![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সানমুন আহমেদ
পুরান ঢাকার নবাবপুরের মদনমোহন অন্নছত্র ট্রাষ্ট ৯৫ বছর ধরে দুপুরে বিনা মূল্যে খাবার খাওয়াচ্ছে ।এক দিনের জন্য ও থেমে নেই তাদের এই আয়োজন। সকল ধর্মের লোক এই ট্রাষ্ট এর পক্ষ খেকে প্রতিদিন দুপুরের খাবার খেয়ে থাকেন।এখানে জাত ধর্ম নয়,ক্ষুধায়ই প্রধান বিষয় এই ট্রাষ্টের।
১৯২৪ সালে নবাবপুরের মদনমোহন পালের তিন ছেলে রজনীকান্ত পাল,মুরলীমোহন পাল ও প্রিয়নাথ পাল তাদের বাবার নামে অন্নছত্র ট্রাষ্ট গঠন করেছিলেন বলে জানান,বর্তমানে ট্রাষ্ট এর ম্যানেজার শিবুল চক্রবর্তী।তখনকার সময় দেশের খাদ্য সংকট দেখা দিয়ে ছিলো।পূর্বে মদনমোহন পালের ছেলেরা দেখেছে প্রজাদের প্রতি বাবার ভালোবাসা।মদনমোহন কখনো চায়নি তার প্রজারা অনাহারে থাকুক।তিনি নিজেও প্রজাদের মাঝে মাঝে খাওয়াতো।
বাবার এই আশা পূরন করার জন্য তার ছেলেরা এই ট্রাষ্ট তৈরী করেন।কখনো যেন বিনা মূল্যে খাবার বন্ধ না হয় সে জন্য তখনকার সময় তাদের নয়টি বাড়ী ট্রাষ্ট এর নামে লিখে দেয়।সেই নয়টি বাড়ী এখন নয়টি মার্কেট এ পরিনত হয়েছে।যার আয় দিয়ে ৯৫ বছর ধরে এক দিনের জন্য থেমে নেই এই ট্রাষ্ট এর বিনা মূল্যে খাবারের আয়োজন।এখানে যিনি ক্ষুধার্থ সেই খেতে পারবেন ।কোন জাত ধর্মের বেপার নেই এই ট্রাষ্টের।
সরেজমিন পুরান ঢাকার মদনমোহন অন্নছত্র ট্রাষ্ট এ সকাল ১১ টার দিকে গেলে দেখা ,ট্রাষ্টের সেবক গন রান্না শেষ করে তৈরী হচ্ছে মেহমানদের দুপুরে খাওয়ানোর জন্য।এখানে আশা সকল মেহমানরা দুই সারি করে বসে আছে সারিবদ্ধ হয়ে খাবারের জন্য।তাদের চোখে মুখে খুবই আনন্দ দেখাচ্ছে এখানের খাবার খাবে বলে।
মো: রফিক নামে এক বয়স্ক লোক ২০ বছর ধরে এখানে দুপুরের খাবার খেয়ে আসছে বলে জানান যুগান্তর এর কাছে।এখানের খাবার খুব ভালো লাগে তার কাছে।কোন রকম সমস্য হয় না এখানে খেতে।যারা আমাদের খাবার দেয় তারা খুব ভালো ভাবে আমাদের প্রতিদিন খাওয়ায়।
নবাবপুরে একটি মার্কেটে লেবারের কাজ করেন বরিশালের জসিম।আগে টাকার জন্য দুপুরে সবসময় খেতে পারতেননা ।বর্তমানে দীর্ঘ দিন ধরে এই ট্রাষ্ট থেকে নিয়মিত দুপুরের খাবার খাচ্ছেন তিনি।এছারা তার কাছে এখানের অন্য জায়গার খাবারের থেকে খুব ভালো।
সন্ধা দও পনের বছর ধরে খেয়ে আসছে এই ট্রাষ্ট এ।বিভিন্ন উৎসবে এখানের খাবারে তালিকা পরির্বতন হয় বলে জানান তিনি।মাঝে মাঝে মন্ডা –মিষ্টান্ন খেকে শুরু করে হরেক রকম ফল খাওয়ায় এই ট্রাষ্টে।সবার সাথে এখানে এক সাথে খেতে আমার ভিষণ ভালো লাগে।
এখানের প্রধান বাবুর্চি স্বপন চক্রবর্তী যুগান্তরকে জানায় এই ট্রাষ্ট এর আগে একটা মন্দীর এর রান্না করতাম।আমার হাতের রান্না করা খাবার সবই প্রশংসা করে।পরে ট্রাষ্ট এর ম্যানেজার এখানে আমাকে নিয়ে এসেছে বাবুর্চী হিসেবে।দশ বছর ধরে আছি এখানে। এছারা তিনি জানান,প্রতিদিন ৩৫ কেজি চাল,১মণ সবজি ও ৬কেজি ডাল রান্না করা হয় এখানে খেতে আসা মেহমানদের জন্য।এখানে আসা সবাইকে ভালোভাবে রান্না করে খাওয়ানোর জন্য এক দল সেবক সব সময় কাজ করে থাকে।কে কোন ধর্মের এগুলো এখানে নেই। আমার মতে মানব সেবাই হলো বড় ধর্ম।
ট্রাষ্ট
২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৪
নগরীকে ভালোবাসি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই .
২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:৫৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রশংসনীয় উদ্যোগ অবশ্যই।
অন্নদানের মতো পূন্য আর কিসে!
উদ্যোক্তাদের জন্য অন্তহীন শুভকামনা আর প্রার্থনা।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৩
নগরীকে ভালোবাসি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৩৯
নাহিদ০৯ বলেছেন: বাহ্। খুব সুন্দর উদ্যগ। কিন্তু পনেরো বছর ধরে টানা খাওয়ার কারন দেখি না। ২-৩ দিন বা সপ্তাহ খাবার জোগাড় নাই হতে পারে।
তবে বিষয় টা যে একদম মন থেকে ভালোলাগার একটা জিনিস তা অকপটে বলা যায়।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৫
নগরীকে ভালোবাসি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১০
রাজীব নুর বলেছেন: গ্রেট।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০
নগরীকে ভালোবাসি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৪৫
শহিদুল ইসলাম মৃধা বলেছেন: ধন্যবাদ কর্তৃপক্ষকে।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৫১
নগরীকে ভালোবাসি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮
বাংলার মেলা বলেছেন: নিশ্চয়ই তাদের কোন ডোনার আছে এবং তাদের কোন উদ্দেশ্য আছে। সেটা পরিষ্কার করলে ভাল হত। এ্যাপল কম্পিউটার্সের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস ছাত্রাবস্থায় ইস্কন মন্দিরে রাতের খাবার ফ্রি খেতেন। ফলশ্রুতিতে তার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিতে বিপুল সংখ্যক ভারতীয়ের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। বিশ্বের যে কোন দেশের চেয়ে ভারতীয়েরা ১০-২০% কম খরচে আইফোন ও ম্যাকবুক ব্যবহারের সুযোগ পান।
৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩১
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ইসলাম বলে,
একজন ভালো মুসলমান হওয়ার আগে একজন ব্যক্তিকে আগে ভালো মানুষ হতে হবে।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৫২
নগরীকে ভালোবাসি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:০৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বলেন কি! এটা তো জানা ছিল না। ছাত্র জীবনে কলেজে কত কষ্ট করেছি। টাকার অভাবে দুপুরে লাঞ্চ করতে পারিনি।