নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছেঁড়া পাতা

যত দোষ, নন্দ্য ঘোষ !

সাঈদ অমি

সাঈদ অমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালো লাগার বিষয়গুলো

১৪ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:০২

1. ছোটবেলায় মা’র হাজার বারণ সত্ত্বেও বৃষ্টিতে ভিজা, ভিজতে ভিজতে পুকুরে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া, ইচ্ছে মত গসল করে এসে মার বকুনি খাওয়া। আর পরের দিন, সর্দি-জ্বরের বাহানায় স্কুল ফাঁকি দেওয়া । :D

2. লিপি-পিশির কাছে প্রাইভেট পড়তে একটু আগে আগে গিয়ে বাগানের গাছের লেবু, বাদামী চুরি করা, সুযোগ পেলেই বাড়ির ঠাকুর ঘড়ে ঢুঁকে আঁচারের বয়াম শাবার করা আর আমসত্ত্ব পকেটে করে নিয়ে আশা। আর ধড়া পরলে, “দিদা, সত্যি করে বলছি, আজ আমি ঠাকুর ঘড়ে যাই-ই নি, আমার খেতে ইচ্ছে করলে তোমার কাছে চেয়ে নিতে পারবনা বলও ? অনিল গিয়েছিল দিদা, অনিল; আমি দেখছি’’ :D বেচারা অনিল । :D

3. আর বৈশাখ মাসে, রুটিনটা একটু চেঞ্জ । একটু আগে আগে প্রাইভেটে গিয়ে দলবেঁধে পাশের বাসার খচ্চর বুড়ার বিশাল আম গাছে ঢিল দেওয়া। সেই ঢিল যদি কোন ক্রমে বুড়ার বাড়ির চালে পড়ে, তাহলে ‘ওরে,পালা, পালা, বুড়া লাঠি নিয়া আইল বলে’ শান্ত-শিষ্ট, ভদ্র ছেলের মত পড়তে বসে পড়া ।আর পড়তে পড়তে যখন বুড়ার চিৎকার শুনতে পাই, তখন সবায় মিলে পিশির সামনেই খিল খিল করেহেঁসে দেওয়া :D । পরের দিন দিদার অভিযোগ, “কে বা কাহারা তাঁহার প্রতিবেশী খচ্চরনির গাছে ঢিল ছুরিয়াছে, সেই ঢিল তাঁহার প্রতিবেশীর চালে শুঁকাইতে দেওয়া মহামূল্যবান চালকুমড়া-বড়িতে লাগিয়া ধ্বংসস্তুপে পরিণত হইয়াছে” যাহাতে তিনি বিন্দুমাত্র ব্যাথিত হননাই এবং আসন্ন পূজার রাত্রিতে তাঁহার প্রতিবেশীর চালে যদি জয়কালি পটকা ফোটে,তাহলে তিনি আরও বেশী ব্যাথিত হবেন না :D । আর আমাদের জন্য পূজায় তিল, নারকেল ও ছাতুর নারু এবং ডালপুরি অপেক্ষা করবে, আর আমার জন্য আঁচারের বয়াম, আলাদা ভাবে রাখা থাকবে ঠাকুর ঘড়ে । :D

4. সকালে আব্বু-আম্মু অফিসে চলে গেলেই টিভিতে কার্টুন দেখা, দেখতে দেখতেই সময় চলে গেলে খুব জোরে সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাওয়া, জুতা পড়তে ভুলে গেছি দেখে বাবর স্যারের পিটানি খাওয়া। মাঝে মাঝে টিফিনের সময় স্কুল পালানো, পড়ের দিন নিশংকর স্যারের বিচার-বিবেচনা ছাড়াই আগে পশ্চাতে বেত্রাঘাত খাওয়া, ভাগ্যিস, স্কুল প্যান্টের নীচে জিন্স পড়ে গিয়েছিলাম, এই জন্য ব্যাথা থেকে বেঁচে যাওয়া । আর স্কুল শেষে তাড়াতাড়ি করে কোচিং-এ যাওয়া, খালার বাসা থেকে গেটের চাবি আনতে গিয়ে বড়ই খাওয়া, আর চাবি এনে কোচিং খুলেই চুপিচুপি স্যারের ডেস্কে উকি দেওয়া, নতুন কিছু পেলেই পকেট বন্দী করা। আর ক্লাসের আগেমেয়েদের ক্লাসরুমের টেবিল চেক করা, কার নামের সাথে কার নাম লিখা আছে তা দেখা, যদি লিখা নাও থাকে তাহলে লিখে দিয়ে আশা। :D

5. মাঝে মাঝে কোচিংও ফাঁকিদিয়ে সাইকেল নিয়ে ঘুরতে যাওয়া, তোঁতা বা রাজীবের দোকানে গেমস খেলা আর শবে-কদর ওশবে-বরাতের রাতে এলাকার ডাব গাছে মাঝরাতে অ্যাটাক করা, মসজিদে মসজিদে তবারক খাওয়া,রাত শেষে বাসায় যাওয়ার আগে যদি শীতের রাত হয় তাহলে খেজুরের রসের হাড়ি গাছ থেকে পেড়ে ইচ্ছামত খেয়ে হাড়ি ভাঙ্গা। :D

6. মোটা হওয়া সত্ত্বেওপার্ট নিয়ে কলেজে যাওয়া, হই হই চিল্লাপাল্লা করতে করতে ক্লাস করা, পিছনে বসে স্যারকে টিজ করা, টিজ করতে করতে বোর হয়ে গেলে পিছন গেট দিয়ে আছতে করে বের হয়ে কলেজ মাঠে ইচ্ছামত কার্ড খেলা, খেলা শেষে বন্ধুর নায়িকা ক্লাস থেকে বের হলে পিছুপিছু যাওয়াবাজার পর্যন্ত, মাঝে মাঝে ডাকপিয়ন হওয়া, চিঠিপত্র ও উপঢৌকন বিলি করা, আর বন্ধুর বাড়িতে তার প্রেমের নজরানা ধরা পরলেও নো-টেনশন, চোরের মায়ের বড় গলায় সাফাই গেয়ে আশা। :D

7. দিনরাত এক নাগারে মুভিদেখা, জাপানিজ এনিমি নিয়ে মেতে থাকা সারা বছর আর পরীক্ষার আগের রাতে জীবন-যৌবন এক করে পরাশুনা করা মানে বিশ্ব জয় করা আর কি :D । মাঝে মাঝে অনেক রাতে বাহিরে ঘুরতে যাওয়া, এক গাঁদা খানেক খাবার কিনে এনে খাওয়া আর শীতের রাতে আইস্ক্রিম বক্স কিনেএনে শাবার করা, কখনও গভীর রাতে বারান্দায় বসে নীরবে ‘এমন যদি হত,আমি পাখির মত, উরেউরে বেড়াই সারাক্ষণ’ অথবা ‘নির্ঘুম চোখ জানালায় আমি নিজেকে শোনাই নিজের গান,স্বপ্নরা জেগে থাক, মনের ভেতর চলছে, তুফান’ গান শোনা অথবা লেকে গিয়ে গিটারের তালেগান গাওয়া, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া নয়তো টোটো কোম্পানির মত ঘুরে বেড়ানো, ইচ্ছেমত যতটা পারা যায় হেঁটে চলে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে আশা । :)

8. পড়ার টেবিলে পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে যাওয়া, হটাৎই কাছের কোন মানুষের ফোন আশা, চঞ্চল কণ্ঠে জিজ্ঞেস “হায়, কেমনআছো, তোমাকে খুব বিরক্ত করতে ইচ্ছে করছে তাই ফোন দিলাম :D” । মার প্রতিদিনের জিজ্ঞাসা ‘খেয়েছিস’, শত ব্যস্ততার মাঝেও ছোট বোনের হটাঠ জিজ্ঞেস “ভাইয়া, কেমন আছো তুমি ? বাসায় কবে আসবা ভাইয়া ?” যথেষ্ট টাকা দেওয়া সত্ত্বেও বাবার প্রতিদিনের জিজ্ঞাসা “কোন সমস্যা, টাকা পয়সা আছে তো নাকি খরচ করে ফেলছিস ?”

9. সব শেষে, ভালো লাগার জিনিসগুলোকে বার বার মনে করতে ভালো লাগে। ভালো লাগে স্বপ্ন দেখতে, সুন্দর কোন রমণীর কথা ভাবতে,বন্ধু হয়ে তার পাশে থাকতে, তার পাশে বসে সময় কাটাতে, আড্ডা দিতে, তার সাথে টুকিটাকি খাবার খেতে, গোলগাল মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে,মিষ্টি ঠোঁটের হাঁসি দেখতে, বাতাসে ভেসে আশা তার মনমাতানো সুবাস নিতে, তার গল্প শুনতে,তাকে বিরক্ত করতে, মাঝেমাঝে ফাযলামুর সীমা ছাড়িয়ে যেতে ভাল্লাগে, রাগাইতে ভাল্লাগে, পাগ্লামু করতে ভাল্লাগে,মনে মনে তাকে কাছে টানতে,দুষ্টামি করতে, তাকে পচাইতে, প্রয়োজনে তার পাশে দাঁড়াইতে, রাগারাগি করে দূরে চলেযেতে, আবার থাকতে না পেরে তার কাছেই ফিরে যেতে আমার ভালো লাগে ।মোট কথা,ক্যাটরিনাকে আমার খুব খুব খুবই বেশী ভাল্লাগে। :* :D ;) :D B) ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩

সুমন কর বলেছেন: স্মৃতিচারণ পোস্ট!

২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৫৯

সাঈদ অমি বলেছেন: হুম ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.