সে দিন তোমার-আমার

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩০

জাহিদুল ইসলাম সুমন

মনে পড়ে সে দিনের কথা?
তোমার পাশে দাঁড়িয়ে ইতস্তত আমি!
আর অপরুপে সেজেছিলে তুমি
দাঁড়াতেই যেন হেসেফেলি তুমি আর আমি।।
তোমার চোখ জোগলে ছিল প্রেমের জোয়ার;
মনে ছিল ভালবাসার প্রবল টান’
পরখ করল প্রেম সবে তোমার আমার;
কি রুমান্টিক সেই দিনটি আসত যদি ফিরে?
তুমি আমি কাছে আসতাম প্রবল প্রেমের টানে।।
দুজনার চোখ জোগলে চলত প্রেমের খেলা
এই ভাবে কেটে যেত সারাটা বেলা।।

মনে পড়ে সে দিনের কথা?
ফুলের ঝুঁড়ি দিয়েছিলাম তোমার হাতে;
সাদা লালে গোলাপ কামিনী""
সেজেছিল তোমার সাজে।।
জানো? কতটা ভাল লেগেছিল সেই দিন?
যেন পুরির হাতে ফুলের ঝুরি;
আমি অবাক হতবাগ চেয়ে;
কিশোরীর মনে ফুটেছিল প্রথম প্রেমের কুলি।।
এক গাল হেসে্ছিলে তুমি তোমার মত করে।।
আমি চেয়েছিলাম তোমার পানে।।
বুজি আমার প্রিয়া এসেছে
আমার মনের ঘরে অ্পরুপ সাজে।।

মনে পড়ে সে দিনের কথা?
তোমার হাতে ছিল মেহিদির জুড়িটা;
আমার হাতে ছিল ছোট ক্যামেরাটা!
মনের মত করে তুলেছিলাম তোমার অবুঝ হাসিটা।।
তোমার হাটার তালে তালে কি যেন,
কংকনের সুর বেজে উঠত আমার কানে।।
আর আমি বারবার ছুটে
আসতাম তোমার সুখের পানে।।


তোমার হাতে মেহেদির জুড়িটা;
আর পাশে ছিলাম আমি’
হেটে ছিলাম দু জনা এক করে মনটা।।
কত যে অনুভুতির ছিল সে দিনটা?
চারিদিকে সবুজে স্যামলে ভরা
শিমুল গাছের তলে তুমি আমি।।
যারা ছিল সাথে,হেটে ছিল তারা।।

মনে পড়ে সে বিকালটা
পুলের উপর দাঁড়িয়ে দুটি ফুল হাতে।।
একটিতে তুমি অন্যটিতে আমি,
সাজেয়েছিলাম নিজের হাতে।।
জানো?কতটা অপরুপ লেগেছিল তোমায়?
চার পাশে শান্ত বিকেল ;
আবছা অন্ধকার তোমার পিছে;
আর আমি দাঁড়িয়েছিলাম তোমার সামনে।।
হেসে খেলে আনন্দে কাটল
মধু মাখা বিকাল টা।।
তোমার কারনেই হল মধুর
শান্ত শূভ্র বিকালটা।।

মনে পড়ে সেই সন্ধাটা?
মেহেদি বাটতে এসেছিলে তুমি।।
দেখেছিলাম পাশে থেকে
আপন মনে মেলে দুটি আঁখি।।
গায়ে তোমার লেগে্ছিল মেহেদির ছোঁয়া;
কোমল হাতের পরশে মেহেদিটা
নিমেষ হল অপলকে।।
আর আমি দাঁড়িয়ে পরখ করলাম রক্তলাল হাতটা।।
কোমল হাতে যেন রংগের ছাড়াছড়ি
মেহেদি পাতার জীবনের সব দিয়ে
তোমাকে রংগিত করতে হাজার প্রচেষ্টা।।

মনে পড়ে সেই রাতটা;
তোমার হাতে গোলাপ দিয়ে আমি
সাজালাম তোমার মনটা ।।
প্রেমের ছোঁয়া নিয়েছিলে তুমি;
রাতটা সাজালাম তোমার জন্য ।।
সারাটা মন সেজেছিল তার সাথে

সেজেছিল সারাটা বাড়ি।।
বেজেছিল আনন্দের বাশিঁ।।
তোমার পাশে আমি আমার পাশে তুমি।।
প্রেমের জোয়ার ভেসেছিল চোখ জোগলে
তোমার পানে চেয়েছিলাম অপলকে।।
দুটি দেহ বুজি এক হল
দুটি মন তাই হেসেছিল।।
দুটি প্রাণ বুজি চেয়েছিল
দুটি মন তাই এক হল।।

মনে পড়ে সেই হৃদয় জুড়ানো রাতের কথা?
চুরি করে এনে দিলাম তোমার হাতে।।
হাসতে হাসতে আমি অবাক হয়ে তুমি;
নিয়েছিলে সংকুচে তোমার হাতে।।

মনে পড়ে শুভ্র সেই সকালটা?
তোমার মাথা ভরেছিল ঝিলিমিলি তে।।
আর আমি হাসতে হাসতে
তোমার মাথায় দিলাম আপন হাতে।।
কি সে অনুভুতি খুজে নাহি পাই
আবার ও আমার পাশে তোমায় পেতে চায়।।

মনে পড়ে রুদ মাখা সেই সকালটা
কলসী কাখে তুমি।।
পাশে দাঁড়িয়ে আমি
তোমায় দেখেছিলাম অপলকে আমি।।
অপরুপে সেজেছিলে তুমি
সবুজ মাঠে হেটে ছিলে ললনাদের সাথে।।
কলসি কাখে নিয়ে তুমি
গিয়ে্ছিলে নদীতে পাশে ছিলাম আমি।।
অপরুপে সেজেছিলে লাল শাড়িতে
মেঘ কালো চুলে খোপা বেঁধে।।
আমি বারবার তাকিয়ে তোমার পানে
বারবার ছুটে আসতাম তোমার কাছে।।
নদীর পানিতে ভিজেছিল তোমার
আলতা রংগা দুটি পা।।

কলসিতে পানি ভরিতে তুমি
ভিজিয়ে কোমল দুটি পা।।
অপলক দেখেছিলাম মেলে দুটি আখি।।
আজ ও চেয়ে থাকি নদীটির ওই বাকে,
যদি দেখা পেয়ে যায় মনটা শান্ত হবে।।
বারবার খুঁজি তাই খুঁজি সারাক্ষণ।।

মনে পড়ে সেই দুপুরটা?
যখল চেয়েছিলে ফুল।।
প্রান ভরে হেসেছিলাম আমি
ফুটল বুজি আজ প্রেমের মুকুল।।
আর তুমি মন ভরে হেসেছিলে,
দেখে ছিলাম আমি দু চোখ ভরে।।
বারবার ই তৌমার খুঁজে
আমি আসতাম ফিরে।।
কি সে অনুভুতি নাহি পায় আর!
সারাক্ষন খুঁজি তাই সেই সুখের দোঁয়ার।।
যদি পেয়ে যায় দেখা তার

ধন্য হবে জীবন আমার।।
আরও কাছে পেতে চাই তোমায় ।।
চাই আর ও প্রেম যেখানে ভালবাসার
ফুলঝুড়ি রয়েছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে।।

০ টি +০/-০