নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুরেশ কুমার দাশ

সুরেশ কুমার দাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামী ওলামালীগ কী বসে বসে আঙ্গুল চুষছে

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৩





জামাতি মোল্লাদের ধর্মযুদ্ধ চলছে! আজ সারা দেশে তারা মসজিদ দখল করে তাণ্ডব চালিয়েছে। এ ধর্মযুদ্ধের বিপক্ষে সরকারের আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের অবস্থান পরিস্কার। কারণ এটা যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর অপচেষ্টা।

যুদ্ধাপরাধের ফাঁসি দাবি করার কারণে ইসলামের যদি ক্ষতি হয় সেটা আওয়ামী লীগ বা অন্য মুসলিমদেরও আহত বোধ করার কথা। কিন্তু এখন আহত বোধ করছে জামাতি মোল্লারা। এজন্য তারা সংঘবদ্ধ হয়েছে অন্য ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে। সরকার বলছে ধর্মভিত্তিক দল নয় জামাত ইসলামির রাজনীতি আইন করে বন্ধ করার কথা। এজন্য ইসিকেও অনুরোধ করা হয়েছে।

এ প্রক্রিয়ায় না হলেও অন্য পদ্ধতিতে এ দলটির রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হবে আশা করছি শিগগিরই। কারণ যুদ্ধাপরাধে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য জামাতের রাজনীতি বন্ধ করার জন্য ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণা করতে পারে। এরকম দাবি ও ভাবনার প্রেক্ষিতে জামাতকে যুদ্ধপারাধের দায়ে বিচারের মুখোমুখি করার কথাও আসছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য হিটলারের নাজি পার্টির রাজনীতিও বন্ধ করা হয়েছিল বলে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন। জামাতের রাজনীতি বন্ধ করার জন্য এটাই সবচেয়ে যৌক্তিক পন্থা।

তবে ইসলাম রক্ষার নামে দেশে যখন জামাতের তাণ্ডব চলছে তখন আওয়ামী লীগের ওলামা লীগ বসে বসে যেন আঙ্গুল চুষছে। দেশের জাতীয় মসজিদটি জামাতিরা দখলে রেখে তাণ্ডব চালাচ্ছে। যাতে কোন ছল ছুতায় আবার সরকারের বিরুদ্ধে ইসলাম বিরোধী প্রপাগাণ্ডাটা জোরদার করা যায়। জামাত যখন এভাবে নেমেছে মাঠে তখন আওয়ামী লীগ কেন তার ওলামা লীগকে ঘরে বসিয়ে রেখেছে সাজগোছ করে। তারা অন্তত জাতীয় মসজিদে নামাজ আদায় করতে যেতে পারেন। যেমন জামাতের মোল্লারা গিয়েছে আজ জুমার নামাজ আদায়ের নাম করে। ওলামা লীগের লোকজন ওখানে গেলে পরিস্থিতি অবলোকন করতে পারতেন। জামাতিদের সবকিছু স্বচক্ষে দেখতে পারতেন। এমনকি জামাত যখন একান্তই ধর্মযুদ্ধ করছে সেটা ওলামা লীগের মোল্লাদের সঙ্গেই হত। বিষয়টি যৌক্তিক ভাবেও মোকাবেলা করা যায়।

আর জামাতের তাণ্ডবের শিকার হলের বলতে মহাজোটের শরিকরা বলতে পারতেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উপর জামাতিরা হামলা করছে। কারণ রাজনীতিটা সেভাবেই হচ্ছে বা জামাত ইসলামি তাই করে আসছে। তাহলে সরকার কেন সেই পথে যাচ্ছে না। আজ যখন পুলিশ জামাত ইসলামের কাছে একা একা মার খাচ্ছে তাদের সঙ্গে কাউকে দেখা যায়নি। গণ জাগরণ মঞ্চের কারণে যদি দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েই থাকে সেখানে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশ মার খাবে তা তো হয়না। ইতিমধ্যে গণ জাগরণ মঞ্চে দায়িত্ব পালন করা একজন পুলিশও গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছেন।

অথচ জামাতি মোল্লাদের ভয়ে সরকার ওলামা লীগের কথাবার্তা ভালই শুনে। তাদের জন্য মালপানিও ঢালে। প্রয়োজনে যদি আওয়ামী মোল্লারা মাঠে না থাকে তাহলে তাদের জন্য মালপানি ঢেলে লাভ কি। শুধু টিভিতে বসে বসে ছবক চাবকানোর দরকার কি? মাঠে গিয়ে ফয়সালা করার বিষয়টিও আছে। এটা যুক্তির দিক থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

আর যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ও জামাতের রাজনীতি বন্ধের যে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে সেটা কোন নাস্তিকতার বাহানা দিয়ে বন্ধ করা যাবেনা। মনে হয় আমরা সেই সব দিন অতিক্রম করে এসেছি। কারণ কে বা কারা নাস্তিক সেটা যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রার্থিদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আর যারা যুদ্ধাপরাধ করেছে আজকে যাদের বিচার চলছে সেই দিন তারাই ধর্মের সর্বোত মহিমা কীর্তন করে বাঙালি হত্যার উৎসবে মেতে উঠেছিল। ধর্মের নামে নিরপরাধ মানুষ হত্যা ও নারী ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা কি আস্তিকদের জন্য জায়েজ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩৭

ফায়ারম্যান বলেছেন: কারণ কে বা কারা নাস্তিক সেটা যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রার্থিদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়।যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ও জামাতের রাজনীতি বন্ধের যে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে সেটা কোন নাস্তিকতার বাহানা দিয়ে বন্ধ করা যাবেনা।

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩৯

ফায়ারম্যান বলেছেন: জায়নামাজে আগুন, টাইলস ভাঙচুর, সংরক্ষিত ধর্মীয় গ্রন্থে আগুন



Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.