নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\'আমি বাঙালি। বাংলা আমার ভাষা। বাংলা আমার দেশ।\'

ব্রহ্মপুত্র .

আমার আপনার চেয়ে আপন যেজন, খুঁজি তারে আমি আপনায় ..

ব্রহ্মপুত্র . › বিস্তারিত পোস্টঃ

❝ ছেলে বিদেশে থাকে। ❞

০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৩




বিয়ে-সাদীর আলাপ আলোচনা হলে মেয়ে পক্ষের প্রথম প্রশ্ন স্বভাবতই হয় 'ছেলে কি করে?' মহল্লার মুরুব্বিদের চায়ের আড্ডাতেও অমুকের 'ছেলে কি করে?' খুব স্বাভাবিক প্রশ্ন। উত্তরে তো যে যা করে তাই বলার কথা। ছেলে হয় পড়াশোনা করে নয়তো বেকার কিংবা ব্যবসায়ী, ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার, সরকারি/বেসরকারি চাকুরে, শিক্ষক, ড্রাইভার ইত্যাদি ইত্যাদি।

আশি, নব্বই এর দশকে আমাদের দেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে দেখেছি, 'ছেলে কি করে?', এই প্রশ্নের একটা উদ্ভুত উত্তর খুব 'মার্কেট' পেয়েছিলো। 'ছেলে কি করে?' এর উত্তর ছিলো, 'ছেলে বিদেশে থাকে।' [উন্নত বিশ্বের দেশ হলে তো কথাই নাই]

মজার ব্যাপার হলো সেই সময়কার সামাজিক প্রেক্ষাপটে 'বিদেশে থাকা' টাই হচ্ছে বিরাট একটা 'কাজ'। এই কারনেই, 'বিদেশে থাকে' এই উত্তর শোনার পর, 'কি করে' সেই প্রশ্ন আর কোন প্রশ্নের মধ্যেই পড়তো না। না পড়ার কারনটাও খুব সহজ। যে ছেলে বিদেশে থাকে সে অবশ্যই দেশে থাকা ছেলেটার চাইতে বেশি অর্থ উপার্জন করে। যার অর্থ উপার্জন বেশি, তাঁর তো জ্ঞানও বেশি। আর লাগে কি? অতএব কনে আলহামদুলিল্লাহ বলবার আগেই, কনের বাবা আলহামদুলিল্লাহ বলে বসে থাকতেন।

সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা সহ বড় শহরগুলির মোটামুটি অর্থ সম্পদ ওয়ালা মানুষদের কাছে দেশ আর বিদেশের মধ্যে এখন আর তেমন কোন পার্থক্য নাই। চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড/সিংগাপুর, বিয়ের বাজার করতে কলকাতা/দিল্লি, হানিমুনে মালদ্বীপ, গ্রীষ্মের ছুটিতে ইউরোপ এখন অনেকের কাছে উত্তরা থেকে মতিঝিল যাওয়ার চাইতেও কম সময়ের রাস্তা।

বিগত তিরিশ পয়ত্রিশ বছরে আমাদের পরিবার, সমাজ, রাস্ট্র যন্ত্রে অনেক কিছুই পাল্টেছে। কিন্তু মফস্বল শহরগুলোতে বসবাস করা আমাদের বেশিরভাগ মানুষেরই 'বিদেশে প্রীতি' বিষয়ক মনস্তাত্ত্বিক অবকাঠামো সেই আশির দশকে যে অবস্থায় ছিলো, এখনো একই অবস্থায়ই আছে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:১৭

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: বিদেশে থাকা কি দোষ?

০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৪০

ব্রহ্মপুত্র . বলেছেন: একদমই না। আমি তো কোথাও তা লিখিনি।

২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তব লিখেছেন।

৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:২৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ৮০'র দশক কিংবা তারও আগে বিদেশে চাকরির বাজার ভালো ছিল, বিদেশে গিয়ে কাউকে চাকরির জন্য দীর্ঘদিন বসে থাকতে হয় নি। তখন বিদেশে যাওয়া মুখের কথাও ছিল না, যারা যেতে পারতেন, অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে, ধন-সম্পদ বিক্রি করে যেতে হতো। ঐ সময়ে দেশেও কর্মসংস্থান আজকের চাইতে অনেক কম ছিল। শিক্ষার হার ছিল অনেক কম। বেঁচে থাকার জন্য জীবিকার প্রয়োজন, উন্নত জীবনের আশায় বিদেশে পাড়ি জমাতো মানুষ। অনেকে আবার আদম ব্যবসায়ীর কাছে সর্বস্বও হারিয়ে পথে বসতো। একজন বাবার কাছে তার মেয়ের জন্য উপযুক্ত পাত্র সব সময়ই সোনার হরিণ। ঐ সময়ে প্রবাসী পাত্র ছিল উত্তম পাত্র।

সেই প্রবাসীর ফরেইন রেমিটেন্সে দেশও অনেক লাভবাব হয়েছে।

বর্তমানে যারা বিদেশে যান চাকরির জন্য, অনেককেই দীর্ঘদিন বেকার বসে থাকতে হচ্ছে চাকরি না পেয়ে। প্রতিবছর আকামা/কফিল রিনিউ করার জন্য প্রচুর টাকা ব্যয় হয়। প্রবাসী শ্রমিকদের অবস্থা আজকাল ভালো না।

বর্তমানে মিডল ইস্ট, মধ্য এশিয়া ছাড়াও ইউরোপ-আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়ায় যাচ্ছেন মানুষ চাকরি করার জন্য; আগে যেমন আন-স্কিল্ড শ্রমিকের সংখ্যা ছিল বেশি, এখন শিক্ষিত ও স্কিল্ড ম্যানপাওয়ারও বিদেশে যাচ্ছে। এতে শুধু ব্যক্তিই না, দেশও প্রচুর লাভবান হচ্ছে।

একজন বাবার তার মেয়ের জন্য সচ্ছল, উপার্নজনক্ষম পাত্রের প্রয়োজন। অঞ্চলভেদে বাবারা প্রবাসী বা দেশী চাকরিজীবীদের প্রাধান্য দেন। আমার এলাকায়ও আগে প্রবাসী বলতেই মানুষ পাগল ছিল। এখন সেই অবস্থা নেই। মানুষ এখন শিক্ষিত পাত্র খোঁজেন, বেশিরভাগই প্রেফার করেন সরকারি চাকরি, বিশেষত বিসিএস চাকরিজীবী। আপনি লাস্ট লাইনে যেটা লিখেছেন, ওটার সাথে একমত নই। মানুষের মনোভাব অনেক পালটে গেছে।

বিদেশে থাকা দোষের নয়, ১ নম্বর কমেন্টের উত্তরে সেটা বললেন। কিন্তু আপনার পোস্টের উপস্থাপনাই বলে দিচ্ছে, বিদেশে চাকরি করাটা দোষের। হার্ডলি ম্যাটার্স। এটা ব্যক্তির পছন্দ-অপছন্দ। সরকার সবসময়ই বিদেশে অধিক সংখ্যক লোক পাঠাতে আগ্রহী এবং তারা নিয়মিত চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ফরেইন রেমিট্যান্সের বড়ো অংশ আসে প্রবাসীদের চাকরির টাকা থেকে। দেশের কর্মসংস্থাপনের উপর চাপ কমে, বেকারত্বও কমে।

৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩৯

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: দেশে ভাত না পাইলে মানুষ কি করবে?
বিদেশ ছাড়া কি গতি আসে?

৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:০০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: দেশ-বিদেশ এর চাইতে বড় কথা, আমাদের সমাজের ৯০% মানুষ বিয়ের ব্যাপারে ছেলের আর্থিক অবস্থা আর মেয়ের রূপ এর সাথে এক মুঠো ফ্যামিলি স্ট্যাটাস নিয়ে মাথা ঘামায়। বাকী সব তাকে তোলা থাকে।

আমাদের পুরাতন ঢাকার একটা মজার গল্প বলি। এক মেয়ের সাথে এক ছেলের বিয়ে পাকা, গায়ে হলুদের দিন মেয়ের এক মামা, যে কি না দূরে থাকে এসে হাজির। ছেলে চকবাজারে ব্যবসা করে শুনে সে শুরু করে দিলো খোঁজ খবর। আবিস্কার হলো ছেলে চকবাজার মসজিদের নীচে ফুটপাথে ভাপা পিঠা বিক্রি করে। মেয়ের বাড়ীর সবাই রেগে আগুন, বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার আগে ছেলেকে জিজ্ঞেস করা হলো, "সে কেন মিথ্যা কথা বললো?"। ছেলের উত্তর, "মিথ্যা তো কিছু বলি নাই। ভাপাপিঠা বিক্রিও তো ব্যবসাই, আর সেটা আমি চকবাজার এলাকাতেই করি... /:) "

=p~ =p~ =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.