার লাইন শুনিয়ে বললেন খুব ভালো লাগে কবিতাটা। আমার প্রথম কবিতার বইএর একটা কবিতা,”এখন জীবন” থেকে বলেন উনি।

“যারা শিকড় ছেড়ে চলে যায়

তাদের জায়গা পূরন হয়ে যায়।

........................

তাই আকাশ দেখে দিন কেটে যায় আমার।

হৃদয়ের কোথায় কে জানে একটা এক পাওয়ালা শালিখ এর মত

দুঃখ বসে থাকে।

উষ্ণতার অপেক্ষায় বসে থাকি।

মায়ের বুকের কাছে বসে থাকতে ইচ্ছে করে।

বরফ ঝড়া পথে হাটবো বলে পথে নামি।

চোখের পাতায় বরফের কুচি এসে পড়ে,

চোখ নীচু করে পথ হাটি।

নম্রতায় মেখে নতজানু হই প্রতিপালকের প্রতি।"



পরিচিত অনেককেই আমার এই কবিতার কথা বলেন উনি। অবাক হই । ধন্যবাদ জানিয়ে চলে আসি। ঋণী হই এভাবেই মানুষের কাছে।

রাইয়ানের পছন্দের কিছু বই নিয়ে বেড়িয়ে পড়ি। জেলার্স থেকে ওর পছন্দের বেইবলেড কিনে বাসায় ফিরতেই ওদের বাবা বলে চলো পাতা দেখতে যাই............আমি তো অবাক। ঠিক মনে রেখেছে। রাশীক এর হোমওয়ার্ক আছে আর রাইয়ান এখোন নতুন বেইবলেড নিয়ে খেলবে। ওরা যাবেনা। কি আর করা!



Gatineau পার্কে গেলে পাহাড়জুড়ে পাতাদের বাহারি রং দেখা যায় এখন। দুপুর শেষ না হতেই বেড়িয়ে পড়ি।সন্ধ্যা খুব তাড়াতাড়ি নেমে পড়ে পাহাড়ি জায়গায়।অটোয়ার পার্লামেন্টের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম যখন ,এত ভালো লাগছিলো।কেউ বেড়াতে এলে এখানে আসা হয়।এ ছাড়া শুধু সামনে দিয়ে আসা যাওয়াই হয়।



গ্যাতিনো শহরএ ঢুকে প্রথম এ Laurier এ বায়ে যেতে হয় অনেকদুর।একসময় Gatineau পার্কের সাইন দেখায়। ডানে চলতে থাকে গাড়ি। পাতাগুলো দেখে সত্যি খুব ভালো লাগে।ঝরে যাবার আগে কি অদ্ভুত রং এ সাজে পাতারা। চোখ জুড়িয়ে যায়।কিছু গাছে পাতা ঝরে গেছে গত ক’দিনের বৃষ্টিতে। ভাললাগা কষ্টলাগা বোধগুলো সবসময় পাশাপাশি থাকে।কখন যে কোনটা এসে পড়ে।



পিঙ্কলেক এ যখন পৌছাই গাড়ি পার্কিং পাবো কিনা ভয় হয়।সারাপথে এত গাড়ি।ও খেপাতে থাকে। বলে ”তোমার মতন পাতাকুড়ানি মনেহয় অনেকই আছে”। কাঠের সিঁড়িটা দিয়ে নামছিলাম যখন অনেক মানুষ দেখলাম। সামারেও এসেছিলাম কিন্তু এত মানুষ দেখিনি। শান্ত লেকটায় ঢেউ বইছে। বেশ ঠান্ডা লাগছিলপ লেকের ধারে গিয়ে। কয়েকটা ছবি তুলতেই দেখি ব্যাটারি সিগন্যাল দিচ্ছে। ভাগ্যিস আসার আগে অন্য একটা ব্যাটারি এনেছি। কিন্তু সেটা গাড়িতে রেখে এসেছি। ও আনতে চাইলো। বললাম, ভিডিও ক্যামেরায় স্টীল ছবি তোলা যায়। বেশ কিছু ছবি তুলে আবার ফিরে আসি। যদিও সেই ছবিগুলো ভালো আসেনি।



















এবার গন্তব্য Meech Lake.



গাড়ি চলছে। সামনের দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হচ্ছি। প্রতিবছর এই পাতাদের রং বদলানো দেখি।তবু মনেহয় এত সুন্দর রং এর খেলা আগে মনে হয় দেখিনি। কেমন অপার্থিব এক অনুভূতি হয় । মনে ভাবি প্রক্বতির কাছে কত কিছু শেখার যে আছে। পাশ দিয়ে অনেক সাইকেল চালক কে যেতে দেখি।পথের পাশে বেশ কয়েকবার গাড়ি থামিয়ে ছবি তুলি।রোদ পড়ে গাছের বর্ণালী পাতাগুলো যেনো হাসছিলো।



একপাশে ছোট্ট একটা জলাশয়ের মতন। দেশে হলে হয়তো ব্যাঙ দেখা যেতো।এখানে কোন কিছু চোখে পড়লো না।



একটা গাছে দেখি কিছু পাতা হলুদ ,কিছু পাতা লাল। এমনকি কিছু পাতা সবুজ হয়ে আছে। এই একটা গাছের পাতাগুলো যেনো একটা মানুষের পুরো জীবনটাকে বুঝিয়ে দিচ্ছে। মানুষ আর প্রক্বতি এভাবেই সম্পর্কিত।



একটা পথ বনের দিকে চলে গেছে। ও বললো যেতে। একটু দূরে যেয়ে মনে হলো ভিতরটা আরো অন্ধকার ,তাই আর গেলাম না। রাইয়ান আসলে এই পাতাগুলোর উপর লুটোপুটি খেতো। মনে ভাবছিলাম জারাহ টাকে এখানে এনে ছেড়ে দিলে,ফ্রক পড়ে টুকটুক করে হেঁটে যাবে। একদিন সবাই মিলে পাতায় লুটোপুটি। মন্দ না ভাবনাটা............ ভালো যে কোন কিছুতেই প্রিয় মুখগুলো মনে পড়ে যায়।



ওখান থেকে একটু সামনে এগোতেই দেখি হলুদ পাতাদের সোনালি রাজ্য। রোদ পড়ে কি দারুন যে লাগছিলো। চোখ ভরে দেখছিলাম সব। ছবি তোলা হচ্ছিল মাঝে মাঝে। বিশ্বস্রষ্টার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছিলাম, দেখবার জন্য চোখ দুটো দিয়েছেন বলে। ও কত কথা বলছিলো। “আগামি সপ্তাহে দিন ভাল থাকলে চলো মন্তত্রম্বল্যেতে যাই পাতা দেখতে"”। আগামি সপ্তাহে থ্যাংকস গিভিং হলিডের জন্য লং উইকেন্ড। ছেলেদের স্কুল ছুটি থাকবে। সবাই মিলে বেশ যাওয়া যাবে। প্রিয় শহরটার কথা ভাবলেই দারুণ লাগে। একটা শহরের যে কত মায়া থাকতে পারে,ওখানে, কুইবেক সিটিতে আর নায়েগ্রা অন দ্য লেইক এ না গেলে জানা হতোনা। বারবার আমি এসব জায়গায় ঘুরতে যেতে পারি।



মীচ লেইক এ গিয়েছিলাম বেশ কয়েকবছর আগে, প্রতিবারই পিংক লেইক দেখে ঘুরে চলে যাই। রাশীক এর স্কুলের একটা প্রজেক্টের জন্য পাতা সংগ্রহ করতে এসেছিলাম লিপি আর পল্লব ভাই এর সাথে, লিপিরা এখন আর অটোয়াতে থাকেনা, অষ্ট্রেলিয়াতে চলে গেছে, ওদের সাথে নানান জায়গায় ঘুরাঘুরির অনেক স্ম্বতি রয়ে গেছে। আশাকরি ওরা ভাল আছে। আমার ভাবনার অবসরে ও আবার গাড়ি থামালো পথে। দূরে তাকিয়ে মনে হলো পাহাড়ে আগুন জ্বলছে। ক্যামেরার ক্লিক চললো।গাড়িতে গান বাজছিলো জোরে। মনে হচ্ছিল বিশ্ব সংসারে আর কিছু নেই। বিশাল পাহাড়ের মাঝে দাঁড়িয়ে সময়টাকে ধরে রাখতে মন চাইছিলো খুব। আমরা দুজন দাঁড়িয়ে থাকলাম অনেকক্ষন। দুরে পাহাড়ের গায়ে দারুণ আগুন রং এর ছটা।“সে আগুন ছড়িয়ে গেলো সবখানে“....গুন গুন করলাম।



একসময় আরো কিছু গাড়ি এসে থামতে শুরু করলো। আমরা আবার চলতে শুরু করলাম। মীচ লেকে পৌছুবার আগে হাতের বায়ে এত সুন্দর সব বাড়ি। রাস্তা খুব সরু।

টু ওয়ে রাস্তা । গাড়ি থামানোর কোন জায়গা নেই। হাতের ডানে মীচ লেক। গাড়ি পার্কিং এর জায়গায় পৌছুলাম যখন সন্ধ্যা প্রায় নেমে এসেছে। পাহাড়ের বুকে সন্ধ্যা আসলেই তাড়াতাড়ি নামে। আমি আর ও দাঁড়িয়ে থাকলাম অনেকক্ষন, আবার ও মুগ্ধ বিস্ময়ে।

"মহাবিশ্বের মহাকাশে মহাকাল মাঝে।"

















আমরা যখন ফিরবো বলে গাড়ির কাছে চলে আসছি। একটা যুগলকে দেখলাম লেকের দিকে এগিয়ে গেলো। অনেকদুর থেকে ওদের ছবি নিলাম। সময়টার কাছে থেমে থাকলো অজানা দুটি মানুষ। প্রার্থনা করি ওদের মংগল হোক। যাবার সময় হাত নেড়ে চলে গেলো ওরা। আমাদের ও ফেরার সময় হয়ে এলো......পিছনে তাকাইনি আর। পিছনে তাকালেই তো সদ্য হয়ে যাওয়া সুন্দর একটা অতীত এর জন্য মন কেমন করবে। প্রতিদিনই তো আমরা জীবন থেকে হারিয়ে ফেলছি সুন্দর সময়গুলো। গ্যাতিনো ছেড়ে আসছিলাম যখন , গজল বাজছিল জগজিৎ সিং এর.........”এক পেয়ার কা নাগমা হ্যায়”। আর তখুনি বন্ধু মিনুর ফোন এলো। ওর সাথে ভাললাগাগুলো শেয়ার করতে করতে বাসায় এলাম, পাশের মানুষটাকে নতুন করে থ্যাংকস বলতে হবে কি! ও তো সারাজীবন আমাকে শুধু অবাকই করছে। যার কাছে আমার খুব বেশি কিছু চাওয়া নেই কখনো। শুধু তার হাট দু’টো ধরে পথ হাঁটার প্রার্থনা ছাড়া! আমার কবিতা যারা পড়তে ভালবাসে। তারা সবাই জানে আমি কবিতা লিখি। আমি নিজে জানিনা সেগুলো কতটুকু কবিতা! আমি কবিতায় জীবন লিখতে চাই! যতদিন বাঁচি ততদিন!









অক্টোবর ৩ এর বিকাল/২০১০



মন্তব্য ৯২ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৯২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:২২

বনছায়া বলেছেন: নয়ন জুড়ে গেল। প্রাণ মুগ্ধ হলো। +++

০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:৫২

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
জেনে ভালো লাগলো........
ভালো থাকবেন বনছায়া।

২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:২৭

যীশূ বলেছেন: দারুন সুন্দর জায়গাটা

০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:৫৩

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
আসলেই.........

যীশুর জন্য শুভেচ্ছা।

৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: বেঁচে থাকাটা দারুণ ব্যাপার .... but I don't feel so

০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:০৩

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
মন কি কোন কারনে খারাপ ?

"বেঁচে থাকাটা দারুণ ব্যাপার .... but I don't feel so".......একদম হাসানের মত কথা না।

ভেবে দেখো শুধু এই ব্লগেই কত মানুষ তোমাকে ভালোবাসে।
আর যাপিত জীবনে আরও কত কে।
আর লেখালেখির যে তাড়না , সে কি বেঁচে থাকার অমল বোধের কারনে না?

জীবনের কাছে মানুষ অনেক কিছু চায়........
আমার চাওয়ায় শুধু সুস্থভাবে বেঁচে থাকা।প্রিয় মানুষদের নিয়ে।
ভালো থেকো হাসান।
শুভকামনা

৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:৩৩

সুফিয়া বলেছেন: আমাদের প্রতিদিনের বেঁচে থাকাকে অর্থপূর্ণ করে তুলতে এসব ছবির তুলনা হয়না। ধন্যবাদ সকাল বেলা মনটাকে ভালো করে দেয়ার জন্য।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:২১

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
মন ভালো করে দিতে পারা কম কথা না!
অনেক ভালো কাটুক আপনার দিন.......ছবি ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।

শুভেচ্ছা।

৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:১৩

দুখী মানব বলেছেন: meech lake কে আমার বগা লেক এর মতই মনোরম মনে হল :)

০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৫১

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
আসলেই যা কিছু ছুঁয়ে যায় টাই তো মনোরম..........

অনেক শুভকামনা দুখী মানব......
বেড়ানোর পর্বগুলো পড়ছি................একসাথে মন্তব্য করবো।

৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৫০

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:
সুন্দর - ছবিতে কথায় অসাধারণ হয়েছে। আগেও বলেছি আপনার লেখায় জীবন নিয়ে কথা শুনতে ভাল লাগে। রবীঠাকুরের ভাষায় আছে দু:খ আছে মৃত্যু কিন্তু বেঁচে থাকার জন্য রয়েছে খৈয়ামের শরাব, প্রেম আর নিসর্গ।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৫৯

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
ধন্যবাদ ঘুরে যাবার জন্য............ছবিতে কথাতে মনেহয় বেশি বড় হয়ে গেলো লেখাটা....

আসলেই নিসর্গের তুলনা নেই।
পাতাগুলো ঝরা শুরু হলে মনটা খারাপ হয়ে যাবে........তবে অনেকদিন হয়ে গেছে তো! এই তুষারের দেশে....প্রকৃতিকে মেনে নিয়ে জীবন চলছে.......
বা মানলেই কষ্ট।
অনেক ভালো থাকবেন স্বদেশ।
শুভকামনা।

৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৫৬

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: এমন টলটলা পানি দেখলেই আমার ঝাঁপ দিতে ইচ্ছে করে........এমন জলে কতদিন সাঁতার কাটি না..........:(

০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩১

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: পিঙ্ক লেকের কাছে কোন বীচ নাই.....
সামারেও কেউ সাঁতরায় না.............
মীচ লেকের কাছে থাকতে পারে.............

সাঁতার জানার আনন্দ মনে হয় আলাদা.......তবে যে শীত,সামনে থাকলে এই ইচ্ছা হতোনা নিশ্চিত। শীর্ষেন্দুর একটা বই পড়েছিলাম,সাঁতারু ও জলকন্যা।
আমার অনেক প্রিয় বই এর একটা।
ভালো থেকো তায়েফ।
শুভকামনা

৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৩২

ডেইফ বলেছেন: অনেক অনেক চমৎকৃত হলাম । ধন্যবাদ রইল পোস্টের জন্য।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫২

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ পড়বার জন্য............সবসময় ভালো থাকবেন।
শুভকামনা।

৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৪১

মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: আপনার লেখগুলো নতুন করে ভাবতে শেখায়। পৃথিবীটাকে নতুন করে দেখতে শেখায়।

শুভকামনা জানবেন, প্রিয় সাজি আপা।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
নতুন করে ভাবতে হয় তো মেঘ,
প্রতিদিনই নতুন কিছু শেখা।
.......................পৃথিবী তো একটা বিরাট পাঠশালা.....

আমার লেখা যদি একটু হলেও নাড়া দেয়,তাতেই আমি খুশি.......
অনেক ভালো থেকো প্রিয় মেঘ ..........
শুভকামনা

১০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:৪৬

রক্তিম কৃষ্ণচূড়া বলেছেন: খুব সুন্দর।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৭

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
রক্তিম কৃষ্ণচূড়ার চেয়ে না............

প্রিয় কৃষ্ণচূড়ার তুলনা নাই।
শুভেচ্ছা

১১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫০

আমি বীরবল বলেছেন: সুন্দর ছবির জন্য ধন্যবাদ।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:১৩

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ...........
ভালো থাকবেন বীরবল

১২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪২

জুল ভার্ন বলেছেন: বুবু, তোমার লেখা মানেই জীবনের স্পর্শ! জীবন থেকে নেয়া বিষয়াবলীতে তুমি নিপুণ করে জীবন দান করো! খুব সুন্দর লেখা! পড়ে মনে হচ্ছে সরাসরি বাস্তবেই আমি তোমাদের সাথে আছি। দৃশ্যের পর দৃশ্য কী যে সুন্দর করে তুমি গল্পের মত বলে যাও!

অসাধারন সুন্দর ছবি আর লেখার জন্য অজস্র ধন্যবাদ এবং ছয় নম্বর।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:১৩

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
ভাইয়া আপনি সবসময় এমন করে উৎসাহ দেন.........
চোখে দেখা সে আনন্দ প্রকাশ করার ভাষা আমার নেই,তবু চেষ্টা করি...

যে কোন সুন্দর দেখলে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছা করে।
মনেভাবি আমার মা যদি কমপিউটার ব্যবহার করতো খুব ভালো হতো। ফোনে গল্প করি সব ভালোলাগা মন্দলাগা মায়ের সাথে।

ভালো থাকবেন ভাইয়া।
যেমন খুশি

১৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৫২

শিরীষ বলেছেন: অদ্ভুত সুন্দর পোস্ট। আবার আসব এই পোস্টে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:১৪

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
শিরীষ কবির জন্য সবসময়কার শুভকামনা

১৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:২৭

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য বলেছেন: এক পেয়ার কা নাগমা হ্যায়

০৬ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:১৫

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
এই গজলের সুরটা খুব টানে........
নৈঃশব্দ্যের খবর কি?
আশাকরি সব ভালো..................

১৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৪৩

ঔপন্যাসিক জিল্লুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট দেওয়ার জন্য। শুভকামনা।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:০৭

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে....ভালো থাকবেন।

১৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:০১

সায়েম মুন বলেছেন: কানাডার সৌন্দর্য মুগ্ধ করে। ইশ! শুধু ছবিতেই দেখে গেলাম। পাতা ঝরা দিনের রঙীন আর হলদে ছবিগুলো দেখে বিষন্নতা ভর করে। ছবি আর লেখনীতে অনেক সুন্দর করে ফুটে উঠেছে দৃশ্যপট। কবি সাজিপু সারাজীবন অসাধারণ সব কবিতা লিখে যাক। এই দোয়া রইল।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:১৫

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
চলে আসো সায়েম.......
এখন না হলেও পরে।

বিষণ্ন লাগে খুব যখন মেঘলা দিন থাকে। কয়েকদিন পর বৃষ্টিতে পাতাগুলো ঝরে যাবে........
কি যে খারাপ লাগে তখন।
তবে অনেকগুলো বছর পার হয়ে গেছে তো......মেনে নিতে শিখেছি।
জানি বরফ এর দিন শেষ হলে আবার গাছে গাছে পাতা আসবে।
কবির গুরু বলে গেছেন না?
"শেষ নাহি যে শেষ কথা কে বলবে?
.......................
সাঙ্গ হোলে মেঘের পালা শুরু হবে বৃষ্টি-ঢালা,
বরফ জমা সারা হলে নদী হয়ে গলবে"।।

অনেক ভালো থেকো।
তোমার দোয়া পেয়ে খুশি হলাম।
অনেক শুভেচ্ছা

১৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:১৬

চিটি (হামিদা রহমান) বলেছেন: আমাদের পথ চলাতেই আনন্দ...
চমৎকার চমৎকার জায়গায় তোমার চোখে দেখে এলাম।
কেমন আছো? লেখালেখি কেমন চলছে? আগামীতে বই আসছে তো?

শুভেচ্ছা নিও
ভালো থেকো

০৬ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:২২

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
ভালো আছি চিটি.......লেখালেখি টুকটাক চলছে.....বই আসতে পারে।

"বাইরে সুরের মূর্ছনা। ঝিঁ-ঝিঁ পোকা মেলেছে সুরের ডানা। বলেছি, আর আত্নগোপন নয়। এসে-ই পড়ো এই ধরায়, এই সুরের মজলিশে। বরাবর নিজেকে গোপন করে কি পাও?........"কি দারুন লিখেছো জানো?
ভালো থেকো।
অনেকদিন কথা হয়না..........

শুভেচ্ছা।

১৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:৩০

চিটি (হামিদা রহমান) বলেছেন: তোমার ভালো লেগেছে জেনে আমার নিজেরও ভালো লাগলো।

বই এর জন্য শুভকামনা থাকলো
ভালো থেকো

০৬ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৪

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
শুভকামনা সাথে রইলো.....
ভালো থেকো চিটি

১৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৪৮

লুকোচুরি বলেছেন: আপনার পোস্ট মানেই একটি জীবন ঘনিষ্ঠ্য কাহিনী-যা একান্তই আপনার সৃস্টি। ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর পোস্ট দেবার জন্য।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৬

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ লুকোচুরি.......
ঘুরে যাবার জন্য।
শুভকামনা অনেক

২০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৬

অন্ধ আগন্তুক বলেছেন: আপনার ছবি আর লেখা নিয়ে যে পোস্টগুলো সেগুলো এতোই চমতকার হয় যে দৃশ্যগুলো চোখের সামনে জীবন্ত হয় খুব সহজেই ।

এমন বর্ণিল সব পাতার ছবি দেখে অবাক হতেই হয় !

++++++++++++++

০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:২০

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ আগন্তুক.....
ছবি ব্লগে এত কথা লিখে ফেললাম ভাবছিলাম ।ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
পাতাদের রংগুলো সত্যি দেখার মত।

অনেক শুভকামনা রইলো।

২১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:০১

ফাহিম আহমদ বলেছেন: বাহ্ ....।খুব সুন্দর লিখেছেন, লেখার সাথে ছবি গুলো অসাধারণ।

আপনার অনেক পোষ্ট-এর লেখা সময় সল্পতার কারণে পড়া হয়ে উঠেনা।

আপনি ভাল লিখেন এটা নিঃসন্দেহে। পড়তে পড়তে শিখবো আপনি লিখতে যান।

শুভ কামনা সাজিপু।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:২৩

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
পড়বার জন্য ধন্যবাদ ফাহিম।ছবির জায়গা আসলে সুন্দর।
লেখা ভালো লাগলো জেনে আমার ও ভালো লাগলো।
শুভেচ্ছা

২২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:২৭

ভিজামন বলেছেন: চমৎকার
আর আপু অনেকদিন আমার ব্লগে আসনা একটু ঢু মারবা...??



Click This Link

০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:৪১

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
ঘুরে এলাম তোমার বাড়ি.......

ভালো থেকো।লেখালেখিতে থেকো।
আর পড়া চাই অনেক।

২৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:২১

তারার হাসি বলেছেন:
বনের দিকে চলে যাওয়া পথ যেদিকে একটু অন্ধকার সে ছবিটা বেশি ভাল লাগল।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:৪৭

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
হ্যা পথটা দারুন ছিলো..........

"আমার পঠে পঠে পাথর ছড়ানো " না গেয়ে
আমার পথে পথে পাতা ছড়ানো গাইছিলাম.....।:)

ভালো থেকো হাসি.......
মানুষ,মানুষ বইটা এত ভাবিয়েছে......ওখানকার একটা চরিত্র কামাল ভাই আমাদের চেনা। আরও একজন আছে আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার। উনি মন্ট্রিয়লে থাকেন।
কি অদ্ভুত ভাবে তুমিও ঐ বই এর তিনটা চরিত্রের সাথে পরিচিত।
পৃথিবীটা অনেক ছোট আসলে।
ভালো থেকো।
ভালোবাসা নিও

২৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:০৯

_তানজীর_ বলেছেন: কালকেই কলিগদের সাথে গেটিনো পার্কে হাইকিং-এ যাওয়া নিয়ে কথা হচ্ছিল! ছবিগুলো দেখে ভালো লাগলো। আমি বেশ কয়েকবার ব্যাঙ দেখেছি গ্যাটিনো পার্কে! :) পরের বার দেখলে ছবি তুলে রাখবো!

০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:০৯

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
হাইকিং এ গেলে তো মজা.........
ঘুরে আসো একদিন।
আর ব্যাঙ এর ছবি তুলে এনে পোষ্ট দাও।:)
আমি তো দেখলাম না।

এদিকটায় তো আসলা না.........ভালো থেকো ।শুভকামনা

২৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:২৩

আকাশদেখি বলেছেন: ছবিগুলো কেমন যেন উদাস করে দেয়...কোথায় যেন হারি্যে ফেলি নিজেকে....

আপনাকে হিংসাও করতে হয়...

০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:১৪

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
আকাশ দেখে যারা তারা .....
তারা হিংসা করতে পারেনা....

উদাসী হতে সবাই পারেনা.....
শুভকামনা

২৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:৪৯

নৈশচারী বলেছেন: অসাধারণ লেখা ও ছবি!
জায়গাগুলো অদ্ভুত সুন্দর!
কেমন আছেন সাজি আপা? অনেকদিন পর দেখলাম আপনাকে!

০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৪১

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ নৈশচারী........

আমি ভালো আছি। অনেকদিন আসা হয়নি মাঝে।
শুভকামনা

২৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:০৬

রোবোট বলেছেন: পোস্ট না পড়ে ফল (বাংলা ফল না, Fall) কালারের ছবির জন্য পিলাচ

০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:০৯

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
কবিতা লিখলে বলেন শুধু কবিতা কেনো.....
আর বেড়ানোর গল্প লিখলে পড়েন না....রোবোট তো মনে হয় ভুলে যান সব কথা।

ভালো আছেন আশাকরি।
শুভেচ্ছা

২৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:১২

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: ছবিগুলো অসাধারণ সুন্দর! মুগ্ধতার রেশ মনে গেঁথে রইল।
লেখাটাও খুব ভালো লেগেছে।
শুভেচ্ছা

০৮ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:২১

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ........
ভালো থাকবেন,শুভকামনা

২৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:৫১

রোবোট বলেছেন: পড়িনাই মানে কি আর পড়বো না। আফসুস কবিরা প বললে পড়বো না জীবনে বুঝে।
যাই হোক পড়ে এখন আরেকটা প্লাস দেই কেমনে?

০৮ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:২২

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
:)
পড়ছেন যে তাতেই খুশি.......
অনেকদিন পর দেখলাম আপনাকে......আশাকরি ভালো ছিলেন।
শুভকামনা

৩০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:৫৮

শ।মসীর বলেছেন: অ .........সা..........ধা................র........ন !!!!


ঝলমলে সকাল গিয়ে কেটে গেছে বেলা
কাঁশবনে হাত ধরে হয় নিকো হাঁটা !!!

০৮ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩১

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
কাশবনের কথা মনে হলে হৃদয় হয় উদাস দুপুর।

শুভকামনা রইলো শামসীর যাযাবর।

৩১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৬:৩৭

মেঘপাখি আর বৃষ্টির গল্প বলেছেন: ...কেবলি ছবি, নাকি এর চেয়ে বেশী কিছু....
ছবিগুলো অনেক সুন্দর আর লেখাটও ভালো লেগেছে

০৮ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৪

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
যারা দেখতে জানে তারা দেখতে পায়.......

মেঘপাখি আর বৃষ্টির গল্প.......
বাড়ি আসবো গল্প শুনতে........অনেক শুভকামনা

৩২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৪৮

শিরীষ বলেছেন:
হৃদয়ের কোথায় কে জানে একটা এক পাওয়ালা শালিখ এর মত
দুঃখ বসে থাকে।
উষ্ণতার অপেক্ষায় বসে থাকি।
মায়ের বুকের কাছে বসে থাকতে ইচ্ছে করে

==========================
একটু শীত পড়লেই আব্বা গায়ে কাঁথা জড়িয়ে সারাবাড়ি ঘুরতেন।
=============================
এসবের মাঝেই মাতৃভূমি শুয়ে থাকে। মনের অন্দরে। প্রকৃতির কাছাকাছি গেলে প্রকৃতি নিজেই আয়না হয়ে যায়---

০৮ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
প্রকৃতির কাছাকাছি গেলে প্রকৃতি নিজেই আয়না হয়ে যায়---
ঠিক বলেছেন শিরীষ কবি............

আর দেশ আর প্রিয় মানুষেরা বুকের কোন গভীরে যে বসবাস করে!
দিনে দিনে আরো গভীর হতে থাকে যা।

ভালো থাকবেন।
শুভকামনা নিরন্তর

৩৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:২৩

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: লেখা আর ছবি,একটুকরো জীবন।

খুব ভালো লাগে ভাবতে এত সুন্দর জায়গাও আছে।
খারাপ লাগে এটাই কখনো যাওয়া হবে না হয়তো ওখানে।

আসলে যাওয়াটা কি খুব দরকার?সৌন্দর্যের কাছে যেতে হয় না।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:০৪

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
"আসলে যাওয়াটা কি খুব দরকার? সৌন্দর্যের কাছে যেতে হয় না"।......

হয়তো কথাটা সত্যি.......
সব সুন্দরের কাছে যেতে নেই।

আর অন্য কারো চোখ দিয়ে দেখাটাও কিন্তু কম নয়।
প্রকৃতির কাছে গেলে আমার শুধু সৃষ্টিকর্তার কথা মনে হয়...........এত সব সুন্দর তাঁরই সৃষ্টি।

যে কোন ভালোলাগাকে চাইতে হয়..........তাহলে তা পূরণ হবার সম্ভাবনা থাকে।
অনেক শুভকামনা রইলো

৩৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:২৫

চতুষ্কোণ বলেছেন: আমি কবিতায় জীবন লিখতে চাই! আপা আপনার লেখাগুলোও এক একটা কবিতা!

০৮ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:০৭

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
ধন্যবাদ চতুষ্কোন........
ভালো থেকো।শুভকামনা

৩৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

মেহবুবা বলেছেন: তোমার দুটো চোখ আমাদের ক্যামেরা;
তোমার আঙুলে আমাদের চেতনা, অনুভূতি বহুরূপী ।

লিখে দাও এমনি করে সব ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:১৭

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
মেহবুবা, তুমি আমার ভেতর বাড়ি চেনো......

জানো মাঝে মাঝে তোমাদের জন্য মনে কেমন করে!
অনেক ভালো থেকো।
সবসময়কার শুভকামনা

৩৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪০

ভাঙ্গন বলেছেন: ভীষন ভাল লাগল আপু।
অলস দুপুরে কৃষ্ণচূড়ার ছায়ায় নীচে চিৎ হয়ে শুয়ে একমনে কতদিন এর সৌন্দর্য দেখেছি।
আজকে আপনার এইছবিগুলো দেখে ভীষণ নস্টালজিক হতে হচ্ছে।


শুভ কামনা আপু।

৩৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

ভাঙ্গন বলেছেন: সরি,মন্তব্য আংশিক হয়েছে।
দৃশ্যপটে যে দৃশ্যগুলো ধরা দিয়েছে,সবগুলোতে কিন্তু একধরনের নৈঃশব্দ বিরাজ করছে। মনে হচ্ছে 'কোথাও কেউ নেই' জাতীয়:)
বিশেষত: ৯ এবং ১৪ নাম্বার ছবিদুটো দেখলে মনটা বিষন্ন হয়ে যায়।
মনে হয় দু'চোখ জুড়ে ঘুম, আর আমি উড়ে যাই নৈঃশব্দের ভীষণ শীতল কোন অজানায়।

...............
:)

০৯ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:২৪

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
কবি ভাঙ্গনের তো এমন মনে হবেই...........
আসলেই পিংক লেকের কাছে গেলে কেমন যেনো লাগে। মনেহয় কোথাও কেউ নেই.........
আমি একা আর লেকটা.......

ঐ যে আমার প্রিয় কবির সেই "বোধ".....
"সকল লোকর মাঝে ব'সে
আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা"।

অনেক শুভকামনা রইলো তোমার জন্য।

৩৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৩৮

নাজনীন১ বলেছেন: হুম, শীতের দেশে আবারো রঙ্গীন পাতার হেমন্তকাল এসে গেল। এই এক ভিন্ন রকমের সৌন্দর্য যেটা আমাদের দেশ থেকে আলাদা। :)

০৯ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:২৭

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
যে ভাবে বৃষ্টি হচ্ছে............আবার বরফ ও মনে হয় তাড়াতাড়ি এসে যাবে......
ভালো থাকবেন নাজনীন ।
শুভেচ্ছা।

৩৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:২৯

সহেলী বলেছেন: মুগ্ধতা !
ছবিগুলো দেখে মন কেমন উদাস হয়ে গেল !

ভাল থেকো ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৪৬

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
অনেকদিন পর দেখা।
আশাকরি ভালো আছো.............

ভালো থেকো সহেলী। শুভকামনা।

৪০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৫২

সাদা-কালো-ধুসর বলেছেন: দারুন সব ছবি............ ধন্যবাদ

১৩ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:০০

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
অনেকদিন পর দেখলাম.......শুভকামনা।

৪১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:০৪

মে ঘ দূ ত বলেছেন: আজকে এইখানেও ঝলমলে রোদেলা সকাল। ঘুম থেকে উঠে জানালা তুলে ধরতে যেয়ে সামনের গাছটার দিকে নজর গেল। পাতাগুলো আস্তে আস্তে রঙ বদলাতে শুরু করেছে। আপনার একটা পোষ্টের কথা মনে পরে গেল, একবার শীত শুরুর আগে লিখেছিলেন, বিষণ্ণতা বা ঝরা পাতার দিন আসছে। মনে পরে গেল সেই পোষ্টটার কথা :)

আরে গতবছর ঠিক এই জায়গাতেই গিয়েছিলেন না!! কথাগুলোও বোধহয় সেই তখন লিখেছিলেন?

লং উইকেন্ড উপভোগ করুন। :-)

মাতাল করা একটা সুর শুনতে শুনতে আপনার ছবিগুলো আর লেখা পড়ছিলাম। সংগীতটাকে এইখানে অর্পণা করে গেলুম -

১৩ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:০৫

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
মেঘদূত....ঠিক তাই গেলো বছর এখনাই গিয়েছিলাম।
পাতাঝরা নিঃসন্দেহে কষ্ট দেয়,মনে হয় আবার আসছে হতাশাময় দিব গুলো।
তবে গাছগুলোর দিকে তাকিয়ে শক্তি নেই.......বছরের পর বছর এভাবেই যুদ্ধ করে বাঁচে ,ঋতু বৈচিত্রের সাথে তাল মিলাতে গিয়ে।
ঝরাপাতা দেখে কষ্ট পাই আর ভাবি এইতো ক'টা মাস পার হলে আবার আসবে বসন্ত।গাছে গাছে পাতা আসবে.......ফুল ফুটবে।

আপনার দেয়া সুরের মূর্ছণা আমাদেরকে ছুঁয়ে গেছে.......
লং উইকেন্ডে আর এক জায়গায় বেড়াতে গিয়েছিলাম।তআই আর বসা হয়নি.......
ভালো থাকা হোক মেঘ দূত.....
অনেক অনেক শুভকামনা

৪২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৫:২৩

শান্তির দেবদূত বলেছেন: একটা গাছে দেখি কিছু পাতা হলুদ ,কিছু পাতা লাল। এমনকি কিছু পাতা সবুজ হয়ে আছে। এই একটা গাছের পাতাগুলো যেনো একটা মানুষের পুরো জীবনটাকে বুঝিয়ে দিচ্ছে। মানুষ আর প্রক্বতি এভাবেই সম্পর্কিত---কেন যেন এই ছবিটা দেখে প্রথমেই মনে হয়েছে গায়ের কোব কিশোরী খোপায় লাল ফুল প্যাঁচিয়ে উদাস হয়ে দাড়িয়ে আছে।

আর পাতাবিছানো ছবিটা দেখে তো আমার এখনি ঐখানে হাটতে ইচ্ছা করছে!! কি সুন্দর!!

মীচ লেকের ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।

ভালো যে কোন কিছুর রেশ আমাকে অনেকক্ষণ সিক্ত করে রাখে, আপনার এই পোষ্টটাও অনেকক্ষণ আবেসে সিক্ত করে রাখলো।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, সেই সাথে শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:১১

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
দেবদূতকে দেখে ভালো লাগলো............
দেখার চোখ বিধাতা এক এক জনকে এক একভাবে দিয়েছেন.........গাছটাকে ওভাবে দেখতে পারা,
সত্যিই ভালো লাগলো।

ঝরাপাতাদের উপর দিয়ে হাঁটলে মনে হয় ওরা কথা বলে।
অনেক ভালো থাকা হোক .....শুভকামনা

৪৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৫২

আশাবাদী মানুষ বলেছেন: সুন্দর।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আশাবাদী মানুষ।
শুভকামনা

৪৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৪

নীল_পরী বলেছেন: ছবি অনেক সুন্দর হয়েছে আপু।কেমন আছো??

১৯ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
ধন্যবাদ নীল পরী।
আমি ভালো আছি.......তুমি?

শুভকামনা

৪৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:০৪

সুরঞ্জনা বলেছেন: আগেও বলেছি, আবারও বলছি-- সাজি, তোমার ব্লগ বাড়ি এলে মন ভালো হয়ে যায়। তোমার কথাগুলো নতুন করে পথ চলতে প্রেরনা জোগায়। অনেক ভালো লাগল ছবিগুলো পাতাকুড়ানী মেয়ে। :P অনেক অনেক ভালো থেকো তোমরা।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:০৬

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: আপু
তোমাকে দেখলেই ভালো লাগে।

ঘুরে যাবে যখন খুশি।
প্রিয় মানুষদের পায়ের ছাপ দেখতেও ভালো লাগে।

অনেক ভালোবাসা।

৪৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:১২

জা না লা বলেছেন: খুব সুন্দর আপু

২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৩১

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
ধন্যবাদ ঘুরে যাবার জন্য...।
শুভকামনা

৪৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৪০

শাহেদ খান বলেছেন: "ভাললাগা কষ্টলাগা বোধগুলো সবসময় পাশাপাশি থাকে।কখন যে কোনটা এসে পড়ে"

চমৎকার লাগল চোখের ভ্রমণের সাথে সাথে মনের এই ভ্রমণটুকুও !

ওখানে একা সাইকেল চালাতে ইচ্ছা হচ্ছে এখন... উত্তর গোলার্ধে Fall-এর এই পাতা'র রং পাল্টানোর দৃশ্যটা সত্যি জাদুকরী, একই সাথে হরেক পাতায় সবুজ-হলুদ-কমলা-বাদামী-লাল-সোনালী-কালচে-খয়েরি আরও কত রঙের অপূর্ব মিশেল ! যদিও এখন পর্যন্ত ওসব আমার শুধু ছবিতে আর ভিডিওতে দেখাই সার... এই পোস্টে আবার যেন ওভাবে ঘুরে আসলাম।

এই পোস্ট পড়ার সময় ইয়ারফোনে হালকা মিউজিক চালানো তো রীতিমত বাধ্যতামূলক !

চমৎকার এই ভ্রমণ শেয়ার করে আমাদেরও এভাবে ঘুরে আসার সুযোগ দেয়ার জন্য অনেক ভাল লাগা জানাচ্ছি, সাজি'পু।

শুভকামনা, স্বপরিবারে। সবসময়ের জন্য। :)


[কবিতা'র অংশটাও চমৎকার ! পুরো কবিতা'টা ব্লগে আছে কোথাও?]

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.