![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা বুঝলাম তাদের মনে আছে রেসকোর্সের ময়দানে নাকে খত দেয়ার কথা। এই খত দেয়াকে তারা বলছে ৪২ বছর আগের পুরোনো ক্ষত। আমরা বুঝতে পারছি পাকিস্তানের বিষ যে উতলে উঠছে। তারা যে এখনও জ্বলছে-পুড়ছে। আর পেয়ারে পাকিস্তানের জন্য কাদের মোল্লাদের কত অংশীদারিত্ব ছিল তাও বোঝাও গেল। কমিটমেন্টের বিষয়টা।
দেশে অনেকে ক্ষুব্ধ-বিক্ষুব্ধ। কিন্তু ক্ষোভ প্রকাশ বা দেশের অপমানের বিরুদ্ধে সব দায় দায়িত্ব কি শুধু গণ জাগরণ মঞ্চের কিংবা বাম দলগুলো বা আওয়ামী লীগের। কিংবা দেশের অন্যান্য এলাকায় যে সামান্য কিছু মানুষের। যারা বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেছে। তারপর সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমাদের ভাবতে হবে -কাদের কাছ থেকে আমরা অপমানের শিকার হচ্ছি। এবং বর্তমান অবস্থায়ও এই বর্বর পাকিস্তান সারা বিশ্বে অবস্থান কি। সেই বর্বরাই আমাদের বিষয়ে নাক গলাচ্ছে। সবক দিচ্ছে। যে দেশটিতে যুগ যুগ ধরে সেই দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে পারে না -ব্যর্থ-বর্বর পাকিস্তানি। সন্ত্রাসী সৃষ্টি করে সারা বিশ্বে সাপ্লাই দেয় তারা। সেই সন্ত্রাসী কারখানার রক্ষক পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের বিচার বিবেচনাবোধ নিয়ে কথা বলছে। অসভ্য জানোয়ার যে নিজের দেশের মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারে না। যেখানে নির্বিচারে সন্ত্রাসী হামলা হচ্ছে মসজিদে পর্যন্ত। অনেকেই ব্যর্থ রাষ্ট্র বলছে। সেই পরাজিতরা আজকে আমাদের সবক দিচ্ছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর দায় যদি শুধু সরকারের হত তাহলে কথা ছিল না। কিন্তু গণজাগরণ মঞ্চ, বামদল আর মুক্তিযোদ্ধারা যদি মাঠে নামতে পারে তাহলে দেশের আর-আর মানুষগুলো গেল কোথায়। তারা কি শুধু স্বার্থের ব্যাঘাত লাগলেই খালেদা-হাসিনার পিছু নেয়। মান-সম্মানের বলে তাদের কোন বোধ-বিবেচনাও নেই।
পাকিস্তান বলছে বাংলাদেশের উচিত হবে না ৪২ বছর আগের পুরোনো ক্ষতকে নতুন করে জাগিয়ে তোলা। বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধসংক্রান্ত সব ধরনের মামলা ‘পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। প্রস্তাবে সমর্থন জানায়, সরকারি দল মুসলিম লীগ ও তেহরিক-ই-ইনসাফ, আওয়ামী মুসলিম লিগ, পাকিস্তান মুসলিম লিগ (কায়েদে আজম) ও জমিয়তে উলামা ইসলাম। হত্যা-ধর্ষণে দ-িত জামায়াত নেতা কাদের মোল্লা নির্দোষ ছিলেন বলে দাবি করেন পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ দলের প্রধান ও সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান।
এরচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দেয়ায় বাংলাদেশ আক্রমণের জন্য নিজেদের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল জামায়াত-ই-ইসলামী। পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিষ্ঠুর নিরবতা পালন করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে তারা। কাদের মোল্লাকে শহীদ হিসেবেও আখ্যা দিয়েছে দলটি।
এর আগে জামায়াত নেতা গোলাম আজমকে ৯০ বছরের কারাভোগ দেয়ায় পাকিস্তান জামায়াত জানায়, তাদের দলের বাংলাদেশ শাখার প্রধানকে শাস্তি দেয়া হয়েছে।
আমাদের সন্দেহ হয় এদেশের জনগণ ও রাজনৈতিক কোন কোন দল ও অংশকে নিয়ে। এতকিছুর পরও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোন টু শব্দ করল না। পাকিস্তান সরকার ও সেদেশের জামায়াত ইসলামসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের অবস্থান থেকে আমরা কি দেখতে পাই। তারা এখনও বাংলাদেশ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে। সেটা এমনভাবে হচ্ছে বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে তারা দেখছে না। অথবা আমাদের দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে। সুযোগ মানে এদেশের কিছু রাজনৈতিক দল ও জনগণের কোন কোন অংশের কারণে। অন্তরে ও মর্মে পাকিস্তানের প্রতি ভ্রাতৃত্ববোধ। এটা কিছু জনগণ যেমন লালন করে তেমনি রাজনৈতিক দলগুলোর আনুগত্য একেবারে প্রমাণিত হয়েছে। আগে সাধারণ জনগণ যেখানে মনে করত রাজনৈতিক বক্তব্য - পরস্পরের প্রতি এমন অভিযোগ সত্য নয়। কিন্তু পাকিস্তানে এ প্রস্তাব পাশ ও জামাতের ঘটনায় সকলের নিরবতা দেখে সত্য কতটুকু তা দিনের আলোর মত স্পষ্ট।
২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০২
বাক স্বাধীনতা বলেছেন: এটাই ছিল?
৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৯
রাখালছেলে বলেছেন: দেশের মানুষ এই বিচারের সাথে আছে থাকবে । বিচার হওয়া উচিত। ৪২ বছরের ক্ষত নিয়ে আমরা আর কত দিন চলব । এবার সময় হয়েছে ক্ষত কেটে ফেলার । জামায়াতে ইসলাম গত ৩০ বছরে অনেক ক্ষমতাবান হয়েছে । তারাও মন্ত্রীত্ব পেয়েছেন আমাদের রাজনৈতিক দুর্বলতার কারনে। সেটা আমাদের বিরোধীদল বিএনপি এখনও বুঝল না। তাদের কারনে দেশের গুটিকয়েক মানুষ এখনও জামাতকে সার্পোট দিচ্ছে । তবে আমাদের এই জেনারেশন চায় রাজাকারদের বিচার হউক । রাস্তার সামনে দাড় করিয়ে সবার সম্মুখে গুলি করে মারাই উচিত ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৯
অপ্রচলিত বলেছেন: পাকিস্তানকে ঘৃণা করি।