নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছেঁড়া পাতা

যত দোষ, নন্দ্য ঘোষ !

সাঈদ অমি

সাঈদ অমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মন খারাপের বিষয়গুলো :(

২৮ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫৮

কোথা থেকে শুরু করবো বুঝতেছি না, তাই খাপছাড়া ভাবেই বলে ফেলি।

প্রত্যেকটি মানুষের জীবনেই সুসময় ও দুঃসময়, দুটোরই আবির্ভাব হয় । কোন সময়ই আগে নোটিশ দিয়ে আসেনা, হঠাৎই চলে আসে।
কিছু কিছু বিষয় সব মানুষেরই জীবনে অতি-গোপনীয়তায় থাকে যা সে চাইলেও কারো সাথে বণ্টন বা কারো কাছে প্রকাশ করতে পারেনা, যদিনা সেই ব্যক্তিটা এমন একজন হয়, যার কাঁধে মাথা দিয়ে আপনি নীরবে কাঁদতে পারেন কিংবা যাকে জরিয়ে মনের সব ব্যাথা জর্জরিত ঘটনা গুলো অনায়াসে চোখের জলে বের করে দিতে পারেন। আর সেই ব্যাক্তিটি যদি আপনার জীবনে অনুপস্থিত থাকে তাহলে উপাই একটাই, নির্জন রাতে, সকলের আড়ালে স্থির হয়ে বসে থেকে নীরবে চোখের জল ফেলা, নতুবা বিরহের কোন গান বার বার শোনা ।
চিন্তা সবায়ই করে, সুচিন্তা বা দুশ্চিন্তা যেটাই হোকনা কেন । কিন্তু কিছু কিছু সময় মানুষ বুঝতেও পারেনা যে সকলের থেকে আলাদা হয়ে কোন এক গভীর চিন্তায় সে লিপ্ত আছে, একটু নিরব, একটু অন্যমনস্ক সেই ভাবভঙ্গীটা যা অপরের চোখে সহজেই ধরা দেই যদি সেই অপর ব্যক্তিটা একটু খেয়াল করে দেখে, তাহলেই চিন্তামগ্ন ব্যক্তিটা ধরা খেয়ে যায় । আর মুখ থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস, অর্পিত প্রশ্নের উত্তর স্বরূপ বেরিয়ে আসে।
টাকা-পয়সা খুব বিতর্কিত একটা জিনিস। এটা যেমন মানুষকে মহৎ থেকে মহামানবে পরিণত করে ঠিক তেমনই নিচু থেকে নিকৃষ্ট পর্যায়েও নিয়ে যায়। আমাদের সবারই জানা যে, সম্পর্ক নষ্টের মুল এই টাকা-পয়সা। ঠিক তেমনই মানুষের নীতি, ইমান এবং চরিত্রের নষ্টের মুলেও এই টাকা-পয়সাই। এই টাকার জন্য যেমন মানুষ দিনমজুরি করে ঠিক তেমনই এই টাকার জন্য মানুষ খুন,রাহজানি,চুরি-চামারি,লজ্জার মাথাও বেঁচে খায়। কখনও পেটের দাঁয়ে তো কখনও বিলাসিতা পুরনের লক্ষে।
প্রত্যেক মানুষের জীবনে অন্তত একটি স্বপ্ন থাকেই যে বড় হয়ে সে তার সেই স্বপ্নটিকে পুরন করবে। কিন্তু দেখা যায় কেউ সেই স্বপ্ন পুরন করে আবার কেউ কারণে, অকারণে স্বপ্ন পূরণের পথ থেকে একটু সরে দাড়ায়। কিন্তু যে স্বপ্ন পূরণের পথে ছোটে, সে কখনও বাবা-মার আদরের সন্তান হয় তো কখনও কুলাঙ্গার সন্তানে পরিণত হয়। কুলাঙ্গার হয় এই কারণে যে তাড়া বাবা-মার ইচ্ছা অনুযায়ী চলছে না, তারা কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা বিছিএস ক্যাডার হচ্ছে না । তারা হচ্ছে বাবা-মার অর্থ ধ্বংসকারী অযোগ্য সন্তান ।
বিশ্বাস আর অবিশ্বাস, এই দুইটা জিনিষের কোন আগা মাথাই কিছু বুঝিনা। জীবনে চলতে গেলে, ২/৪ জন মানুষের সাথে উঠবস করতে গেলে কিছু কিছু বিষয়ে বিশ্বাস করে চলতে হয়, কিন্তু তারাই কেন অবিশ্বাসের কারণ হয়ে দাড়ায়?
বই-পুস্তকে এবং সকলের মুখে সব সময়ই শুনি, ইচ্ছা থাকলেই নাকি উপাই হয়। কিন্তু আসলেই কি তাই? আমি বলবো, ইচ্ছা থাকলেও উপাই হয়না যদি জন্ম থেকেই কপাল-পোড়া হয় ।
প্রেম, পিরিতি আর ভালবাসা। বিষয় ৩টি হইলেও জিনিষ কিন্তু একটাই । এই বিষয়ে, নো কমেন্টছ । তবে উপরওয়ালার কাছে হাজার শুকরিয়া যে এসব থেকে দূরে আছি । তবে কথায় আছে, “দিল্লিকা লাড্ডু, খাইলেও পস্তাইবেন, না খাইলেও পস্তাইবেন” হয়েছে সেই দশা ।
দুটো কথা আমার সারা জীবন মনে থাকবে, কোন দিন ভুল্বনা

“বামুন হয়ে চাঁদের দিকে হাত বাড়াতে নেই” আর

“বাঘের খাঁচার ভিতরে গেলে, বাঘতো খাবেই, এতে কান্নাকাটি করে তো লাভ নেই” ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.