নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুরেশ কুমার দাশ

সুরেশ কুমার দাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জনগণ বনাম সরকার

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯



কখনও কখনও জনগণ হচ্ছে রাষ্ট্রের বিভ্রান্ত অংশ। তাদের বিভ্রান্তির মূল কারণ তাও সরকার। এ কারণে কল্যাণমুখী সরকারকে জনগণকে বোঝাতে হয়। দক্ষ সরকার ব্যবস্থাপনা থাকতে হয়। জনগণের বিভ্রান্তির কারণ কোন কোন সরকার ব্যবস্থাপনা। কিংবা রাষ্ট্রে সুশাসনের ধারাবাহিকতা বিঘিœত হওয়া। জনগণকে বিভ্রান্তির জালে ফেলে দেয়ার মূল অংশ হচ্ছে সেই সব সরকার ব্যবস্থাপনা যারা সরকার পরিচালনার নামে ভয়ঙ্কর অসৎ উদ্দেশ্য লালন করে। যা জনগণের কারণে নির্বাচিত হয়। এ জনগণ হচ্ছে তারাই যাদের কারণে তারা অর্থাৎ জনগণ বিভ্রান্তির শিকার হয়। জনগণ জানে না উদ্দেশ্য মূলক সন্ত্রাসীরা আসলে কি ধরনের হয়। অর্থনৈতিক হিসাব ছাড়া পৃথিবীর কোথাও কোন সীমান্তের প্রয়োজন হতো না। যদি জনগণকে বিভ্রান্তকারী সরকারগুলো না থাকত। পৃথিবীতে ইতিমধ্যে মানবিক শাসন কায়েম হবার কথা ছিল। হয়নি একপক্ষ তথাকথিত সরকার অন্যদিকে তাদেরকে সমর্থনকারি জনগণ। সরকারের সব ব্যবস্থাপনা হয় জনগণের নাম দিয়ে। কিন্তু সেই জনগণও জানে না সরকার আসলে কি করছে। পৃথিবীর বহু জায়গায় ধর্মের নামেও রাষ্ট্র আছে। কিন্তু তারাও একত্রিত হতে পারেনি। সুতরাং আমাদের বুঝতে হবে ধর্ম কতটা কার্যকর। ধর্ম যদি রাষ্ট্র ব্যবস্থার সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয় তাহলে তা আর ধর্ম থাকে না। ধর্মও একটা রাজনীতি। ধর্মকে সরানো সম্ভব হলেও রাষ্ট্র ও রাজনীতি আরও নিরাপদ হবে। দ্রুত রাষ্ট্র ও রাজনীতি থেকে সমাধান আসবে। ধর্ম ছিল। কিন্তু তাদের চেষ্টার পরও কোন সমাধান তারা দিতে পারেননি। সুতরাং মানুষের চাওয়া পাওয়া ধর্মের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যারা ধর্ম পড়েছে তারা জানেন এ সময়ে ধর্মটা কতটা কার্যকরি। যারা ধর্মের নামে ভক্তিপূর্ণ গদ গদ করে তারা কেউ ধর্মের কথায় পেটে ভাত দিতে পারে না। মৌলিক অীধকার খুঁজতে রাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের কাছে আসে। সুতরাং ধর্ম কেন বা কী কারণে এখন এটা এ সমাজ ও জনগণ বোঝে না। যদিও তাদের মধ্যে ধর্ম একটা ঐতিহ্য বা বিভ্রান্তি ছাড়া কিছু নয়। যেখানে কিছু লোক বোকার মত পড়ে থাকে। এটার নামে জিগির তুলে। তারা মনে করে ওটাই তার চেতনা। বাস্তবে মানুষের চেতনার জায়গাটা হচ্ছে তার পরিবার ও সমাজ। এটাকে বড় পরিসরে সহযোগিতা করতে পারে রাষ্ট্র। এখান থেকেই মানুষের উত্থান। পরিবার ও সমাজকে ডিঙ্গিয়ে মানুষ ধর্মকে প্রধান্য দেয়। পরিবার বলতে তাদের ইউনিটি। সব পরিবার ও সমাজ মানুষকে মঙ্গলের পক্ষে ধাবিত করে না। কিন্তু কারা মঙ্গলের পক্ষে ধাবিত করে তাদের বাছাই করা দরকার। সেটা করতে ব্যর্থ রাষ্ট্র- পৃথিবীতে সর্বত্র সব জায়গায়। একজন ওবামা আর একজন বুশ একই অর্থ নয়। সেখানে ব্যক্তি মানস আছে। আমেরিকা একটি সমাজ কিংবা রাষ্ট্র। কিন্তু সেখানে ব্যক্তিগত মানসিকতা কাজ করে। ব্যক্তি তার উৎকৃষ্ট শিক্ষাকে কাজে প্রয়োগ করে। ব্যক্তিকে উৎকৃষ্ট চিন্তা করতে হয় সামাজিক বিভ্রান্তির কারণে। সামাজিক বিভ্রান্তি তৈরি হয় সমাজে উদ্দেশ্যবাদী সন্ত্রাসীদের কারণে। এই উদ্দেশ্যবাদী সন্ত্রাসীদের দমন করতে না পারলে পৃথিবী স্থিতিশীল হবেনা। হয়তো এ কারণেই ওসামা লাদেনকে কোন বিচার ছাড়াই খুন করা করলেও পৃথিবী কোন প্রতিবাদ করেনা। যদিও এটা কোন কোন বিচারের আওতায় হয়নি। বিচারের আওতায় হয়নি কারণ সম্মিলিত মানুষ বিচারের প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করে নি। তাদের বিচারের কাঠামোতে ডাকা হয়নি। বিচারের একটা বড় সংজ্ঞা হচ্ছে বৃহত্তর মানুষের মতামতই বিচার। কিন্তু এটা কি হতে পারে? কারণ বৃহত্তর মানুষও অন্যায় অবিচার করে পার পেতে পারে। সব কিছুর সমাধান এক করতে চাইলেও পৃথিবী থেকে যারা বিদায় নিয়েছে অন্যায় অবিচারের শিকার হয়ে তাদের কাছে ক্ষমা পাওয়া সম্ভব হবেনা। ক্ষমা না পেলেও যাদের তারা রেখে যান তাদের জন্য বিচার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা দরকার। অন্যায়কারিদের আমূল ধ্বংস করা কঠিন নয়। এতে অর্থনৈতিক লাভ হবে। সাম্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা সফল হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধি সত্যি সত্যি জবাবদিহি করতে বাধ্য হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.