![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন খুনীরও ক্লান্তি থাকে। চরম নাস্তিক হয়েও কেউ এক নাগাড়ে ধর্মের নামে খুন করতে পারে না। যদি খুন তার পেশা হয়ে না থাকে। পৃথিবীতে যে আস্তিক আর নাস্তিকের দ্বন্দ্ব চলছে সেটা একান্তই বাহ্যিক। বাহ্যিক মানে ব্যক্তির ইচ্ছার উপর। মানে খুনির ইচ্ছার উপর। খুনীদের কারা পরিচালনা করছে সেটা খোঁজার বিষয।
আস্তিকেরা মনে কওে নাস্তিকতার নাম দিয়ে ভালোই প্রচার পাওয়া যাবে। এটা তাদের একটা কৌশল। পৃথিবীতে মৌলবাদের জন্ম হয়েছে খ্রিস্টানদেও অনুকরণ থেকে। সেটাকে বাস্তবায়ন করেছে ইসলাম মৌলবাদীরা। নাস্তিকদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি প্রচারণা পেতে চায়। যদিও নাস্তিকদের সঙ্গে ধর্মের কোন সংঘর্ষ নেই। পৃথিবীর সব আস্তিকদেও বক্তব্য ছিল নীতি ও নৈতিকতার কথা। কিন্তু তারা সংখ্যালঘু নাস্তিকদের খেপানোর চেষ্টা করেছে প্রচািরণার উদ্দেশ্যে। বাস্তবে এখন এমন কোন দ্বন্দ্ব সংঘাত নেই যেটা জিওদার্নো ব্র“নোর মত পরিণতি ভোগ করতে হবে। কারণ যারা ধর্মের নামে সন্ত্রাসী করে তারা জিওদার্নো ব্র“নোর মত কারো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতেকে গ্রহণ করে সন্ত্রাস করছে। পৃথিবীতে এখন মৌলবাদীদের সন্ত্রাস হচ্ছে বিজ্ঞানকে গ্রহণ করে। ইতিপূর্বে তারা বিজ্ঞানের যুক্তিকে অস্বীকার করেছিল। কিন্তু তারা আজ বিজ্ঞানকে গ্রহণ করে সন্ত্রাস করছে। সুতরাং ধর্ম তাদের একটা ব্যবসা। নাস্তিক এবং আস্তিক উভয়ের কাছে ধর্ম একটা ব্যবসা।
আস্তিক মানে কোন ধর্ম ব্যবসায়ি নয়। কোন ধর্ম বিদ্বেষীও নয়। কিন্তু নাস্তিকরা ধর্ম বিদ্বেষের ভান করে। নাস্তিক অপবাদ দিয়ে আস্তিক খুনিরা এদের খুন করার জন্য মিশনে নামে। এটাও একটা ব্যবসা। যারা খুনী তাদের জন্য। খুনী আর যে খুনের শিকার কারো গন্তব্য কেউ জানে না। কিন্তু খুন করতে মরিয়া আর্থিক লাভে। আর একজন খুন হতে চায়।
বর্তমান সময়ের কথা বলছি। কারণ আমি চাইলেই মুহূর্তের মধ্যে সমাজ বা পৃথিবী পাল্টে দিতে পারব না। এটা খুনীরা যেমন পারেনি। তেমনি পরম সত্যেও মুখে থেকেও জিওদার্নো ব্র“নোও পারেননি।
সব কিছু মিলে প্রচারণা চালায় গণমাধ্যম বা গুজব সৃষ্টিকারিরা। শেষ পর্যন্ত লাভটা তুলে নেয় তথাকথিত নাস্তিকরা।
মানবতার বিজয়টা খুব ধীরে ধীরে হচ্ছে। কারণ নাস্তিক নামধারীরা জানে তারা কোন উদ্দেশ্যে লড়ছে। ধর্মের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র একচ্ছত্র জিহাদ ঘোষণার প্রধান কারণ হচ্ছে নাস্তিকরা যুক্তিতে বিশ্বাস করে না। বাস্তব ফলাফলেও না। কিন্তু রাষ্ট্র যুক্তিকে প্রাধান্য দিতে সহায়তা করে। কারণ একজন ধর্মগুরু একটামাত্র ধর্মঘরো বসে গোটা পৃথিবীকে মাপতে চায়। কিন্তু রাষ্ট্র ব্যক্তির অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধিকে মূল্যায়ন করে। সমাজ ও সংঘবদ্ধ মানুষের ইচ্ছাকে সমর্থন করে। সহিংসতা , সমাজ বিরোধিতা ও সম্প্রদায় বিরোধিতা বা ব্যক্তি বিরোধিতা না থাকলে সবকিছুকে উপলব্ধিতে আনতে হবে। এটা হলো বাস্তবতা। স্বীকৃতি দিতে হবে। কিন্তু আস্তিকরা ব্যবসার কারণে এটা মানতে নারাজ।
বাস্তবতা হচ্ছে পৃথিবীতে যারা উন্নতির শিখরে আরোহণ করেছে তারা কোন ব্যক্তি আস্তিক আর কোন ব্যক্তি নাস্তিক তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না। এটা এ অঞ্চলের মানুষরা এটা নিয়ে মাথা ব্যথা করছে বলেই পশ্চিমরা মনে করছে এটা দিয়ে আমাদেরকে ব্যস্ত রাখা যাবে। কারণ এরকম উন্মাদনার চ্যাপ্টারটা তারা অনেক আগে অতিক্রম করে এসেছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১০
দিশার বলেছেন: নাস্তিকরা যুক্তিতে বিশ্বাস করে না।
হাহাহা ভালো বলসেন ভাই . চমত্কার লাগলো . জি নাস্তিক রা "বিসসাস" করে . যুক্তি মানে না .
***পশ্চিমরা মনে করছে এটা দিয়ে আমাদেরকে ব্যস্ত রাখা যাবে। ***
পশ্চিম সম্পর্কে ভালই জানেন দেখি , তো কোন পশ্চিম যে বাস করেন শুনি ?
একে তো লেখার আগা মাথা ঠিক নাই । তার উপর মনের মাধুরী মিশানো কথা বাত্রা। আমেরিকায় এখন ও কোন সেকুলার বেক্তি রাষ্ট্র প্রধান হতে পারে না জানেন এটা ? ইউরোপ আমেরিকা ঘুরে দেখেন , সেক্যুলার রাষ্ট্র ছাড়া সব খানে রাস্তার কোনায় চার্চ।