![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সানমুন আহমেদ
ক্রেতাদের আস্থা বাড়ছে রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের কার হাটে।
কাগজপত্র যাচাইয়ের ঝামেলা নেই কার হাটে। রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউর কারহাটের কর্তৃপক্ষ এমন দাবি করলেন। শুরু থেকে হাটে কেনাবেচা কম থাকলে বছরে এখন আয় হচ্ছে প্রায় ৮থেকে ১০ কোটি টাকা। পছন্দের পুরনো গাড়ি কিনতে এই হাটে ভিড় করছেন ক্রেতারাও।
প্রতি শুক্রবার রাজধানীর মানিকমিয়া এভিনিউর রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বসে এই কার হাট। এখানে নতুন-পুরনো সব মডেল ও ব্র্যান্ডের বাহারি রঙ আর আকর্ষণীয় ডিজাইনের গাড়ি প্রদর্শন করা হয়। দামও ক্রেতার হাতের নাগালে। দরকষাকষি তেমন জামেলা নেই এই হাটে।গাড়ির মূল্য ও গাড়ির সম্পর্রকে সব কিছু গাড়িতে লেখা থাকে।।এছারা গাড়ির আগ্রহী পরিবার দীর্ঘ সময় নিয়ে দেখে শুনে পছন্দের গাড়িটি কেনারও সুযোগ পান এখান থেকে। এই হাটের বিশেষত্ব হচ্ছে হাটে বিক্রি হওয়া সব ধরনের গাড়ির কাগজপত্রই হাট কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। ফলে গাড়ি কিনে ক্রেতাদের প্রতারিত হওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে।
কার হাট আয়োজক কমেটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি শুক্রবার সকাল ৮টা ৩০ মি. থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বসে এই কার হাট। প্রতি সপ্তায় প্রায় ছয় থেকে থেকে অাটটি গাড়ি বিক্রি হয় এই কার হাটে থেকে।
রাজধানীর মানিকমিয়া এভিনিউর রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কার হাট সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন মডেল ও বিভিন্ন দামের পুরনো গাড়ির চার থেকে ছয় সারিতে সাজিয়ে বসেছেন গাড়ি বিক্রেতারা। আর ক্রেতাদের ভিড় ও লক্ষ্য করা গেছে অনেক। ক্রেতারা এক গাড়ি থেকে আরেক গাড়ি দেখতে ও দরদাম করতেও লক্ষ্য করা গেছে। আবার অনেকেই এসেছেন কার হাট ঘুুরে দেখতে। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে চলছে এই কার হাট।
পুরান ঢাকার ওয়ারি থেকে আসা একজন ক্রেতা ওয়ালিদ হোসেন ফাহিম বলেন,অামার গাড়ি অাছে।অামি এই কার হাটে অাসার প্রধান কারন এই হাটে অনেক ব্র্যান্ডের গাড়ি হাতের নাগালেই পাওয়া যায়।তাছাড়াও গাড়ির কাগজ পত্র হাট কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে দেয়া হয় বলে প্রতারণার শিকার হতে হয় না। সে আরো বলেন, ব্র্যান্ডের একটি গাড়ি কেনার কথা ভাবছেন ।এখানে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকায় ভালো গাড়ি পাওয়া সম্ভব এই কার হাট থেকে। তাই হাট ঘুরে দেখছেন ও পছন্দ অনুযায়ী দরদামে হলে আজই গাড়ির বায়না করার কথা ভাবছেন তিনি।
হাটে গাড়ি বিক্রি করতে এসেছেন জাহিদুল ইমলাম, তার সাথে কথা হলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, কার হাটে গাড়ি বিক্রি করে টাকা পেতে কোনো ঝুট-ঝামেলা পোহাতে হয় না। আর ছুটির দিনে এখানে হাট বসায় অনেক কাস্টমার পাওয়া যায়। যার কারণে গাড়ি দরদাম করে বিক্রয় করা যায়।
হাটে কোন ধরনের গাড়ি বেচা কেনা হয় জানতে চাইলে কার হাট লিমিটেড এর সি.ও.ও ওমর ফারুক যুগান্তরকে বলেন, এখানে প্রায় সব ব্র্যান্ডের গাড়ি বেচা কেনা হয়। তবে টয়োটা ব্র্যান্ডের গাড়িই বেশি বিক্রি হতে দেখা যায়। হাটে গাড়ি বিক্রি করতে হলে বিক্রেতাকে বুকিং করতে হয় বুধবার সকালের মধ্যে। আর বুকিং নেয়া হয় পান্থপথে অবস্থিত কারহাটের অফিস থেকে। প্রতিটি গাড়ির বুকিং বাবত ৪শ’ টাকা দিতে হয় কার হাটকে। আর হাট থেকে ক্রেতাদের ক্রয় করতে হলে শুক্রবার হাটেই গাড়ির বায়না করে রাখতে হয়, সেক্ষেত্রে গাড়ির মালিক বায়নার ৫% টাকা কার হাটকে দিতে হয়। পরে কার হাটের কর্তৃপক্ষ রবিবার গাড়ির যাবতিয় কাগজ ঠিক আছে কিনা জানতে পাঠায় বিআরটিএ অফিসে। কাগজ পত্র ঠিক থাকলে সোম থেকে বৃহসপতিবারের মধ্যে টাকা প্রেমেন্ট করতে হয় ক্রেতাদের। টাকা প্রেমেন্ট হলে ক্রেতাদের কাছে গাড়ি পৌছে দেয়া হয়।এছারাও কার হাট সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান
বর্তমানে ব্যক্তিগত ভাবে অনলাইনে বা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে গাড়ি বিক্রির হিড়িক লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্রেতারা প্রতারণার শিকার হচ্ছে। কারণ যে গাড়ি অনলাইনের মাধ্যমে ক্রেতা ক্রয় করেন সেই গাড়ির কাগজ পত্র যাচাই বাছাই করার ক্ষেত্রে অনেকেই পারদর্শী না। ফলে কোন গাড়ি চুরি হওয়া কিংবা গাড়িতে আগের মামলা রয়েছে কিনা, এসব অনিয়ম বোঝার ক্ষমতা থাকেনা অনেকের পক্ষেই। ফলে বিক্রেতা গাড়িটি ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করে টাকা পয়সা নিয়ে ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলেযায়। এছাড়াও পত্রিকায় গাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রির ক্ষেত্রেও এমনটা লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু কারহাটের মাধ্যমে কেনা বেচা হলে গাড়ির কাগজ পত্র যাচাই বাছাই সহ কোনো ধরনের অনিয়ম আছে কিনা এসব দায়দায়িত্ব নিয়ে সম্পূর্ণ নির্ভেজাল ভাবে কার হাট ক্রেতার কাছে পুরাতন গাড়ি হস্তান্তর করে আসছে বলে জানান তিনি।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোনো গাড়ি বিক্রি হয়ে গেলে বিক্রয় মূল্যের ওপর কিছু কমিশন দিতে হয় কারহাট কর্তৃপক্ষকে।
কার হাট
২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:২৯
সুমন কর বলেছেন: যাদের প্রয়োজন তাদের উপকার হবে।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৭
নগরীকে ভালোবাসি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: পুরান কোনো কিছু কেনা আমার পছন্দ না।