নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
রাত জেগে ভাই গাদা ফুলে সোনার বাংলা গড়ছে।
পূর্বপুরুষ আজ উত্তরাধীকার নামের রাজাকারের জঞ্জাল কাধে না চাপিয়ে না দিলে, আজ ওরা সত্যিকারের সোনার বাংলা গড়তো। ধীক এই উত্তরাধীকার, জয় হোক নতুন প্রজন্মের।
রাজাকার-আলবদরদের ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের ইতিহাস শুধু বয়স্কাই পরিপূর্ণভাবে জানেন, এটাই ভাবত অনেকে। একাত্তরের ভয়াল সেসব কর্মকাণ্ড অনেকের কাছে একটু জটিল মনে হলেও শাহবাগসহ সারাদেশের আপামর জনগণ রাজাকার কাদের মোল্লার রায়ে অসন্তুষ্ট হয়ে নেমেছে রাজপথে। যেখানে বাদ নেই শিশু-কিশোর এবং পথচারীরাও। তারা এখন জানে নারকীয় সেই ভয়াল ঘটনাগুলো কীভাবে ঘটেছিল আর এতে রাজাকারদের ভূমিকা কী ছিল। বিস্তারিত জানতে সহায়তা করছে ইন্টারনেটের তথ্য ভাণ্ডার। জাতি হিসেবে এই গণজাগরণ প্রমাণ করে_ আমরা ১৯৭১-এ পাকিস্তানি বাহিনী থেকে স্বাধীনতা অর্জনকারী জাতি, আমরা রাজাকারের শাস্তি হিসেবে ফাঁসির রায় চাই।
শাহবাগের হাজারো কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছে যুদ্ধাপরাধী ঘাতকদের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান। বিশ্ববাসীর কাছে পেঁৗছে গেছে সেই স্লোগান_ 'রাজাকারের ফাঁসি চাই', 'রক্তে কেনা বাংলায়, রাজাকারের ঠাঁই নাই'। এ যেন এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। এমন গণজাগরণ ইতিপূর্বে আমরা দেখিনি। সবার সঙ্গে ভাষার মাসে গর্জে উঠেছে সংস্কৃতিকর্মীরা আর যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো। বিশিষ্টজনেরা সংহতি প্রকাশ করেছেন উজ্জীবিত তরুণদের সঙ্গে। রাজাকার কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বিস্মিত হয়েছে পুরো জাতি।
জনতার আদালতে প্রতীকী ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে রাজাকার কাদের মোল্লাসহ অন্য যুদ্ধাপরাধীদের। রাজাকারের ফাঁসির রায়ে ফুঁসে উঠেছে সমগ্র দেশবাসী, এ যেন আগুনের উত্তাপ। কেউ এই উত্তাপ শীতল করতে এলে নিজেই জ্বলে-পুড়ে মরবে, এমনটাই ভাবে জনগণ।
ট্রাইব্যুনালের রায়ে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মোট ছয়টি অভিযোগের মধ্যে একটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বিধায় তাকে সেই একটিতে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে আর ওই অংশকেই চ্যালেঞ্জ করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আমরা এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানাই। আমরা এই পদক্ষেপের ফলে যুগান্তকারী রায় দেখতে চাই। ফাঁসির রায় পুরো বাঙালি জাতির কাম্য।
কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মিরপুরে পল্লব হত্যা, আলোকদিতে ৩৪৪ জনকে হত্যা, কবি মেহেরুননেসা, তার মা এবং দুই বোনকে মিরপুরের বাসায় গিয়ে হত্যা, সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেব হত্যা, ভাউয়াল খানবাড়ি ও ঘাটারচর (শহীদনগর) এলাকার শতাধিক নিরস্ত্র গ্রামবাসী ও দুজন নিরস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা এবং ১১ বছরের মেয়েকে ধর্ষণসহ বিভিন্ন ঘটনায় প্রায় সাড়ে ৪শ' ব্যক্তিকে হত্যার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রশ্ন জনমনে, এতগুলো অভিযোগের কোনো প্রমাণ যুক্তিযুক্ত হয়নি; এমনকি কিছু সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে হাজির করা যায়নি শুধু রাষ্ট্রপক্ষের ব্যর্থতার কারণে।
যত ষড়যন্ত্র হোক, তার দায়ভার কে নেবে? তা রাষ্ট্রপক্ষের দায়িত্বশীলদের ওপরই বর্তায়। রায় দেশের আপামর জনগণ ও সরকারের অনুকূলে না আসায় আমরা তাকিয়ে রইব আরও কিছুদিন। সরকার আপিল করে ফাঁসির রায় নিয়ে কার্যকর করবে, রাজাকার-আলবদর নির্মূল হবে আর জাতি কলঙ্কমুক্ত হবে; এ প্রত্যাশায় পুরো জাতি অপেক্ষায় থাকতে কুণ্ঠাবোধ করবে না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬
নায়করাজ বলেছেন: জামাত শিবিরের অর্থনৈতিক শক্তি ভেঙ্গে দেন। ওদের সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে বয়কট করুন। ওদের প্রতিটি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানুন। ওদের প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করবেন না। বরং বিনিয়োগ বা অংশীদারিত্ব থাকলে প্রত্যাহার করুন। ইসলামী ব্যাংক থেকে সকল টাকা তুলে নিন। আপনার টাকা দিয়ে ওদের দেশবিরোধী কার্যকলাপ চালাতে দেবেন না।
নিচের লিংকে গিয়ে লেখাটা কপি/পেস্ট করুন। শেয়ার করুন, ছড়িয়ে দিন। সবার সামনে ওদের মুখোশ খুলে দিন। জামাত শিবির পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য পাবেন এখানে : Click This Link