নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতির জীবনে ১/১১ কার কারণে?

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০৮



জাতির জীবনে ১/১১ নেমে এসেছিল তারেক জিয়ার কারণে। তিনি হাওয়া ভবন প্রতিষ্ঠা করে দেশে একটি বিকল্প সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।



এই হাওয়া ভবনে বসে তিনি তাদের রাষ্ট্রপতি, বহুমুখী গুণের অধিকারি বি. চৌধুরীকে অসম্মানজনকভাবে ইমপিচ করিয়েছিলেন, তারপর পাপেট রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি বানিয়েছিলেন। হাওয়া ভবনের সিগন্যালে ইয়াজউদ্দিন সংবিধানের মুখে চুনকালি মেখে রাষ্ট্রপতির গদিতে বসেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হয়েছিলেন, যাতে আড়াই কোটি ভুয়া ভোটারের ভোট প্রয়োগ করে বিএনপি আবার ক্ষমতায় যেতে পারেন।



আর সামান্য একটু পেছনে তাকাই। ২০০১-এর নির্বাচনের পর মাহী বি. চৌধুরী অহংকার করে বলেছিলেন, ‘আমাদের যত মন্ত্রী আছে, আওয়ামী লীগের তত এমপিও নেই।’



এর পর পরই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে হাওয়া ভবন ঘেরাও করার লক্ষ্যে একটি মিছিল হয়েছিল। পুলিশ দুর্বল মিছিলটি ল-ভ- করে দিয়েছিল। তখন দুই রাজকুমার : তারেক-কোকো দু’ভাই হাওয়া ভবনের সবুজ চত্বরে আওয়ামী লীগের মিছিলকে ব্যঙ্গ করে ক্রিকেট খেলছিল। ঐ ধারালো ব্যঙ্গ বাঙালি জাতির বুকে আমূলবিদ্ধ হয়েছিল।



তারেক জিয়া যে নেতা হতে পারেননি তার দৃষ্টান্ত ১/১১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রস্ফুটিত হয়েছিল। নেতাদের বিরুদ্ধে সত্য-মিথ্যা নানা অভিযোগ থাকে। তাদের জেলও খাটতে হয়। নির্যাতন হজম করতে হয়। তারেক জিয়ারা ক্ষমতায় এসে ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের মতো নেতার পায়খানার রাস্তায় গরম পানি ঢেলে দিয়েছিলেন। ড. আলমগীর তবুও দৃঢ়কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘পরাজিত হবার জন্য আমার জন্ম হয় নাই।’ না, ভোট নয়, নৈতিকতায়।



আর তারেক জিয়া দলের ‘সিনিয়র’, ‘যুগ্ম’, ‘মহা’ হয়ে কী করলেন? তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বেদম পিটুনি আর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মুচলেকা দিলেন তিনি আর রাজনীতি করবেন না। এই বুঝি নেতার বৈশিষ্ট্য? তার বাবা জিয়াউর রহমানও তেমন সাহসী লোক ছিলেন না। বলতে গেলে কর্নেল ফারুক ও কর্নেল তাহেরই তাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। ফারুকতো জিয়াকে ‘কাপুরুষ’ ও ‘সুবিধাবাদী’ বলেছে। জিয়া অপকৌশলে পটু ছিলেন। তার পরিবার-পরিজনের বৈশিষ্ট্যও তাই।



তারেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অনেক অভিযোগ আছে। গিয়াস উদ্দিন আল মামুন যার বন্ধু তিনি ধোয়া তুলসি পাতা হতে পারেন না। যারা রাজনীতির পক্ষপুটে বসে দুর্নীতি করে তাদের চিত্ত থাকে দুর্বল, তারা মুচলেকা দিতে দেরি করেন না।



শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে দুর্লঙ্ঘ বাধা সৃষ্টি করেছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সক্ষম হয়নি। মনের জোরে শেখ হাসিনা বাংলার মাটিতে ফিরে এসেছিলেন। আসুক তো তারেক জিয়া! দেখি, কত বড় ‘মহা,’ ‘সিনিয়র’ নেতা তিনি!

তারেক বিষয়ে আর বেশি কথা বলতে চাই না। সামান্যতম যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে তিনি একটি বড় দলের সিনিয়র মোস্ট পদে অধিষ্ঠিত হননি। কথায় বলে, ‘সস্তার বস্তাও ভালো না।’ সস্তায় পদ পেয়েছেন বলে মর্যাদা না বুঝে তার অপব্যবহার করেছেন নানা অপকীর্তি করেছেন। একজন লেখক বলেছেন, “গাজীপুর শহরের ছায়াবীথি এলাকায় ১০ কাঠা জমির ওপর তিনতলাবিশিষ্ট একটি আকর্ষণীয় ভবন। যার নাম খোয়াব। কাগজপত্রে জায়গা ও ভবনের মালিক গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের স্ত্রী হলেও তারেকের টাকায় মামুন এ ভবনটি তৈরি করেন। এ ভবন থেকে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ভবনে তারেক মামুন প্রায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন। সারারাত থেকে সকাল বেলা চলে আসতেন। সুন্দরী তরুণী, নায়িকা ও মডেল কন্যাদের প্রতি রাতেই যাতায়াত ছিল সেখানে। এলাকাবাসীদের ঠাট্টা করে বলতে শোনা যায়, তারেক রহমান সুন্দরী ললনা, নায়িকা-গায়িকা এবং মডেলদের নিয়ে রাতভর আমোদ-ফূর্তি করে জাতীয়তাবাদী আদর্শে মাতাল হয়ে খোয়াব দেখছেন।” (অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান হাওয়াই দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমান, জাতীয়তাবাদী প্রকাশন, ৪৪নং আজিমপুর রোড, ঢাকা, পৃ. ১২)।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫

প্রকৌশলী আতিক বলেছেন: বইয়ের পাতা থেকে তুলে না দিয়ে, প্রতিদিন যদি গ্লাসে ভিজাই ভিজাই খান, তবেই আপনার জীবন সার্থক।

সবাই পড়তেছে, কেউ কমেন্ট করেনা। তাই একটা বুদ্ধি দিলাম।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫১

তালপাতারসেপাই বলেছেন: প্রকৌশলী আতিকের মহা কৌশল? এই কারনে .....?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.