![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খালেদা জিয়া ভাবছেন নিজামী, গোলাম আজম সাকা গংদের কাছ থেকে তার আঁচলের গিট খুলে নিবেন কিনা। মধুর পিরীতির সম্পর্ক। এটা অল্প স্বল্প কোন পিরীতির সম্পর্ক নয়। দীর্ঘ জীবনের সম্পর্ক। তার স্বামীর দল বিএনপির সঙ্গে যেমন তেমনই অচ্ছেদ্য বন্ধন এটি। এই অচ্ছেদ্য বন্ধন তৈরি করেছেন জিয়া। আজ যদি বিএনপি সেই সম্পর্ক ত্যাগ করতে চায় তাহলে বিএনপির কি মৃত্যু হবে। কারণ শত পরিপুষ্টু অবস্থায়ও জিয়াউর রহমান এ সম্পর্ক ত্যাগ করেনি। কেন করেনি। কি কারণে করেনি- এটার গভীর বিশ্লেষণ দরকার। এটা না করার কারণ বিএনপি কি বিএনপির জন্য সৃষ্টি হয়েছিল। নাকি জামাতের জন্য সৃষ্টি হয়েছিল। যাতে বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাতাস প্রবহমান রাখা যায়। বিএনপির অনেক সুযোগ ছিল জামাতের সঙ্গ ত্যাগ করার। কিন্তু তখন তারা তা করেনি। আজ কি তাই করবে। আমরা যারা এটা ভাবতে চেষ্টা করি বা বিএনপিকে একটা মধ্য ডান পন্থি দল মনে করি। তারা কি আসলে তাই। তাই যদি হবে তবে তারা কখন কি বাংলাদেশের জনগণের দাবিকে সম্মান দিয়েছে। জিয়ার আমল থেকে এদেশে পাকিস্তান ভাবাদর্শের যে রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে তা এদেশকে বস্তুত দ্বিধাবিভক্ত করে রেখেছে। যা প্রকৃতপক্ষে এদেশের গণচেতনার পরিপন্থী। গণচেতনার পরিপন্থী বলেই আজ মানুষ জেগে উঠেছে। কারণ শেষ পর্যন্ত তারা আওয়ামী লীগের কাছ থেকেও আশানুরূপ সমাধান পায়নি। কাদের মোল্লার বিচার জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। মোল্লার ফাঁসির দাবি নিয়ে যখন বিশাল জনগণ রাজপথে নেমেছে তখন বিএনপি এক এক দিন এক এক ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে তাদের আন্দোলন সম্পর্কে। এবং সর্বশেষ আজকের প্রতিক্রিয়ায় মনে হচ্ছে আন্দোলনকারিদের গা ঘেঁষতে চাচ্ছে তারা। তাদের আজকের বক্তব্য অন্যদিনের থেকে পৃথক। যদিও আন্দোলনকারি সমঝে চলতে চায় তারা বাস্তবে তাদের মূল অবস্থান ঠিক রেখেছে। প্রথম আলো থেকে তুলে ধরছি তাদেও কথা ‘বিচারকের নিজস্ব মূল্যায়ন, যুক্তিতর্ক ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে স্বাধীনভাবে রায় ঘোষণা করতে না পারলে মানবতাবিরোধী অপরাধের সমগ্র বিচার প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আবার এ আন্দোলন নিয়ে শঙ্কিত তাই বলছে রাজনৈতিক ঘরানার ব্যক্তিদের হাতেই শাহবাগের আন্দোলনের নেতৃত্বকে কুক্ষিগত করার প্রয়াস চলছে। ‘বহুদলীয় গণতন্ত্রকে রক্ষা এবং অব্যাহত রাখতে ’ নতুন প্রজন্ম একটি বলিষ্ট ভূমিকা গ্রহণ করবে বলেও আশা করছে দলটি। আসলে আন্দোলনকারিদের সমঝে চলার কথা বললেও তাদের অবস্থান কিন্তু পাল্টায়নি।
বিএনপির এ প্রতিক্রিয়ার প্রতিক্রিয়ায় একজন পাঠক লিখেছেন এই মাত্র মাছের কাটা ছাড়িয়ে মাছ খেতে বসেছি। এখন আর পায়েসের লোভ দেখিয়ে লাভ নেই। আর একজন পাঠক লিখেছেন দয়া করে আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করতে গিয়ে জনগণের বিরোধিতা করবেন না। এভাবে সাবধান করার অর্থ ভোট দিক আর নাই দিক বিএনপির প্রতি এদেশের বৃহত্তম অংশ ভোটাদের বা জনগণের সমর্থন আছে। জনগণের এ সমর্থন বিএনপির উপর থাকলেও কিন্তু বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে জনগণের সঙ্গে রাজনীতি করছে। এটা এতই পরিস্কার যুদ্ধাপরাধীদেও বিচারের ব্যাপাওে কিন্তু তারা তাদেও অবস্থান পরিস্কার করেনি। তবু বিএনপিকে বিশ্বাস কওে অনেকে। কিন্তু বিএনপির রাজনৈতিক ভূমিকা কি বিশ্বাসযোগ্য ছিল। এদেশের জনগণ এটা কতটা বিচার বিশ্লেষন করেছে। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি করার জন্য শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে দেশদ্রোহিতার মামলা নিয়ে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। সেদিন জাহানারা ইমাম তার শেষ খোলা চিঠিতে লিখেছেলেন-দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক-মুক্তিযোদ্ধা-ছাত্র-নারী-যুবশক্তি-নারীসমাজ সহ দেশের সর্বস্তরের মানুষ এ লড়াইয়ে আছে। তবু আমি জানি জনগণের মতো বিশ্বস্থ কেউ নয়। শহীদ জননীর এ বিশ্বাস আজ বিফলে যায়নি। বিএনপি আজ তাদের সর্ব আনুগত্য দিয়ে সেদিন এ মহিয়ষী জননীকে যে অপবাদে মামলা দিয়েছে তা কখনও ক্ষমার যোগ্য নয়। এটার প্রধান কারণ হচ্ছে বিএনপির সেই রাজনৈতি কুটচাল।
বিএনপি সেই বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্ম দিয়েছে- যার কারণে আজ বাংলাদেশের মানুষের রাষ্ট্র চেতনা এতই দ্বিধা বিভক্ত যে ৪২ বছর পরে একটা অপশক্তির বিরুদ্ধে জনগণকে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। বিএনপির এক অংশ মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাচ্ছে তারা মুখ খুলতে পারছে না। তবু এ দলটির দুই জন নেতা বুক চেতিয়ে মানুষের এ নান্দনিক জাগরণের পক্ষে সহমত পোষণ করেছেন। সাদেক হোসেন খোকা আর সেনা কর্মকতা মাহবুবুর রহমান। কিন্তু আর কারো সাহস নেই তাদের মধ্যে। এ দলের নেতা কর্মিদের সামনে এমন কি আদর্শ আছে তারা দেশের মৌলিক চেতনার পক্ষে কথা বলতে পারে না দলের বাইরে গিয়ে। সেই আদর্শ কি প্রকারান্তরে শাহবাগের চেতনার পরিপন্থি নয়।
২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২১
নতুন ব্লগ বলেছেন: "জনগণের এ সমর্থন বিএনপির উপর থাকলেও কিন্তু বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে জনগণের সঙ্গে রাজনীতি করছে।" এইটা কিন্তু ঠিক বলেন নি। রাজনীতি করছে আওয়ামী লিগ। "ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি করার জন্য শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে দেশদ্রোহিতার মামলা করছে বিএনপি।" তো ভাইজান আওয়ামী লিগ কি করছে ১৯৯৬-২০০১ এ। এইসব ফালতু না বলে বিচারের কথা বলেন। বিএনপি কে টানতাছেন কেন। রাজনীতি বাদ দেন, বিচার চান। তরুণ প্রজন্মের ক্রিতিত্ব চুরি করতে বাধা দেন।
৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩২
এস এইচ খান বলেছেন:
টয় বয় বলেছেন:
বিএনপি নিয়া তোমার এত চুলকানী কেন?? তুমি আগে ভারতের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন কর তার পর কথা কইও
===কিসের সম্পর্ক ছিন্ন!! গত কাল প্রথমালুর সংবাদে দেখলাম গান্ডুশ্তানের ব্যাংকে টাকা রাখার ব্যবস্হা সহজ কইরা দিছে
তা দাদা আপনাকে বলছি, এই সরকার কোর্ট বসিয়েছে, প্রসিকিউশনের ব্যবস্হা করেছে, বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছে, সেই বিচারপতি রায় দিয়েছেন! এখন সে রায় যারা মানছে না তাদের দাবী ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী মেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন।
এখানে বিরোধী দলকে টানাটানি না করলে কি আপনাদের রুপী পেতে কোন সমস্যা হয়
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৩
টয় বয় বলেছেন:
বিএনপি নিয়া তোমার এত চুলকানী কেন?? তুমি আগে ভারতের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন কর তার পর কথা কইও|