দুটি কবিতা

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০২

আমি তুমি

আমি তুমি হতে একশ বছর অপেক্ষা করে পেলাম এক থলে পিঁপড়া
গন্তব্য পেলাম না মানুষের ভিড়ে
কতটা যন্ত্রনায় মানুষ হয়ে ওঠে মানুষ, কে জানে?
সড়কে নেমে দু একটা আধুলি
দু পয়সার বিশ্রাম-হতাহত ভিখারিনীর হাত
আমার বড় চেনা....চেনা চেনা লাগে প্রস্থের দরদ
অমন হাতের ছোয়ায় ঘুমাতাম পচিঁশ বছর আগে
মা এখন মৃত ঘাস
সবুজের দিকে ফিরে বাবার পকেটে জমে না কোন দীর্ঘঃশ্বাস
সেই চাকুটা আমার কাছে আজও আছে
যে চাকুটা ব্যবহার করে মাকে খুন করেছিলেন পিতা
আমি রক্তও রেখে দিয়েছি
সেইভাবে বাবাকেও খুন করার পর
হয়তো আমার সন্তানেরাও আমাকে খুন করবে ঐ চাকু দিয়ে
কারন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে আমরা মানুষ
এবং মানুষের পাশাপাশি হত্যাকারী-পিশাচ-




পুরুষের একাঙ্কিকা

আপনি বসে ছিলেন
যে কোন রাতের ঝুপড়ি জলমগ্ন পেয়ালায় তাকিয়ে-
সম্মুখে সেই মেয়েটি, যাকে কখনো প্রেমিকা ডাকেননি
কিন্তু সন্ধ্যা রাতে লুন্ঠিত চুক্তিতে ঘরে নিয়েছেন- সে ঘুমায়
আপনি সিগারেটে ঠোট ডুবান- যদিও ডুবানোর কথা ছিল
ওই মেয়েটির কাঁধে।
রাত দৌড়ায় সূর্যের দিকে-মেয়েটি ঘুমায়
আপনি বসে থাকেন-মেয়েটির নিম্নাঙ্গে ব্যথা
আপনি কিছু দ্যাখেন না-মেয়েটি স্বপ্ন দ্যাখে
আপনার স্বপ্নেরা বাইরে ঘোরাফেরা করে
আপনি ভিতরে-মেয়েটি আরও ভিতরে...
ইচ্ছা জাগে মেয়েটির সাথে সেক্স করেন

মেয়েটি জাগে না-রাত দৌড়ায়-আপনার সময় শেষ।

কাঁদতে ইচ্ছা করে-হয়তো কেঁদেও ফেলেন
চোখে জল নেই, সেখানে ফোটাফোটা আগুন
চোখ পোড়ার গন্ধ মেয়েরা পায়-বুক পোড়ার নয়
মেয়েটি জেগে ওঠে-ফোটাফোটা আগুন গিলে ফ্যালে
মেয়েটি কান্না খেতে থাকে
আপনি কাঁদতে থাকেন
মেয়েটি খেতে থাকে
আপনি কাঁদতেই থাকেন

তখনই মেয়েদের নাড়ি ভূড়ি দগ্ধ হতে থাকে।
দুজনের বিষক্রিয়ায় পরবর্তী প্রজন্ম মাথাচড়া দেয়
মানুষ আবিষ্কার হতে শুরু করে বেশ্যাদের পেটেও!

আপনি কিন্তু সেই শিশুর মুখে বাবা ডাক শুনতে চান না।
বাবা ডাকে এত নিষেধাজ্ঞা ক্যানো?

৩ টি +০/-০