![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের পিতার প্রজন্ম -পরিবার, সমাজ কিংবা দেশের প্রতি যেভাবে দায়শোধ করেছেন তার সিকিভাগ দায়বোধ ও আমাদের মধ্যে নেই। তারা শুধু একটি স্বাধীন দেশেরই জন্ম দেয়নি তাদের হাত ধরেই জন্ম নিয়েছে শিক্ষিত বাঙালি মধ্যবিত্ত। আমার মায়ের হাতে ভাত খেয়েই আমার চাচা, চাচাতো ভাই-বোন, খালা ও মামারা মানুষ হয়েছে। বাপ-চাচারা শুধু নিজ পরিবারকেই শিক্ষিত করেনি গ্রামেও স্কুল, কলেজ তৈরী করেছেন সকলকে নিয়ে একসাথে সামনে এগুবে বলে।
আজকের বাংলাদেশে নব্য পুঁজিপতিরা প্রতিযোগিতায় নামছে মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মানে। মাদ্রাসা হতে হবে কওমী, মসজিদ হতে হবে আলিশান। আমার পটুয়াখালী বাসার তিনশ মিটারের মধ্যে তিনজন বিত্তবান নির্মান করছেন তিনটি মসজিদ। দুটির বাজেট কোটির উপরে। বেহেশতের শর্টকাট রাস্তা হিসেবে ঘুষখোর আমলাসহ ধর্মব্যবসায়ীরা কওমী মাদ্রাসা নির্মাণে বেশী আগ্রহী। অথচ এই কওমী মাদ্রাসাই বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের আতুর ঘর।
মুসলিম বিশ্বে ঈদের মৌসুমে মানুষ মূলত যাকাত ও দান খয়রাত দিয়ে থাকেন। অনেকের কাছে এটি বিত্ত-বৈভব প্রদর্শনের মওসুম। প্রকৃত যাকাতের পরিবর্তে যাকাত প্রদর্শনীতে ধর্ম ও সমাজের যে ক্ষতি হয় তার চেয়েও বেশী ক্ষতি হয় সেই অর্থ যদি ব্যয় রাষ্ট্রদ্রোহী কিংবা সমাজ সংহারি কোন কাজে। আমাদের দেশে যাকাতের বড় অংশই ব্যয় হয় মসজিদ, মাদ্রাসায়। কোন বেসরকারী স্কুল, কলেজ কিংবা সামাজিক সংগঠনে কেউ যাকাত দেয় বলে শোনা যায় না। দানশীলতার কারনে দুই জগতেই আপনি হয়তো মহৎ হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন কিন্তু অজ্ঞতার কারনে অপাত্রে দান মানবতাকে যদি কলুষিত করে সেই দায়ও কিন্তু আপনার। ঈদের খুশিতে উদার চিত্তে দানের আগে সেটাও একটু ভেবে দেখুন।
©somewhere in net ltd.