নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুরেশ কুমার দাশ

সুরেশ কুমার দাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাগরিক সুসমাচার এবং আদিল থেকে হেফাজত

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:০২





রাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ার জন্য এদেশের মানুষের যোগ্যতা কতটুকু অনেক সময় তা প্রশ্নবোধক হয়ে দেখা দিয়েছে। খুব বেশি করে এ বিষয়টি নিয়ে লিখতে ইচ্ছেও হয়। যেখানে কিছু ঘটলেই দুই ভাগ হয়ে পড়ে এদেশের মানুষ। এক পক্ষ আওয়ামী লীগ আর এক পক্ষ বিএনপির ঘরে। বিএনপির খোলসে যারা থাকে তাদের মূলত জামাতের এজেন্টই বলা চলে। যাদের প্রতিক্রিয়া আমাদের অনলাইন মিডিয়াতে দেখছি। এরা বাংলাদেশে পাকিস্তানের প্রেতাত্মা। এসব প্রেতাত্মা দেশের সমস্ত মানুষকে খুব দ্রুত বিভ্রান্ত করছে। আর এসব বিভ্রান্ত মানুষ আবার বিভ্রান্তিকে মোকাবেলা করলেও পরে আবার নতুন বিভ্রান্তিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। অনলাইন যোগাযোগের মাধ্যম ছাড়া প্রতিদিন ছাপানো পত্রিকাগুলো হাতে নিয়ে যারা পড়ছে তাদের মধ্যে বিভ্রান্তি এবং মিথ্যা ছড়াচ্ছে বেশি। আবার তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার কোন উপায়ও সাধারণ পাঠকের নেই। এ কথা বলার কারণ হচ্ছে পত্রিকাগুলোও তাদের মনমত করে পাঠককে গিলতে বাধ্য করে। এ অবস্থায় সুস্থ চিন্তা-চেতনার একটি নাগরিক সমাজ গড়ে উঠার পথ রুদ্ধ করা হচ্ছে। আমরা ঘুরে ফিরে তাদেরকে বিভ্রান্তির দিকে ঠেলে দিচ্ছি। পত্রিকাগুলো নিজেদের ইচ্ছেমত গল্প ছাপছে। তাও কোন দল বা সুবিধাবাদী গ্র“পের পক্ষ হয়ে।

হেফাজতের মতিঝিলের সমাবেশ এবং তা নিয়ে বিএনপির হাজার হাজার মানুষ হত্যার কাহিনীটি এক সময় দেশের মানুষ অনেকটাই বিশ্বাস করেছে। হেফাজতের আগাগোড়া প্রচারণাটা যেভাবে এগিয়েছে তাতে মানুষের এ ধারণা সৃষ্টি হতেই পারে। কিন্তু ভেতরে কি হয়েছে, তা পত্রিকা পড়তে পারে এমন মানুষের চিন্তার বাইরে। যদিও বিএনপি প্রেসনোট চাওয়ার পর সরকার প্রেসনোট দিয়েছে। পুলিশ বলেছে, যদি লাশ লুকানো হয় তাহলে লাশের অভিভাবকরা কোথায়। কিন্তু এ কথার চেয়ে বিএনপির হাজার হাজার মানুষ হত্যার কাহিনীটাই মানুষের কানে গেছে বেশি।

সন্দেহ-অবিশ্বাস করার একটা জায়গা থাকে। কেউ কোন দল বা মত সাপোর্ট করলেও প্রকৃত ঘটনায় কোন রহস্য থাকলে এবং সেটা তার দল ও মতের বিপক্ষে গেলেও ‘রহস্য’ থেকে তার বিশ্বাসকে টলানো সম্ভব নয়। প্রফেশনাল মানুষ ছাড়াও প্রতিটি মানুষেরই একটা অনুসন্ধানী ও অনুসন্ধিৎসু দৃষ্টি ভঙ্গি থাকে। হেফাজতের হাজার হাজার কর্মি-সমর্থক নিহতের অপপ্রচারটাও শেষ পর্যন্ত পাত্তা পায়নি মানুষের অনুসন্ধানী দৃষ্টিভঙ্গির বদৌলতে। কিংবা তাদের বিশ্বাসের জায়গা থেকে তারা বুঝেছিল- সেটা একটা মিথ্যা প্রচারণা। এ মিথ্যা প্রচারণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ নামে মানবাধিকার সংস্থাটি বাংলাদেশে উড়ে এসেছিল নানা দাবী নিয়ে। স্বচ্ছ বিচারের দাবি নিয়ে।

কিন্তু আমরা পরে দেখেছি (এখনো কারো নিখোঁজ থাকার প্রমাণ পায়নি হেফাজত- দৈনিক কালের কণ্ঠ-১৩ আগস্ট), যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বলেছে, মে মাসে ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের অবস্থান কর্মসূচি ভেঙে দেওয়ার সময় সেখানে 'গণহত্যা' চালানো হয় বলে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যে অভিযোগ তুলেছিল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের অনুসন্ধানে তা ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়েছে। ৫ মে রাতে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে চালানো পুলিশি অভিযানে মৃতের যে সংখ্যা হেফাজত ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির পক্ষ থেকে করা হয়, তাদের অনুসন্ধানে তা ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে।

এটা শুধু হিউম্যান রাইটস ওয়াচই নয়-আমরা যারা এদেশের নাগরিক, অথবা খুব কাছ থেকে বিষয়টা দেখেছি তারা প্রত্যেকেই জানি ঘটনা কতটুকু বা কি পরিমাণ ছিল।

বাইরের অনুসন্ধানের পরও কিন্তু আমাদের দেশের ভেতর থেকে এ রাজনীতি আমরা দূর করতে পারিনি। যাদের কারণে দূর করতে পারিনি তাদের কারণেই এদেশের নাগরিক সমাজ আজ ভয়ঙ্কর বিভ্রান্তির মধ্যে নিজেদের রাজনৈতিক চেতনাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

প্রথমদিন যখন অধিকারের সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খানকে গ্রেফতার করা হয় তখন পত্রিকায় যে সংবাদ অনলাইন সংস্করণগুলোতে ছাপানো হয়, তখন বেশিরভাগ পাঠকের মন্তব্য ছিল এই আদিলের বিরুদ্ধে। পুলিশের প্রেস ব্রিফিং পড়ে সেটা যথেষ্ট সঙ্গত মনে হয়েছে। কিন্তু এ সঙ্গত বিষয়টাই উল্টে যায়, যখন পরদিন আদিলের পক্ষে বিএনপি সমর্থক উকিল দাঁড়িয়ে জেরা করে, মানবাধিকার কর্মীরা আদালতে উপস্থিত হন, আদালতে উপস্থিত হন বিদেশি কূটনীতিক প্রতিনিধিও। এই সংক্রান্ত সংবাদে- মন্তব্যকারী পাঠকরাও তখন ইউটার্ন দেন। আজ যে পাঠক কাল সেই পাঠকদেরই উল্টে যাওয়া। অন্যায়কারী হলেও যার পক্ষে দল ভারী কিংবা সমাজের পরিচিত নেগোশিয়েশনকারীরা অন্যায়কারীর পক্ষে যাচ্ছে সেই অন্যায়কারীর পক্ষেই অবস্থান নিচ্ছে সাধারণ নাগরিক। অর্থাৎ মুহূর্তের মধ্যেই মানুষের বোধ-বিবেচনা একরকম লুপ্ত হয়েই পড়ছে। এর প্রধান কারণ হতে পারে শিক্ষিত ও সচেতন অংশকে মানুষ অনুকরণ ও অনুসরণ করছে বেশি। অর্থাৎ তাদেও উপরই আস্থাটা বেশি রাখতে চাচ্ছে। কিন্তু যাদের উপর আস্থা রাখতে চাই তাদের মতলব সম্পর্কে আমরা বা তারা কতটুকুই জানি।

এ মুহূর্তে বিচারপতি হাবিবুর রহমানের লেখার একটা উদ্ধৃতি আমার মনে পড়ছে- তিনি বলছেন বিচার হচ্ছে সেটা যার পক্ষে সংখ্যাগুরু মানুষের সমর্থন থাকে। তাই আদিল বা হেফাজতের পক্ষে মানুষ বাড়লে বা তার পক্ষে বেশি হৈচৈ সৃষ্টি করা গেলে তারা দায়মুক্ত হয়ে পড়বে।

এরপর কোন পক্ষ-বিপক্ষের কথা যদি না বলি তাহলে কালেরকণ্ঠের ১৩ আগস্টের রিপোর্ট সম্পূর্ণ পড়লে বোঝা যাবে আদিলের অবস্থান। আদালত অবমাননার এক মামলায় সাজা খেটে ২০১১ সালের ১৭ মার্চ মাহমুদুর রহমান মুক্তি পেলে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে কারা ফটকে ফরহাদ মজহারের সঙ্গে যে ব্যক্তিটি উপস্থিত ছিলেন তিনি কে। তিনি আদিল।

এখন মাহমুদুর রহমানের কথা বলবেন- যারা মাহমুদুর রহমানকে সমর্থন করেন তারা। কিন্তু মাহমুদুর রহমান কি করেছিলেন- কাবা শরীফের গিলাপের ছবি বিকৃত করে পত্রিকায় ছেপে বলেছেন, কাবা শরীফের ইমামগণ যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সৎ চরিত্রের সাক্ষ্য দিচ্ছেন কিংবা পবিত্র কাবার খতিবের নেতৃত্বে মানববন্ধন করে বাংলাদেশের চলমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এ ধরনের একটি মিথ্যা, বানোয়াট এবং বিকৃতি পবিত্র কাবা শরীফকে নিয়ে করা হলো, আর বাংলাদেশের বিএনপি -জামাতের অপপ্রচাওে বিভ্রান্ত কোন মানুষ এতবড় মিথ্যার বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করেনি। আজও ধর্ম অবমাননার যত অভিযোগ শাহবাগীদের বিরুদ্ধে। কোন প্রকৃত কারণ ছাড়াই।

আর আদিলকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি কেন সরকারের রোষানলের শিকার হবেন। হবার কথাই নয়। কিন্তু তিনি যা করেছেন- পুলিশের প্রেসনোট অনুযায়ী- আদিল প্রতিবেদনে ৫ মে দিনব্যাপী হেফাজতের নেতা-কর্মীদের হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, বোমাবাজি ও হত্যার বিষয়টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে গিয়ে দিনের বেলায় মতিঝিলের শাপলা চত্বরে নিহত কয়েকটি মৃতদহ ও আহত কয়েকজনের ছবি ‘কম্পিউটারে ফটোশপের সাহায্যে’ জোড়া লাগিয়ে রাতের অভিযানে তারা নিহত হয়েছে বলে প্রতিবেদনের প্রচ্ছদ হিসেবে ব্যবহার করেন। এছাড়া হেফাজত যেখানে নিহতদের ব্যাপারে কোন হদিস পায়নি সেখানে আদিল ৬১ জন নিহত হবার কথা বলছে। পুলিশ তাদের নাম ঠিকানা চাইলেও তিনি তা দিতে পারেননি। এ ব্যাপারে তার কাণ্ড আর হেফাজতের কাণ্ড প্রায়ই কাছাকাছি। হেফাজত কাল্পনিকভাবে ৮১/৮৭ জনের কথা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় জানালেও হেফাজত তাদের কর্মীদের নাম ঠিকানার ব্যাপারে কিছুই পায়নি। যদিও এ ব্যাপারে প্রতি মাদ্রাসায় কমিটি করে দায়িত্ব দিয়েছে হেফাজত। কিন্তু কাউকে নিহত তারা পায়নি। পত্রিকায় যা পেয়েছে-তাই। অথচ এটার জন্য বিএনপির কত ইন্টারেস্টই না ছিল। বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়েই এখানে এসে হুঙ্কার দিয়েছিল - হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

এই যে বিরুদ্ধ পক্ষ বা অন্যরা এমনকি আদিল বা কখনও হেফাজত যে কাণ্ডটি করেছে- সেদিন মতিছিল চত্বরে যেসব অবুঝ-অসহায় মাদ্রাসা ছাত্রদের তাদের মা -বাবার অনুমতি ছাড়া মৃত্যুকূপে নিয়ে গিয়েছিল- তার কোন জবাব চাইনি বিএনপি-জামায়াত-হেফাজত বা আদিলরা। যারা অপ্রাপ্ত বয়স্ক, ১৮ বছরের নিচে ছিল তাদের কি রাজনৈতিক কর্মসূচীতে নিয়ে যাওয়ার অধিকার ছিল মোল্লা শফির। কিন্তু ধর্ম ব্যবসায়ি মোল্লা শফির কাছ থেকে এ জবাবদিহি কেউ চায়নি-চায়নি এদেশের নাগরিক সমাজ। এদেশের তথাকথিত সচেতন নাগরিক -পত্রিকার পাঠক- যারা বৃষ্টি বুঝে মাথায় ছাতা ধরে-তারা এ প্রশ্ন করে না। তারা আদিলকে এ ব্যাপারে কোন প্রশ্ন করে না। লাশ পড়েছিল যে সব অসহায়-অবুঝ মাদ্রাসা ছাত্রদের, যাদের মৃতদেহ বাড়িতে দিয়ে আসতে গিয়ে মোল্লারা বিন্দুমাত্র অনুশোচনা করেনি, তাদের মা-বাবার কাছে ক্ষমাও চায়নি। একপক্ষ মানুষকে এভাবে বর্বরতার উস্কানি দেওয়া আসলে কি নাগরিক সুস্থতা। আর সেদিন সরকার যদি মতিঝিল অভিযান না চালাত - তার ব্যর্থতার জন্য দায় কার কাঁধে পড়ত। সরকার কি এজন্য দায়ি হত না। সেদিন সারাদেশের মানুষদের মধ্যে যে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি তৈরি করেছিল হেফাজত - তা থেকে দেশের মানুষকে রেহাই দিয়ে সরকার কি অপরাধ করেছে। যেন সেই অপরাধের প্রায়শ্চিত্তই সরকার করছে। তাই আদিলরা আস্কারাই পাচ্ছে।

দেশ যদি সবার হয়, রাষ্ট্রের যদি মঙ্গল চায় তাহলে- কেমন নাগরিক হওয়া চাই। বিএনপি-আওয়ামী লীগ- জামায়াতের মতলববাজদের রাজনৈতিক চালেই কি আমাদের বিবেক বুদ্ধি পরিচালিত হবে।

নাকি বিদেশিরা এসে আদালত পাহারা দিলেই আমাদের সত্য যেটা সেটা মিথ্যা হয়ে যাবে। আমরা কথায় বলি- বিদেশিরা আমাদের অমুক করছে, তমুক করছে। অথচ কিছু হলেই আমরা বিদেশিদের কাছে ছুটে যাচ্ছি। আর বিদেশিরা আওয়ামী লীগের পক্ষে বললে আওয়ামী সমর্থকরা বাহবা মারছে, বিএনপির ক্ষেত্রে বিএনপি সমর্থকরা, জামায়াতের ক্ষেত্রে জামাতিরা।

আদিলের ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে শুরু করে সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রও এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা চেয়েছে সরকারের কাছে। কিন্তু এদেশের আসল সরকার আমরা জনগণ। জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা কার কাছে জবাবদিহি করব আর কার কাছে জবাবদিহি করবনা। আমাদের মাথা উঁচু করে বাঁচতে হবে। আমরা জনগণ থেকে শুরু রাজনীতিক ও সরকার প্রশাসন পর্যন্ত তাদের মুখাপেক্ষি বলেই তারা আমাদের দ্রুত প্রেসক্রাইব করছে। তারা জানে আমরা আমাদের ভালো-মন্দ যাচাই করতে পারিনা। কারণ তাদের ডাক শুনলেই আমাদের অনেকে- শিক্ষিত-অশিক্ষিত নির্বিশেষে ‘লুঙ্গি তুলে’ ছুট লাগাই।







মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:০৯

াজ বলেছেন: ভাই আমার http://www.only71.com এই সাইটে যান। আপনাদের ভালো লাগবে আশা করি। আপনার চাইলে লিখতেও পারেন।

২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিরামহিন নির্লজ্জভাবে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়ানোর দায়ে অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান
Click This Link

৩০০০ লাশ গুম! যেভাবে?
Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.