নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপাতত ব্যস্ত আছি, কথা হলে পরিচয় দেওয়া যাবে।

@সুলতান মির্জা ২

তৃতীয় শ্রেনীর জীবন্ত ব্লগার

@সুলতান মির্জা ২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

২৫ অক্টোবরের নিষেধাজ্ঞায় গনতন্ত্র বিপন্ন হবে কেন ?

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:৪৯



২৫ অক্টোবরের নিষেধাজ্ঞায় গনতন্ত্র বিপন্ন হবে কেন ?





বিশদ বলার ইচ্ছা নেই। আমরা কম বেশী সবাই জানি বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইতিহাসের প্রথমবার অনেক কিছুই গঠেছে যা আগে কখনো কোন দিন গঠেনি এই স্বাধীন বাংলাদেশে।



খেয়াল করুন, গনতন্ত্র রক্ষার নামে যারা জিকির-ফিকির করে মুখ দিয়ে ফেনা বের করে ফেলেছে সেই তারা



যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়ের পরে সারাদেশে গুজব তুলে নির্বিচারে সাধারন মানুষ হত্যা করেছে।

নির্বিচারে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ী ঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে।

নির্বিচারে যানবাহন ভাঞ্চুর করেছে।

নির্বিচারে পুলিশের হাত থেকে অস্র ছিনিয়ে নিয়ে পুলিশের উপরে হামলা চালিয়ে পুলিশ হত্যা করেছে।



এই ক্ষেত্রে একটা প্রশ্ন রেখে দিলাম, এর মধ্যে কয়টা আন্দোলন জনগনের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ছিল ? যেমন দ্রব্য মুল্যের মুল্য নিয়ন্ত্রন, পদ্মা সেতু কেলেংকারী, ডিজেল-কেরোসিনের মুল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ?



উপরেল্লিখিত বিষয় গুলো নিয়ে যদি আন্দোলন হতো তাহলে না ধরে নিতে পারতাম আমরা যে এইগুলো জনমুখি আন্দোলন, যা বাধা দিয়ে বর্তমান সরকার গনতন্ত্র কে ব্যহত করছে। কিন্তু হায় আমরা কি দেখলাম ? রাজাকার, অমানুষ, ঘৃনিত পশুদের বাচানোর জন্য নির্বিচারে যা হওয়ার তাই হয়েছে। তখন সমালোচক রা কার বাল ছিড়েছিল ? তখন কি গনতন্ত্র ব্যহত হয় নাই ? তাহলে আজকে কেন ২৫ তারিখের নিষেধাজ্ঞায় গনতন্ত্র বিপন্ন হবে ?





প্রাসঙ্গিক ঢাকা মহানগর বিএনপির আহব্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার বক্তব্যের বিষয়ে বলছি, সাদেক হোসেন খোকা সেদিন প্রকাশ্যে জনসম্মুখে আগামী ২৫ তারিখে দা-কুড়াল-খুন্তি-টেটা-বল্লম নিয়ে তার দল ও ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের কে উপস্থিত থাকার কথা বলেছে। অনেকেই, বলছে যে সাদেক হোসেন খোকা ২০০৬ সালের আওয়ামীলীগের লগি-বৈঠা আন্দোলনের বিপরিধে এই কথা বলেছে, আবার অনেকেই বলছে, এটা স্রেফ একটি রাজনৈতিক বক্তব্য ছিল।





আমি উপরেল্লিখিত দুইটা প্রসঙ্গ নিয়েই যদি বলি তাহলে বলতে হচ্ছে, এমনিতেই নাচনা বুড়ি তার উপরে ঢোলের বারি। আমরা গত তিন চার বছর ধরেই দেখছি, বিএনপি-জামাত এর যেকোন আন্দোলন বা হরতালে ককটেল-হাত বোমার নিয়মিত ব্যবহার থাকেই। যদিও ঐসব আন্দোলন গুলোতে বিএনপি বা জামাতের কোন নেতারা প্রকাশ্যে বলে নাই, দা-কুড়ালের কথা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই প্রথম বিএনপির নেতা দা-কুড়ালের কথা বলার পরে আন্দোলনকারী বিএনপি-জামাত এর নেতা কর্মীরা খালী হাতে সমাবেশে আসবে এটা কোন পাগলে বিশ্বাস করবে ?



দ্বিতীয়তো, বলতে পারেন আওয়ামীলীগের লগি-বৈঠার সাথে সাদেক হোসেন খোকার দা-কুড়ালের মিলে কি করে ?

বলছি, নিষেধাজ্ঞার পক্ষে। দেখুন ২০১৩ সালের ৫ মে তে যখন ধর্ম রক্ষার নামে হেফাজত লংমার্চ করে তখন কিন্তু চারদিকে এক ধরনের আতংক ছড়িয়ে পড়েছিল। ঠিক সেই সময় কেউ কিন্তু ভাবতেও পারে নাই, হেফাজত ইসলাম সেদিন ইসলাম রক্ষা নাম করে মতঝিলে ও তার আশপাশ অঞ্চলে এইরকম ধংসাত্মক কর্মকান্ড চালাবে। কিন্তু যখন শান্তিপুর্ন কর্মসুচির নামে ধংসাত্মক কর্মকান্ড শুরু করে ততক্ষনে এই আন্দোলন পুলিশের ক্ষমতার বাইরে চালে গেছে। ফলাফল যা হওয়ার তাই হলো।



আজকে প্রশ্ন হচ্ছে, সেদিন যদি হেফাজত কে ঢাকায় সমাবেশ করতে দেওয়া না হত তাহলে কিন্তু ঢাকা শহরে এত ধংসাত্নক কর্মকান্ড হেফাজত চালাতে পারতো না ? পারতো না।



হেফাজতের সেই নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞের পরে অনেককেই বলতে শুনেছি কেন সেদিন পুলিশ অনুমতি দিয়ে ছিল ?

তার মানে কি দাড়ালো ? সব দোষ এখন পুলিশের তাই না ? এমনই মনে হচ্ছে অনুমতি দিলেও পুলিশ বা সরকারের দ্বায় না দিলেও পুলিশ বা সরকার ফ্যাসিষ্ঠ।



২৫ অক্টোবরও তাই হতে যাচ্ছে। মনে করি, অতীতের কথা বিবেচনা করে আগে থেকে ডিএমপি সমাবেশের ব্যপারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। আমি মনে করি এতে করে গনতন্ত্র কোনভাবেই বিপন্ন হবে না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:১৫

সৈয়দ মোহাম্মদ আলী কিবর বলেছেন: গণতন্ত্রটা আসলে কী ? খাইলে কি পেট ভরে ভাই ?

২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:১৯

হাসিব০৭ বলেছেন: গনতন্ত্র হইল রাজনীতিবিদতের বাচার ফতোয়া =p~ =p~ =p~ =p~ যখনই চিপায় পরে তখনই সংবিধান এবং গনতন্ত্রের নামে ফতোয়া দেয় =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৯

ভিটামিন সি বলেছেন: গণতন্ত্র হলো এমন একটা তন্ত্র (রাজতন্ত্র, পরিবারতন্ত্রের আধুনিকায়ন), যেখানে সাধারণ মানুষ এই তন্ত্রের নিচে পড়ে চ্যাপ্টা হয় আর রাজনীতিবিদরা তন্ত্রের উপরে বসে ছিলা কলা, কাঠাল খায়। কলা এবং কাঠালের খোসা নিচে ফালায়, তার গন্ধে আবার আম জনতা ৫ বছর নিচে শুইয়া মোচরা-মোচরি করে।

৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০৯

জগ বলেছেন: গনতন্ত্র অন্যখানে চলতেছে, এইটা পড়েন:


ভারত কোন পথে যাবে?


অমিত রহমান: ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ। ’৪৭ থেকে ২০১৩- এই ৬৬ বছরে পৃথিবীর নানা দেশে নানা কিসিমের সরকার এসেছে। কিন্তু ভারত ছিল গণতন্ত্রের প্রশ্নে অবিচল। এক চুলও নড়েনি গণতান্ত্রিক শাসন থেকে। ভারতীয় রাজনীতিকরা এজন্য পুরোটাই কৃতিত্বের দাবিদার। দক্ষিণ এশিয়ার চারপাশে ফৌজি শাসন জারি হলেও ভারতে এর কোন ছোঁয়া লাগেনি। পাকিস্তান তো ভেঙে গেল গণতন্ত্র না থাকার জন্য। পাকিস্তানি শাসকরা গণতন্ত্রের চেয়ে স্বৈরতন্ত্রকেই বেশি ভালবাসতেন। যার মূল্য তাদেরকে দিতে হয়েছে। এখনও কিছু হলে ফৌজি শাসনের আওয়াজ ওঠে। বাংলাদেশও এ থেকে মুক্তি পায়নি। যদিও ১৯৯০ থেকে ২০১৩ এই সময়ে গণতন্ত্রের ভিত শক্ত করেছেন দেশের দুই নেত্রী। শত মতপার্থক্য সত্ত্বেও তারা গণতন্ত্রের ঝাণ্ডাকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছেন। মাঝখানে ওয়ান ইলেভেন অনেক কিছুই এলোমেলো করে দিয়ে গেছে। লক্ষণীয় হলো, বেগম জিয়া নিশ্চিত পরাজিত হবেন জেনেও ২০০৮-এর নির্বাচনে অংশ নেন। সেদিন যদি তিনি বলতেন যে নির্বাচন কমিশন তার দলকে ভাঙার কাজে লিপ্ত সেই কমিশনের অধীনে নির্বাচনে যাই কি করে? তখন কি হতো? জেনারেল আমিন একাধিক ঘরোয়া আলোচনায় বলেছেন, খালেদা রাজি না হলে সেনা শাসনের দিকেই যেতো দেশটি। সবার জানা, জেনারেল আমিনই ছিলেন শক্তিধর ব্যক্তি। তার আগমন বার্তায় বঙ্গভবনের চেয়ার খাড়া হয়ে যেতো। প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দিন তো সোজা হয়ে দাঁড়াতেই পারেননি। এক ধমকে জেনারেল মঈনের চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি করেছেন আরও এক বছর। নাটক তখন থেকেই শুরু। যা-ই হোক নির্বাচন হলো। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি আসন পেয়ে জয়ী হলো। সবার প্রত্যাশা ছিল এই সরকার এক ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখবে বাংলাদেশের ইতিহাসে। সেটা হলো না। একচোখা নীতি গ্রহণের কারণে সংকীর্ণ স্বার্থের কাছে জনরায় পরাজিত হলো। ঔদ্ধত্যের রক্তচক্ষুতে মিইয়ে গেল বিনয়ের মুখ। এমনকি মহাজোটেও হতাশা সৃষ্টি হলো। লিখিত চুক্তি ছিল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে প্রেসিডেন্ট করা হবে। বিশেষ দূত করার প্রস্তাবও ছিল। কোনটাই করা হয়নি। যে কারণে এরশাদ মহাজোটে থেকেও কড়া সমালোচনা করছেন। সরকার বেকায়দায় পড়ে এমন সব বক্তব্য বা অবস্থান নিচ্ছেন। সমালোচকরা যদিও বলেন, এটা নাকি সাজানো এক নাটক। যা-ই হোক না কেন জনগণের কাছে সরকার সম্পর্কে ভুল বার্তাই যাচ্ছে। বিরোধীদের সঙ্গে সরকারের দূরত্ব কোন সময়ই কমেনি। বরং আরও বেড়েছে। তিক্ততা জমাট হয়ে বিস্ফোরণের অপেক্ষায়। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে যত বিরোধ। বাংলাদেশের রাজনীতিকরা আগাগোড়াই একে অপরকে সন্দেহের চোখে দেখেন। অবিশ্বাস থেকে বেরিয়ে এসে নয়া কোন পথের সন্ধান দিতে পারেননি। এ পটভূমিতেই সংবিধানে পরিবর্তন আনা হলো আদালতের দোহাই দিয়ে। আদালত কি বলেছিল সেটা নিয়ে বিতর্ক করে লাভ নেই। সংবিধান সংশোধন করে নয়া জটিলতা তৈরি করা হয়েছে। যেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা এখনও বিফলে। দেশী-বিদেশী দূতিয়ালিতে কোন কাজই হচ্ছে না। চীনসহ তামাম দুনিয়া একদিকে। ব্যতিক্রম শুধু ভারত। তারা বাংলাদেশে কি চায় তা কিন্তু স্পষ্ট নয়। তবে দৃশ্যমান পরিস্থিতি হচ্ছে ভারত বর্তমান সরকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছে। ভারতের নীতিনির্ধারকরা এখনও তাদের অবস্থান সম্পর্কে প্রকাশ্যে কোন ধারণা দেননি। বলেননি রাজনৈতিক সমঝোতার কথা। তাদের মধ্যে বিরোধী বিএনপি সম্পর্কে নানা সংশয় রয়েছে। থাকাটা যে একেবারেই অমূলক তা কিন্তু বলা যাবে না। ২০০১-এর নির্বাচনে ভারত বিএনপিকেই সমর্থন দিয়েছিল। ক্ষমতায় এসে বিএনপি এমন সব নীতি কৌশল গ্রহণ করে যাতে ভারত ক্ষুব্ধ হয়। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বীণা সিক্রি প্রকাশ্যেই ক্ষোভ আর হতাশা ব্যক্ত করেছিলেন। বিএনপি নেতারা তা বুঝতে সক্ষম হননি। এর জন্য তাদেরকে মূল্য দিতে হয়েছে। আরও হয়তো দিতে হবে। সেটা অন্য প্রসঙ্গ। কংগ্রেসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক সম্পর্ক, অনেকটা আবেগময়। এবারও তা-ই দেখা গেছে। শেখ হাসিনাও সে সম্পর্কের মূল্যায়ন করেছেন। দিয়েছেন অনেক কিছু। পাননি তেমন কিছু। বিশেষ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে। ভারত এতে কৃতজ্ঞ। কিন্তু ভারতের সামনে নয়া এক চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। তারা কোন দিকে যাবেন? আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবেন নাকি বাস্তবতা মেনে নেবেন? এ মুহূর্তে বাংলাদেশের বাস্তবতা হচ্ছে আওয়ামী লীগের জনসমর্থন শূন্যের কোঠায়। বাংলাদেশের ইতিহাসে এভাবে কোন সরকার জনসমর্থন হারায়নি। এমন কি এরশাদের সরকারও না। প্রতি দশজনকে জিজ্ঞেস করলে একটাই জবাব- আমরা পরিবর্তন চাই। স্বাধীনভাবে পরিচালিত জনমত জরিপগুলোতে এটা স্পষ্ট। সাত সিটির নির্বাচনের ফলাফল মূল্যায়ন করলেও এই চিত্রই পাওয়া যায়। দুনিয়া বলছে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশে গণতন্ত্র টেকসই হবে না। গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্ন পরে। ভারতের দিকে সবার দৃষ্টি। কি পদক্ষেপ নেন ভারতীয় নেতারা। তাদের মধ্যে যে সংশয় রয়েছে তা মেটানোর চেষ্টা করেছেন বিরোধী নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জাতির সামনে দেয়া এক নিঃশর্ত বক্তৃতায়। বলেছেন, সংখ্যালঘু বলতে বাংলাদেশে কেউ নেই। সবাই বাংলাদেশী। সন্ত্রাস প্রশ্নে যে অবিশ্বাস তা-ও দূর করেছেন। আঞ্চলিক নিরাপত্তা আর জঙ্গিবাদ নিয়েও অবস্থান পরিষ্কার এবং দুনিয়ার কাছে ওয়াদা করেছেন। এ নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন। বলতে পারেন অতীত তো এর পক্ষে সায় দেয় না। অতীত তো অতীতই। এ থেকে শিক্ষা নেয়াটা হচ্ছে একজন স্টেটসম্যানের কাজ। এখানে বলা রাখা ভাল, খালেদার বক্তব্য আচমকা আসেনি। আন্তর্জাতিক মহলের অব্যাহত দূতিয়ালি আর তার দলের ভেতরকার চাপ এখানে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে। পেছনে যদি আমরা তাকাই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তো আন্তর্জাতিক মহলকে কথা দিয়েছিলেন ওয়ান ইলেভেন কুশীলবদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে না। জাতি কি দেখলো? যারা তাকে জেলে নিলো, আদালতে নেয়ার নামে অসম্মান করলো, দল ভাঙার চেষ্টা করলো, তাদের বিরুদ্ধে তো কোন ব্যবস্থা নিলেন না। খালেদা জাতির সামনে যে ওয়াদা করেছেন তা থেকে কি বের হতে পারবেন? আজকের দুনিয়ায় তা সম্ভব নয়। নিজের শক্তিতে রাষ্ট্র চলে না। তাছাড়া বাংলাদেশের অবস্থান তো এতটা পোক্ত নয়। এক কোটি মানুষ দেশের বাইরে। বৈদেশিক মুদ্রার মূল যোগানদাতা তারা। এছাড়া আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষার বিষয়টি তো আছেই। জাতিসংঘ বসে নেই। তারা সংলাপের ওপর জোর দিয়েই বসে থাকেনি, দেশে দেশে এই বার্তাই পৌঁছাচ্ছে সব দলের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে নির্বাচন নিয়ে তারা যেন সোচ্চার হন। ভারত সবকিছু জানে এবং প্রতিনিয়ত মনিটর করছে। কে ক্ষমতায় এলো তা নিয়ে ভারতের আগ্রহ থাকতেই পারে। তারা হয়তো চাইবে না আওয়ামী লীগের কোন বিকল্প শক্তি ক্ষমতায় আসুক। তাই বলে জনমত উপেক্ষা করে ভারত কোন নীতি গ্রহণ করবে কি? ভারত এখন শুধু একটি আঞ্চলিক পরাশক্তি নয়। বিশ্ব পরাশক্তি হতে বীরদর্পে এগিয়ে চলেছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এ অবস্থায় তাদের সিদ্ধান্ত হবে সুচিন্তিত এবং সুদূরপ্রসারী। এক ঝুড়িতে সব আম রেখে তারা কি নয়া কোন ঝুঁকি নেবে? তাছাড়া একটি দলকে ক্ষমতায় রাখতে গিয়ে তারা কি বাংলাদেশ হাতছাড়া করবে? জঙ্গিবাদ কি নিয়ন্ত্রণে আসবে নাকি বাড়বে এটা মূল্যায়ন করতে ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের পরামর্শ দেয়ার কোন প্রয়োজন নেই। এ মুহূর্তে ভারতবিরোধী জিগির বাংলাদেশে নেই। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত না নিলে এই জিগির যে ফের চাঙ্গা হবে! তাতে কোন সন্দেহ নেই। তাছাড়া ভারত কি চাইবে বাড়ির কাছে আরেকটি আফগানিস্তান তৈরি হোক? এ প্রতিবেদন যখন লিখছি তখন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা দিল্লিতে রয়েছেন। তার এ সফর নানা দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ। ২০০৮-এর নির্বাচনে ভারত-মার্কিন একই নীতি অনুসরণ করেছিল বাংলাদেশ প্রশ্নে। মাঝখানে নানা কারণে ভিন্ন অবস্থান। এখন একে অপরকে বোঝানোর চেষ্টা। মার্কিন অবস্থান অনেক আগে থেকেই স্পষ্ট। দিল্লি নাটকীয়ভাবে কোন সিদ্ধান্ত নেয় কিনা তা দেখার বিষয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.