নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
সংসদ সচিবালয়ের মালপত্র ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর সেসবের নামমাত্র মূল্যও পরিশোধ করতে রাজি হচ্ছেন না জাতীয় সংসদের সাবেক ভিআইপিরা। বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও তা ফেরত না দেওয়ায় ওই সব সামগ্রীর নামমাত্র মূল্য নির্ধারণ করে তা পরিশোধের জন্য চিঠি পাঠানো হবে সংসদ সচিবালয় থেকে। সাবেক স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও হুইপদের নিয়ে যাওয়া প্রতিটি ফ্রিজ ও খাটের মূল্য ধরা হয়েছে মাত্র দুই হাজার ১০০ টাকা। এ ছাড়া আলমারি দেড় হাজার, সোফা তিন হাজার ৬০০, টেলিভিশন সাত হাজার ১০০ এবং প্যাডেলস্ট্যান্ডের মূল্য এক হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সংসদ কমিটির বৈঠকে এই মূল্য তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। এর আগে বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও সংসদের সাবেক ভিআইপিরা মালপত্র ফেরত না দেওয়ায় তাঁদের কাছ থেকে এসবের মূল্য আদায়ের সিদ্ধান্ত হয়।
সংসদ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রস্তাবিত মূল্য তালিকা স্পিকারের কাছে উত্থাপন করা হয়। স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দিলে সর্বশেষ তালিকায় ওই মূল্য নির্ধারণ করা হয়। মূল্য পরিশোধ না করলে ওই ভিআইপিদের বিরুদ্ধে সংসদ সচিবালয়ের মালপত্র আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করার বিষয়েও আলোচনা হয় সংসদ কমিটির বৈঠকে।
এ বিষয়ে সংসদ কমিটির সভাপতি ও চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ জানান, মালপত্র ফেরত চেয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে সংসদ সচিবালয় থেকে বারবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো অনেকেই তা ফেরত দেননি। তাই সংসদীয় তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী মালপত্র ফেরত অথবা সমপরিমাণ টাকা আদায়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাঁরা সংসদ কমিটি নির্ধারিত মূল্য পরিশোধে ব্যর্থ হবেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সংসদ সচিবালয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সংসদের ভিআইপিদের সরকারি বাসভবনের জন্য সংসদ সচিবালয় ও গণপূর্ত বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় সব সামগ্রী দেওয়া হয়। বিগত সপ্তম ও অষ্টম সংসদেও বেশির ভাগ ভিআইপি সরকারি বাসার মালপত্র ফেরত না দিয়ে তা নিজের বাড়িতে নিয়ে গেছেন। টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটার, এসি থেকে শুরু করে জানালার পর্দা পর্যন্ত নিয়ে যান তাঁরা।
এ নিয়ে ২০০৯ সালের জুনে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি মালপত্রের একটি তালিকা তৈরি করে তা ফেরত চেয়ে কয়েক দফা তাগাদা দিলেও বেশির ভাগ সামগ্রী এখনো ফেরত পাওয়া যায়নি।
সংসদ সচিবালয়ের মালপত্র যাঁরা ফেরত দেননি তাঁদের মধ্যে আছেন অষ্টম সংসদের স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার,
সাবেক ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকী এবং
সপ্তম সংসদের স্পিকার প্রয়াত হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী।
এ ছাড়া সাবেক চিফ হুইপ খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনসহ সপ্তম ও অষ্টম সংসদের অধিকাংশ হুইপের বাসা থেকেও বিভিন্ন সামগ্রী ফেরত পাওয়া যায়নি।
সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকারের বেইলি রোডের সরকারি বাসা থেকে তিন টন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি এবং দুই টন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি এসি, একাধিক সোফাসেট, এক হাজার ভোল্টেজের স্টেবিলাইজার, বুক শেলফ, খাট, টেবিল, চেয়ার, ক্রোকারিজসহ শতাধিক জিনিস পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া মাইক্রোইলেকট্রোনিকসের তৈরি এক হাজার ৫০০ ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন আইপিএস জেনারেটরের পরিবর্তে নিক্সন কম্পানির কম দামি ৬০০ ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন আইপিএস পাওয়া গেছে।
এক হাজার ভোল্টেজ ক্ষমতাসম্পন্ন স্টেবিলাইজারের পরিবর্তে দেওয়া হয়েছে ৫০০ ভোল্টেজের স্টেবিলাইজার। র্যাংগসের মাইক্রোওয়েভ ওভেনের পরিবর্তে মিয়াকো ব্র্যান্ডের মাইক্রোওয়েভ ওভেন ফেরত দিয়েছেন সাবেক স্পিকার।
এ বিষয়ে সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার কালের কণ্ঠকে জানান, দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর বেশির ভাগ সামগ্রীই সংসদ সচিবালয়ে ফেরত দেওয়া হয়েছে। তবে নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে ছোটখাটো কোনো কোনো জিনিস হয়তো ফেরত নাও দেওয়া হতে পারে।
তবে এই বক্তব্য মানতে রাজি নয় সংসদ সচিবালয়।
এ বিষয়ে সংসদ সচিবালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ আহম্মদ জানান, মালপত্র ফেরত চেয়ে কয়েকবার চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও সংসদের সাবেক ভিআইপিদের কাছ থেকে সাড়া পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে যাঁরা চলতি সংসদে নির্বাচিত হননি তাঁরা বিষয়টিকে পাত্তাই দেননি। সর্বশেষ একজন মূল্য ফেরত দিতে চাওয়ায় মূল্য তালিকা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্পিকারের অনুমোদন নিয়ে ওই মূল্য চেয়ে আবারও চিঠি পাঠানো হবে। অন্তত কিছু মূল্য আদায়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
সাবেক ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকীর সংসদের বাসা থেকে ফেরত না-পাওয়া জিনিসের তালিকায় রয়েছে- ৩৪ ইঞ্চি রঙিন টেলিভিশন, স্টিলের আলমারি, কম্পিউটার, মডেম, সিডি রাইটার, ইউপিএস (মাইক্রো-৬৫০ ভিএ), ইউপিএস (এক কেভিএ), স্ক্যানার (এইচপি স্ট্যানাজেট ৮২০০) দুটি, লেজার প্রিন্টার, নোটবুক কম্পিউটার, মাইক্রোওয়েভ ওভেন রোটেটিং গ্রিলসহ ধারণক্ষমতা সাত লিটার, ফটোকপি মেশিন, ভোল্টেজ স্টেবিলাইজার (১০০০ ভিএ) তিনটি, আইপিএস (জেনারেটর-১৫০০ ভিএ), তিন হাজার ৬০০ বর্গফুট পর্দা, একাধিক সোফাসেট, চেয়ার, টেবিলসহ ৫৬ ধরনের সামগ্রী। সুত্র
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪১
তালপাতারসেপাই বলেছেন: কোনটা?
২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৬
আবহমান বাংলা বলেছেন: এগুলো জনগণের সম্পত্তি, আর তারা হচ্ছেন জনগণের প্রতিনিধি। ফেরত দিবেন কেন বা মূল্য পরিশোধ করতে হবে কেন মাথায় ঢুকছে না
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪১
তালপাতারসেপাই বলেছেন: হাঁ! হাঁ! হাঁ! হাঁ!
৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬
মুফতি বাবা বলেছেন:
শেয়ার বাজারের ৮ হাজার কোটি টাকা কি হাসিনা ফেরত দিয়েছে?
ডেস্টিনি-হলমার্কের টাকা কি হাসিনা ফেরত দিয়েছে?
সোনালী ব্যংক লুটের টাকা কি হাসিনা ফেরত দিয়েছে?
কুইক রেন্টালের লুট-পাটের টাকা কি হাসিনা ফেরত দিয়েছে?
পদ্মা সেতু লুট-পাটের টাকা কি হাসিনা ফেরত দিয়েছে?
৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮
তারান্নুম বলেছেন: এরা কে কবে কি ফেরত দিয়েছে?সমস্যা হলো,দুই দলই চোর হওয়ায় একদলের কিছু বেরোলেই আরেকদল বলে,'ওই,তুই ফেরত দিসোস অমুক-তমুক...' আলটিমেটলি কেউ কিছু ফেরত দেয়না।
৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০১
শয়ন কুমার বলেছেন: সমস্যা হলো,দুই দলই চোর হওয়ায় একদলের কিছু বেরোলেই আরেকদল বলে,'ওই,তুই ফেরত দিসোস ওই,তুই ফেরত দিসোস ইত্যাদি ইত্যাদি..' যেমনঃ দলের পা চাটা কুত্তা মুফতি বাবা অলরেডী সেই চিল্লাপাল্লা শুরু করছে !!!!!!!!
@মুফতি বাবা, তোর শরম নাই?? ক্ষেপিস ক্যান ????????চোরদের দালালী করস দালালের বাচ্চা কোথাকার??
দূর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত কালো টাকা জরিমানা দিয়ে সাদা করেছিলেন তোর প্রিয় নেত্রী খাঃল্যাদা জিয়া , সেকথাটা কি ভুইলা গ্যাছোস!!
দূর্নীতিতে বাংলাদেশরে পর পর তিন বার হ্যাট্রিক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান বানাইছিলো খাঃল্যাদা জিয়া সে কথাটাও কি ভুইলা গ্যাছোস!!
আর হাসিনার আমলে আবুল , মাল, দরবেশ শাহ চুদির ভাইদেরও ধরমু আগামী ইলেকশনে ।বিরোধী দলে পাঠাইয়া জেলের ভাত খাওয়ামু ।
৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪১
মুফতি বাবা বলেছেন: @শয়ন ভাদা:
ওরে আবাল, আমি কোন চোরের দালালী করি নাই, ২২টি চুরি আর চান্দাবাজীর ভার্জশীট ভুক্ত মামলার হাসিনা চুন্নির দালাল তুই|
প্রথম দুর্নিতীতে চ্যাম্পিয়ন হইছে আওয়ামীলীগের আমলে| আর খালেদা দুর্নিতীর টাকা সাদা করছে এইটা কই পাইলিরে ঘটির বাচচা? সে তার বৈধ আয়ের আয় কর দিতে দেরী করেছে কারন তখন আর্মি সরকার তার ২ ছেলেকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করছিল, তার দলের উপড় চলছিল নির্যাতন| দুর্নিতীর টাকা তুই কই দেখলি??
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১২
আহমেদ রশীদ বলেছেন: কি যে বলেন মাথায় কিছুই ধরেনা>>>>>