নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতার প্রেমে অক্ষরের সঙ্গে শুরু হয়েছিল ঘরবসতি। এখন আমি কবিতার; কবিতা আমার। শব্দচাষে সময় কাটাই...
দৃশ্যপট: ০১
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩। আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ের বিপক্ষে ফাঁসির রায় চেয়ে শাহবাগে একত্রিত হয় একদল মানুষ। প্রথমে অল্প কিছু মানুষ একত্রিত হয়। মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। ধীরে ধীরে শাহবাগে মানুষ একত্রিত হতে থাকে। একসময় জনসমাবেশে রূপ নেয় শাহবাগের অবস্থান। শাহবাগ অবরোধের দিন ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। এই অবস্থানের নাম হয়ে যায় গণজাগরণ মঞ্চ। রাস্তা বন্ধ। জনভোগান্তি চলছে। আদালত অবমাননা তো ছিলোই। কিন্তু পরিস্থিতি এমন ছিলো যে এই গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে নেগেটিভ কিছু বলা মানেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী হয়ে যাওয়া। গণজাগরণ মঞ্চের বিপরীত ভাবনা মানেই রাষ্ট্রদ্রোহী হয়ে যাওয়া। এমন একটা চৈন্তিক বন্দিত্বের কাল চলছিল।
ধীরে ধীরে এইসব গণজাগরণ মঞ্চ রাজধানী থেকে জেলা শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। দিন যায়। সপ্তাহ যায়। মাস যায় গণজাগরণ মঞ্চের শেষ আর হয় না। ওদিকে ননঅ্যাপিলেড রায় আইন বদলে অ্যাপিলেবল হয়ে আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় দেয় আদালত। তখন অবশ্য আদালত এবং আওয়ামীলীগের কেউ এটাকে আদালত অবমাননা বলেনি। রাস্তা বন্ধ নিয়ে সরকার কোন আলাপ করেনি। বরং এই আন্দোলনকে সরকার নিজেই জিয়ে রাখতে শুরু করে। বাংলাদেশ অবাক হয়ে দেখে আদালত ও সরকার বিপক্ষে সরকারি আন্দোলন।
এই গণজাগরণ মঞ্চ রাষ্ট্রের ভেতরে আরেকটা রাষ্ট্র হয়ে উঠে। সরকার ও মিডিয়ার আনুকূল্য পেয়েও তারাও বিভিন্ন গণবিরোধী দাবী করতে থাকে। দেশ জনতার জন্য বিভিন্ন নির্দেশও তারা দিতে থাকে। তারা জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার দাবী জানায়। জামাতের প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের দাবী জানায়। ইসলামী ব্যাংকে হামলা চালায়। পাশাপাশি তারা ধর্মভিত্তিক রাজনীতিও নিষিদ্ধ করার দাবী জানায়। তারা জামাত, ধর্ম ও মাদরাসাকে গুলিয়ে ফেলে।
পুরো দেশ তখন জিম্মি দশায়। বাম-আওয়ামী ব্লেন্ডেড এক উগ্র ন্যারেটিভে সকল এন্টি আওয়ামী শিবির কোনঠাসা হয়ে যায়। মিডিয়া এবং আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের এপ্রোচের কারণে গণজাগরণ মঞ্চ তো দূর কি বাত; সরকারে বিপক্ষে কিংবা ন্যায্য কোন দাবি দাওয়া নিয়েও রাজপথে নামার সব পথ বন্ধ হয়ে যায়। মানুষের আবেগ আর চেতনার ন্যারেটিভ নিয়ে আওয়ামীলীগ আরেকটা বাকশালের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল এই শাহবাগের কাঁধে ভর করে।
বিএনপি কথা বলতে পারছিলো না নির্বাচন নিয়ে। জামাত কথা বলতে পারছিলো না তাদের নেতাদের মামলা নিয়ে। অন্য কোন রাজনৈতিক দল কথা বলতে পারছিলো না আওয়ামীলীগের অপরাজনীতি নিয়ে। বরং একটা শাহবাগের অনুমতির মুখাপেক্ষী হয়ে গিয়েছিল পুরো রাজনৈতিক অঙ্গন। ফাঁকা রাজপথ। বিরোধী দলহীন অনুকূল আন্দোলন। বামপন্থা ও আওয়ামী পন্থার পলিটিক্যাল মিথস্ক্রিয়া। এইসব মিলিয়ে রাজনীতিহীন একদলীয় একটা বাংলাদেশ তৈরির সকল আয়োজন তখন সম্পন্ন। নয়া বাকশালের দিকে বাংলাদেশ।
দৃশ্যপট: ০২
পুরো মিডিয়া ও সরকার যখন শাহবাগের অনুকূলে। দৈনিক আমার দেশ তখন সত্য বলার হিম্মত নিয়ে ওয়ানম্যান আর্মির মতো কথা বলে চলছিল। ইনকিলাব ও নয়া দিগন্তও বলার চেষ্টায় ছিলো। সেই সময়ে যেসব ব্লগারদের নেতৃত্বে এই গণজাগরণ মঞ্চ তাদের পেছনের আমলনা বের হতে থাকলো। যেগুলোকে তারা নাস্তিকতা, মুক্তচিন্তা কিংবা বিজ্ঞানমনস্কতা বলে চালাতো। যদিও সেগুলো কোনভাবেই নাস্তিকতা, মুক্তচিন্তা কিংবা বিজ্ঞানমনস্কতা বলার সুযোগ ছিলো না। এসব ছিলো স্পষ্টত ইসলাম বিদ্বেষ এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে বুদ্ধিবৃত্তিকতার নামে বুদ্ধিহীন গুণ্ডামি।
রাজীব হায়দার নামের 'থাবা বাবা' ছদ্মনামের ভয়ঙ্কর নোংরামিপূর্ণ আমলনামা আমার দেশ ছাপিয়ে দেয়। সঙ্গে ইনকিলাবও ছাপে। ধীরে ধীরে সেলাই করা মুখগুলো কথা বলার সুযোগ পায়। মানুষ সংক্ষুব্ধ হতে থাকে। আওয়ামীলীগ ও বামেরা তাদের প্রচারণা চালাতেই থাকে। কয়েকটা পত্রিকা ছাড়া বাকি সবাই গণজাগরণ মঞ্চের গুণাগুণ গাইতেই থাকে। একটা অন্যায় অবস্থান ও আদালত অবমাননাকে কোনভাবেই তারা অবৈধ ও অন্যায় বলতে রাজি না।
দৃশ্যপট: ০৩
পুরো দেশের জামায়াত পছন্দ করা, আলেম পছন্দ করা ও বাম-আলীগ অপছন্দ করা মানুষগুলো অবগুণ্ঠিত হয়ে যায়। আলেমদের ফাঁসি। রাজনীতিহীনতা। একদলীয় বাংলাদেশ যখন চূড়ান্ত। ঠিক তখনই নতুন আলোর প্রত্যাশা উঁকি দেয়। বাংলাদেশের আলেম সমাজ জেগে উঠতে থাকেন। চট্টগ্রামের হাটহাজারি মাদরাসার এক বর্ষীয়ান আলেমেদীন শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে আলেমগণ কর্মপরিকল্পনা শুরু করেন।
বাংলাদেশের মানুষ হাঁফ ছেড়ে বাঁচার একটা উপলক্ষ পায়। নাস্তিক ও ইসলাম বিদ্বেষীদের বিচারের দাবী নিয়ে অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম সক্রিয় হয়। ধীরে ধীরে সারা দেশের সংক্ষুব্ধ মানুষ হেফাজতের মিছিল মিটিংয়ে নামতে থাকেন। যে জামাত বিএনপি কোনঠাসা হয়ে প্রায় বাকহীন ছিলো তারাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে মাঠে নেমে আসেন হেফাজতের পেছনে। ধীরে ধীরে হেফাজতের আন্দোলন দানা বাঁধতে থাকে।
লংমার্চ:
০৬ এপ্রিল ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচী দেয়। এক এগারোর পরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই লংমার্চ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। যখন কোন রাজনৈতিক দল রাজপথে নামার সুযোগ অথবা সাহস পেতো না; তখন অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম রাজপথ কাঁপিয়ে দেয়।
প্রত্যক্ষ দর্শীদের মতে ঢাকার মানুষ অতীতে কখনও এতো মানুষের সমাবেশ দেখেনি। এই লংমার্চের বিপরীতে আওয়ামীলীগ, তাদের দোসর এবং গণজাগরণ মঞ্চ এমন কোন পদক্ষেপ বাকি রাখেনি যাতে মানুষ ঢাকা না আসতে পারে। আমির হোসেন আমু ও শাহরিয়ার কবিররা গজারির লাঠি দিয়ে হেফাজতকে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছিল। গণজাগরণ মঞ্চ বাইশ ঘণ্টার অবরোধ ডেকেছিল। ঘাদানিক বাইশ ঘণ্টার হরতাল দিয়েছিল। বিভিন্ন স্থানে লংমার্চ কারীদের আটকে দিয়েছিল। যেখানেই আটকে দিয়েছিল সেখানেই আন্দোলনকারীরা সমাবেশ করেছিল। চট্টগ্রামের বাসগুলো আটকে দিলে চট্টলার বীর জনতা ওয়াশা মোড়ে সমাবেশ করেছিল।
সেদিন যদি সরকারি অবরোধ, হরতাল ও প্রতিরোধ না চলতো তাহলে জনমানুষের চাপে ঢাকা অচল হয়ে যেতো। মানুষ তাদের ক্ষোভ ও অস্বস্তির চূড়ান্ত প্রদর্শন করেছিল ছয় এপ্রিলের লংমার্চে।
ঢাকা অবরোধ:
আওয়ামীলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ ঔদ্ধত্য ভরে বললেন, "হেফাজত লেজ গুটিয়ে চট্টগ্রাম চলে গেছে।" দাবী আদায় না হওয়ায় হেফাজত ০৫ মে ২০১৩ তারিখে ঢাকা অবরোধের কর্মসূচি দেয়। ঢাকা প্রবেশের আটটি পয়েন্ট অবরোধ করবে হেফাজত। এরপরে নানা ঘটনার ভেতর দিয়ে সেই অবরোধ শাপলা চত্বরের সমাবেশে রূপান্তরিত হয়। এই অবরোধেও আওয়ামীলীগ হরতাল, অবরোধ ও বাধার রাজনীতি করে। মানুষ যে যেভাবে পেরেছে এমনকি পায়ে হেঁটেও ঢাকা এসেছিল সেই দিন।
সকাল থেকে পল্টন এলাকা পুলিশের অতি উৎসাহের কারণে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। যদিও আট পয়েন্টে অবরোধের কথা ছিলো; তবুও পল্টন কেনো রণক্ষেত্র হলো সকাল থেকে সেই প্রশ্ন আজও রহস্য হয়েই আছে।
এরপর যা ঘটেছে বাংলাদেশের প্রতিটি সচেতন মানুষ সেই ইতিহাস জানেন। জানেন আওয়ামী নৃশংসতার কথাও। হেফাজত শাপলা চত্বরের সমাবেশকে অবরোধে রূপান্তরিত করে রাতে অবস্থানের সিদ্ধান্ত নেয়।
সৈয়দ আশরাফ বলেছিলেন, "আমাদের সরলতাকে দুর্বলতা ভাববেন না, রাতের মধ্যেই আপনারা ঘরে ফিরে যাবেন এবং ভবিষ্যতে আপনাদের আর ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হবে না"।
এরপর রাতের গণহত্যা। হেফাজত তাদের অসংখ্য কর্মী হারায়। আহত হয় অগণিত মানুষ। মামলা, হামলা ও গ্রেফতারে বিপর্যস্ত হয়ে উঠে হেফাজতের নেতা কর্মীগণ। মানবাধিকার সংস্থা অধিকার ৬৩ জন শহীদের তালিকা দিয়েছে। আল্লামা শাহ আহমদ শফীর খাদেম হাসান আনহার ৮০ জনের একটা তালিকা তৈরি করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে শহীদের সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি হবে।
সেদিন যদি বাংলাদেশের সবগুলো রাজনৈতিক শক্তি হেফাজতের পাশে দাঁড়াতো তাহলে বাংলাদেশের ইতিহাস ভিন্নভাবে লেখা হতো। বেগম খালেদা জিয়া যদি তার নেতাকর্মীদের প্রকাশ্যে নির্দেশ না দিয়ে ফোনে ও মেসেজে হেফাজতের পাশে থাকার নির্দেশ দিতেন তাহলে হয়তো ইতিহাস অন্যরকম হতে পারতো।
ভাস্কর্য বিরোধী আন্দোলন:
তেরো সালের হেফাজতের গণহত্যার পরে মানুষ ভেবেছিলো মাদরাসা ভিত্তিক রাজনীতি মনে হয় এখানেই শেষ। এমনকি মাদরাসার মানুষদের কেউ কেউ আলেম উলামাদের বিপক্ষে জনমত গঠনের চেষ্টা করেছে। কিন্তু ভাস্কর্য বিরোধী আন্দোলনে আবারও জনতা মাঠে নেমেছে। তা-ও আবার আওয়ামীলীগের সবচেয়ে বড় প্রতীক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন।
মোদী বিরোধী আন্দোলন:
মুজিব বর্ষে বাংলাদেশে আমন্ত্রিত হোন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র দামোদর মোদী। বাংলাদেশের জনগণ গুজরাটের এই কসাইয়ের আমন্ত্রণ এবং আগমণের বিরোধিতা করে। আন্দোলন শুরু হয় দেশের বিভিন্ন জায়গায়।
বায়তুল মোকাররম, হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণ বাড়িয়ায় পুলিশ সরাসরি গুলি চালায়। সেই গুলিতেও শহীদ হোন অনেক কর্মী। দৈনিক ইনকিলাবের তথ্য মতে সতেরো জন শহীদ ও পাঁচ শতাধিক আহত হয়েছিলেন একুশের এই আন্দোলনে।
এই আন্দোলনগুলোতে বাংলাদেশের শীর্ষ আলেমগণের প্রায় সবাই গ্রেফতার হোন এবং জেল কাটেন।
সুদূর অতীতের ফ্ল্যাশব্যাক:
বৃটিশ শাসনের বিরুদ্ধে উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস দীর্ঘ। অগণিত বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়েছে। ব্যর্থ হয়েছে অনেকের লড়াই। কেউ কেউ জীবন দিয়ে অমর হয়ে রয়েছেন। কেউ কেউ বিশ্বাস ঘাতকতা করে চিরঘৃণিত হয়ে আছে। আমরা যদি ইংরেজ বিরোধি আন্দোলনের ক্রনোলজিকে সাজাই তাহলে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের একটা সিনোপসিস পেয়ে যাব।
১৭৫৭ সাল:
২৩ জুন পলাশীর প্রান্তরে প্রহসনের যুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা এবং ছলচাতুরির মাধ্যমে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে পরাজিত করে ইংরেজ শাসকরা ভারতবর্ষে তাদের উপনিবেশের সূচনা করে।
১৭৬৪ সাল:
বকঘারের যুদ্ধে মীর কাশিম, অযোধ্যার নবাব সুজা-উদ-দৌলা ও দিল্লীর পলাতক বাদশাহ শাহ আলমের যৌথবাহিনী পরাজিত হয় ইংরেজদের কাছে।
১৮০০ সাল:
ফকির মজনু শাহ ও ভবানি পাঠকের ফকির ও সন্ন্যাসী বিদ্রোহ।
১৭৯৮-৯৯ সাল:
মেদিনীপুর ও বাঁচুড়ার চুয়াড় বিদ্রোহ। ১৭৯৯ সালে বড়লাট ওয়েলেসলি চুয়াড় বিদ্রোহের নেতাদের ফাঁসি দিয়ে বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণ করে।
১৭৯৩ সাল:
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হয়। রাজস্ব আদায়ের সুবিধার জন্য বড়লাট কর্নওয়ালিস সমগ্র বাংলা প্রেসিডেন্সিতে প্রবর্তন করেন নতুন ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত। মেহনতী চাষীর সর্বনাশ হয়ে এক ধরনের ভূঁইফোড় জমিদার গোষ্ঠীর জন্ম হয় এই আইনে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছিল সর্বত্র।
১৭৯৯ সাল:
পিতা হারদার আলী ও পুত্র টিপু সুলতানের ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামে দক্ষিণ ভারতে ইংরেজের সাম্রাজ্য বিস্তারের পথে প্রধান বাধা হয়ে উঠে। এক সেনাপতির বিশ্বাসঘাতকতায় রাজধানী শ্রীরঙ্গপত্তনের দখল নেয় ইংরেজরা। বীরের মতো লড়তে লড়তে রণক্ষেত্রেই শহীদ হন টিপু সুলতান।
এভাবে ১৭৯৯-১৮০১ সালে পলিগার বিদ্রোহ, ১৮১৭-২৫ সালে উড়িষ্যার পাঠক অভ্যুত্থান, ১৮২৪-৩০ সালে কিট্টরের রানী চান্নাম্মা ও সাঙ্গোলির রায়ান্নার বিদ্রোহ, ১৮২৪-২৫ মধ্যভারতের বুন্দেলখণ্ডে ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে হিন্দু-মুসলমান চাষীদের বিদ্রোহ, ১৮৩৯ থেকে ১৮৪৫ সাল পর্যন্ত সমগ্র গুজরাটে সংঘটিত হয় বোল বিদ্রোহ, ১৮৪৫ সালে মহারাষ্ট্রের সামন্তওয়াড়ি ও কোলাপুরে বিদ্রোহ, ১৮২৯-৩৩ সালে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের মেঘালয়ের অধিবাসীদের খাসী বিদ্রোহ, তেমনই ১৮৩০-১৮৩৩ সালে ছোটনাগপুরের উপজাতি অঞ্চল জুড়ে আদিবাসী বিদ্রোহ, ১৮৫৫ সালে সাঁওতাল বিদ্রোহ, ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহ, ১৮৫৯-৬০ সালে নীল বিদ্রোহ, ১৮৭২ সালে কুকা বিদ্রোহসহ একাধিক ইংরেজ বিরোধী বিদ্রোহ ও স্বাধীনতা সংগ্রাম সংগঠিত হয়।
১৮৪৭-১৮৭০ সাল:
এই সময়টাতে ওয়াহাবি আন্দোলন নামে একটি আন্দোলন ভারতে প্রভাব বিস্তার করে। শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী ও তাঁর পুত্র আব্দুল আজিজ মুহাদ্দিসে দেহলভীর মাধ্যমে ভারতে ইসলামের যে সংস্কার আন্দোলন শুরু হয় তাকে ইতিহাস ওয়াবি আন্দোলন বলে আখ্যায়িত করে। এই আন্দোলনের সূত্র ধরেই আব্দুল আজিজ ও তাঁর শাষ্য সৈয়দ আহমদ ভেরেলভী ভারতকে দারুল হরব ঘোষণা করে ফতোয়া জারি করেন।
১৮২৭ সাল:
মীর নিসার আলী তিতুমীর শুরু করে ইংরেজদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার লড়াই। ১৮৩১ সালে কর্নেল স্টুয়ার্টের আক্রমণে তিতুমীরে নারিকেলবাড়িয়ার বাঁশের কেল্লার পতন হয়।
১৮৩১ সাল: ০৬ মে মানশেরা জেলার বালাকোটে মহারাজা রঞ্জিত সিং ও সাইয়েদ আহমাদ বেরেলভী বাহিনীর মধ্যে বালাকোটের লড়াই হয়। বেরেলভী রাহ: শিখদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে বালাকোটে একটি দূর্গ স্থাপন করেছিলেন। শাহ ইসমাইল দেহলভি এবং ৬০০ উপজাতির সাথে তিনি ভোরে শিখদের আক্রমণ করেন। যুদ্ধ চলে সারাদিন। শিখ সৈন্যরা শেষ পর্যন্ত সাইয়েদ আহমাদ বেরেলভীকে শহীদ করে এবং তার শত শত অনুসারীকে হত্যা করে।
১৮৪২ সাল:
ফরায়েজি আন্দোলন শুরু করেন হাজি শরীয়তুল্লাহ। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র দুদু মিয়া এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন।
এছাড়াও ইংরেজ বিরোধী লড়াইয়ে মাওলানা ফজলে হক খায়রাবাদী, মওলানা বেলায়েত আলী, মওলানা ইয়াহহিয়া আলী, মওলানা জাফর থানেশ্বরী, মওলানা আহমদুল্লাহ, মওলানা মুহাম্মদ হোসাইন আজিমাবাদী, মওলানা ওবায়দুল্লাহ সিন্ধী, শায়খুল হিন্দু মওলানা মাহমুদুল হাসান, মওলানা শাববীর আহমদ ওসমানী, মওলানা হোসাইন আহমদ মাদানী, মওলানা আজাদ সোবহানী, মওলানা হাসরাত মুহানী, মওলানা আতাউল্লাহ শাহ বুখারী, মওলানা আবদুল্লাহিল বাকী, মওলানা আবদুল্লাহিল কাফী, পীর দুদু মিঞা, পীর বাদশাহ মিঞা, মওলানা রুহুল আমীন, ফুরফুরার পীর মওলানা আবুবকর সিদ্দিক, শর্শিনার পীর মওলানা নেছারুদ্দীন সাহেব, মওলানা আবদুল হামীদ খান ভাষানী প্রমুখ আলেমের নাম সর্বাগ্রে স্মরণীয়। এই লড়িয়ের শেষে এসে, বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকের শেষভাগ হতে যে বহু ইংরেজী শিক্ষিত মুসলিম নেতা এ সংগ্রামে শরীক হয়ে একে অধিকতর জোরদার করে তুলেছিলেন, তাদের মধ্যে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য।
আমরা যদি দেখি আযাদী আন্দোলনের সূচনা থেকেই আলেমগণের অবদান ছিলো উল্লেখযোগ্য। দেওবন্দ প্রতিষ্ঠাও ছিলো স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য সৈনিক ও পরিবেশ তৈরির জন্যই।
বৃটিশ বিরোধী লড়াইয়ে মঙ্গল পাণ্ডে, নেতাজি সুবাস চন্দ্র বসু, ক্ষুদিরাম ও প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের নামও ইতিহাসের পাতায় লিখা থাকবে।
এতোগুলো লড়াই,বিদ্রোহ ও সংগ্রামের পরে ১৯৪৭ সালে আসে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। পৃথিবীর মানচিত্রে নতুন করে ঠাঁই করে নেয় ভারত ও পাকিস্তান নামের দুটি দেশ।
দূর অতীতের ফ্ল্যাশব্যাক:
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয় পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান নামের বারো শো কিমি দূরের দুটি ভূখণ্ড নিয়ে।
যদিও ধর্মীয় আবেগ ও প্রয়োজনের দিক থেকে দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয় তবুও দুইটি ভূখণ্ডের মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক ঐক্য স্থাপিত হয়নি সেইভাবে।
ফলে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন। আগরতলা মামলা। উণসত্তরের গণঅভ্যূত্থান। সত্তরের নির্বাচন। ছয় দফা। সত্তরের নির্বাচন। ক্ষমতা প্রদানে পশ্চিম পাকিস্তানের ডার্টি গেম। সবকিছু মিলিয়ে একাত্তরের লড়াই।
সাতে মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ। পঁচিশে মার্চের কালরাত। ২৬ মার্চে জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা। নয়মাস লড়াই। ষোল ডিসেম্বরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রের অভ্যুদয়।
নিকট অতীতের ফ্ল্যাশব্যাক:
স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয় ১৯৮২ সালের ২৪শে মার্চে যখন রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যূত করে সেনাপ্রধান লে: জে: হুসাইন মুহাম্মাদ এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণ করে সামরিক শাসন জারি করে।
১৯৮৩ ও ১৯৮৪ সালে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গড়ে উঠা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের মিছিলে সেনাবাহিনীর হামলায় জাফর, জয়নাল, কাঞ্চন, দীপালী সাহা সহ অনেক শিক্ষার্থী নিহত হয়।
এরপর ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ এরশাদ বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে। ১৯৯০ সালের দশ অক্টোবর জেহাদ নামে একজন শিক্ষার্থী পুলিশের গুলিতে শহীদ হন। জেহাদের লাশকে কেন্দ্র করে তৎকালীন সক্রিয়তা সকল ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে উপস্থিত হয়। ২৪টি ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে গড়ে উঠে 'সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য'।
দীর্ঘ নয় বছর আন্দোলনের পর ১৯৯০ সালের ৪ ডিসেম্বর পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে ৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয় স্বৈরশাসক এরশাদ।
দীর্ঘ ফ্ল্যাশব্যাকের পরে--
গতো দের দশকে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও আওয়মী-ভারত রেজিমের বিরুদ্ধে আপামর বাংলাদেশের মানুষের লড়াই চলছিলো তীব্রভাবে।
২০১৩ সালের হেফাজতের আন্দোলন। একই সময়ে ২০১৩ সালে ৬ জুন থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত কোটা বিরোধী আন্দোলন। ১১ এপ্রিল ২০১৭ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গণে ন্যয়বিচারের প্রতীক গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে গড়া একটি ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে আলেমদের আন্দোলন। ২০১৮ সালে ৮ জুলাই শুরু হয়ে ২৯ জুলাই শেষ হওয়া কিশোর কিশোরীদের নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন। ২০২০ সালে ঢাকার ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতায় নভেম্বরের শেষের দিকে শুরুর হয় ভাস্কর্য বিরোধী আন্দোলন। এই আন্দোলনে সরকার আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, মাওলানা মামুনুল হক ও সৈয়দ ফয়জুল করীমের নামে মামলা দায়ের করে। ২০১৮ সাল ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত ফের কোটা বিরোধী আন্দোলন। ২০২১ সালে মোদীর আগমণ বিরোধী আন্দোলন। এরপর ২০২৪ সালে জুলাই মাসে কোটা বিরোধি পুণান্দোলন। সরকার খামখেয়ালি। পুলিশের গুলি। নয় দফা। এক দফা। সব শেষে ০৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ ও শেখ হাসিনার পতন।
কেনো এই দীর্ঘ ইতিহাস:
প্রতিটা আন্দোলনেই আমরা দেখছি শুরু থেকে একাধিক আন্দোলন একাধিক মোটিভে শুরু হয়। কিন্তু সবগুলো লড়াই, আন্দোলন ও বিদ্রোহ সত্য-সুন্দর-স্বাধীনতার জন্যই।
আমরা এখানে যে দীর্ঘ ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত পাঠ দেখে আসছি সেখানে ভালো করে খেয়াল করলে দেখবো চূড়ান্ত আন্দোলনের আগে প্রায় সবগুলো ইনিশিয়েটিভই দমন করা হয়েছে। আন্দোলনকারীরা আপাত দৃষ্টিতে পরাজিত হয়েছেন। তাই বলে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে নেহেরু, জিন্না, শাববীর আহমদ উসমানী, মাওলানা আবুল কালাম আযাদ প্রমূক শেষ সময়ের তথা স্বাধীনতা লাভের সময়ের নেতাদের পূর্বসূরী কোন নেতাকে উপেক্ষা করার সুযোগ নাই। দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের লড়াইয়ে যে রেভাবেই ইংরেজ বিরোধিতা করেছেন সবাই স্বাধীনতা সংগ্রামের অংশ।
ঠিক তেমনইভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের যে লড়াই ভাষা আন্দোলনের শহীদদের রক্তের শপথে শুরু হয়েছিল সেখান থেকে একাত্তরের আগে যারা আন্দোলন করেছেন জীবন দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের সফলতার পর তাদের অবদান কখনও অস্বীকার করা সম্ভব না। যদিও একক কৃতিত্ব শেখ মুজিবুর রহমানকে দিয়ে আওয়ামীলী অনেকের অবদানকেই মাটিচাপা দিতে চেয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে একাত্তরের আগের এবং বঙ্গবন্ধু ছাড়া আর কাউকেই যেনো স্বীকার করার দায় নেই কিছু মানুষের।
নব্বইয়ে এরশাদের নয় বছরের শাসন শেষ করার গণআন্দোলনেও আমরা এমন একটা ঘটনার পরম্পরা ও আন্দোলনের ঘটনা প্রবাহের ক্রনোলোজিই দেখতে পাবো ইতিহাসের পাতায়।
আজ এই চব্বিশ সালে এসে যখন আমরা স্বৈরাচার তাড়িয়ে একটা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে চাইছি তখন যদি দীর্ঘ পনেরো বছরের লড়াই সংগ্রামে যারা অত্যাচার জুলুম নির্যাতন সয়েছেন, যারা জেল কেটেছেন, যে পরিবারগুলো পিতা হারা, সন্তান হারা, ভাই হারা, স্বামী হারা এবং স্বজনহারা হয়েছেন তাদেরকে উপেক্ষা করি, তাদের অবদান স্বীকার না করি তাহলে আরেকটা বৈষম্যের শাসনই শুরু হবে। আবারও একটা ইতিহাস বিকৃতির শুরু হবে।
তাই আজকের এই সফল আন্দোলনের পরে হেজতের প্রতি বাংলাদেশের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। হুজুররা কোথায় ছিলেন এতোদিন এই প্রশ্ন আসলেই বরং বৈষম্যের নতুন মাত্রা শুরু হবে।
আশা করি দীর্ঘ দের যুগের লড়াইয়ে হেফাজত, বিএনপি, জামাতসহ যারাই যেভাবে স্বৈরতন্ত্র ও আওয়মী-ভারত রেজিমের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম জারি রেখেছেন সবাইকেই যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা দিলেই কেবল আজকের বিজয় ফলপ্রসূ হবে।
হেফাজতের কিছু কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছে নেতৃত্বে। ক্ষমতাহীন একটা অরাজনৈতিক আন্দোলনে কিছু অস্বস্তি থাকতেই পারে। কিন্তু যে অবগুণ্ঠন ভেঙ্গে তেরো সালে মানুষের কথা বলা ও রাজপথে নামার অধিকার হেফাজত ফিরিয়ে এনেছিল তার কৃতিত্ব তাকে না দিলে আমরা অকৃতজ্ঞ এবং ছোট মনের একটা জাতি হিসেবেই ইতিহাসে চিত্রিত হবো।
আসুন হেফাজতের প্রতি কৃতজ্ঞ হই। হেফাজতকে হেফাজত করি আগামী কোন দুঃসময়ের জন্য।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫২
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: "প্রতিটি মানুষের মনোজাগতিক অন্ধকারের তীব্রতা তার অন্তর্জালিক সক্রিয়তায় অনুভব করা যায়।"
২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৯
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
কামাল১৮ না পড়েই কমেন্ট করেছে
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫১
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০৮
জুল ভার্ন বলেছেন: সঠিক অবজার্ভেশন।
সুপান্থ সুরাহী আপনি কেমন ছিলেন? ব্লগে কি নিয়মিত ছিলেন?
শুভ কামনা।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৮
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইজান।
আমি ছিলাম আলহামদুলিল্লাহ। তবে নিয়মিতই হুমকি ধামকির ভেতর দিয়ে গেছি। ব্লগে নিয়মিত ছিলাম না। মিম্বরে আর মাঠে নিয়মিত ছিলাম। ফেসবুকেও নিয়মিত ছিলাম। আপনি কেমন ছিলেন। আপনার মুক্তির খবর পেয়েছিলাম। কিন্তু যোগাযোগ করার সুযোগ পাইনি। এখন কেমন আছেন?
৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমার লেখাটা সত্যিই ভালো লাগলো। আল্লাহ হেফাজতে ইসলামকে হেফাজত করবে। আমিন।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫২
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৫
কামাল১৮ বলেছেন: ৫০১