নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুমনজাহিদ

T

সুমনজাহিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাভার ট্রাজেডীঃ আশা-হতাশা-প্রত্যাশা/দাবী

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১

আশা -: অগনিত ছোট ছোট মৃত্যুকুপে এখনও প্রাণের স্পন্দন। ৩শতাধিক লাশের পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে প্রায় আড়াইহাজার জীবন্ত মানুষ। এই দুর্ভাগা দেশে এখন একটি জীবন্ত মানুষের প্রত্যাবর্তনে হাসি ফোটে ক্রন্দসি ২০ কোটি মুখে।



হতাশা -: পেশাদার, অপেশাদার, স্বেচ্ছাসেবীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এগিয়ে চলছে উদ্ধার তৎপরতা; আশাজাগানিয়া এই মানুষগুলো জীবন্তের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ চালাচ্ছে কোনপ্রকার আধুনিক সরাঞ্জামাদি ছাড়াই।সামান্য কিছু জিনিস চেয়েছিল প্রথম দিনথেকেই। পোর্টাবেল অক্সিজেন, চার্জার লাইট-ফ্যান ইত্যাদি।দেশে প্রতিদিন লাখ লাখ চার্জার লাইট বিক্রি হয় শুধু চক বাজারেই। BOL (বাংলাদেশ অক্সিজেন লি) সরকারী ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা লোন নিয়ে দেশময় অক্সিজেন ব্যবসা চালাচ্ছে। মফস্বলের ফার্মেসীতেও পোর্টাবেল অক্সিজেন পাওয়া যায়। জীবিতদের রক্ষাকরার ৭২ ঘন্টা সময় দ্রুতই ফুরিয়ে আসছে অথচ এখনও মানুষ মারা যাচ্ছে অক্সিজেন কিংবা সামান্য চার্জারের আলো-বাতাসের অভাবে। সরকারের একাধিক মন্ত্রী পালাক্রমে ২৪ঘন্টা তদারকি ডিউটি করছে তারপরও এই সামান্য জীবনদায়ী সামগ্রীর সংকট কাটছে না। এই অব্যবস্থাপনা, এই অপ্রতুলতা আমাদের হতাশ করে।



প্রত্যাশা ও দাবী-: একবার এক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কইসিলো সন্ত্রাসীরা মাডির নীচে লুকাইলেও মাডি খুইড়া ধরা হইবো! মাডির নীচে আট তলা খুইড়া অমরা জীবন্ত মানুষ উদ্ধার করতে পারি অথচ তিনদিন চইলা যাইচ্ছে রানাসহ রক্তচোষা গার্মেন্টস মালিকদের একজনরেও দেশের কোথাও থেইকে জীবিত অথবা মৃত উদ্ধার করা গেল না। রানারা যতই অন দা রান থাকুক উদ্ধারকর্মীদের মত সত্যোদ্যমী থাকলে ওদের উদ্ধার কি আদৌ কোন ব্যাপার ছিল?

৭২ ঘন্টা পর জীবিত উদ্ধারকর্মের সমাপ্তি হবে। একই আল্টিমেটাম যেন কার্য্যকারী হয় ওদেরও প্রতি যারা এই কাঠামোগত গণহত্যার জন্য দায়ী। না হইলে চানপুইরা মখারে পার্মানেন্টলি চান্দের দ্যাশে পাডানো হইবো ! আমগো চাঁনপুইরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মখা খাম্বাতত্ত্ব দিয়া এই দুর্যোগেও যে বিনুদন দিল তাতে অপরাধী ধরাতো দুরে থাক রানারা আরো বড় রানার হইবো; ম্যারাথন কিলিং চলতেই থাকবো। আমাগো লজ্জা নিবরণের জন্য হরতাল কিংবা হেফাজতের ফতোয়া পরোয়া না কইরা সেলাই দিদিমনিরা দিনমান পরিশ্রম কইরা যায়। আর আমগো রক্তচোষা, পোশাকী মালিকরা অতি মুনফালোভে ফি বছর ওদেরই হত্যা করে শ’ধরে।তবু মোগো লজ্জা হয় না!

জীবিত উদ্ধারের ৭২ ঘন্টা সময় শেষের মধ্যে যদি রানাসহ পোষাকী খুনি গার্মেন্টস মালিকগো সকলরে জীবিত অথবা মৃত গ্রেফতার করা না হয় তবে অপেশাদার এই উদ্ধারকর্মীদের নিয়ে অবৈধ বিজিএমই ভবন ভাঙনের দায়িত্ব লইবে শ্রমিক-কর্মী-আমজনতা

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২

রাকিব হাসান (সাব্বির) বলেছেন: ঙ্কে করে অক্সিজেন
দেওয়ার কথা ভাবছি আমরা,
এটা ব্যয়সাপেক্ষ, আর আটকদের
সবার হাতে পৌঁছানোও খুব
কঠিন। এরচেয়ে দোকান
থেকে একটা ব্লোয়ার কিনুন,
একটা সুতির গামছা আর
একটা দীর্ঘ ২ ইঞ্চি ব্যাসের
রবার হোস
নিয়ে সাভারে ধ্বংসস্তুপের
কাছে যান। ব্লোয়ারের সাকশন
সাইডে গামছাটা বাঁধুন,
এটা এয়ার ফিল্টারের কাজ
করবে।
ডেলিভারি সাইডে রবারের
হোসটাফিট করুন। হোসের
যে মাথা আটকদের
কাছে পৌঁছাবে, সেখানে ১ ফিট
পর পর সুঁই দিয়ে ছিদ্র
করে দিন তিন চারটা করে।
তারপরবাতাস ব্লো করুন
ভেতরে। এভাবে বাতাস
ব্লো করলে ভেতরে ধূলা উড়বে ন
ফ্রেশ বাতাস যাবে, বদ্ধ
বাতাস সরে যাবে।
বাতাসের ২১% অক্সিজেন।
ট্যাঙ্কে করে অক্সিজেন
দিতে হবে না। সেই
টাকা দিয়ে ওষুধ, ব্যান্ডেজ
এসব কিনে এনাম
হাসপাতালে দিন।

২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২

মোঃ_হাসান_আরিফ বলেছেন: সাভারে রানা প্লাজা বিপর্যয় ঘটার পর এপর্যন্ত আলোচিত উক্তি

লিংক
Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.