![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কে? এই প্রশ্নের উওর খুজতেই আমার ২৩ বছর পেরিয়ে গেছে।
গতকাল ছিল ডুয়েটের সপ্তম বর্ষপূর্তি। রাজধানী ঢাকা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে এবং গাজীপুর শহর থেকে তিন কিলোমিটার উত্তরে ভাওয়াল গড় এলাকায় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) ক্যাম্পাস। এর পূর্ব দিকে শালবনের মনোরম দৃশ্য।
১৯৮০ সালে ১২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং হিসেবে যাত্রা। ১৯৮৩ সালে ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নামে গাজীপুরের বর্তমান ক্যাম্পাসে স্থানান্তর। এরপর ১৯৮৬ সালে বিআইটি ঢাকা এবং সর্বশেষ ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। বলছিলাম ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) কথা।গেল ১ সেপ্টেম্বর এই একই দিনে অবশ্য দেশের আরও তিনটি বিআইটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। সেগুলো হলো খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)।
বর্তমানে ডুয়েটে তিনটি অনুষদের অধীনে নয়টি বিভাগ রয়েছে। এখানে স্নাতক পর্যায়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া হয়। আগামী এক বছরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন (আইপি), আর্কিটেকচার ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নামে নতুন তিনটি বিভাগ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
দেশের পাশাপাশি নেপাল ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা এখানে অধ্যয়ন করছেন। দুই হাজার শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছেন দেড় শতাধিক শিক্ষক। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি থাকলেও হরতাল কিংবা অন্য কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয় না এখানে। তাই শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় না সেশনজটের দুষ্টচক্রে। এখান থেকে পাস করে দক্ষ প্রকৌশলী হয়ে দেশে-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন তাঁরা। ধূমপানমুক্ত এ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দেয়াললিখন ও পোস্টারিং সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের সিলেবাস নিয়মিত সংশোধন, পরিমার্জন ও সংযোজন-বিয়োজন করা হয়। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সারা দিন যন্ত্র নিয়ে পড়ালেখা করলেও মনের খোরাক জোগাতে অবসরে বিভিন্ন সৃজনশীল কাজ করেন শিক্ষার্থীরা। আর এ জন্য ক্যাম্পাসে রয়েছে বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। সেই সঙ্গে ইংরেজি ও প্রযুক্তি জ্ঞানে আরও বেশি দক্ষ হওয়ার জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা ক্লাব।
উপাচার্য অধ্যাপক এম সবদার আলী জানান, এখানে শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ থাকলেও অবকাঠামোগত নানা সমস্যা রয়েছে। এর মধ্যে আবাসনসমস্যা, ক্যাম্পাসের আয়তন-সংকট, কক্ষস্বল্পতা অন্যতম। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডুয়েট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
ডুয়েটের সাত বছর পূর্তি উপলক্ষে ডুয়েটের সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদরে অভিন্দন জানাচ্ছি।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:২১
সুন্দরী গাধা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:২৮
রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৩৩
সুন্দরী গাধা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৩১
ভাবের অভাব বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম।