![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই যে ব্যাস্ততা বাড়ছে, এই যে নিকোটিন!জ্বালিয়ে দেয়া সিগারেটে ধোয়াচ্ছন্ন বেডরুমপ্রতিদিন ভাল্লাগেনার ছাই জমে এস্ট্রেতেব্যাস্ততার কালচে লাইটার, এই যে অলস ঘুম!এক কপি স্বপ্ন আসে সৌজন্য কপি হয়েসারারাত ঘুমিয়ে থাকি প্রচ্ছদে হাত বুলিয়ে।কাশাফাদৌজা নোমান
ইয়ম খামিস থেকে মোতামুটি ইয়ম আহাদ পর্যন্ত আমার উইকেন্ড। অবশ্য শনিবার রাতে একটা নাইট ডিউটি আছে! আপনাদের জন্য আরেকটা এপিসোড লেখার ট্রাই করতেসি! নানান জাতের মানুষের গল্প বলি|
ইজিয়াপ্সান দের সম্পর্কে বরাবর ই আমার ধারণা সুবিধার না, একজন মুরুব্বীর ইজিপ্সিয়ান দের সম্পর্কে অভিজ্ঞতা হল, একজন ইজিপ্সিয়ান যতক্ষন পর্যন্ত অন্য কারু ক্ষতি করতে পারছে না, ততক্ষন সে কিছু করতে পারছে না! এরা চোখে মুখে পোল্টি দিবে, ভয়াবহ দু মুখো সাপ!! আমাদের আহমেদ রমাদান, আপাতত ই আর চীফ, সে একদিন রাতে এক রোগীর চিকিতসা দিল না, আমি বহুবার বলার পর ও সে রাজি হল না, কারণ রোগী হালকা ড্রাঙ্ক ছিল, তার একটাই কথা, সে মাতালের ট্রিটমেন্ট করবে না, পরে আমি রোগী ম্যানেজ করে এসে দেখি আরেক রুমের দরজা জানলা আটকে ল্যাপটপে ভাইস সিটি খেলতেসে!!
আমরা প্রথম দু মাসের বেতন পাইসি চেকে, পরে ব্যাঙ্কে আসছে। একদিন সকাল বেলা জামিলা বলল সে চেক ক্যাশ করতে সিটিতে যাবে, তার হাতে কোন টাকা নাই, এদিকে শিরবিনীর ও নাকি যাওয়া লাগবে! শিরবিনী ইজিপ্সিয়ান, জামিলা সুদানী। বরাবরের মত পুরুষ জাতির জয় হল, শেষ বিকেলে জামিলা আমার দুহাত জড়ায়ে কান্নায় ভেংগে পড়ল, তার একটাই কথা, আমার সন্তান নিয়ে একজন অসহায় মহিলা, স্বামী সুদানে, শিরবিনী কি একটু দয়াও করতে পারল না?
ইন্ডিয়ান দের নিয়ে আমার ধারণা তেমন সুবিধার ছিল না, আমাদের আগের ই আর চীফ ছিলেন গজেন্দ্র দা! অমায়িক মানুষ, সব কিছুতেই সে একজন চমৎকার মানুষ, ভেজিটেরিয়ান, ব্রাম্মন, একাহারী, সারাদিন উইলস সিগারেট খাচ্ছে, গুটকা খাচ্ছে, খালি যত খ্যাসরামি টাকার বেলায়। একদিন বললাম সিটিতে যাব, সিটিতে লাইসেন্স না থাকলে ধরা পড়লে ফাইন, তাই বললাম খালি গাড়ি দিলে হবে না, সাথে যাইতে হবে, বলল নো প্রোবলেম, খালি বেনজিনের টাকা দিলে হবে! আমি দেশের মান রাখলাম, তেলের দাম তো দিলাম ই, ভরপেট খাওয়ায়েও আনলাম, শত হইলে বান্ধবী রাষ্ট্রের মানুষ!!
সুদানীদের নিয়ে দারুণ একটা কথা বলি। এরা অসম্ভব ভালো মানুষ। সুদান আর বাংলাদেশের মাঝে ব্যাপক মিল। যাইহোক, যখন কোন সুদানী এদেশে প্রথম আসে, সাথে সাথে স্থানীয় কম্যুনিটিতে যত সুদানী আছে, সবার সাথে তার পরিচয় হয়ে যায়, এবং যতদিন না পর্যন্ত সেই নতুন সুদানি কোন আয়ের ব্যবস্থা করতে না পারে, ততদিন ফুল কম্যুনিটি তাকে মাসে মাসে সবাই মিলে যে যা পারে টাকা ধার দিয়ে যাবে!
আরেক দিন গভীর রাতে, রাত প্রায় দুটো বাজে, আমি গজেন্দ্র আর ইঞ্জিনিয়ার ফারুক গভীর মরুভূমিতে এক পেট্রল পাম্পে দাড়াইছি, আউট অফ নো হয়ার বিকট চেহারার এক সুদানী এসে বলল, চা নাস্তা খাওয়াতে, আমি খুব অবাক হয়ে দেখলাম, ফারুক কোন কথা না বলে একে একে অর্ডার দিতে লাগল, খাওয়া দাওয়া শেষে, আবার গাড়ীতে উঠে আমি জিজ্ঞেস করলাম, ফারুক, তুমি ওই সুদানী কে চিন? বলল না, আমি বললাম, চিনো না, জানো হুট করে একটা লোক বলল, তুমি বিনা প্রতিবাদে রাজি হয়ে খাওয়ালে, কিছু বললে না? উত্তরে সে বলল-
ডা স্যাম, আ সুদানী, এনি হয়ার ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড, ইজ মাই ব্রাদার!
এতটা কনফিডেন্স, এতটা গর্ব আমি খুব কম দেখছি মানুষের মাঝে! হ্যাটস অফ ম্যান!
দ্য রিটার্ন অফ আরব্য রজনী, ০৩-০৩-১৪৩৮
ধন্যবাদ
২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:০৬
নিয়াম বলেছেন: হুগুরের জয় হোক। আরো চাই
৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৫০
যবড়জং বলেছেন: লেখা আর পাই না যে !
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১২
বলাক০৪ বলেছেন: চমৎকার লেখা এবং আপনার পর্যবেক্ষণ। আচ্ছা এই 'ইয়ম খামিস থেকে মোতামুটি ইয়ম আহাদ' বিষয়টি কি? বারের নাম না কি? আরব্য রজনীর লেখা জারি রাখুন।