![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই যে ব্যাস্ততা বাড়ছে, এই যে নিকোটিন!জ্বালিয়ে দেয়া সিগারেটে ধোয়াচ্ছন্ন বেডরুমপ্রতিদিন ভাল্লাগেনার ছাই জমে এস্ট্রেতেব্যাস্ততার কালচে লাইটার, এই যে অলস ঘুম!এক কপি স্বপ্ন আসে সৌজন্য কপি হয়েসারারাত ঘুমিয়ে থাকি প্রচ্ছদে হাত বুলিয়ে।কাশাফাদৌজা নোমান
আজ আবারো তিন রকম ভাষার মুভি রিভিউ দিব, অবশ্যই হিন্দি বাদে। হিন্দি মুভি দেখতে খারাপ লাগে এটা আমি বলছি না, কিন্তু দাদাদের বর্ডার কিলিং, পানি পলিটিক্স ইত্যাদি কারনে আমি তাদের উপর বেশ বিরক্ত।
প্রথমেই ইউরোপের মুভি,এবং সবচাইতে আশ্চর্যের বিষয় মুভিতে যৌণতা বলতে কিছুই নেই।
জেলে থাকা অবস্থায় এক আরব কিভাবে গডফাদার হয়ে বেরিয়ে আসে তার গল্প নিয়ে সিনেমা এটি। আমার দেখা শশাঙ্ক রিডেম্পশন কে কিছু দিক থেকে হার মানিয়ে গেছে এই মুভি!
জেলে বসে মাফিয়া জগতে নিজেকে একজন ডন হিসেবে তৈরি করে ৬ বছর জেল খেটে বেরিয়ে আসে মালিক, সেই আরব যে জানেনা কিভাবে লিখতে হয়, সে জেলে ঢোকেই অপ্রাপ্তবয়ষ্ক বয়সে, সে জানেনা তার পিতা মাতা কে, সে জানে মাত্র দুটি ভাষা, ফ্রেঞ্চ আর আরবী, সে বড় হয় একটি চাইল্ড সেন্টারে যেখানে সে আরবী এবং ফ্রেঞ্চ দুটোকেই মাতৃভাষা হিসেবে জানে। জেলে এসে মাফিয়াদের কাছ থেকে শিখে নেয় কর্সিকান।
ফ্রান্সের জেলে বসে সে তৈরি করে নিজের ভবিষ্যত। শুরুতেই তাকে কাছে টেনে নেয় মাফিয়া ডন লাতারাচ্চি। বছরে একদিন করে প্যারোলে বের হয়ে সে অদ্ভুতভাবে নিজের ভবিষ্যৎ বিনির্মান করে। ফ্রেঞ্চ ভাষায় নির্মিত আরেক অসাধারন সিনেমা Un Prophete aka A Prophet, তাহির রাহিমির অভিনয় অস্কার পাওয়ার যোগ্য! ইউরোপের অন্যতম সেরা মুভি এটি, IMDB rating 7.9, আমার চোখ বুজে ৯!
সিনেমার শেষ দৃশ্য আপনার মনে দাগ কেটে থাকবে বহুকাল, কথা দিতে পারি!
ডাউনলোড লিঙ্কঃ
http://kickass.to/usearch/Un prophète/
দ্বিতীয়ত আসা যাক কোরিয়ান মুভিতেঃ
কিভাবে এই মুভির বর্ণনা শুরু করব আমার মাথায় আসছে না। কিছু কিছু কোরিয়ান মুভি হলিউডের মুভিকে টেক্কা দেয়ার যোগ্যতা রাখে, এই মুভি সে প্রতিযোগিতায় হলিউড থেকে এগিয়ে থাকবে।
মুভির নাম NO MERCY aka Yongseoneun Eupda (2010), IMDB rating 7.3 কিন্তু আপনি এই মুভিকে নির্দ্বিধায় ১০ দিতে পারেন, আমি দিয়েছি ৮।
নিষ্ঠুরতা, নির্মমতা, প্রতিশোধ কত ভয়ঙ্কর হয় এই মুভি দেখার আগে আপনার নিজের কাছে নিজের চিন্তা হার মেনে যাবে। একজন ফরেন্সিক এক্সপার্টের গল্প নিয়ে মুভি। কোন স্পয়লার দিতে চাই না, আপনি যদি মুভি দেখতে ভালোবাসেন, তবে এই মুভি না দেখা আপনার লাইফটাইম লস হবে।
নিজের স্বজনের প্রতি ভালোবাসা, আর সমাজের অবিচার মানুষকে কতখানি নির্মম করে তোলে তা এই মুভির বক্তব্য!
আমি ইন্সেডাইস দেখেছি, ওল্ডবয় দেখেছি, কিন্তু সব হার মেনেছে এই মুভিতে। শুধু একটা কথা আপনাকে বলতে পারি, মন অসম্ভব শক্ত না হলে এই মুভি দেখা আপনার উচিত হবে না, আপনার ভেতর তোলপাড় করে দেবে এই মুভি! আরলে ১০টা সিগারেট নিয়ে বসবেন, নচেত নিজেকে সামাল দেয়া টাফ হয়ে যাবে।
ডাউনলোড লিঙ্কঃ
Click This Link
এবার চলুন হলিউডে যাওয়া যাক, জেসন স্ট্যাথামের মুভি, হয়ত অনেকেই দেখে থাকবেন। প্রফেশনাল কিলার চেভ চেলিয়স কে মারাত্তক এক চাইনিজ পয়জন পুশ করা হয়, এড্রেনালিনের প্রভাবে সে উন্মত্ত হয়ে যায়, লস এঞ্জেলেস শহরের টক অফ দ্য টাউনে পরিণত হয় একদিনেই। বেচেঁ থাকার একটাই উপায়, অলয়েজ দৌড়ের উপর থাকতে হবে, মুভিতে সেকেন্ডের বিরাম নেই যেখানে উত্তেজনা নেই, একশন নেই!
প্রতি মূহুর্তে বেচেঁ থাকার জন্য একের পড় এক অঘটন ঘটাতে থাকেন স্ট্যাথাম, সব মিলিয়ে অসাধারন বিনোদন। মুভিতে প্রেম আছে বেশ উপভোগ্য করে, একটি দৃশ্যের জন্য মুভিটি প্যারেন্টাল কন্ট্রোলের জন্য যেতে পারে, বেচেঁ থাকার তাগিদে স্ট্যাথাম এর প্রেমিকা ইভের সাথে রাস্তায় সেক্স করার দৃশ্য!
ভায়োলেন্সে ভরপুর, বিনোদন মারাত্তক, এন্টিডোট খোজাঁর জন্য স্ট্যাথামের এই দূর্দান্ত অভিনয়, সেই সাথে হাস্যরসাত্নক কাজ দারুনভাবে উপভোগ্য করেছে মুভিটিকে।
মুভির নাম Crank (2006)
IMDB Rating 7, তবে আমি ৮ দিয়েছি।
ডাউনলোড লিঙ্কঃ
http://thepiratebay.se/torrent/4292574/
অথবা
Click This Link
প্রিয় পাঠক, আপনাদের কাছে অনুরোধ রইল মন্তব্যের ঘরে আপনার ভালোলাগার যে কোন সিনেমা (হিন্দি ব্যতীত যেকোন ভাষার) সাজেস্ট করে যাওয়ার জন্য। আমি চীরকৃতজ্ঞ থাকব আপনাদের কাছে।
ধন্যবাদ।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৭:৫৬
সানড্যান্স বলেছেন: ভাই কোরিয়ানটা দেখলে শেষে স্রেফ ভোদাই হয়ে যাবেন, স্রেফ ভোদাই!
পাস্ট দেখার ইচ্ছা রইলো।
ক্র্যাঙ্ক আর নাও ইয়ু সী মি এর ক্যামেরার কাজ আসলেই অসাধারণ।
প্রফেটে বাচাঁর আকুলতা থেকে ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার প্রাধান্য কিন্তু বেশী!
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভাল থাকুন, নববর্ষের শুভেচ্ছা!
২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৪৪
আউলা বাউল বলেছেন: ১ম দুইটা দেখতে হবে।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৫৮
সানড্যান্স বলেছেন: কোরিয়ান টা অবশ্যই দেখবেন!! ক্রেজী ব্লাডি মুভি এইটা!!!
৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৩৯
শাকিল ১৭০৫ বলেছেন: নো মার্সি টা দেখলাম ঐদিন! প্রতিশোধ যে কি নির্মম হতে পারে!! তা আমার কল্পনার বাইরে!
আমার দেখা অন্যতম সেরা মুভি এটা!!!
আপনার কথা ই ঠিক! মুভি দেখার সময় আমি গুনে গুনে ৮ টা সিগার শেষ করেছি !!
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫১
সানড্যান্স বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬
অথৈ সাগর বলেছেন: নো মার্সি আসেই অসাধারন মুভি।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫২
সানড্যান্স বলেছেন: নিঃসন্দেহে!!!
৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: প্রথমটাই অদেখা
ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে !
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:০৮
সানড্যান্স বলেছেন: একটু বেশী ই ইণ্টারেস্টিং!!!
৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: প্রোফেট অনেকদিন ধরেই দেখবো দেখবো করে দেখা হচ্ছে না। এবার দেখেই ফেলবো।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫৩
সানড্যান্স বলেছেন: হামা ভাই প্রোফেট বাদ দিয়ে পিয়েটা বাই কিম কি দুক দেখেন, সাইকোপ্যাথেটিক!!! আমি বেকুব হয়ে আছি!!!
৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০১
আমিনুর রহমান বলেছেন:
সবগুলোই দেখা ! নো মার্সি অসাধারণ ছবি !! ক্রাঙ্ক ভালো লাগেনি !
৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভাই নও মার্সি দেখা শেষ হৈসে দুই ঘন্টা আগে। এখনও মাথা হ্যাং হয়া আছে। তব্দা খায়া বৈসা রৈসি। বুঝলাম না এই মুভিটা এত আন্ডাররেটেড কেন। আমি ভয়ংকর শক খাইসি!
৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:২২
আমি সাদমান সাদিক বলেছেন: জেসন স্ট্যাথামের হোমফ্রন্ট (২০১৩) মুভিটা ভাল লেগেছে ।। তবে Crank দেখা হয়নি ।।
১০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:২৩
আমি সাদমান সাদিক বলেছেন: জেসন স্ট্যাথামের হোমফ্রন্ট (২০১৩) মুভিটা ভাল লেগেছে ।। তবে Crank দেখা হয়নি ।।
১১| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:৩৫
এম এম করিম বলেছেন: প্রফেট অসাধারন মুভি - বছরের অন্যতম সেরা। কিছু দুর্বলতা আছে, তবে এনার্জী এত বেশি যে সেটা ঢাকা পরে যায়। ভালো রিভিউ।
১২| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:৩৬
এম এম করিম বলেছেন: প্রফেট অসাধারন মুভি - বছরের অন্যতম সেরা। কিছু দুর্বলতা আছে, তবে এনার্জী এত বেশি যে সেটা ঢাকা পরে যায়। ভালো রিভিউ।
১৩| ১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৬:৫৭
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন: কোরিয়ানটা বাদে ২টাই দেখা ৷ প্রফেটে তাহির রাহিমির অভিনয় অসাধারণ লেগেছে ৷ সামাজিক প্রেক্ষাপটে শেষটা দেখতে ভাল লাগলেও কিছুটা বাস্তবতাবিহীন মনে হইছে ৷ তাহিরের গত বছরের ছবি পাস্ট দেখতে পারেন ৷ আর স্ট্যাথামের ম্যাডনেস অভিনয় crankকে ভিন্নতা দিয়েছে ৷ ক্যামেরা আনস্টপ ছিল পুরো ছবিতেই এটাও ক্রান্ক আরেক বৈশিষ্ট্য ৷ তবে দুটো ছবিতেই বাচাঁর আকুলতা প্রকট ছিল ৷
রিভিউ ভাল হইছে বাকীটা দেখার ঈচ্ছা আছে ৷