নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ রক্ষার সৈনিক

মারুফ মুনজির

আমাকে যে ভালবাসে তাকে আমার খুব ভাল লাগে

মারুফ মুনজির › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রধানমন্ত্রীর রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে ফোন এবং কিছু কথা

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের একটি গানের অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে ফোন করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ এক বিরল ঘটনা। এ খবর পত্রিকায় পড়ার সময় কিছু প্রশ্ন মাথায় ঘুরছিল— এত সকালবেলা টেলিভিশন সেটের সামনে প্রধানমন্ত্রী? তার ওপর মঙ্গলবার তাঁর অফিসিয়াল দিন। সাধারণত একটি অফিসিয়াল দিনের অনেক সিডিউল থাকে—তাই সকালবেলা তার প্রস্তুতি নিতে হয়। তবু্ এর মাঝে সময় বের করে ফোন করেছেন বিশাল সাংস্কৃতিক মনের না হলে এ ঘটনা সম্ভব হতো না। ধারণা জন্মে বিশ্বায়নের এই যুগে বাঙালি সংস্কৃতি টিকে থাকবেই। প্রযুক্তির আধুনিকতম বিকাশে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির যে অবক্ষয় দেখছি তার পুনর্নির্মাণে সরকারের নীতি নির্ধারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সাংস্কৃতিক মনের প্রভাব রাখবেন এ ধারণা আমাদের মনে আসে। গত ডিসেম্বরে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর মুশফিক ও মাশরাফির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর হাস্যোজ্জ্বল ছবি পত্রিকাতে দেখেছি, যা সত্যি আমাদের অনুপ্রাণিত করে। প্রায়ই খেলা দেখতে প্রধানমন্ত্রী মাঠে চলে আসেন, এতে আমরা ভরসা পাই, এই যে সাধারণ মানুষের অনুভূতি তাঁকে আলোড়িত করে, রাষ্ট্রনায়ক হয়েও একটি খেলায় জয়ের আনন্দ তাঁকে ছুঁয়ে যায় এটা ভাবতে আমাদের ভালো লাগে।
আমরা ডিজিটাল যুগের ছেলেমেয়ে দিনে রাতে ফেসবুকে থাকি। এই ফেসবুকেই ২০১৩ সালের জুলাই মাসের একটি ছবি দেখে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে অন্যভাবে চিনতে পারি। আমরা তাঁকে রাজনীতির মাঠে দেখতে দেখতে তাঁর ব্যাপারে আমাদের মনে এক ধরনের ছবি গেঁথে আছে। কিন্তু সেদিন তাঁর ছেলের জন্মদিনের মোরগ-পোলাও রান্নার ছবি দেখে আমাদের মনে গেঁথে থাকা দৃশ্যেও পরিবর্তন আনতে বাধ্য হই। তখন আমরা ভাবি তিনি একজন মা, পরিবারের প্রধান হিসেবে সন্তানদের ভালোমন্দ দেখভাল করেন। সন্তানের জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী হয়েও নিজ হাতে রান্না করেন, হাজারও কাজের ভিড়ে সন্তানের জন্য আলাদা সময় বের করেন—তখন আমাদের বিশ্বাস জন্মে—এই দেশের হাজার হাজার সন্তানের অভিভাবক হিসেবে তিনি এমন কোনো কাজ করবেন না যাতে করে তাদের বর্তমান ও ভবিষ্যতের কোনো ক্ষতি হয়। তাঁর এই পরিবারের প্রতি আন্তরিকতা—ক্রমবর্ধমান পারিবারিক সহিংসতার মাঝে আমাদের পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করার সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ বাড়িয়ে দেয়।
আমাদের সরাসরি তাঁর কাছে পৌঁছাবার সুযোগ নেই। কিন্তু ২০১২ সালের জুলাই মাসের দিকে সংসদে তিনি তাঁর মোবাইল নম্বর ও ইমেইল অ্যাড্রেস দিয়ে দিলেন। এই যে, আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কাছে যাবার, আমাদের কথা সরাসরি শোনার তাঁর মহত্ মানসিকতা—আমাদের হূদয়কে আলোড়িত করে তোলে। মুঠোফোনে আমাদের কথা শুনলেন, দুঃখ-দুদর্শার কথা জানলেন। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় তিনি আমাদের লোক, তিনি আমাদের কথা শুনতে আগ্রহী—এই আগ্রহ, এই মানসিকতা আমাদের মনে শান্তি দেয়। তিনি যখন ২০১৪ সালের জুলাই মাসে বিমানে চড়ে লন্ডন থেকে ফেরার পথে যাত্রীদের খোঁজ-খবর নেন, শিশুদের সঙ্গে ছবি তোলেন তখন আমাদের ভালো লাগা উপচে পড়ে। এসব ঘটনা আমাদের সুদিনের স্বপ্ন দেখায়।
বর্তমান সময়ের সংকট আমাদের শান্তি কেড়ে নিয়েছে, আমাদের বিভ্রান্ত করছে, আমরা অস্থির চিত্তে ভবিষ্যতের দুর্বিষহ জীবনের শংকায় ভীত সন্ত্রস্ত। আমরা তাঁর আন্তরিক হস্তক্ষেপে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশায় আছি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.